বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের প্রাচীনতম শাখা কোনটি?
A
ছোটগল্প
B
নাটক
C
কাব্য
D
উপন্যাস
উত্তরের বিবরণ
বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের প্রাচীনতম শাখা কাব্য। ‘চর্যাপদ’ বাংলা ভাষার প্রথম কাব্যগ্রন্থ/কবিতা সংকলন/ গানের সংকলন। যা বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের প্রাচীনতম নিদর্শন। এটি বাংলা সাহিত্যের আদি যুগের একমাত্র লিখিত নিদর্শন।
ড. হরপ্রসাদ শাস্ত্রী ১৯০৭ সালে নেপালের রাজ দরবারের গ্রন্থাগার থেকে এটি আবিষ্কার করেন। চর্যাপদে সবচেয়ে বেশি পদ রচনা করেন কাহ্নপা।

0
Updated: 1 month ago
নিত্য মূর্ধন্য-ষ কোন শব্দে বর্তমান?
Created: 3 months ago
A
কষ্ট
B
উপনিষৎ
C
কল্যাণীয়েষু
D
আষাঢ়
আষাঢ় শব্দে ‘ষ’ ব্যবহারের প্রকৃতি: স্বাভাবিক প্রয়োগ বা ষ-ত্ব বিধান?
ষ-ত্ব বিধান কী?
বাংলা ভাষায় মূর্ধন্য ‘ষ’ ধ্বনি সাধারণভাবে প্রচলিত নয়। দেশি, তদ্ভব ও বিদেশি শব্দে ‘ষ’ লেখা হয় না। তবে কিছু তৎসম শব্দে মূর্ধন্য-ষ অপরিহার্য হয়ে ওঠে। এসব ক্ষেত্রে ‘ষ’ ব্যবহারের নির্দিষ্ট নিয়মকেই বলা হয় ষ-ত্ব বিধান।
‘ষ’ ব্যবহারের প্রধান নিয়মাবলি:
১. ঋ অথবা ঋ-কার যুক্ত শব্দে সাধারণত ‘ষ’ হয়। যেমন: ঋষি, উৎকৃষ্ট, কৃষক।
২. ট-বর্গীয় ধ্বনি থাকলে তার সাথে ‘ষ’ ব্যবহৃত হয়। উদাহরণ: কষ্ট, নষ্ট, স্পষ্ট, কাষ্ঠ, ওষ্ঠ।
৩. অ ও আ ব্যতীত অন্য স্বরধ্বনি, এবং ক কিংবা র-এর পরে প্রত্যয়ের ‘স’ → ‘ষ’ হয়। যেমন: ভবিষ্যৎ, মুমূর্ষু, চিকীর্ষা, চক্ষুষ্মান।
৪. ই-কারান্ত ও উ-কারান্ত উপসর্গযুক্ত কিছু ধাতুর ক্ষেত্রে ‘স’ পরিবর্তিত হয়ে ‘ষ’ হয়। যেমন: অভিষেক (অভি + সেক), সুষুপ্ত (সু + সুপ্ত), অনুষঙ্গ, সুষমা।
৫. তৎসম শব্দে ‘র’-এর পর অনেক সময় ‘ষ’ হয়। উদাহরণ: বর্ষা, বর্ষণ, ঘর্ষণ।
৬. কিছু শব্দে স্বভাবগতভাবেই মূর্ধন্য ‘ষ’ ব্যবহৃত হয়। যেমন: আষাঢ়, ঊষা, রোষ, কোষ, ভাষণ, পৌষ, ষড়ঋতু।
যেসব ক্ষেত্রে ষ-ত্ব বিধান কার্যকর নয়:
-
বিদেশি শব্দ, যেমন আরবি, ফারসি, ইংরেজি থেকে আগত শব্দে ‘ষ’ হয় না। উদাহরণ: মাস্টার, পোশাক, পোস্ট, জিনিস।
-
‘সাৎ’ প্রত্যয়যুক্ত সংস্কৃত শব্দেও সাধারণত ‘ষ’ ব্যবহৃত হয় না। যেমন: অগ্নিসাৎ, ধূলিসাৎ, ভূমিসাৎ।
উপসংহার:
তৎসম শব্দে সঠিক বানান নির্ধারণে মূর্ধন্য-ষ ব্যবহারের ক্ষেত্রে এই নিয়মগুলো জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যেমন আষাঢ় শব্দে 'ষ' স্বভাবতই ব্যবহার হয়েছে—এটি ষ-ত্ব বিধান অনুযায়ী নয়, বরং ব্যতিক্রমধর্মী একটি শব্দের উদাহরণ।
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি, ২০১৯ সংস্করণ

0
Updated: 3 months ago
চলিত ভাষার বৈশিষ্ট্য নয়–
Created: 1 month ago
A
সহজবোধ্যতা
B
ধ্বন্যাত্মক শব্দের প্রাধান্য
C
সংস্কৃত শব্দের বহুল ব্যবহার
D
ভদ্রসমাজে ব্যবহার উপযোগিতা
চলিত ভাষা হলো সাধারণ মানুষের মুখের ভাষা, যা সহজ, সাবলীল এবং দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহার উপযোগী। এর বৈশিষ্ট্য হলো—
-
সহজবোধ্যতা (ক) → চলিত ভাষার অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য।
-
ধ্বন্যাত্মক শব্দের প্রাধান্য (খ) → কথোপকথনে ‘টুকটাক’, ‘ঝমঝম’, ‘ঠকঠক’ প্রভৃতি ধ্বন্যাত্মক শব্দ ব্যবহৃত হয়।
-
ভদ্রসমাজে ব্যবহার উপযোগিতা (ঘ) → চলিত ভাষা সাহিত্যে, বক্তৃতায় ও সামাজিক পরিসরে স্বাভাবিকভাবে ব্যবহৃত হয়।
কিন্তু—
-
সংস্কৃত শব্দের বহুল ব্যবহার (গ) → এটি সাধু ভাষার বৈশিষ্ট্য, চলিত ভাষার নয়। চলিত ভাষায় দেশজ, তদ্ভব ও প্রয়োজনে বিদেশি শব্দ বেশি ব্যবহৃত হয়, সংস্কৃত শব্দের আধিক্য নয়।
তাই সঠিক উত্তর (গ) সংস্কৃত শব্দের বহুল ব্যবহার।

0
Updated: 1 month ago
শুদ্ধ বানান কোনটি?
Created: 2 weeks ago
A
জাজ্জ্বল্যমান
B
বয়োজ্যেষ্ঠ
C
প্রোজ্বলিত
D
নিরূপম
শুদ্ধ বানান: বয়োজ্যেষ্ঠ
-
এটি একটি বিশেষণ পদ।
-
অর্থ: বয়সে বড়
অন্যদিকে, অশুদ্ধ শব্দগুলোর শুদ্ধ বানান হলো—
-
জাজ্জ্বল্যমান → জাজ্বল্যমান
-
প্রোজ্বলিত → প্রজ্বলিত
-
নিরূপম → নিরুপম

0
Updated: 2 weeks ago