নিচের কোনটি অশুদ্ধ?
A
অহিংস - সহিংস
B
প্রসন্ন - বিষণ্ণ
C
দোষী - নির্দোষী
D
নিষ্পাপ - পাপিনী
উত্তরের বিবরণ
বাংলা ভাষায় শব্দের বিপরীত রূপ সবসময় গঠনগতভাবে মিলিয়ে বানানো হয় না। অনেক সময় আমরা ভুল করে দুটো শব্দকে জোড়া দিই, কিন্তু তা সঠিক হয় না। যেমন—
-
"দোষী-নির্দোষী" লেখা অশুদ্ধ।
সঠিক হলো: দোষী ↔ নির্দোষ (অর্থাৎ দোষ আছে যার / দোষ নেই যার)।
আরও কিছু সঠিক বিপরীত শব্দের উদাহরণ—
-
প্রসন্ন ↔ বিষণ্ন
-
অহিংস ↔ সহিংস
-
নিষ্পাপ ↔ পাপী/পাপিনী
এভাবে দেখা যায়, সঠিক বিপরীত শব্দ ব্যবহারের মাধ্যমে অর্থ স্পষ্ট হয়।
উৎস: ভাষা-শিক্ষা — ড. হায়াৎ মামুদ

0
Updated: 1 month ago
কেন্তুমের কোন দুটি শাখা এশিয়ার অন্তর্গত?
Created: 1 month ago
A
হিত্তিক ও তুখারিক
B
তামিল ও দ্রাবিড়
C
আর্য ও অনার্য
D
মাগধী ও গৌড়ী
ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষা গোষ্ঠীর শ্রেণিবিভাগ ও এর বৈশিষ্ট্য নিয়ে বিশদভাবে বলা যায় যে, প্রাচীনকালে এই ভাষা গোষ্ঠীর ৯টি শাখা চিহ্নিত করা হয়েছিল, তবে আধুনিক গবেষণায় কিছু ক্ষেত্রে ১০টি শাখার কথা বলা হয়।
আমরা আধুনিক গবেষণার আলোকে বিষয়টি বিবেচনা করব। ভাষাতাত্ত্বিক অধ্যাপক অ্যাসকোলি আদি ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাগুলোকে প্রধানত দুটি ভাগে ভাগ করেছেন।
-
এই দুটি ভাগ হলো শতম (Satam) এবং কেন্টুম (Centum)।
-
কেন্তুম ও শতম বিভাজন মূলত কণ্ঠবর্ণের উচ্চারণ বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী হয়েছে।
-
এই বিভাজনের ফলে ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষাগোষ্ঠীর মধ্যে একটি ভৌগোলিক ভেদাভেদও তৈরি হয়।
-
অ্যাসকোলির মতে, কেন্টুম গোষ্ঠীর ভাষাগুলো পশ্চিমে এবং শতম গোষ্ঠীর ভাষাগুলো পূর্বে অবস্থান করত।
বর্তমানকালে হিত্তি বা হিত্তিক (Hittic) ভাষা ইন্দো-ইউরোপীয় গোষ্ঠীর দশম শাখা হিসেবে স্বীকৃত।
-
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর মতে, এশিয়া মাইনরে প্রায় দেড় হাজার খ্রিস্টপূর্বে হিত্তি ভাষা প্রচলিত ছিল।
-
এছাড়া তোখারিক (Tukhāric) ভাষা মধ্য এশিয়ায় খ্রিস্টীয় অষ্টম শতক পর্যন্ত জীবিত ছিল।
কিছু পণ্ডিত হিত্তিকে ইন্দো-ইউরোপীয় মূল ভাষার সমগোত্রীয় এবং সমান স্তরের ভাষা হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
-
ড. সুকুমার সেন হিত্তির মূল ভাষার নাম ‘ইন্দো-হিট্টীয়’ বলে উল্লেখ করেছেন।
-
হিত্তি ও তোখারিক ভাষার আবিষ্কারের পরও ইন্দো-ইউরোপীয় মূল ভাষার কেন্তুম ও শতম বিভাগ অস্বীকার করা যায় না।
-
আধুনিক ভাষাতাত্ত্বিকগণ কেন্তুম ও শতমের ভিত্তিতে ভাষার শ্রেণিবিন্যাসে কার্যকরভাবে কাজ করছেন।
-
সুতরাং, হিত্তি ও তোখারিক ভাষা আবিষ্কারের পরও কেন্টুম ও শতমের নামকরণ ও গুরুত্ব অপরিবর্তিত রয়েছে।

0
Updated: 1 month ago
'জীবনস্মৃতি' কার রচনা?
Created: 1 month ago
A
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
B
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
C
বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়
D
রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন
জীবনস্মৃতি ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
জীবনস্মৃতি:
-
জীবনস্মৃতি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আত্মজীবনী।
-
এটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯১২ সালে।
-
বইটিতে ঠাকুর তার শৈশবকাল ও কিশোর জীবনের স্মৃতি ও অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছেন।
-
বিশেষ করে তিনি বাল্মীকিপ্রতিভা রচনার সময় থেকে গান ও কাব্যের প্রতি মনোনিবেশ করেন।
-
এই সময়ে তিনি রচনা করেন সন্ধ্যাসংগীত (১৮৮২) ও প্রভাতসংগীত (১৮৮৩)।
-
তাঁর জীবনের কিছু গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ও অনুভূতি এই আত্মজীবনীতে প্রকাশ পেয়েছে।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর:
-
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন কবি, সঙ্গীতজ্ঞ, নাট্যকার, কথাসাহিত্যিক, চিত্রশিল্পী, প্রাবন্ধিক, দার্শনিক, শিক্ষাবিদ ও সমাজ সংস্কারক।
-
জন্ম: ৭ মে ১৮৬১ (২৫ বৈশাখ ১২৬৮ বঙ্গাব্দ), কলকাতা, জোড়াসাঁকোর অভিজাত ঠাকুর পরিবারে।
-
পিতা: দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর; পিতামহ: প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর।
-
বাল্যকাল থেকেই তাঁর প্রতিভা প্রকাশ পেয়েছিল।
-
মাত্র ১৫ বছর বয়সে বনফুল কাব্য প্রকাশিত হয়।
-
১৯১৩ সালে গীতাঞ্জলি কাব্যের জন্য নোবেল সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন।
-
মৃত্যু: ৭ আগস্ট ১৯৪১ (২২ শ্রাবণ ১৩৪৮), জোড়াসাঁকরের বাড়িতে।
নাটক ও প্রবন্ধ:
-
উল্লেখযোগ্য নাটক: বিসর্জন, রাজা, ডাকঘর, অচলায়তন, চিরকুমার সভা, রক্তকরবী, তাসের দেশ।
-
উল্লেখযোগ্য প্রবন্ধগ্রন্থ: পঞ্চভূত, বিচিত্রপ্রবন্ধ, সাহিত্য, মানুষের ধর্ম, কালান্তর, সভ্যতার সংকট।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর, বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 1 month ago
কোনটি পারিভাষিক শব্দ?
Created: 1 month ago
A
কলেজ
B
নথি
C
রেডিও
D
অক্সিজেন
পারিভাষিক শব্দ: বাংলা ভাষায় প্রচলিত বিদেশি শব্দের ভাবানুবাদমূলক প্রতিশব্দকে পারিভাষিক শব্দ বলে। এর বেশিরভাগই এ কালের প্রয়োগ। নথি - file অম্লজান - Oxygen উদযান - hydrogen তাই সঠিক উত্তর : নথি।

0
Updated: 1 month ago