”কপালকুণ্ডলা” কী ধরনের উপন্যাস?
A
ঐতিহাসিক
B
রোমান্সধর্মী
C
মনস্তাত্বিক
D
রাজনৈতিক
উত্তরের বিবরণ
কপালকুণ্ডলা:
-
বাংলা সাহিত্যের প্রথম রোমান্সধর্মী উপন্যাস।
-
এটি বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের দ্বিতীয় উপন্যাস।
-
নিগূঢ় ভাবসঙ্গতির কারণে এটিকে রোমান্স বলা যায়।
-
কাহিনি গড়ে উঠেছে অরণ্যে এক কাপালিক-পালিতা নারী কপালকুণ্ডলার চরিত্রকে কেন্দ্র করে।
-
সামাজিক সংস্কারের সঙ্গে অপরিচিতা এই নারীর নবকুমারের সঙ্গে বিয়ে এবং কপালকুণ্ডলার সমাজবন্ধনের সঙ্গে দ্বন্দ্ব মূল ঘটনা।
-
বিখ্যাত সংলাপ: ‘পথিক তুমি পথ হারাইয়াছ’, যা বাংলা সাহিত্যের প্রথম রোমান্টিক সংলাপ হিসেবে পরিচিত।
-
গিরিশচন্দ্র ঘোষ ১৮৭৩ সালে এই উপন্যাসের নাট্যরূপ প্রদান করেন।
-
দামোদর মুখোপাধ্যায় ১৮৭৪ সালে উপন্যাসের উপসংহার রচনা করেন এবং নামকরণ করেন ‘মৃন্ময়ী’।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস

0
Updated: 1 month ago
'ইতিহাসমালা ও কথোপকথন' - নামে দুটি মৌলিক গ্রন্থ রচনা করেন কে?
Created: 3 weeks ago
A
রামমোহন রায়
B
উইলিয়াম কেরি
C
মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার
D
চণ্ডীচরণ মুন্শী
উইলিয়াম কেরি একজন ইংরেজ মিশনারি, যিনি বাংলা গদ্যের বিকাশে বিশেষ অবদান রেখেছেন।
উল্লেখযোগ্য তথ্যসমূহ—
-
তিনি ইতিহাসমালা এবং কথোপকথন নামে দুটি মৌলিক গ্রন্থ রচনা করেন।
-
ইতিহাসমালা বাংলা ভাষার প্রথম গল্পসংগ্রহ হিসেবে পরিচিত।
-
১৮১০ সালে দরিদ্র কৃষকদের জন্য কলকাতায় বোর্ডিং স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন।
উৎস:

0
Updated: 3 weeks ago
বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত গল্পগ্রন্থ কোনটি?
Created: 2 weeks ago
A
আরণ্যক
B
দৃষ্টি প্রদীপ
C
ইছামতী
D
কিন্নরদল
বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় ১৮৯৪ সালের ১২ সেপ্টেম্বর পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগনা জেলার কাঁচরাপাড়ার নিকটবর্তী ঘোষপাড়া-মুরারিপুর গ্রামে মাতুলালয়ে জন্মগ্রহণ করেন। ১৩২৮ বঙ্গাব্দের (১৯২১) মাঘ প্রবাসীতে প্রথম গল্প 'উপেক্ষিতা' প্রকাশের মাধ্যমে তার সাহিত্যিক জীবন শুরু হয়। বাংলা কথাসাহিত্যে শরৎচন্দ্রের পরে বিভূতিভূষণই সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় সাহিত্যিক হিসেবে খ্যাত। তিনি হেমন্তকুমার গুপ্তের সঙ্গে যৌথভাবে দীপক (১৯৩২) পত্রিকা সম্পাদনা করেছিলেন।
-
উপন্যাসসমূহ:
-
পথের পাঁচালী
-
অপরাজিত
-
অশনি সংকেত
-
আরণ্যক
-
আদর্শ হিন্দু হোটেল
-
দেবযান
-
ইছামতী
-
দৃষ্টি প্রদীপ
-
-
গল্পগ্রন্থসমূহ:
-
মেঘমল্লার
-
মৌরীফুল
-
যাত্রাবদল
-
কিন্নরদল
-

0
Updated: 2 weeks ago
জেলে জীবন কেন্দ্রিক উপন্যাস কোনটি?
Created: 1 month ago
A
গঙ্গা
B
পুতুলনাচের ইতিকথা
C
হাঁসুলী বাঁকের উপকথা
D
গৃহদাহ
গঙ্গা উপন্যাস
-
সমরেশ বসুর বিখ্যাত রচনা ‘গঙ্গা’ প্রকাশিত হয় ১৯৫৭ সালে।
-
উপন্যাসটির মূল পটভূমি হলো জেলে সম্প্রদায়ের জীবন—বিশেষত অবিভক্ত ২৪ পরগনার মাছধরা মানুষদের জীবনসংগ্রাম।
-
এখানে মূল কেন্দ্রবিন্দু চরিত্র নয়, বরং জেলেদের জীবন। তাদের দৈনন্দিন কষ্ট, লড়াই ও অভ্যাস—সবই লেখক ফুটিয়ে তুলেছেন।
-
চরিত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে: সাইদার নিবারণ, নিবারণের ভাই পাঁচু, ছেলে বিলাস, বশীর, সয়ারাম, পাচী (ছায়া), রসিক, দুলাল, দামিনী, হিমি, আতর, মহাজন ব্রজেন ঠাকুর প্রমুখ।
-
প্রথমে মনে হয় বিলাস ও হিমিই নায়ক-নায়িকা, কিন্তু আসলে সব চরিত্রকে ঘিরে আছেন নিবারণ—তাই নিবারণকেই কেন্দ্রীয় চরিত্র ধরা হয়।
পুতুলনাচের ইতিকথা
-
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত এই উপন্যাস প্রকাশিত হয় ১৯৩৬ সালে।
-
লেখকের মতে, সাহিত্যেও বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি প্রয়োজন। এ উপন্যাসে সেই দৃষ্টিভঙ্গির প্রয়োগ দেখা যায়।
-
ব্রিটিশ আমলে বাঙালি শিক্ষিত মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানসিক দ্বন্দ্ব ও অস্তিত্ব সংকট শশী চরিত্রের মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।
-
এখানে ‘পুতুল’ বলতে বোঝানো হয়েছে—যারা নিজের দৃঢ় অবস্থান রাখতে পারে না, বরং অন্যের সামান্য প্রভাবেই দোদুল্যমান হয়ে যায়।
-
প্রধান চরিত্র: শশী, কুসুম, হারু ঘোষ প্রমুখ।
হাঁসুলী বাঁকের উপকথা
-
তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত এই উপন্যাসটি মূলত আঞ্চলিক কাহিনি।
-
কাহিনি আবর্তিত হয়েছে বাঁশবাড়ি গ্রামের কাহার জাতিকে ঘিরে।
-
পুরোনো বিশ্বাস, কুসংস্কার আর সময়ের পরিবর্তনে তাদের জীবনে যে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়, তাই এখানে তুলে ধরা হয়েছে।
গৃহদাহ
-
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত শ্রেষ্ঠ উপন্যাস ‘গৃহদাহ’, যা প্রকাশিত হয় ১৯২০ সালে, মাসিক ভারতবর্ষ পত্রিকায়।
-
এর মূল বিষয় হলো ত্রিভুজ প্রেম।
-
নায়িকা অচলা—যার প্রতি মহিম ও সুরেশ দুই পুরুষের আকর্ষণ-বিকর্ষণ এই কাহিনির মূল কেন্দ্র।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর

0
Updated: 1 month ago