'কল্লোল' পত্রিকার প্রথম সম্পাদকের নাম কী?
A
বুদ্ধদেব বসু
B
দীনেশরঞ্জন দাশ
C
সজনীকান্ত দাস
D
প্রেমেন্দ্র মিত্র
উত্তরের বিবরণ
কল্লোল পত্রিকা ও সম্পাদকবৃন্দ
বাংলা সাহিত্যে আধুনিকতার পথিকৃৎ হিসেবে ‘কল্লোল’ পত্রিকার গুরুত্ব অপরিসীম।
-
১৯২৩ সালে কলকাতা থেকে মাসিক ‘কল্লোল’ পত্রিকার সূচনা হয়।
-
এর প্রথম সম্পাদক ছিলেন দীনেশরঞ্জন দাশ।
-
এই পত্রিকায় নিয়মিত লিখতেন অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত, শৈলজানন্দ মুখোপাধ্যায়, বুদ্ধদেব বসু, প্রেমেন্দ্র মিত্র, মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়সহ অনেক সাহিত্যিক।
একই সময়ে অন্য কয়েকটি উল্লেখযোগ্য পত্রিকার সাথেও খ্যাতনামা সাহিত্যিকেরা যুক্ত ছিলেন—
-
বুদ্ধদেব বসু সম্পাদনা করতেন ‘কবিতা’ ও ‘প্রগতি’।
-
সজনীকান্ত দাস সম্পাদনা করতেন ‘বঙ্গশ্রী’।
-
প্রেমেন্দ্র মিত্র সম্পাদনা করতেন ‘কালিকলম’।
এভাবে দেখা যায়, একাধিক সাহিত্যপত্রিকাকে ঘিরে তৎকালীন বাংলা সাহিত্য নতুন দিকনির্দেশনা পেয়েছিল।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা – ড. সৌমিত্র শেখর

0
Updated: 1 month ago
ভাষা আন্দোলনভিত্তিক প্রথম পত্রিকার সম্পাদকের নাম কী?
Created: 1 month ago
A
মুনীর চৌধুরী
B
হাসান হাফিজুর রহমান
C
শামসুর রাহমান
D
গাজীউল হক
‘একুশে ফেব্রুয়ারি’ সাহিত্য সংকলন
‘একুশে ফেব্রুয়ারি’ ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে তৈরি প্রথম সাহিত্য সংকলন। এটি কবিতা, প্রবন্ধ, গল্প, গান, নকশা ও ইতিহাস—মোট ৬টি বিভাগের মাধ্যমে প্রকাশিত হয়, তাই এটিকে ভাষা আন্দোলনভিত্তিক প্রথম পত্রিকা হিসাবেও দেখা যায়।
-
১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি বাংলা ভাষার জন্য ঢাকায় যে আত্মদান করা হয়েছিল, তার স্মরণে ১৯৫৩ সালের মার্চে হাসান হাফিজুর রহমান ‘একুশে ফেব্রুয়ারি’ নামে সংকলনটি সম্পাদনা করেন।
-
প্রকাশক ছিলেন মোহাম্মদ সুলতান। সম্পাদক ও প্রকাশক উভয়েই বামপন্থি রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
-
সংকলনে মোট ২২ জন লেখকের লেখা অন্তর্ভুক্ত ছিল।
-
আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর লেখা ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো’ গান প্রথমবার এই সংকলনে প্রকাশিত হয়।
-
প্রকাশের মাত্র তিন সপ্তাহের মধ্যে পাকিস্তানের তৎকালীন সরকার সংকলনটি বাজেয়াপ্ত করে।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর; বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 month ago
শিখা পত্রিকার প্রথম সংখ্যার সম্পাদক ছিলেন-
Created: 3 weeks ago
A
কাজী মোতাহার হোসেন
B
আবুল হুসেন
C
আবুল ফজল
D
মুন্সি আহমদ আলী
শিখা ছিল মুসলিম সাহিত্য-সমাজের একটি গুরুত্বপূর্ণ মুখপত্র, যা বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতির ইতিহাসে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
-
শিখা প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯২৬ সালে ঢাকায়, মুসলিম সাহিত্য-সমাজের মুখপত্র হিসেবে।
-
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি ও বাণিজ্য বিভাগের অধ্যাপক আবুল হুসেন ছিলেন এর প্রথম সংখ্যার সম্পাদক।
-
এটি বছরে একবার প্রকাশিত হতো।
-
প্রথম সংখ্যা প্রকাশিত হয় চৈত্র ১৩৩৩ (৮ এপ্রিল ১৯২৭ খ্রি.)।
-
পত্রিকাটি মুসলিম সাহিত্য-সমাজের পক্ষে আবদুল কাদির কর্তৃক মুসলিম হল থেকে প্রকাশিত হয় এবং মুন্সি আহমদ আলী কর্তৃক সাত রওজার (ঢাকা) ইসলামিয়া প্রেস থেকে মুদ্রিত হয়।
-
শিখার মোট পাঁচটি সংখ্যা প্রকাশিত হয়েছিল।
-
দ্বিতীয় ও তৃতীয় সংখ্যার সম্পাদক ছিলেন কাজী মোতাহার হোসেন।
-
প্রকাশকাল: আশ্বিন ১৩৩৫ (অক্টোবর ১৯২৮) ও ১৩৩৬ (১৯২৯)।
-
-
চতুর্থ ও পঞ্চম সংখ্যার সম্পাদক ছিলেন যথাক্রমে মোহাম্মদ আবদুর রশিদ ও আবুল ফজল।
-
প্রকাশকাল: ১৩৩৭ (১৯৩০) ও ১৩৩৮ (১৯৩১) বঙ্গাব্দ।
-
-
দ্বিতীয় থেকে পঞ্চম সংখ্যা প্রকাশ করেছিলেন সৈয়দ ইমামুল হোসেন, নবাবপুর (ঢাকা)-এর মডার্ন লাইব্রেরি থেকে।

0
Updated: 3 weeks ago
'একুশে ফেব্রুয়ারি' প্রথম সংকলনের সম্পাদক কে?
Created: 3 months ago
A
শওকত ওসমান
B
জহির রায়হান
C
আব্দুল গণি হাজারী
D
হাসান হাফিজুর রহমান
বাংলা ভাষার মর্যাদা রক্ষায় ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি ঢাকায় ঘটে যাওয়া রক্তঝরা আন্দোলনের স্মৃতিকে ধারণ করে ১৯৫৩ সালের মার্চ মাসে প্রকাশিত হয় এক অনন্য সাহিত্য সংকলন—‘একুশে ফেব্রুয়ারী’।
এই সংকলনের সম্পাদনায় ছিলেন কবি ও সাহিত্যিক হাসান হাফিজুর রহমান এবং প্রকাশনায় ছিলেন মোহাম্মদ সুলতান। উভয়েই তৎকালীন বামপন্থি রাজনৈতিক চিন্তাধারার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
এই সংকলনটি বাংলা সাহিত্যে এক ঐতিহাসিক ভূমিকা রাখে, যেখানে ২২ জন লেখক ছয়টি বিভাগে লিখেছেন—কবিতা, প্রবন্ধ, গল্প, গান, নক্শা ও ইতিহাস। এ গ্রন্থেই প্রথমবার প্রকাশিত হয় ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের অমর গান “আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো”,
যার রচয়িতা ছিলেন আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরী। তবে স্বাধীন মতপ্রকাশ সহ্য করতে না পেরে পাকিস্তানি সরকার সংকলনটি প্রকাশের মাত্র তিন সপ্তাহের মধ্যেই বাজেয়াপ্ত করে।
হাসান হাফিজুর রহমান: কবি, প্রাবন্ধিক ও সম্পাদক
জন্ম: ১৯৩২, জামালপুর
বিশেষ পরিচিতি: কবি, প্রাবন্ধিক, সম্পাদক
হাসান হাফিজুর রহমান বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে এক উজ্জ্বল ব্যক্তিত্ব। ভাষা আন্দোলনভিত্তিক প্রথম সংকলন ‘একুশে ফেব্রুয়ারী’ তাঁর সম্পাদনায় প্রকাশিত হয়। পরবর্তীতে তিনি ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ: দলিলপত্র’ নামক গুরুত্বপূর্ণ দলিল সংকলনেরও সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
তাঁর সাহিত্যকর্ম:
প্রবন্ধসমূহ:
-
আধুনিক কবি ও কবিতা
-
মূল্যবোধের জন্য
-
সাহিত্য প্রসঙ্গ
-
আলোকিত গহ্বর
কাব্যগ্রন্থ:
-
বিমুখ প্রান্তর
-
প্রতিবিম্ব
-
আর্ত শব্দাবলী
-
অন্তিম শহরের মতো
-
যখন উদ্যত সঙ্গীন
-
ভবিতব্যের বাণিজ্য তরী
-
শোকার্ত তরবারী
গল্প:
-
আরো দুটি মৃত্যু
এই সংকলন ও এর সম্পাদক বাংলা জাতিসত্তার আত্মপ্রকাশ, সাহিত্য ও ইতিহাসে এক অবিচ্ছেদ্য অধ্যায়। ভাষার জন্য প্রাণ দেওয়া শহিদদের স্মরণে সাহিত্যের এ মহাকাব্যিক প্রকাশ বাংলা সংস্কৃতিতে চিরস্মরণীয় হয়ে আছে।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা (ড. সৌমিত্র শেখর), বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 3 months ago