'Power: A New Social Analysis' গ্রন্থটি কার লেখা?
A
ম্যাকিয়াভেলি
B
হবস
C
লক
D
রাসেল
উত্তরের বিবরণ
'Power: A New Social Analysis' গ্রন্থটি বার্ট্রান্ড রাসেল-এর লেখা।
বার্ট্রান্ড রাসেল
- রাসেল ছিলেন একজন ব্রিটিশ দার্শনিক, যুক্তিবিদ, গণিতবিদ, ইতিহাসবেত্তা, সমাজকর্মী, অহিংসাবাদী, এবং সমাজ সমালোচক।
- তিনি ছিলেন একজন প্রখ্যাত যুদ্ধবিরোধী ও সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী ব্যক্তিত্ব।
- ১৯৫০ সালে রাসেল সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার অর্জন করেন, যা ছিল তার 'মানবতার আদর্শ ও চিন্তার মুক্তি'কে ওপরে তুলে ধরা তার বহুবিধ গুরুত্বপূর্ণ রচনার স্বীকৃতিস্বরূপ।
উল্লেখ্য,
- বিখ্যাত দার্শনিক বাট্রান্ড রাসেলের মতে সচেতনভাবে বা অচেতনভাবেই হোক মানুষের মনে এমন কিছু প্রশ্ন জাগে যাদের কোন যুক্তি সঙ্গত উত্তর ধর্মতত্ত্বে যেমন পাওয়া যায় না, তেমনি আবার বিজ্ঞান এদের নিয়ে আদৌ মাথা ঘামায় না।
- ধর্মতত্ত্ব ও বিজ্ঞানের মধ্যবর্তী এই যে অনধিকৃত একটি রাজ্য তাতেই দর্শন বিচরণ করে চলেছে।
- আর এ কারণেই রাসেল দর্শনকে বিজ্ঞান ও ধর্মতত্ত্বের মধ্যবর্তী অনধিকৃত রাজ্য (No Man's Land) বলে অভিহিত করেছেন।
এছাড়াও,
- Power : A New Social Analysis গ্রন্থটির রচয়িতা ব্রিটিশ দার্শনিক বার্ট্রান্ড রাসেল।
- বইটি ১৯৩০ সালে প্রকাশিত হয়।
- এই গ্রন্থের মূল বিষয় হচ্ছে মানুষের চূড়ান্ত লক্ষ্য হলো ক্ষমতা অর্জন করা।
উৎস: শিক্ষার দার্শনিক ও মনোবৈজ্ঞানিক ভিত্তি, এমএড প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 1 month ago
'সুশাসন' শব্দটি সর্বপ্রথম কোন সংস্থা সুস্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করে?
Created: 1 month ago
A
জাতিসংঘ
B
ইউএনডিপি
C
বিশ্বব্যাংক
D
আইএমএফ
সুশাসন (Good Governance) এবং বিশ্বব্যাংক
-
সুশাসন শব্দটি প্রথমবারের মতো ১৯৮৯ সালে বিশ্বব্যাংকের একটি সমীক্ষায় ব্যবহার করা হয়।
-
বিশ্বব্যাংকের সংজ্ঞা অনুযায়ী, সুশাসন হলো এমন একটি প্রক্রিয়া যেখানে একটি দেশ তার অর্থনৈতিক ও সামাজিক সম্পদ উন্নয়নের লক্ষ্যে দক্ষভাবে ব্যবস্থাপনা ও ক্ষমতার প্রয়োগ করে।
-
বিশ্বব্যাংক একটি উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রথমবার উন্নয়নের প্রেক্ষাপটে সুশাসনকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে তুলে ধরে।
-
১৯৯২ সালে প্রকাশিত ‘শাসন প্রক্রিয়া ও উন্নয়ন’ রিপোর্টে বিশ্বব্যাংক আরও স্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করে যে, অনুন্নত বা উন্নয়নশীল দেশগুলোতে উন্নয়ন অবহেলা বা ব্যর্থতার পেছনে মূল কারণ হলো সুশাসনের অভাব।
উৎস: পৌরনীতি ও সুশাসন : একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণী : প্রথমপত্র, মো. মোজাম্মেল হক

0
Updated: 1 month ago
কোনটিকে সুশাসনের প্রাণ বলা হয়?
Created: 2 weeks ago
A
স্বচ্ছতা
B
দায়িত্বশীলতা
C
দক্ষতা
D
গণতন্ত্র
গণতন্ত্র, স্বচ্ছতা, দায়িত্বশীলতা ও দক্ষতা সুশাসনের মূল ভিত্তি হিসেবে বিবেচিত। এগুলোই একটি কার্যকর ও জনগণমুখী শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার মূল চাবিকাঠি।
-
গণতন্ত্র (Democracy): গণতন্ত্র হলো সুশাসন প্রতিষ্ঠার প্রাণ। সুশাসন নিশ্চিত করতে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার বিকল্প নেই। এটি জনগণের অংশগ্রহণ, মতপ্রকাশ ও সমানাধিকার নিশ্চিত করে।
-
স্বচ্ছতা (Transparency): স্বচ্ছতার অর্থ হলো পরিষ্কার, স্পষ্ট ও নির্ভুল ব্যবস্থা। দ্ব্যর্থহীনতা স্বচ্ছতার প্রধান লক্ষণ। যখন শাসন ব্যবস্থার আইন, নীতি বা সিদ্ধান্ত স্পষ্ট ও পরিস্কার হয় এবং এর একাধিক ব্যাখ্যার সুযোগ থাকে না, তখন তা জনগণের জন্য সহজবোধ্য হয়। স্বচ্ছ নীতি ও সিদ্ধান্ত সুশাসন প্রতিষ্ঠার পথে সহায়ক।
-
দায়িত্বশীলতা (Responsibility): সুশাসনের একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো দায়িত্বশীলতা। এর অর্থ হলো সরকার ও রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার কর্মকাণ্ডের প্রতি দায়বদ্ধ থাকা। সরকারের শাসন বিভাগের নীতি-সিদ্ধান্ত ও কার্যক্রমের জন্য আইন বিভাগের কাছে দায়বদ্ধ থাকা এবং পরোক্ষভাবে জনগণের প্রতি দায়বদ্ধ থাকা দায়িত্বশীলতার অংশ।
-
দক্ষতা (Efficiency): দক্ষতা বলতে প্রাপ্ত সম্পদ ও উপকরণের সুষ্ঠু ব্যবহার করে কাঙ্ক্ষিত ফলাফল অর্জনকে বোঝায়। অবাধ তথ্য সরবরাহ, প্রশিক্ষণ, উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা, সংশ্লিষ্ট বিষয়ে জ্ঞান, দুর্নীতি বিরোধী মনোভাব, কর্তব্যনিষ্ঠা, নিয়ম মেনে চলা, সততা ও কাজে আগ্রহ দক্ষতা বৃদ্ধির মূল উপাদান। এই সব নিশ্চিত করলে সুশাসন প্রতিষ্ঠা সহজ হয়।

0
Updated: 2 weeks ago
রাষ্ট্র ও সমাজে দুর্নীতিপ্রবণতার জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী-
Created: 2 weeks ago
A
আইনের প্রয়ােগের অভাব
B
নৈতিকতা ও মূল্যবােধের অভাব
C
দুর্বল পরিবীক্ষণ ব্যবস্থা
D
অসৎ নেতৃত্ব
দুর্নীতির সংজ্ঞা নির্ধারণ করা সহজ কাজ নয়, কারণ এটি সমাজভেদে এবং একই সমাজের বিভিন্ন যুগে ভিন্নভাবে দেখা যায়। নীতি, আদর্শ ও মূল্যবোধের পার্থক্য অনুযায়ী কোনো কাজকে দুর্নীতি হিসেবে ধরা বা না ধরা যায়।
-
দুর্নীতি হলো নীতি, আদর্শ ও মূল্যবোধের পরিপন্থী কাজ, তাই কোন কাজকে দুর্নীতিমূলক বলার ক্ষেত্রে স্থান, কাল, পাত্র ও আদর্শ বিবেচনা করা জরুরি।
-
সাধারণভাবে বলতে গেলে, দুর্নীতি হলো আইন ও নীতির বিরুদ্ধে সংঘটিত কার্যকলাপ।
-
দুর্নীতির সঙ্গে পেশা, ক্ষমতা, সুযোগ-সুবিধা, পদবি, সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অবস্থান ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত থাকে।
সুতরাং, “নৈতিকতা ও মূল্যবোধের অভাব” রাষ্ট্র ও সমাজে দুর্নীতিপ্রবণতার জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী।

0
Updated: 2 weeks ago