'আমীর হামজা' কাব্য রচনা করেন কে?
A
আলাওল
B
ফকির গরীবুল্লাহ
C
সৈয়দ হামজা
D
রেজাউদ্দৌলা
উত্তরের বিবরণ
ফকির গরীবুল্লাহ
পুঁথি সাহিত্যের প্রথম সফল ও জনপ্রিয় কবি ছিলেন।
-
হুগলি জেলার বালিয়া পরগনার হাফিজপুর গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন তিনি।
-
তার নামে মোট পাঁচটি কাব্যের সন্ধান মেলে।
সেই কাব্যগুলো হলো:
-
ইউসুফ জোলেখা
-
আমীর হামজা (প্রথম অংশ)
-
জঙ্গনামা
-
সোনাভান
-
সত্যপীরের পুঁথি
তবে এসব কাব্য মূলত বটতলার পুঁথি প্রকাশকদের মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যক্তির নামে ছাপা হয়েছে।
উৎস: বাংলাপিডিয়া।
0
Updated: 5 months ago
কবি কাজী নজরুল ইসলাম ‘সঞ্চিতা’ কাব্যটি কাকে উৎসর্গ করেছিলেন?
Created: 5 months ago
A
বারীন্দ্রকুমার ঘোষ
B
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
C
বীরজাসুন্দরী দেবী
D
মুজাফফর আহমদ
কবি কাজী নজরুল ইসলাম তাঁর 'সঞ্চিতা' কাব্যগ্রন্থটি বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে উৎসর্গ করেছিলেন।
'সঞ্চিতা' হলো কাজী নজরুল ইসলামের একটি কবিতা সংকলন, যা ১৯২৮ খ্রিষ্টাব্দে প্রকাশিত হয়। এই গ্রন্থটি নজরুল ঠাকুরকে উৎসর্গ করেছিলেন। এতে মোট ৭৮টি কবিতা ও গান অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। নজরুলের কবিতার প্রকৃত ধারা ও বৈশিষ্ট্য বোঝার জন্য 'সঞ্চিতা' একটি গুরুত্বপূর্ণ সংকলন, কারণ জীবিত অবস্থায় তিনি নিজেও এটিকে তাঁর শ্রেষ্ঠ কাব্য সৃষ্টি হিসেবে মেনে নিয়েছিলেন।
অন্যদিকে, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর রচিত নাটক 'বসন্ত' কাজী নজরুল ইসলামকে উৎসর্গ করেছিলেন।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর।
0
Updated: 5 months ago
কাজী নজরুল ইসলাম রচিত 'বিদ্রোহী' কবিতাটি কোন কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত?
Created: 2 days ago
A
সিন্ধু হিন্দোল
B
অগ্নিবীণা
C
ভাঙার গান
D
বিষের বাঁশি
কাজী নজরুল ইসলাম তাঁর কবিতা ‘বিদ্রোহী’-এর মাধ্যমে বাংলা সাহিত্যে এক অনন্য বিপ্লবের সূচনা করেন। এই কবিতাটি তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘অগ্নিবীণা’-তে অন্তর্ভুক্ত, যা প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই পাঠক সমাজে আলোড়ন তোলে। নিচে এই কবিতা ও কাব্যগ্রন্থ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেওয়া হলো।
• ‘অগ্নিবীণা’ প্রকাশিত হয় ১৯২২ সালে। এটি কাজী নজরুল ইসলামের প্রথম কাব্যগ্রন্থ, যার মাধ্যমে তিনি বাংলা সাহিত্যে নিজের অবস্থান শক্ত করে তোলেন। এই গ্রন্থেই প্রকাশ পায় তাঁর বিদ্রোহী, মানবতাবাদী ও স্বাধীনতাকামী মনোভাব।
• ‘বিদ্রোহী’ কবিতাটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯২১ সালের জানুয়ারিতে। কবিতাটি প্রথম ‘বিজলী’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। প্রকাশের পরই এটি বাংলার সাহিত্য ও সমাজে বিপুল আলোড়ন সৃষ্টি করে, কারণ এতে প্রকাশ পেয়েছিল অন্যায়ের বিরুদ্ধে এক অগ্নিমূর্তির মতো প্রতিবাদ।
• কবিতার মূল ভাব হচ্ছে বিদ্রোহ ও মুক্তির আহ্বান। নজরুল এখানে নিজেকে রূপান্তরিত করেছেন বিশ্বমানবের প্রতীক হিসেবে—যিনি অত্যাচার, অন্যায় ও দাসত্বের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন।
• ‘অগ্নিবীণা’ গ্রন্থের অন্যান্য বিখ্যাত কবিতা হলো—‘প্রলয়োল্লাস’, ‘রক্তাম্বর ধরণী মা’, ‘রণভেরী’, ‘দারিদ্র্য’, ‘শাত-ইল-আরব’ প্রভৃতি। সবগুলো কবিতাতেই আগুন, শক্তি, প্রতিবাদ ও মানবতার বার্তা ধ্বনিত হয়েছে।
• ‘বিদ্রোহী’ কবিতায় ব্যবহৃত প্রতীক ও অলংকার নজরুলের অসাধারণ কাব্যশক্তির প্রমাণ বহন করে। দেব-দেবী, ইতিহাস, পুরাণ, প্রকৃতি—সবকিছুর সঙ্গে তিনি বিদ্রোহী মানসিকতার মেলবন্ধন ঘটিয়েছেন।
• নজরুলের এই কবিতার প্রভাব ছিল রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক উভয় ক্ষেত্রেই। এটি শুধু সাহিত্য নয়, ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনেও অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে ওঠে। তরুণ প্রজন্ম এই কবিতাকে স্বাধীনতার সংগ্রামের প্রতীক হিসেবে গ্রহণ করে।
• ‘অগ্নিবীণা’ নামের প্রতীক অর্থও গভীর। ‘অগ্নি’ মানে আগুন—ধ্বংস ও সৃষ্টির প্রতীক; আর ‘বীণা’ সংগীত ও সৌন্দর্যের প্রতীক। দুইয়ের মিলনে নজরুল প্রকাশ করেছেন ধ্বংসের মধ্য দিয়েই নতুন সৃষ্টির তত্ত্ব।
• এই কাব্যগ্রন্থ নজরুলকে ‘বিদ্রোহী কবি’ উপাধি এনে দেয়। তাঁর কবিতার ভেতর দিয়ে প্রকাশ পায় সমাজের শোষিত ও নিপীড়িত মানুষের কণ্ঠস্বর।
• অন্য বিকল্পগুলোর সংক্ষিপ্ত বিবরণ:
– ‘সিন্ধু হিন্দোল’ (১৯২৭): এই কাব্যগ্রন্থে প্রেম, প্রকৃতি ও সৃষ্টির ভাব প্রাধান্য পেয়েছে।
– ‘ভাঙার গান’ (১৯২৪): এখানে সামাজিক বৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের আহ্বান শোনা যায়।
– ‘বিষের বাঁশি’ (১৯২৪): রাজনৈতিক প্রতিবাদের তীব্র সুর এই গ্রন্থে প্রকাশিত হয়েছে।
সুতরাং, ‘বিদ্রোহী’ কবিতাটি ‘অগ্নিবীণা’ কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত, যা কাজী নজরুল ইসলামকে চিরকালীন বিদ্রোহী কবি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
0
Updated: 2 days ago
শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের রচয়িতা কে?
Created: 2 months ago
A
কবীন্দ্র পরমেশ্বর
B
কৃষ্ণ দ্বৈপায়ন
C
কাশীরাম দাস
D
বড়ু চণ্ডীদাস
শ্রীকৃষ্ণকীর্তন
-
মধ্যযুগে রচিত বাংলা ভাষার প্রথম কাব্য হিসেবে শ্রীকৃষ্ণকীর্তন স্বীকৃত।
-
১৯০৯ খ্রিষ্টাব্দে বসন্তরঞ্জন রায় বিদ্বদ্বল্লভ পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া জেলার কাকিল্যা গ্রামের শ্ৰী দেবেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের বাড়ির গোয়ালঘর থেকে শ্রীকৃষ্ণকীর্তনের পুথি আবিষ্কার করেন।
-
১৯১৬ খ্রিষ্টাব্দে বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষৎ থেকে বসন্তরঞ্জন রায়ের সম্পাদনায় পুঁথিটি শ্রীকৃষ্ণকীর্তন নামে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়।
-
পুঁথির প্রথম দুটি ও শেষ পৃষ্ঠা অনুপস্থিত থাকায় এর নাম ও কবির নাম স্পষ্টভাবে জানা যায়নি।
-
আবিষ্কারক ও সম্পাদক বসন্তরঞ্জন রায় প্রাচীন বৈষ্ণব লেখকদের ইঙ্গিত অনুসারে গ্রন্থটির নামকরণ করেন শ্রীকৃষ্ণকীর্তন।
-
এই কাব্যকে শ্রীকৃষ্ণসন্দর্ভ নামেও অভিহিত করা হয়।
-
শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের রচয়িতা বড়ু চণ্ডীদাস।
-
কাব্যের প্রধান তিনটি চরিত্র হলো কৃষ্ণ, রাধা ও বড়াই।
-
এতে মোট ১৩টি খণ্ড রয়েছে।
অন্য তথ্য
-
কবীন্দ্র পরমেশ্বর → মহাভারতের প্রথম বাংলা অনুবাদক।
-
কৃষ্ণ দ্বৈপায়ন → মহাভারতের রচয়িতা।
-
কাশীরাম দাস → মহাভারতের শ্রেষ্ঠ অনুবাদক।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা
0
Updated: 2 months ago