A
সামাজিক মূল্যবোধকে
B
গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে
C
ব্যক্তিগত মূল্যবোধকে
D
স্বাধীনতার মূল্যবোধকে
উত্তরের বিবরণ
ব্যক্তিগত মূল্যবোধ ও সামাজিক মূল্যবোধ
সামাজিক মূল্যবোধ
-
সামাজিক মূল্যবোধ হলো সমাজের মূল ভিত্তি।
-
এটি হলো এমন বিশ্বাস, আদর্শ ও নীতির সমষ্টি যা ব্যক্তিকে আচরণে পরিচালিত করে এবং অন্যের কাজের ভাল-মন্দ বিচার করার মানদণ্ড হিসেবে কাজ করে।
-
সামাজিক মূল্যবোধ ব্যক্তি, পরিবার, পেশা, প্রতিষ্ঠান ও সমাজের সকল স্তরে প্রযোজ্য।
-
এটি সময়ের সঙ্গে পরিবর্তিত হতে পারে, তবে সমাজের সাধারণ মানুষের সম্মত বিশ্বাস ও নীতিকে অন্তর্ভুক্ত করে।
-
সামাজিক মূল্যবোধ মানুষকে তার ব্যক্তিগত ও সামাজিক আচরণ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।
-
এটি হলো সমাজ ও ব্যক্তির অভিন্ন আকাঙ্ক্ষার প্রকাশ এবং সমাজের মানুষের আচরণ যাচাই করার মানদণ্ড।
ব্যক্তিগত মূল্যবোধ
-
আধুনিক বিশ্বে ব্যক্তিগত মূল্যবোধকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়।
-
এটি ব্যক্তির স্বাধীনতা ও স্ব-পরিচয়কে সমর্থন করে।
-
ব্যক্তিগত মূল্যবোধ হলো ব্যক্তির নিজস্ব রুচি, বিশ্বাস, মনোভাব, ধারণা ও নীতি-নৈতিকতার ওপর ভিত্তি করে গঠিত আচরণ নিয়ন্ত্রণের মান।
-
প্রতিটি শিশুই কিছু ব্যক্তিগত মূল্যবোধ নিয়ে জন্মায় এবং পরিবার থেকে সে এগুলো শিখতে থাকে।
-
ব্যক্তির ব্যক্তিজীবন তার নিজস্ব মূল্যবোধের ওপর অনেকাংশে নির্ভর করে।
উৎস: সমাজকল্যাণ ১ম পত্র, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি, প্রফেসর মোঃ মোজাম্মেল হক।

0
Updated: 5 days ago
রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ কাকে বলা হয়?
Created: 2 days ago
A
রাজনীতি
B
বুদ্ধিজীবী সম্প্রদায়
C
সংবাদ মাধ্যম
D
যুবশক্তি
গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে সংবাদমাধ্যমের ভূমিকা
গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে সংবাদমাধ্যমকে “চতুর্থ স্তম্ভ” বলা হয়। কারণ, সংবাদমাধ্যম রাষ্ট্র ও সমাজে সত্য ঘটনা তুলে ধরে জনগণকে সচেতন করে তোলে।
তবে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা যদি সঠিকভাবে ব্যবহার না হয়, কিংবা যদি কোনো স্বার্থে অসত্য বা ভ্রান্ত তথ্য ছড়ানো হয়, তবে তা জাতি ও সমাজের জন্য ক্ষতিকর হয়ে দাঁড়ায়।
বিখ্যাত ব্যক্তিদের মতামত:
-
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা থমাস জেফারসন একবার বলেছিলেন—
“আমাকে যদি বিকল্প দেওয়া হয়— সংবাদপত্রবিহীন সরকার, নাকি সরকারবিহীন সংবাদপত্র— তবে আমি দ্বিতীয়টিই বেছে নেব।” -
ফরাসি সম্রাট নেপোলিয়ন বোনাপার্ট বলেছিলেন—
“চারটি আক্রমণাত্মক সংবাদপত্র হাজার বেয়নেটের চেয়েও ভয়ংকর।” -
অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের মতে, যেখানে স্বাধীন গণমাধ্যম থাকে, সেখানে দুর্ভিক্ষ দেখা দেওয়ার সুযোগ থাকে না।
গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের প্রধান স্তম্ভসমূহ:
সংবাদমাধ্যমকে চতুর্থ স্তম্ভ বলা হলেও, মূলত গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা তিনটি স্তম্ভের উপর দাঁড়িয়ে থাকে। এগুলো হলো—
১. আইন বিভাগ
২. শাসন বিভাগ
৩. বিচার বিভাগ
এই তিনটি স্তম্ভ একে অপরকে ভারসাম্য বজায় রেখে শাসনকার্য পরিচালনায় সহায়তা করে।
উৎস: কালের কণ্ঠ, ১০ জানুয়ারি ২০১৮, পৌরনীতি ও নাগরিকতা, নবম-দশম শ্রেণি

0
Updated: 2 days ago
নৈতিক আচরণবিধি (Code of ethics) বলতে বুঝায় -
Created: 5 days ago
A
মৌলিক মূল্যবোধ সংক্রান্ত সাধারণ বচন যা সংগঠনের পেশাগত ভূমিকাকে সংজ্ঞায়িত করে
B
বাস্তবতার নিরিখে নির্দিষ্ট আচরণের মানদণ্ড নির্ধারণ সংক্রান্ত আচরণবিধি
C
দৈনন্দিন কার্যকলাপ ত্বরান্বিত করণে প্রণীত নৈতিক নিয়ম, মানদণ্ড বা আচরণবিধি
D
উপরের তিনটিই সঠিক
নৈতিক আচরণবিধি (Code of Ethics)
Oxford Reference অনুযায়ী, নৈতিক আচরণবিধি হলো সেই নৈতিক মানদণ্ড যা কোনো প্রতিষ্ঠান গ্রহণ করে এবং যা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা বা কর্মচারীদের মানতে প্রত্যাশিত।
বহু আন্তর্জাতিক কোম্পানি স্বেচ্ছায় এই ধরনের কোড তৈরি করে, যা প্রায়ই সরকারি ও অ-লাভজনক খাতে ব্যবহৃত হয়। সহজভাবে বলতে গেলে, এটি একটি গাইডলাইন যা প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের পেশাগত ও নৈতিক দায়িত্ব এবং কর্তব্য নির্ধারণ করে।
নীতিবিদ্যা (Ethics)
‘Ethics’ শব্দটি এসেছে গ্রিক ‘ethika’ এবং ল্যাটিন ‘ethice’ থেকে, যার মূল উৎস হলো গ্রিক শব্দ ‘ethos’ যার মানে ‘চরিত্র’, ‘আচার-ব্যবহার’ বা ‘রীতি-নীতি’। শাব্দিক অর্থে, নীতিবিদ্যা হলো মানুষের আচরণের বিজ্ঞান, যা মানুষের আচরণের ভালো-মন্দ, ন্যায়-অন্যায় এবং উচিত-অনুচিত বিচার করে।
নীতিবিদ্যা মানুষের ঐচ্ছিক আচরণের মানদণ্ড নির্ধারণ করে এবং এর প্রয়োগ নিয়ে আলোচনা করে। এটি একটি আদর্শনিষ্ঠ শাস্ত্র, যা তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক উভয় দিক বিবেচনা করে। অধ্যাপক ম্যাকেঞ্জি নীতিবিদ্যাকে “আচরণের সঠিকতা বা ভালত্ব সম্পর্কিত অধ্যয়ন” বলে সংজ্ঞায়িত করেছেন।
অনুরূপভাবে, উইলিয়াম লিলি তার বই An Introduction to Ethics এ উল্লেখ করেছেন, “নীতিবিদ্যা হলো সমাজে বসবাসকারী মানুষের আচরণ সম্পর্কিত বিজ্ঞান, যেখানে আচরণের সঠিকতা, ভালো-মন্দ, ন্যায়-অন্যায় ইত্যাদি বিষয় আলোচিত হয়।”
সংক্ষেপে:
-
নীতিবিদ্যা হলো মানুষের আচরণের বিজ্ঞান।
-
এটি মানুষের ঐচ্ছিক আচরণের ভালো-মন্দ নির্ধারণ করে।
-
এটি আদর্শনিষ্ঠ এবং তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক উভয় দিকের।
-
নৈতিক আচরণবিধি হলো নীতিবিদ্যার ব্যবহারিক রূপ, যা প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের জন্য নির্ধারিত দায়িত্ব ও আচরণগত মান নির্ধারণ করে।
উৎস: কৌশলগত মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনায় নৈতিকতার বিষয়সমূহ, এমবিএ প্রোগ্রাম, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 5 days ago
সুশাসন হচ্ছে এমন এক শাসন ব্যবস্থা যা শাসক ও শাসিতের মধ্যে -
Created: 5 days ago
A
সুসম্পর্ক গড়ে তোলে
B
আস্থার সম্পর্ক গড়ে তোলে
C
শান্তির সম্পর্ক গড়ে তোলে
D
কোনোটিই নয়
সুশাসন (Good Governance)
সুশাসন বলতে এমন একটি শাসন ব্যবস্থাকে বোঝায় যা শাসক ও শাসিতের মধ্যে আস্থার সম্পর্ক গড়ে তোলে।
ম্যাককরনী (Mac’ Corney) এর মতে, “সুশাসন হলো রাষ্ট্র ও সুশীল সমাজ, সরকার ও জনগণ, শাসক ও শাসিতের মধ্যে সম্পর্ককে বোঝানো।”
সংক্ষেপে বলা যায়, প্রশাসনে যদি নিম্নলিখিত বিষয়গুলো কার্যকর থাকে, তবে সেই শাসনকে সুশাসন বলা যায়:
-
প্রশাসনের জবাবদিহিতা (Accountability)
-
প্রশাসনের বৈধতা (Legitimacy)
-
স্বচ্ছতা (Transparency)
-
জনগণের অংশগ্রহণের সুযোগ
-
বাকস্বাধীনতা ও সকল রাজনৈতিক স্বাধীনতার সুরক্ষা
-
বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও আইনের শাসন (Rule of Law)
-
আইনসভার নিকট শাসন বিভাগের দায়িত্বশীলতা
যে শাসন ব্যবস্থায় এ সব বৈশিষ্ট্য বজায় থাকে, সেটাই হলো সত্যিকার অর্থে সুশাসন।
উৎস: মো: মোজাম্মেল হক, পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি।

0
Updated: 5 days ago