'অলৌকিক ইস্টিমার' গ্রন্থের রচয়িতা কে?
A
হুমায়ুন আজাদ
B
হেলাল হাফিজ
C
আসাদ চৌধুরী
D
রফিক আজাদ
উত্তরের বিবরণ
অলৌকিক ইস্টিমার
-
অলৌকিক ইস্টিমার হলো হুমায়ুন আজাদের প্রথম কাব্যগ্রন্থ।
-
এটি প্রকাশিত হয় ১৯৭৩ সালে।
-
এই গ্রন্থে কবি একদিকে যৌনতার অনুষঙ্গ ব্যবহার করেছেন, আবার অন্যদিকে স্লোগানধর্মী কবিতাও লিখেছেন।
হুমায়ুন আজাদ
-
তিনি ছিলেন কবি, ঔপন্যাসিক, গল্পকার, গবেষক ও ভাষাবিজ্ঞানী।
-
তাঁর জন্ম ১৯৪৭ সালের ২৮ এপ্রিল, বিক্রমপুরের রাড়িখাল গ্রামে।
-
প্রথম কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয় ১৯৭৩ সালে (অলৌকিক ইস্টিমার)।
-
দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ প্রকাশ করেন ১৯৮৩ সালে – জ্বলো চিতাবাঘ।
তাঁর কাব্যগ্রন্থসমূহ
-
অলৌকিক ইস্টিমার (প্রথম)
-
কাফনে মোড়া অশ্রুবিন্দু
-
জ্বলো চিতাবাঘ
-
সব কিছু নষ্টদের অধিকারে যাবে
-
যতোই গভীরে যায় মধু, যতোই ওপরে যাই নীল
-
আমি বেঁচে ছিলাম অন্যদের সময়ে
-
পেরোনোর কিছু নেই ইত্যাদি।
তাঁর উপন্যাসসমূহ
-
ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইল (প্রথম প্রকাশিত)
-
সবকিছু ভেঙে পড়ে
-
মানুষ হিসেবে আমার অপরাধসমূহ
-
রাজনীতিবিদগণ
-
পাক সার জমিন সাদ বাদ
-
একটি খুনের স্বপ্ন ইত্যাদি।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা – ড. সৌমিত্র শেখর এবং বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 month ago
'A Code of Gento Laws' গ্রন্থের রচয়িতা কে?
Created: 1 month ago
A
ড. সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়
B
ন্যাথানিয়েল ব্র্যাসি হ্যালহেড
C
উইলিয়াম কেরি
D
ড. দীনেশচন্দ্র সেন
A Code of Gento Laws
-
হেস্টিংসের অনুরোধে ন্যাথানিয়েল ব্র্যাসি হ্যালহেড একটি বিশাল আইনগ্রন্থ রচনা করেন: A Code of Gento Laws।
-
গ্রন্থটি ১৭৭৬ সালে লন্ডন থেকে প্রকাশিত হয়।
-
এটি মূলত হিন্দু আইনশাস্ত্রের একটি সারসংকলন, যা এগারোজন ব্রাহ্মণ পণ্ডিত সংস্কৃত ভাষায় সংকলন করেন।
-
পরে একজন মুন্সি এটি প্রথমে ফারসি ভাষায় অনুবাদ করেন এবং সেখান থেকে হ্যালহেড ইংরেজিতে অনুবাদ করেন।
-
কাজেই এটি ছিল একটি ত্রি-স্তরীয় কাজ, যদিও প্রথম দুই স্তরের পণ্ডিতদের নাম গ্রন্থে উল্লিখিত হয়নি।
-
পরবর্তী দশকে এ গ্রন্থটির কয়েকটি সংস্করণ প্রকাশিত হয়।
-
ফরাসি ও জার্মান ভাষায়ও এর অনুবাদ হয়।
-
এর মাধ্যমেই বয়স তিরিশে পৌঁছার আগেই হ্যালহেডের খ্যাতি ইউরোপে ছড়িয়ে পড়ে।
ন্যাথানিয়েল ব্র্যাসি হ্যালহেড
-
তিনি একজন প্রাচ্যবিদ ও বৈয়াকরণিক।
-
তিনিই প্রথম বৈয়াকরণিক যিনি বাংলা ব্যাকরণ রচনায় উদাহরণ ব্যবহার করে বাংলা পাঠ ও বাংলা লিপি ব্যবহার করেন।
-
এর আগে পর্তুগিজ ধর্মযাজকরা রোমান অক্ষরে অতি সাধারণভাবে বাংলা ব্যাকরণ ও অভিধান রচনার চেষ্টা করেন।
-
কিন্তু নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতিতে হ্যালহেডই প্রথম বাংলা ব্যাকরণ রচনা করেন।
-
জন্ম: ১৭৫১ সালের ২৫ মে, লন্ডনের এক উচ্চ মধ্যবিত্ত পরিবারে।
-
তিনি ১৭৭২ সালে কলকাতায় এসে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিতে রাইটার হিসেবে প্রাথমিক চাকরি নেন।
-
সাহিত্যিক গুণের কারণে হ্যালহেড অচিরেই গভর্নর Warren Hastings-এর বন্ধুতে পরিণত হন।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 month ago
'আনোয়ারা' গ্রন্থটি কার রচনা?
Created: 2 months ago
A
কাজী এমদাদুল হক
B
মীর মশাররফ হোসেন
C
মোহাম্মদ নজিবর রহমান
D
ইসমাইল হোসেন সিরাজী
‘আনোয়ারা’ উপন্যাস
-
লেখক: মোহাম্মদ নজিবর রহমান
-
প্রকাশ: প্রথম প্রকাশ ১৯১৪ সালের ১৫ জুলাই, কলকাতা (১৩২১ বঙ্গাব্দে)
-
ধরন: সামাজিক উপন্যাস
-
প্রধান থিম: ধর্ম ও সত্যের জয়, অধর্মের পরাজয়, আনোয়ারার স্বামীনিষ্ঠা।
-
মূল বক্তব্য: “সতীর সর্বস্ব পতি, সতী শুধু পতিময়, বিধাতার প্রেমরাজ্যে সতত সতীর জয়।” উপন্যাসে নারীর ইচ্ছার পৃথক কোনো মূল্য নেই।
উল্লেখযোগ্য চরিত্র:
-
আনোয়ারা
-
নুরুল এসলাম
-
খাদেম
-
আজিমুল্লাহ
-
গোলাপজান
মোহাম্মদ নজিবর রহমান
-
পেশা: মূলত ঔপন্যাসিক
-
জন্ম ও মৃত্যু: ১৮ অক্টোবর ১৯২৩ সালে রায়গঞ্জের হাটি কুমরুল গ্রামে মৃত্যু।
-
সাহিত্য জীবন: ইসমাইল হোসেন সিরাজীর অনুপ্রেরণায় সাহিত্যকর্মে ব্রত।
-
সাফল্য: প্রথম সামাজিক উপন্যাস আনোয়ারা লিখে তিনি ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেন।
-
বিশেষতা: গ্রামীণ মুসলিম পরিবারের জীবনচিত্র উপন্যাসে বাস্তবভাবে উপস্থাপন।
-
উপাধি: সাহিত্যে অবদানের জন্য ‘সাহিত্যরত্ন’।
অন্যান্য উপন্যাস:
-
চাঁদতারা বা হাসান গঙ্গা বাহমনি
-
পরিণাম
-
গরীবের মেয়ে
-
দুনিয়া আর চাই না
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর; বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 2 months ago
মুহম্মদ আবদুল হাই রচিত ধ্বনিবিজ্ঞান বিষয়ক গ্রন্থের নাম কী?
Created: 1 month ago
A
বাংলা ধ্বনিবিজ্ঞান
B
আধুনিক বাংলা ধ্বনিবিজ্ঞান
C
ধ্বনিবিজ্ঞানের কথা
D
ধ্বনিবিজ্ঞান ও বাংলা ধ্বনিতত্ত্ব
মুহম্মদ আবদুল হাই ও তাঁর ধ্বনিবিজ্ঞান সংক্রান্ত গ্রন্থ
ধ্বনিবিজ্ঞান ও বাংলা ধ্বনিতত্ত্ব:
-
গ্রন্থের পরিচিতি: মুহম্মদ আবদুল হাই রচিত ধ্বনিবিজ্ঞান ও বাংলা ধ্বনিতত্ত্ব ১৯৬৪ সালে প্রকাশিত হয়।
-
বিষয়বস্তু: বইটি বাংলা ভাষার ধ্বনি, তার গঠন, উচ্চারণ এবং ব্যবহার সংক্রান্ত বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা প্রদান করে।
-
গবেষণার গুরুত্ব: এটি বাংলার ভাষাতত্ত্বের মৌলিক বিষয় নিয়ে উচ্চমানের গবেষণাগ্রন্থ, যা পাঠকের জন্যও সহজ ও আকর্ষণীয়ভাবে লেখা।
-
বিশ্বখ্যাতি: গ্রন্থটির কারণে মুহম্মদ আবদুল হাই ধ্বনিবিজ্ঞানী হিসেবে আন্তর্জাতিক খ্যাতি অর্জন করেন।
-
লেখার ধরন: বইটির ভাষা এবং রচনাশৈলী বিজ্ঞানমুখী হলেও রসপূর্ণ, ফলে তত্ত্বকথা স্বভাবতই পাঠকের কাছে সহজবোধ্য হয়।
মুহম্মদ আবদুল হাই:
-
তিনি একজন শিক্ষাবিদ, সাহিত্যিক, গবেষক ও ভাষাবিজ্ঞানী।
-
জন্ম: ২৬ নভেম্বর ১৯১৯, মুর্শিদাবাদ, রাণীনগর থানার মরিচা গ্রাম।
-
উল্লেখযোগ্য গ্রন্থসমূহ:
-
সাহিত্য ও সংস্কৃতি
-
তোষামোদ ও রাজনীতির ভাষা
-
ভাষা ও সাহিত্য
-
ধ্বনিবিজ্ঞান ও বাংলা ধ্বনিতত্ত্ব
-
বাংলা সাহিত্যের ইতিবৃত্ত
-
উৎস: বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 month ago