A
শৈবধর্ম
B
বৌদ্ধ সহজযান
C
নাথধর্ম
D
কোনোটি নয়
উত্তরের বিবরণ
ষোল শতকে কবি শেখ ফয়জুল্লাহ “গোরক্ষ-বিজয়” নামে প্রথম কাব্য রচনা করেছিলেন। এই কাব্যে নাথগুরুর মাহাত্ম্য এবং নাথধর্মের মহত্ত্ব তুলে ধরা হয়েছে।
গোরক্ষবিজয় কাব্যগ্রন্থ:
নাথ সাহিত্যধারার মধ্যে “গোরক্ষবিজয়” অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কাহিনি। বাংলা ভাষায় এটি সম্পর্কিত প্রায় ১৭টি পুথি সংগৃহীত হয়েছে। এই পুথি সংগ্রাহকরা হলেন:
-
নলিনীকান্ত ভট্টশালী – ১টি পুথি
-
আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ – ৮টি পুথি
-
আলি আহমদ – ৭টি পুথি
-
পঞ্চানন মন্ডল – ১টি পুথি
অনেকগুলো পুথি বর্তমানে খণ্ডিত অবস্থায় আছে। পুথি অনুসারে সম্পাদিত গ্রন্থের সংখ্যা তিনটি। এর মধ্যে:
-
নলিনীকান্ত ভট্টশালী সম্পাদিত – মীনচেতন
-
আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ সম্পাদিত – গোরক্ষবিজয়
-
পঞ্চানন মন্ডল সম্পাদিত – গোর্খবিজয়
রচনাকাল ও কবি:
গোরক্ষবিজয় কাব্যের লিখিত সময় নিয়ে পণ্ডিতদের মধ্যে বিতর্ক রয়েছে। ছাড়া, ভণিতায় কবীন্দ্র, ভীমসেন ও শ্যামদাস নামও পাওয়া যায়। তবে নামের সংখ্যাধিক্য অনুযায়ী শেখ ফয়জুল্লাহকে মূল কবি মনে করা হয়; বাকিরা মূলত গায়কের ভূমিকা পালন করেছিলেন।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর

0
Updated: 5 days ago
কোনটি কাব্যগ্রন্থ?
Created: 1 month ago
A
শেষ প্রশ্ন
B
শেষ লেখা
C
শেষের কবিতা
D
শেষের পরিচয়
‘শেষলেখা’ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শেষজীবনের এক গভীর আত্মস্মরণ ও দার্শনিক বোধের কাব্যগ্রন্থ। এই গ্রন্থটি প্রকাশিত হয় ১৯৪১ সালে, কবির মৃত্যুর পর। জীবনের অন্তিম প্রহরে রচিত এই কবিতাগুলি যেন তাঁর অন্তরের নীরব প্রতিধ্বনি।
বিষয়টি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ এই কারণে যে, এই গ্রন্থের নাম ‘শেষলেখা’ কবি নিজে নির্ধারণ করে যেতে পারেননি। তাঁর মৃত্যুর পর এই নামকরণ করা হয়।
এখানে অন্তর্ভুক্ত অধিকাংশ কবিতা তিনি লিখেছেন মৃত্যুর মাত্র কয়েকদিন আগে, আর কিছু কবিতা রচিত হয়েছিল মুখে মুখে—যার সাক্ষী ছিলেন তাঁর সেবক ও সঙ্গীরা।
এই কাব্যগ্রন্থে রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন:
"রূপ-নারায়ণের কূলে,
জেগে উঠিলাম;
জানিলাম এ জগৎ
স্বপ্ন নয়।"
এই কয়েকটি চরণ যেন তাঁর চেতন ও অবচেতন জগতের মিলনবিন্দু, যা তাঁকে জীবনের শেষ মুহূর্তেও আলোর পথে এগিয়ে রাখে।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাহিত্যকর্মে 'শেষ' শব্দটি বহুভাবে ব্যবহৃত হয়েছে। যেমন:
-
‘শেষ কথা’ — একটি প্রখ্যাত ছোটগল্প, যেখানে সম্পর্ক, সমাজ ও মানবিক দ্বন্দ্ব চিত্রিত হয়েছে।
-
‘শেষের কবিতা’ — একটি দর্শনভিত্তিক উপন্যাস, যেখানে প্রেম, বুদ্ধিবৃত্তি ও আত্মনিরীক্ষার মোহজাল তুলে ধরা হয়েছে।
অন্যদিকে, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ‘শেষ’ শব্দ ব্যবহার করে লিখেছেন দুটি বিখ্যাত উপন্যাস:
-
‘শেষ প্রশ্ন’ — যেখানে ব্যক্তিগত ও সামাজিক প্রশ্নে টানাপোড়েন তুলে ধরা হয়েছে।
-
‘শেষের পরিচয়’ — একটি সম্পর্কের শেষ ধাপে গঠিত জটিলতার প্রতিচ্ছবি।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর

0
Updated: 1 month ago
'অগ্নিবীণা' কাব্যের প্রথম কবিতা কোনটি?
Created: 1 month ago
A
ধূমকেতু
B
বিদ্রোহী
C
প্রলয়োল্লাস
D
অগ্রপথিক
অগ্নিবীণা কাব্যগ্রন্থ:
-
‘অগ্নিবীণা’ কাজী নজরুল ইসলামের প্রথম প্রকাশিত কবিতার বই।
-
এই কাব্যের সবচেয়ে বিখ্যাত কবিতা হলো ‘বিদ্রোহী’।
-
‘বিদ্রোহী’ কবিতার কারণে কাজী নজরুল ইসলাম ‘বিদ্রোহী কবি’ নামে পরিচিত হন।
-
‘অগ্নিবীণা’ বইয়ের প্রথম কবিতার নাম ‘প্রলয়োল্লাস’।
-
এই কাব্যগ্রন্থটি তিনি বিপ্লবী বারীন্দ্রকুমার ঘোষকে উৎসর্গ করেছেন।
অগ্নিবীণায় মোট ১২টি কবিতা রয়েছে:
১. প্রলয়োল্লাস
২. বিদ্রোহী
৩. রক্তাম্বর-ধারিণী মা
৪. আগমণী
৫. ধূমকেতু
৬. কামাল পাশা
৭. আনোয়ার
৮. রণভেরী
৯. শাত-ইল-আরব
১০. খেয়াপারের তরণী
১১. কোরবানী
১২. মহররম

0
Updated: 1 month ago
কোনটি কাব্যগ্রন্থ?
Created: 1 month ago
A
কবিতা
B
কাব্য পরিক্রমা
C
কয়েকটি কবিতা
D
বাঙলার কাব্য
সমর সেন ও 'কয়েকটি কবিতা': আধুনিক বাংলা কাব্যের এক উজ্জ্বল নাম
বাংলা আধুনিক কবিতার জগতে এক অনন্য নাম সমর সেন। তিনি জন্মগ্রহণ করেন ১৯১৬ সালের ১০ অক্টোবর, কলকাতার বাগবাজারে। সাহিত্যিক পরিবারে জন্ম নেওয়া সমর সেনের রক্তে ছিল সাহিত্য-ভাবনার ধারা; তাঁর পিতামহ ছিলেন প্রখ্যাত গবেষক দীনেশচন্দ্র সেন।
কবিতায় তাঁর আত্মপ্রকাশ ঘটে এক নতুন ধারা নিয়ে, যেখানে নাগরিক জীবনের বাস্তবতা ও সমাজমনস্ক ভাবনার ছাপ স্পষ্ট। এ কারণে তাঁকে "আধুনিক নাগরিক কবি" হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। সমর সেন কখনোই রোমান্টিকতার মোহে আবদ্ধ ছিলেন না; তিনি নিজেই বলেছিলেন—
"আমি রোমান্টিক কবি নই, আমি মার্ক্সিস্ট"। এই উক্তি থেকেই বোঝা যায়, সমাজ ও রাজনীতির প্রতি তাঁর গভীর দৃষ্টিভঙ্গি এবং মার্কসবাদের প্রতি তাঁর শ্রদ্ধা।
তাঁর বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ ‘কয়েকটি কবিতা’ প্রকাশিত হয় ১৯৩৭ সালে। এটি বাংলা কবিতার ভুবনে এক নতুন পথচলার সূচনা করে। এই কাব্যগ্রন্থ ছাড়াও তাঁর উল্লেখযোগ্য কবিতার বইগুলো হলো:
-
গ্রহণ ও অন্যান্য কবিতা
-
নানাকথা
-
খোলাচিঠি
-
তিন পুরুষ
-
সমর সেনের কবিতা
গদ্য সাহিত্যে তাঁর অবদানও কম নয়। তাঁর রচিত ‘বাবু বৃত্তান্ত’ গদ্যগ্রন্থটি বিশেষভাবে স্মরণযোগ্য।
সম্পাদনা জীবনেও সমর সেন রেখেছেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। তিনি ছিলেন ‘ফ্রন্টিয়ার’ (Frontier) ও ‘নাও’ পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক। এই পত্রিকাগুলোর মাধ্যমে তিনি সাহিত্য ও সমাজ ভাবনার একটি নতুন দিক উন্মোচন করেন।
অন্যদিকে বাংলা কাব্যচর্চার প্রসঙ্গ এলে স্মরণে আসে আরও কিছু বিশিষ্ট গ্রন্থ ও পত্রিকার নাম:
-
হুমায়ুন কবির রচিত কাব্য সমালোচনামূলক গ্রন্থ: ‘বাঙলার কাব্য’
-
অজিতকুমার চক্রবর্তী রচিত গ্রন্থ: ‘কাব্য পরিক্রমা’
-
এবং বাংলা সাহিত্যের আলোচিত একটি পত্রিকা ‘কবিতা’, যা ছিল একটি ত্রৈমাসিক কবিতাবিষয়ক পত্রিকা। এর প্রথম প্রকাশ হয় ১ অক্টোবর ১৯৩৫ (আশ্বিন ১৩৪২), যার সম্পাদনায় ছিলেন বুদ্ধদেব বসু ও প্রেমেন্দ্র মিত্র।
তথ্যসূত্র:
-
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর
-
বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 month ago