মূল্যবোধ শিক্ষার অন্যতম লক্ষ্য হচ্ছে -
A
দুর্নীতি রোধ করা
B
সামাজিক অবক্ষয় রোধ করা
C
রাজনৈতিক অবক্ষয় রোধ করা
D
সাংস্কৃতিক অবরোধ রক্ষণ করা
উত্তরের বিবরণ
মূল্যবোধ শিক্ষার লক্ষ্য ও সামাজিক অবক্ষয় রোধ
মূল্যবোধ শিক্ষা আমাদের সমাজে সঠিক আচরণ ও শিষ্টাচার রক্ষা করতে সহায়তা করে। এর অন্যতম উদ্দেশ্য হলো সামাজিক অবক্ষয় প্রতিরোধ করা।
সামাজিক মূল্যবোধ:
-
সামাজিক মূল্যবোধ হলো মানুষ এবং সমাজের আচরণ নিয়ন্ত্রণের নিয়ম।
-
এটি ব্যক্তি ও সমাজের অভিন্ন আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন।
-
সামাজিক মূল্যবোধের মধ্যে থাকে: শিষ্টাচার, সততা, সত্যবাদিতা, ন্যায়-বিচার, সহনশীলতা, সহমর্মিতা, শ্রমের মর্যাদা, শৃঙ্খলাবোধ, সময়ানুবর্তিতা, দানশীলতা, উদারতা ইত্যাদি।
-
সামাজিক পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে মূল্যবোধও পরিবর্তিত হয়।
সামাজিক অবক্ষয়:
-
সামাজিক অবক্ষয় হলো মূল্যবোধের ঘাটতি বা অনুপস্থিতি।
-
সমাজের রীতিনীতি, মনোভাব ও অনুমোদিত আচরণের সমন্বয়ে সামাজিক মূল্যবোধ গড়ে ওঠে। যখন এই মূল্যবোধগুলো দুর্বল হয় বা নষ্ট হয়, তখন সমাজে অবক্ষয় দেখা দেয়।
-
সামাজিক অবক্ষয়ের কারণ হতে পারে:
-
আইন শৃঙ্খলার দুর্বলতা
-
মানুষের সহনশীলতার অভাব
-
বিশৃঙ্খল পরিবেশ
-
ধর্মীয় বা নৈতিক ভুল ব্যাখ্যা, যেমন: কোনো বিষয়ে ভুল ফতোয়া বা নির্দেশের মাধ্যমে মানুষকে মূল্যবোধহীন পথে পরিচালিত করা।
-
-
তাই, আইনের শাসন ও সামাজিক নীতি মানার শিক্ষা সামাজিক অবক্ষয় রোধ করতে গুরুত্বপূর্ণ।
উৎস: মোঃ মোজাম্মেল হক, পৌরনীতি ও সুশাসন ১মপত্র, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি

0
Updated: 1 month ago
যে গুণের মাধ্যমে মানুষ 'ভুল' ও 'শুদ্ধ'-এর পার্থক্য নির্ধারণ করতে পারে, তা হচ্ছে-
Created: 2 weeks ago
A
সততা
B
সদাচার
C
কর্তব্যবােধ
D
মূল্যবােধ
মূল্যবোধ মানুষের আচরণের মাধ্যমে গড়ে ওঠে, এবং এটি নির্ধারণ করে কীটি ভুল বা শুদ্ধ, কীটি ভালো বা মন্দ। মানুষের আচরণ পরিচালনায় মূল্যবোধ গুরুত্বপূর্ণ মানদণ্ড এবং নীতির ভূমিকা পালন করে।
শিক্ষার মাধ্যমে এই মূল্যবোধকে আরও সুদৃঢ় করা সম্ভব। মানুষ জন্মের পর থেকেই মূল্যবোধ শেখা শুরু করে এবং এটি সারাজীবন চলতে থাকে, তবে বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে মূল্যবোধ শিক্ষার ধরণও পরিবর্তিত হয়।
-
মূল্যবোধ নির্ধারিত হয় মানুষের আচরণের মাধ্যমে এবং এটি মানুষের নৈতিক বিচার ও সিদ্ধান্তে প্রভাব ফেলে।
-
এটি মানুষের আচরণ পরিচালনার মানদণ্ড এবং নীতি হিসেবে কাজ করে।
-
শিক্ষার মাধ্যমে মূল্যবোধকে আরও দৃঢ় ও কার্যকর করা যায়।
-
জন্ম থেকে মানুষ মূল্যবোধ শেখা শুরু করে এবং এটি জীবনের বিভিন্ন পর্যায়ে পরিবর্তিত ও বিকশিত হয়।

0
Updated: 2 weeks ago
বাংলাদেশের উন্নয়ন ও সুশাসন নিশ্চিত করার পথে প্রধান অন্তরায় কী?
Created: 1 week ago
A
সরকারের স্থায়ীত্ব
B
দুর্নীতি
C
প্রযুক্তির অভাবে
D
জনসংখ্যার আধিক্য
বাংলাদেশের উন্নয়ন ও সুশাসন নিশ্চিত করার প্রধান অন্তরায় হলো দুর্নীতি, যা দেশের প্রশাসনিক কাঠামো, অর্থনীতি, আইন-শৃঙ্খলা এবং সামাজিক স্থিতিশীলতাকে দুর্বল করে। উন্নত ভবিষ্যতের জন্য সুশাসন অপরিহার্য, কিন্তু দুর্নীতির কারণে সুশাসনের মূল উপাদান—জবাবদিহিতা, স্বচ্ছতা ও ন্যায়বিচার—ব্যাহত হয়।
দুর্নীতি যেভাবে উন্নয়ন ও সুশাসন ব্যাহত করে:
-
অর্থনৈতিক উন্নয়নে বাধা সৃষ্টি
-
সামাজিক বৈষম্য বৃদ্ধি
-
সুশাসনের অবক্ষয়
-
অবকাঠামো ও উন্নয়ন প্রকল্পে নেতিবাচক প্রভাব
-
গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের ক্ষতি

0
Updated: 1 week ago
'শর্তহীন আদেশ' ধারণাটির প্রবর্তক কে?
Created: 1 week ago
A
অ্যারিস্টটল
B
বার্ট্রান্ড রাসেল
C
হার্বার্ট স্পেন্সার
D
ইমানূয়েল কান্ট
ইমানুয়েল কান্ট একজন প্রখ্যাত জার্মান নীতিবিজ্ঞানী যিনি নৈতিকতা এবং নীতিশাস্ত্রের ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রেখেছেন। তাঁর নীতিবিদ্যার মূলমন্ত্র তিনটি গুরুত্বপূর্ণ ধারণার ওপর ভিত্তি করে:
-
সৎ ইচ্ছা (Good Will) – মানুষের কর্মের সত্যিকারের মূল্য তার ইচ্ছার সততার ওপর নির্ভর করে, ফলাফলের ওপর নয়।
-
কর্তব্যের জন্য কর্তব্য (Duty for Duty’s Sake) – নৈতিক কাজ করা উচিত শুধুমাত্র কর্তব্যের জন্য, ব্যক্তিগত স্বার্থ বা লাভের কারণে নয়।
-
শর্তহীন আদেশ (Categorical Imperative) – এমন নীতি যা সর্বদা এবং সকল পরিস্থিতিতে প্রযোজ্য, কোন শর্তের ওপর নির্ভরশীল নয়।
কান্টের দর্শনে “কর্তব্যমুখী নৈতিকতা (Deontological Ethics)” বা “Duty-Based Morality” অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি কোনো কর্মের ফলাফলের পরিবর্তে কর্মের প্রকৃতি ও উদ্দেশ্যকে মূল্যায়ন করে। এই কারণে তাকে কর্তব্যের নৈতিকতার প্রবর্তক বলা হয়।
নীতিশাস্ত্র ও দর্শনের উপর তার গুরুত্বপূর্ণ রচনা সমূহ:
-
Groundwork for the Metaphysics of Morals
-
Critique of Pure Reason
-
Critique of Practical Reason
-
Critique of Judgement

0
Updated: 1 week ago