A
মৌলিক মূল্যবোধ সংক্রান্ত সাধারণ বচন যা সংগঠনের পেশাগত ভূমিকাকে সংজ্ঞায়িত করে
B
বাস্তবতার নিরিখে নির্দিষ্ট আচরণের মানদণ্ড নির্ধারণ সংক্রান্ত আচরণবিধি
C
দৈনন্দিন কার্যকলাপ ত্বরান্বিত করণে প্রণীত নৈতিক নিয়ম, মানদণ্ড বা আচরণবিধি
D
উপরের তিনটিই সঠিক
উত্তরের বিবরণ
নৈতিক আচরণবিধি (Code of Ethics)
Oxford Reference অনুযায়ী, নৈতিক আচরণবিধি হলো সেই নৈতিক মানদণ্ড যা কোনো প্রতিষ্ঠান গ্রহণ করে এবং যা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা বা কর্মচারীদের মানতে প্রত্যাশিত।
বহু আন্তর্জাতিক কোম্পানি স্বেচ্ছায় এই ধরনের কোড তৈরি করে, যা প্রায়ই সরকারি ও অ-লাভজনক খাতে ব্যবহৃত হয়। সহজভাবে বলতে গেলে, এটি একটি গাইডলাইন যা প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের পেশাগত ও নৈতিক দায়িত্ব এবং কর্তব্য নির্ধারণ করে।
নীতিবিদ্যা (Ethics)
‘Ethics’ শব্দটি এসেছে গ্রিক ‘ethika’ এবং ল্যাটিন ‘ethice’ থেকে, যার মূল উৎস হলো গ্রিক শব্দ ‘ethos’ যার মানে ‘চরিত্র’, ‘আচার-ব্যবহার’ বা ‘রীতি-নীতি’। শাব্দিক অর্থে, নীতিবিদ্যা হলো মানুষের আচরণের বিজ্ঞান, যা মানুষের আচরণের ভালো-মন্দ, ন্যায়-অন্যায় এবং উচিত-অনুচিত বিচার করে।
নীতিবিদ্যা মানুষের ঐচ্ছিক আচরণের মানদণ্ড নির্ধারণ করে এবং এর প্রয়োগ নিয়ে আলোচনা করে। এটি একটি আদর্শনিষ্ঠ শাস্ত্র, যা তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক উভয় দিক বিবেচনা করে। অধ্যাপক ম্যাকেঞ্জি নীতিবিদ্যাকে “আচরণের সঠিকতা বা ভালত্ব সম্পর্কিত অধ্যয়ন” বলে সংজ্ঞায়িত করেছেন।
অনুরূপভাবে, উইলিয়াম লিলি তার বই An Introduction to Ethics এ উল্লেখ করেছেন, “নীতিবিদ্যা হলো সমাজে বসবাসকারী মানুষের আচরণ সম্পর্কিত বিজ্ঞান, যেখানে আচরণের সঠিকতা, ভালো-মন্দ, ন্যায়-অন্যায় ইত্যাদি বিষয় আলোচিত হয়।”
সংক্ষেপে:
-
নীতিবিদ্যা হলো মানুষের আচরণের বিজ্ঞান।
-
এটি মানুষের ঐচ্ছিক আচরণের ভালো-মন্দ নির্ধারণ করে।
-
এটি আদর্শনিষ্ঠ এবং তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক উভয় দিকের।
-
নৈতিক আচরণবিধি হলো নীতিবিদ্যার ব্যবহারিক রূপ, যা প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের জন্য নির্ধারিত দায়িত্ব ও আচরণগত মান নির্ধারণ করে।
উৎস: কৌশলগত মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনায় নৈতিকতার বিষয়সমূহ, এমবিএ প্রোগ্রাম, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 5 days ago
Johannesburg Plan of Implementation সুশাসনের সঙ্গে নিচের কোন বিষয়টিকে অধিকতর গুরুত্ব দেয়?
Created: 1 week ago
A
টেকসই উন্নয়ন
B
সাংস্কৃতিক উন্নয়ন
C
ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন
D
উপরের কোনোটিই নয়
Johannesburg Plan of Implementation এবং টেকসই উন্নয়ন
-
Johannesburg Plan of Implementation কে সাধারণত জোহান্সবার্গ ঘোষণা নামেও জানা যায়।
-
এটি গৃহীত হয় দক্ষিণ আফ্রিকার জোহান্সবার্গ শহরে ১৯৯২ সালে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের পরিবেশ ও উন্নয়ন সম্মেলনে।
-
এই পরিকল্পনা মূলত সুশাসনের সঙ্গে টেকসই উন্নয়ন (Sustainable Development) এর বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়ার জন্য তৈরি।
মূল তথ্য:
-
জোহান্সবার্গ প্ল্যান হলো জাতিসংঘের একটি কর্মপরিকল্পনা, যা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান, সরকারী প্রতিনিধি, এনজিও, ব্যবসা ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সংস্থার নেতাদের অংশগ্রহণে গৃহীত।
-
এই সম্মেলনের লক্ষ্য হলো জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সঙ্গে খাদ্য, পানি, আশ্রয়, স্যানিটেশন, জ্বালানি, স্বাস্থ্য সেবা এবং অর্থনৈতিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, পাশাপাশি আমাদের প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ ও মানুষের জীবনযাত্রার উন্নতি করা।
-
মূলত, এটি সুশাসনের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করার দিকে জোর দেয়।
উৎস: UN ওয়েবসাইট, জাতিসংঘ পরিবেশ কর্মসূচীর ওয়েবসাইট।

0
Updated: 1 week ago
সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্য (Millennium Development Goals) অর্জনে সুশাসনের কোন দিকটির উপর গুরুত্ব দেয়া হয়েছে?
Created: 1 week ago
A
সুশাসনের সামাজিক দিক
B
সুশাসনের অর্থনৈতিক দিক
C
সুশাসনের মূল্যবোধের দিক
D
সুশাসনের গণতান্ত্রিক দিক
সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্য (MDG) ও সুশাসনের সামাজিক দিক
-
সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (MDG) এর পূর্ণরূপ Millennium Development Goals। এগুলো মূলত বিশ্বে চরম দারিদ্র্য দূরীকরণ ও মানুষের জীবনমান উন্নত করার জন্য জাতিসংঘের উদ্যোগে ২০০০ সালে নির্ধারণ করা হয়।
-
৬–৮ সেপ্টেম্বর ২০০০ সালে নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের সহস্রাব্দ উন্নয়ন সম্মেলনে (UN Millennium Summit) ৮টি লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয় এবং তা অর্জনের জন্য ১৫ বছরের সময়সীমা দেওয়া হয়।
-
এই লক্ষ্যগুলো হলো:
-
চরম দারিদ্র্য ও ক্ষুধা নির্মূল
-
সার্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করা
-
লিঙ্গ সমতা ও নারীর ক্ষমতায়ন
-
শিশু মৃত্যুহার হ্রাস
-
মাতৃস্বাস্থ্যের উন্নতি
-
এইচআইভি/এইডস, ম্যালেরিয়া ও অন্যান্য মারাত্মক রোগ প্রতিরোধ
-
পরিবেশগত স্থায়িত্ব নিশ্চিতকরণ
-
উন্নয়নের জন্য বৈশ্বিক অংশীদারিত্ব গঠন
-
-
সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনে সুশাসনের গুরুত্ব
-
সুশাসন ও MDG অর্জনের মধ্যে অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক আছে।
-
এখানে সামাজিক দিক বলতে বোঝানো হয় জনমত গঠন, সচেতনতা বৃদ্ধি, নীতি প্রণয়ন, এবং সামাজিক জবাবদিহি।
-
এছাড়াও আর্থিক স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি সঠিকভাবে বজায় রাখাও তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
-
মূলত, সুশাসনের সামাজিক ও আর্থ-সামাজিক দিকের সমন্বয় MDG অর্জনের জন্য প্রয়োজন।
-
উপসংহার:
সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্য সফল করতে সুশাসনের সামাজিক দিককে প্রাধান্য দিতে হবে। সরাসরি বলা না হলেও, এটি MDG অর্জনের মূল ভিত্তি।
উৎস: জাতিসংঘ (United Nations)

0
Updated: 1 week ago
সুশাসনের পথে অন্তরায় -
Created: 5 days ago
A
আইনের শাসন
B
জবাবদিহিতা
C
স্বজনপ্রীতি
D
ন্যায়পরায়ণতা
সুশাসনের পথে স্বজনপ্রীতির প্রভাব
সুশাসন হলো সমাজে শাসনের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধারণা। এর অর্থ হলো শাসনযন্ত্রের কার্যক্রম ঠিকভাবে এবং ন্যায়সঙ্গতভাবে পরিচালনা করা।
সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা। এগুলো ছাড়া দুর্নীতি রোধ করা এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়।
সুশাসন নিশ্চিত করতে জনসাধারণের অংশগ্রহণ এবং ই-গভর্ন্যান্স গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
তবে স্বজনপ্রীতি, দুর্নীতি, অস্বচ্ছতা এবং স্বেচ্ছাচারিতা হলো সুশাসনের প্রধান বাধা। বিশেষ করে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে, দুর্নীতি সুশাসনের বড় অন্তরায় হিসেবে বিবেচিত।
উৎস: মোঃ মোজাম্মেল হক, পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি

0
Updated: 5 days ago