সুশাসনের পূর্বশর্ত হচ্ছে-
A
অর্থনৈতিক উন্নয়ন
B
অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন
C
সামাজিক উন্নয়ন
D
সবগুলোই
উত্তরের বিবরণ
সুশাসনের ধারণা ও এর পূর্বশর্ত
সুশাসনের মূল পূর্বশর্ত হলো অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন। সহজভাবে বলতে গেলে, সুশাসন হচ্ছে এমন একটি প্রক্রিয়া যা দেশের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
শাসন ও সুশাসন:
-
শাসন বলতে বোঝায় ক্ষমতার প্রয়োগ, জনগণের চাহিদা-দাবির প্রতি সাড়া দেওয়া এবং একটি জনসমষ্টি পরিচালনার প্রক্রিয়া।
-
এটি কোনো নতুন বিষয় নয়; শাসন ধারণা মানব সভ্যতার শুরু থেকেই বিদ্যমান।
-
বিশ্বজুড়ে শাসনের অর্থ ও সীমা নিয়ে নানা আলোচনা ও বিতর্ক রয়েছে।
সুশাসন কীভাবে বোঝা যায়
-
এটি শুধুমাত্র সরকারের কার্যক্রম নয়, বরং জনগণের আত্মনির্ভরশীলতা বৃদ্ধি এবং সামাজিক ন্যায্যতা নিশ্চিত করার প্রক্রিয়া।
-
সুশাসনের মাধ্যমে সরকারের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হয় এবং সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বহুত্ববাদ রক্ষা পায়।
-
সুশাসন বহুমাত্রিক ধারণা; সাধারণত এটি চারটি অংশে বিভক্ত হয়:
-
রাজনৈতিক সুশাসন
-
সামাজিক সুশাসন
-
অর্থনৈতিক সুশাসন
-
সাংস্কৃতিক সুশাসন
-
ব্যবহারের ক্ষেত্র
সুশাসন শব্দটি বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে ব্যবহার করা যায়, যেমন: আন্তর্জাতিক শাসন, জাতীয় শাসন, স্থানীয় শাসন এবং যৌথ শাসন। আজকের দিনে সুশাসনকে দেশের উন্নয়নের দিকনির্দেশনা হিসেবে দেখা হয়।
উৎস: পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি, মো: মোজাম্মেল হক।

0
Updated: 1 month ago
জাতীয় উন্নতির চাবিকাঠি -
Created: 2 weeks ago
A
সামাজিক মূল্যবোধ
B
নৈতিক মূল্যবোধ
C
রাজনৈতিক মূল্যবোধ
D
গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ
গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যে সমাজ ও রাষ্ট্রে এই মূল্যবোধের ধারণা বেশি উন্নত, সেই সমাজ ও রাষ্ট্র তত উন্নত ও প্রগতিশীল হয়।
-
জাতীয় সভ্যতা, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের ভিত্তি: গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ একটি জাতির রাজনৈতিক সম্পদ হিসেবে বিবেচিত। এর ওপর ভিত্তি করে জাতির সভ্যতা, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য গড়ে ওঠে।
-
জাতীয় উন্নতির চাবিকাঠি: গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ জাতিকে কর্মঠ ও পরিশ্রমী করে এবং দ্রুত উন্নতি অর্জনের পথ সুগম করে।
-
দেশাত্মবোধ জাগ্রত করে: এটি নাগরিকদের মধ্যে নিজের প্রতি ও দেশের প্রতি ভালোবাসা সৃষ্টি করে এবং দেশের মঙ্গলের জন্য কর্তব্য পালন করার মনোভাব জাগ্রত করে।
-
সামাজিক বন্ধন ও জাতীয় ঐক্য সুদৃঢ় করে: গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ প্রত্যেকের মধ্যে সৌভ্রাতৃত্ববোধ, সহানুভূতি ও সহমর্মিতা তৈরি করে, যার ফলে সামাজিক বন্ধন ও জাতীয় ঐক্য দৃঢ় হয়।
-
নাগরিকের ব্যক্তিত্ব বিকাশে সাহায্য করে: এটি নাগরিকের ব্যক্তিত্বের পূর্ণ বিকাশ ও পরিপূর্ণতা নিশ্চিত করে।
-
উদারতা ও সহনশীলতার শিক্ষা দেয়: গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ফলে রাজনৈতিক সততা, শিষ্টাচার ও সৌজন্যবোধ, সহিষ্ণুতা, সংখ্যাগরিষ্ঠ ও সংখ্যালঘিষ্ঠের প্রতি শ্রদ্ধা, বিরোধী মত প্রচার ও নির্বাচনে জয়-পরাজয় মেনে নেওয়ার মনোভাব তৈরি হয়। এর ফলে সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনে উত্তেজনা প্রশমিত হয়।
-
জবাবদিহিতার মানসিকতা ও দায়িত্বশীল আচরণ: নাগরিক ও সরকার উভয়েই দায়িত্বশীল হয়ে ওঠে। সরকার তাদের কাজের জন্য জনগণের নিকট জবাবদিহি করে এবং আইনসভায় জনপ্রতিনিধিদের প্রশ্নের উত্তর বা কৈফিয়ত প্রদান করে।
-
শৃঙ্খলাবোধ জাগ্রত করে: গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ জাতিকে শৃঙ্খলাবদ্ধ হতে উদ্বুদ্ধ করে, যা রাষ্ট্রের অগ্রগতি ও উন্নতি ত্বরান্বিত করে।
-
নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে সরকার পরিবর্তন: এটি নির্বাচনি রায় ও জনগণের ম্যান্ডেট মেনে সরকারকে নির্দিষ্ট মেয়াদে কাজ করতে দেয় এবং শান্তিপূর্ণভাবে সরকার গঠন ও পরিবর্তনের মানসিকতা তৈরি করে।

0
Updated: 2 weeks ago
UNDP সুশাসন নিশ্চিতকরণে কয়টি উপাদান উল্লেখ করেছে?
Created: 1 month ago
A
৬টি
B
৭টি
C
৮টি
D
৯টি
UNDP এবং সুশাসন
জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (UNDP) ১৯৯৭ সালে উন্নয়নশীল দেশগুলিতে শাসনের মান উন্নয়নের গুরুত্ব প্রকাশ করতে গিয়ে সুশাসনের একটি সংজ্ঞা প্রদান করে। UNDP-এর মতে:
“সুশাসন হলো অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক এবং প্রশাসনিক ক্ষমতার ব্যবহার, যা দেশের সমস্ত স্তরে কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রয়োগ করা হয়।”
(Good Governance is the exercise of economic, political and administrative authority to manage a country's affairs at all levels)
UNDP অনুযায়ী সুশাসনের মূল উপাদানসমূহ (৯টি):
-
স্বচ্ছতা (Transparency): প্রশাসনিক কার্যক্রম স্পষ্ট ও সহজবোধ্য হওয়া।
-
আইনের শাসন (Rule of Law): সকল নাগরিকের জন্য আইন সমানভাবে প্রযোজ্য হওয়া।
-
সবার অংশগ্রহণ (Participation): নাগরিকদের সিদ্ধান্ত গ্রহণে সক্রিয় ভূমিকা থাকা।
-
সংবেদনশীলতা (Responsiveness): জনগণের চাহিদা ও সমস্যা মোকাবেলায় প্রশাসনের তৎপরতা।
-
সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের প্রাধান্য (Majority Rule with Minority Rights): সংখ্যাগরিষ্ঠের সিদ্ধান্ত মেনে চলা, কিন্তু সংখ্যালঘুর অধিকার রক্ষা।
-
সমতা (Equity): সকলের জন্য ন্যায্য সুযোগ এবং সেবা।
-
ন্যায্যতা (Fairness): সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং প্রক্রিয়ায় ন্যায়পরায়ণতা বজায় রাখা।
-
জবাবদিহিতা (Accountability): প্রশাসন ও শাসকরা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ।
-
কৌশলগত লক্ষ্য (Strategic Vision): দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়ন এবং লক্ষ্য অর্জনের দিক নির্দেশনা থাকা।
উৎস: UNDP ওয়েবসাইট

0
Updated: 1 month ago
সুশাসন দ্বারা শাসনের কোন দিকটি বুঝায়?
Created: 1 month ago
A
বিপরীত দিক
B
পরিমানগত দিক
C
গুণগত দিক
D
কোনটি নয়
সুশাসন (Good Governance)
-
সুশাসন দ্বারা শাসনের গুণগত দিক বোঝানো হয়।
-
অর্থ: রাষ্ট্র, সমাজ ও সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা।
-
সুশাসনের ধারণা বহুমাত্রিক ও আপেক্ষিক।
-
অর্থ: নির্ভুল, দক্ষ ও কার্যকরী শাসন।
-
উদ্ভাবক: বিশ্বব্যাংক, যা ১৯৮৯ সালে প্রথম সুশাসন প্রত্যয় ব্যবহার করে।
-
সুশাসন সব সময় সকলের স্বার্থ রক্ষা করার চেষ্টা করে।
-
চিহ্নিতকরণে জোর:
-
সরকারি খাতের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা
-
উন্নয়নের জন্য আইনী কাঠামো
-
জবাবদিহিতা
-
স্বচ্ছতা
-
অবাধ তথ্য প্রবাহ
-

0
Updated: 1 month ago