'বিস্ময়াপন্ন' সমস্ত পদটির সঠিক ব্যাসবাক্য কোনটি?
A
বিস্ময় দ্বারা আপন্ন
B
বিস্ময়ে আপন্ন
C
বিস্ময়কে আপন্ন
D
বিস্ময়ে যে আপন্ন
উত্তরের বিবরণ
দ্বিতীয়া তৎপুরুষ সমাস
বাংলা ব্যাকরণের মতে, যখন কোনো পদে দ্বিতীয় পদের দ্বিতীয়া বিভক্তি (যেমন –কে, –রে ইত্যাদি) লোপ পায় এবং দুটি পদ একত্র হয়ে একটি নতুন সমাস গঠন করে, তখন তাকে দ্বিতীয়া তৎপুরুষ সমাস বলা হয়।
উদাহরণ:
-
দুঃখকে প্রাপ্ত → দুঃখপ্রাপ্ত
-
বিপদকে আপন্ন → বিপদাপন্ন
-
বিস্ময়কে আপন্ন → বিস্ময়াপন্ন
-
পরলোকে গত → পরলোকগত
এখানে লক্ষ্য করুন, মূল বাক্যে থাকা “কে” বা “তে” প্রভৃতি উপসর্গ লোপ পেয়ে দুটি পদ মিলিত হয়ে নতুন অর্থযুক্ত শব্দ তৈরি করেছে।
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, ২০১৯ সংস্করণ।

0
Updated: 1 month ago
'যেহেতু তুমি বেশি নম্বর পেয়েছ, সুতরাং তুমি প্রথম হবে' কোন ধরনের বাক্য?
Created: 2 months ago
A
সরল
B
জটিল
C
যৌগিক
D
অনুজ্ঞামূলক
যে বাক্যে একটি প্রধান খণ্ডবাক্যের সাথে এক বা একাধিক অপ্রধান খণ্ডবাক্য যুক্ত থাকে, বা একাধিক বাক্য পরস্পরের সঙ্গে নির্ভরশীল ও সম্পর্কিত হয়ে ব্যবহৃত হয়, তাকে জটিল বাক্য বলা হয়।
সহজ কথায়, যেখানে একটি মূল বাক্যের সঙ্গে সাব-বাক্যগুলো সংযুক্ত থাকে এবং তারা একে অপরের ওপর নির্ভরশীল, সেসব বাক্যই জটিল বাক্য।
জটিল বাক্যে ব্যবহৃত সাপেক্ষ সর্বনাম ও সাপেক্ষ যোজক
জটিল বাক্যে প্রায়শই ‘যে-সে’, ‘যারা-তারা’, ‘যিনি-তিনি’, ‘যাঁরা-তাঁরা’, ‘যা-তা’ এর মতো সাপেক্ষ সর্বনাম এবং ‘যদি-তবে’, ‘যদিও-তবু’, ‘যেহেতু-সেহতু’, ‘যত-তত’, ‘যেটুকু-সেটুকু’, ‘যেমন-তেমন’, ‘যখন-তখন’ ইত্যাদি সাপেক্ষ যোজক ব্যবহৃত হয়।
এই ধরনের শব্দ ও যুক্তি অপ্রধান ও প্রধান খণ্ডবাক্যগুলোকে যুক্ত করে এবং বাক্যের অর্থকে পরস্পরের সঙ্গে সাপেক্ষ করে।
উদাহরণসমূহ
-
যেহেতু তুমি ভালো ফলাফল করেছ, তাই তুমি প্রথম স্থান অধিকার করবে।
(এখানে ‘যেহেতু তুমি ভালো ফলাফল করেছ’ অংশটি অপ্রধান খণ্ডবাক্য এবং ‘তুমি প্রথম স্থান অধিকার করবে’ প্রধান খণ্ডবাক্য।) -
যে ছাত্রটি সময়মতো এসেছে, সে আমার বন্ধু।
-
যখন বৃষ্টি শুরু হলো, তখন আমরা ছাতা নিয়ে বের হলাম।
তথ্যসূত্র: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি (২০১৯), ড. হায়াৎ মামুদ, ভাষা-শিক্ষা

0
Updated: 2 months ago
কোন বাক্যটি দ্বারা অনুরোধ বুঝায়?
Created: 3 months ago
A
তুই বাড়ি যা
B
ক্ষমা করা ঘোর অপরাধ
C
কাল একবার এসো
D
দূর হও
একই বাক্য বা শব্দ, ভিন্ন স্বরভঙ্গিতে উচ্চারিত হলে তা ভিন্ন ভিন্ন অনুভূতি প্রকাশ করতে পারে। এটিই বাভঙ্গির মাহাত্ম্য। মানুষ কখনো জিজ্ঞাসা করে, কখনো আদর করে, আবার কখনো রাগ বা বিস্ময় প্রকাশ করে—এসবই স্বরভঙ্গির মাধ্যমে বোঝা যায়।
নিচে কিছু উদাহরণ দেওয়া হলো, যা বাভঙ্গির রূপভেদে একই বাক্য বা বাক্যাংশ কীভাবে বিভিন্ন অনুভূতি প্রকাশ করতে পারে, তা স্পষ্ট করে তোলে:
১. সাধারণ বিবৃতি (তথ্য দেওয়া)
-
সে আজ যাবে।
👉 নিছক একটি তথ্য জানানো হচ্ছে।
২. প্রশ্ন (জিজ্ঞাসা)
-
সে আজ যাবে?
👉 সন্দেহ বা কৌতূহল প্রকাশ পাচ্ছে।
৩. বিস্ময়
-
সে আজ যাবে!
👉 ভাবনার বাইরে কিছু ঘটছে, আশ্চর্যজনক অনুভূতি।
৪. ক্রোধ
-
আমি তোমাকে দেখে নেব।
👉 হুমকি বা রাগ প্রকাশ করা হচ্ছে।
৫. আদর
-
বড্ড শুকিয়ে গেছিস রে।
👉 স্নেহমাখা কণ্ঠে কষ্ট প্রকাশ।
৬. আনন্দ
-
বেশ বেশ, খুব ভালো হয়েছে।
👉 খুশি হয়ে প্রশংসা করা হচ্ছে।
৭. অনুরোধ
-
কাল একবার এসো। / কাল একবার আসতে পারবে?
👉 ভদ্রভাবে কারো প্রতি অনুরোধ জানানো।
স্বরভঙ্গি কেবল বাক্য গঠনের একটি উপাদান নয়, বরং এটি ভাষাকে প্রাণবন্ত করে তোলে। একই বাক্য, ভিন্ন স্বরভঙ্গিতে ভিন্ন আবেগ ও মনোভাব প্রকাশ করতে পারে। এটি ভাষার নান্দনিক ও ব্যবহারিক সৌন্দর্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক।
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি, নবম দশম শ্রেণি (২০২১ ও ২০১৯ সংস্করণ)।

0
Updated: 3 months ago
"আমাকে একটি কলম দাও।" — এটি কোন ধরনের বাক্য?
Created: 1 month ago
A
প্রশ্নবাচক
B
অনুজ্ঞাবাচক
C
আবেগবাচক
D
আবেগবাচক
অনুজ্ঞাবাচক বাক্য
-
সংজ্ঞা: আদেশ, নিষেধ, অনুরোধ, প্রার্থনা ইত্যাদি বোঝাতে যে বাক্য ব্যবহৃত হয়, তাকে অনুজ্ঞাবাচক বাক্য বলা হয়।
-
উদাহরণ:
-
আমাকে একটি কলম দাও।
-
তার মঙ্গল হোক।
-
আমাকে একটু জল দাও।
-
বিপদে ধৈর্য ধর।
-
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি, নবম-দশম শ্রেণি (২০২৩ সংস্করণ)

0
Updated: 1 month ago