মুহম্মদ আবদুল হাই রচিত ধ্বনিবিজ্ঞান বিষয়ক গ্রন্থের নাম কী?
A
বাংলা ধ্বনিবিজ্ঞান
B
আধুনিক বাংলা ধ্বনিবিজ্ঞান
C
ধ্বনিবিজ্ঞানের কথা
D
ধ্বনিবিজ্ঞান ও বাংলা ধ্বনিতত্ত্ব
উত্তরের বিবরণ
মুহম্মদ আবদুল হাই ও তাঁর ধ্বনিবিজ্ঞান সংক্রান্ত গ্রন্থ
ধ্বনিবিজ্ঞান ও বাংলা ধ্বনিতত্ত্ব:
-
গ্রন্থের পরিচিতি: মুহম্মদ আবদুল হাই রচিত ধ্বনিবিজ্ঞান ও বাংলা ধ্বনিতত্ত্ব ১৯৬৪ সালে প্রকাশিত হয়।
-
বিষয়বস্তু: বইটি বাংলা ভাষার ধ্বনি, তার গঠন, উচ্চারণ এবং ব্যবহার সংক্রান্ত বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা প্রদান করে।
-
গবেষণার গুরুত্ব: এটি বাংলার ভাষাতত্ত্বের মৌলিক বিষয় নিয়ে উচ্চমানের গবেষণাগ্রন্থ, যা পাঠকের জন্যও সহজ ও আকর্ষণীয়ভাবে লেখা।
-
বিশ্বখ্যাতি: গ্রন্থটির কারণে মুহম্মদ আবদুল হাই ধ্বনিবিজ্ঞানী হিসেবে আন্তর্জাতিক খ্যাতি অর্জন করেন।
-
লেখার ধরন: বইটির ভাষা এবং রচনাশৈলী বিজ্ঞানমুখী হলেও রসপূর্ণ, ফলে তত্ত্বকথা স্বভাবতই পাঠকের কাছে সহজবোধ্য হয়।
মুহম্মদ আবদুল হাই:
-
তিনি একজন শিক্ষাবিদ, সাহিত্যিক, গবেষক ও ভাষাবিজ্ঞানী।
-
জন্ম: ২৬ নভেম্বর ১৯১৯, মুর্শিদাবাদ, রাণীনগর থানার মরিচা গ্রাম।
-
উল্লেখযোগ্য গ্রন্থসমূহ:
-
সাহিত্য ও সংস্কৃতি
-
তোষামোদ ও রাজনীতির ভাষা
-
ভাষা ও সাহিত্য
-
ধ্বনিবিজ্ঞান ও বাংলা ধ্বনিতত্ত্ব
-
বাংলা সাহিত্যের ইতিবৃত্ত
-
উৎস: বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 month ago
বাংলা কথ্য ভাষার আদি গ্রন্থ কোনটি?
Created: 2 months ago
A
প্রভু যিশুর বাণী
B
কৃপার শাস্ত্রের অর্থভেদ
C
ফুলমণি ও করুণার বিবরণ
D
মিশনারি জীবন
• ‘কৃপার শাস্ত্রের অর্থ ভেদ’ গ্রন্থ
রোমান ক্যাথলিক ধর্মযাজক মানোএল দা আসসুম্পসাঁও ১৭৩৪ সালে ‘কৃপার শাস্ত্রের অর্থ ভেদ’ নামের একটি গ্রন্থ লেখেন এবং ১৭৪৩ সালে এটি পর্তুগালের লিসবনে রোমান হরফে মুদ্রিত হয়। এই গ্রন্থটিকে বাংলা গদ্যের প্রাথমিক রূপ হিসেবে ধরা হয়।
এই বইটি লেখা হয়েছিল ঢাকার ভাওয়াল এলাকার ‘নাগরী’ নামক স্থানে। এতে এক দিকে বাংলা ভাষায় এবং অন্য দিকে পর্তুগিজ ভাষায় গুরু ও শিষ্যের কথোপকথনের মাধ্যমে খ্রিস্টধর্ম ও খ্রিস্টানদের আচার-অনুষ্ঠান বোঝানো হয়েছে।
• মনোএল দা আসসুম্পসাঁও
তিনি একজন পর্তুগিজ খ্রিস্টান যাজক ছিলেন। বাংলা ভাষার ব্যাকরণ রচনায় তিনিই প্রথম উদ্যোগ নেন।
১৭৪৩ সালে তিনি দুটি বাংলা বই লেখেন ও মুদ্রণ করেন। বই দুটি হলো:
-
কৃপার শাস্ত্রের অর্থ ভেদ
-
ভোকাবুলিরও এম ইদিওমা বেনগল্লা ই পোরতুগিজ (যার অর্থ: বাংলা ও পর্তুগিজ ভাষার শব্দকোষ ও বাক্যপ্রয়োগ)
উৎস:
-
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা (ড. সৌমিত্র শেখর)
-
বাংলাপিডিয়া
-
বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস (মাহবুবুল আলম)

0
Updated: 2 months ago
'আনোয়ারা' গ্রন্থটি কার রচনা?
Created: 2 months ago
A
কাজী এমদাদুল হক
B
মীর মশাররফ হোসেন
C
মোহাম্মদ নজিবর রহমান
D
ইসমাইল হোসেন সিরাজী
‘আনোয়ারা’ উপন্যাস
-
লেখক: মোহাম্মদ নজিবর রহমান
-
প্রকাশ: প্রথম প্রকাশ ১৯১৪ সালের ১৫ জুলাই, কলকাতা (১৩২১ বঙ্গাব্দে)
-
ধরন: সামাজিক উপন্যাস
-
প্রধান থিম: ধর্ম ও সত্যের জয়, অধর্মের পরাজয়, আনোয়ারার স্বামীনিষ্ঠা।
-
মূল বক্তব্য: “সতীর সর্বস্ব পতি, সতী শুধু পতিময়, বিধাতার প্রেমরাজ্যে সতত সতীর জয়।” উপন্যাসে নারীর ইচ্ছার পৃথক কোনো মূল্য নেই।
উল্লেখযোগ্য চরিত্র:
-
আনোয়ারা
-
নুরুল এসলাম
-
খাদেম
-
আজিমুল্লাহ
-
গোলাপজান
মোহাম্মদ নজিবর রহমান
-
পেশা: মূলত ঔপন্যাসিক
-
জন্ম ও মৃত্যু: ১৮ অক্টোবর ১৯২৩ সালে রায়গঞ্জের হাটি কুমরুল গ্রামে মৃত্যু।
-
সাহিত্য জীবন: ইসমাইল হোসেন সিরাজীর অনুপ্রেরণায় সাহিত্যকর্মে ব্রত।
-
সাফল্য: প্রথম সামাজিক উপন্যাস আনোয়ারা লিখে তিনি ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেন।
-
বিশেষতা: গ্রামীণ মুসলিম পরিবারের জীবনচিত্র উপন্যাসে বাস্তবভাবে উপস্থাপন।
-
উপাধি: সাহিত্যে অবদানের জন্য ‘সাহিত্যরত্ন’।
অন্যান্য উপন্যাস:
-
চাঁদতারা বা হাসান গঙ্গা বাহমনি
-
পরিণাম
-
গরীবের মেয়ে
-
দুনিয়া আর চাই না
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর; বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 2 months ago
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ কোনটি?
Created: 1 month ago
A
জীবনের কথা
B
জীবনকথা
C
জীবনস্মৃতি
D
অতীতের দিনগুলি
‘জীবনস্মৃতি’
-
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ।
-
প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯১২ সালে।
-
বাল্মীকি প্রতিভা রচনার সময় থেকে রবীন্দ্রনাথ সম্পূর্ণভাবে গান ও কাব্য রচনায় মনোনিবেশ করেন।
-
তিনি রচনা করেন সন্ধ্যাসংগীত (১৮৮২) ও প্রভাতসংগীত (১৮৮৩)।
-
এই সময়কার অনুভূতিই কবির জীবনে এক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা, যা তিনি ‘জীবনস্মৃতি’ গ্রন্থে ব্যক্ত করেছেন।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 1 month ago