কোনটি ইব্রাহিম খাঁর গ্রন্থ নয়?
A
আনোয়ার পাশা
B
ইস্তাম্বুল যাত্রীর পত্র
C
কুচবরণের কন্যে
D
সোনার শিকল
উত্তরের বিবরণ
ইব্রাহিম খাঁ
জন্ম ও পটভূমি:
ইব্রাহীম খাঁ ১৮৯৪ সালে টাঙ্গাইল জেলার শাবাজ নগর গ্রামে এক মধ্যবিত্ত কৃষক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
পেশা ও পরিচিতি:
তিনি ছিলেন একাধারে শিক্ষাবিদ, সাহিত্যিক ও সমাজচিন্তক। নাটক, গল্প, উপন্যাস, শিশুসাহিত্য, ভ্রমণকাহিনি এবং স্মৃতিকথা মিলিয়ে তাঁর রচনাসংখ্যা ২১টি।
পুরস্কার ও স্বীকৃতি:
-
ব্রিটিশ আমলে: ‘খান সাহেব’ ও ‘খান বাহাদুর’ উপাধি
-
পাকিস্তান আমলে: ‘সিতারা-ই-ইমতিয়াজ’
-
সাহিত্যিক অবদান:
-
বাংলা একাডেমি পুরস্কার (নাটকে) – ১৯৬৩
-
একুশে পদক (সাহিত্যে) – ১৯৭৬
-
মৃত্যু:
তিনি ১৯৭৮ সালের ২৯ মার্চ ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন।
✍️ সাহিত্যকর্ম:
স্মৃতিকথা:
-
বাতায়ন — যা সমকালীন মুসলিম সমাজের একটি গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক দলিল হিসেবে বিবেচিত।
নাটক:
-
আনোয়ার পাশা
গল্প:
-
সোনার শিকল
-
আলু বোখরা
-
ব্যাঘ্র মামা
উপন্যাস:
-
ঋণ পরিশোধ
-
কামাল পাশা
ভ্রমণকাহিনি:
-
ইস্তাম্বুল যাত্রীর পত্র
-
বেদুঈনদের দেশে
শিশুসাহিত্য:
-
কুচবরণ কন্যা রচনা করেন বন্দে আলী মিয়া, এটি ইব্রাহীম খাঁর রচনা নয়।
উৎস: বাংলাপিডিয়া ও ‘বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা’ – ড. সৌমিত্র শেখর
0
Updated: 5 months ago
সৈয়দ মুজতবা আলীর প্রবন্ধ গ্রন্থ কোনটি?
Created: 2 months ago
A
পঞ্চতন্ত্র
B
কালান্তর
C
প্রবন্ধ সংগ্রহ
D
শাশ্বত বঙ্গ
সৈয়দ মুজতবা আলীর গুরুত্বপূর্ণ রচনা ও গ্রন্থসমূহ
পঞ্চতন্ত্র:
-
সৈয়দ মুজতবা আলীর ‘পঞ্চতন্ত্র’ (১৯৫২) একটি ব্যক্তিগত প্রবন্ধ সংকলন, যা দুই ভাগে বিভক্ত।
-
প্রথম পর্বে: ৩৪টি রচনা
-
দ্বিতীয় পর্বে: ৩১টি রচনা
-
মোট: ৬৫টি প্রবন্ধ
-
-
উল্লেখযোগ্য প্রবন্ধ: বই কেনা, মোপাসাঁ, চেখফ্-রবীন্দ্রনাথ, বিদেশে, মেশেদিনী, অনুবাদ সাহিত্য, অর্থং অর্থং ইত্যাদি।
-
এই প্রবন্ধগুলো মূলত ‘বসুমতী’ ও ‘দেশ’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।
-
এতে মুজতবা আলীর সরস ও প্রাঞ্জল গদ্যশৈলী এবং বিচিত্র বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ পেয়েছে।
-
গ্রন্থটি সাধারণত রম্যসাহিত্যের অন্তর্ভুক্ত।
অন্যান্য উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ:
-
কালান্তর: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শেষ জীবনে রচিত রাজনৈতিক প্রবন্ধ সংকলন।
-
শাশ্বত বঙ্গ (কাজী আবদুল ওদুদ): বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও বাঙালির সাংস্কৃতিক ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ।
সৈয়দ মুজতবা আলী: জীবন ও সাহিত্যিক পরিচিতি
-
জন্ম: ১৩ সেপ্টেম্বর ১৯০৪, করিমগঞ্জ, শ্রীহট্ট (সিলেট)। পৈতৃক নিবাস: মৌলভীবাজার, উত্তরসুর গ্রাম।
-
শিক্ষা: বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯২৬ সালে স্নাতক।
-
সাহিত্যিক জীবন:
-
প্রথম স্বীকৃতি: ‘দেশে-বিদেশে’ – কাবুলে অবস্থানের বাস্তব অভিজ্ঞতা ও অন্তরঙ্গ উপলব্ধি থেকে উদ্ভূত।
-
বিশেষ রচনা: ‘পূর্ব-পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা’।
-
ভূমিকা রচনা: কাজী নজরুল ইসলামের ‘রুবাইয়াৎ-ই-ওমর খৈয়াম’ গ্রন্থে।
-
-
মৃত্যু: ১১ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৪, ঢাকা।
লেখাগুলি ভাগ করা যায়:
-
উপন্যাস: অবিশ্বাস্য, শবনম
-
রম্য রচনা: পঞ্চতন্ত্র, ময়ূরকণ্ঠী
-
ছোটগল্প সংকলন: চাচা-কাহিনী, টুনি মেম
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর, বাংলাপিডিয়া।
0
Updated: 2 months ago
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস গ্রন্থের নাম-
Created: 3 months ago
A
বঙ্গভাষা ও সাহিত্য
B
বাংলা সাহিত্যের কথা
C
বাঙ্গালা সাহিত্যের ইতিহাস
D
বাংলা সাহিত্যের ইতিবৃত্ত
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ও তাঁর ‘বাংলা সাহিত্যের কথা’ গ্রন্থ সম্পর্কে তথ্য
বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস গ্রন্থ: ‘বাংলা সাহিত্যের কথা’
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ রচিত বাংলা সাহিত্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ইতিহাসগ্রন্থ ‘বাংলা সাহিত্যের কথা’। এই গ্রন্থটি বাংলা সাহিত্যের প্রাচীন ও মধ্যযুগের বিবরণে অনন্য। এটি বিভিন্ন সময়ে একাধিক সংস্করণে প্রকাশিত হয়েছে:
-
প্রথম সংস্করণ: এপ্রিল, ১৯৫৩
-
দ্বিতীয় সংস্করণ (নতুন): এপ্রিল, ১৯৬৩
-
তৃতীয় সংস্করণ (পরিমার্জিত): কার্তিক ১৩৭৩ বঙ্গাব্দ (অক্টোবর, ১৯৬৬)
-
চতুর্থ সংস্করণ (পরিবর্ধিত ও নূতন): শ্রাবণ ১৩৭৫ বঙ্গাব্দ (জুলাই, ১৯৬৮)
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ: জীবনী ও অবদান
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের অগ্রদূতদের একজন। তিনি ১৮৮৫ সালের ১০ জুলাই পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগনা জেলার পেয়ারা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বাংলা ভাষা-সাহিত্য ও গবেষণায় তাঁর অবদানের কারণে তিনি ‘জ্ঞানতাপস’ উপাধিতে পরিচিত হন। তাঁর পাণ্ডিত্য ও স্মরণশক্তির জন্য তাঁকে ‘চলিষ্ণু অভিধান’ বলেও অভিহিত করা হয়।
বাংলা ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে জাতিসত্তা নিয়ে তাঁর বিখ্যাত মন্তব্যটি এখনো প্রাসঙ্গিক ও শক্তিশালী—
"আমরা হিন্দু বা মুসলমান যেমন সত্য, তার চেয়ে বেশি সত্য আমরা বাঙালি।"
বাংলা সাহিত্যের প্রাচীন ও মধ্যযুগের ইতিহাস লেখার পাশাপাশি ভাষা-সংক্রান্ত বহু জটিল ও গুরুত্বপূর্ণ সমস্যার তিনি বিশ্লেষণধর্মী সমাধান প্রদান করেছেন।
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্-র উল্লেখযোগ্য গ্রন্থসমূহ:
-
ভাষা ও সাহিত্য
-
বাঙ্গালা ভাষার ইতিবৃত্ত
-
দীওয়ানে হাফিজ
-
রুবাইয়াত-ই-ওমর খৈয়াম
-
নবী করিম মুহাম্মাদ
-
ইসলাম প্রসঙ্গ
-
বিদ্যাপতি শতক
-
বাংলা সাহিত্যের কথা (২ খণ্ড)
-
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ
-
ব্যাকরণ পরিচয়
-
বাংলাদেশের আঞ্চলিক ভাষার অভিধান
-
মহররম শরীফ
-
টেইলস ফ্রম দি কুরআন
-
Buddhist Mystic Songs (১৯৬০)
-
Hundred Sayings of the Holy Prophet
তথ্যসূত্র:
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা (ড. সৌমিত্র শেখর), বাংলাপিডিয়া এবং 'বাংলা সাহিত্যের কথা' (প্রথম খণ্ড)
0
Updated: 3 months ago
বাংলায় চৈতন্যদেবের প্রথম জীবনীগ্রন্থের নাম কী?
Created: 1 month ago
A
চৈতন্য মঙ্গল
B
চৈতন্য-ভাগবত
C
চৈতন্য-চরিতামৃত
D
চৈতন্যজীবনী
শ্রী চৈতন্যদেব মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যে এক অনন্য প্রভাব বিস্তারকারী ধর্মপ্রচারক। তিনি নিজে বাংলা ভাষায় একটি পঙক্তিও রচনা করেননি, কিন্তু তাঁর নামেই একটি যুগের সৃষ্টি হয়েছে, যা চৈতন্যযুগ নামে পরিচিত। তাঁকে কেন্দ্র করে মধ্যযুগের শ্রেষ্ঠ সাহিত্যধারা বৈষ্ণব সাহিত্য গড়ে ওঠে। তাঁর প্রচেষ্টা ও প্রভাবের ফলেই বাঙালির স্বজাত্যবোধ ও নিজস্ব সংস্কৃতি রক্ষিত হয়।
-
বাংলায় চৈতন্যদেবের প্রথম জীবনীগ্রন্থ হলো বৃন্দাবন দাস রচিত ‘চৈতন্য-ভাগবত’।
-
দ্বিতীয় জীবনীগ্রন্থ হলো লোচন দাসের ‘চৈতন্য মঙ্গল’।
-
সবচেয়ে অদ্বিতীয় ও তথ্যবহুল জীবনীগ্রন্থ হলো কৃষ্ণদাস কবিরাজের ‘চৈতন্য-চরিতামৃত’।
-
বাংলা সাহিত্য ১৫০০ থেকে ১৭০০ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত সময়কে চৈতন্যযুগ বলা হয়।
-
শ্রীচৈতন্যর পিতৃদত্ত নাম ছিল বিশ্বম্ভর মিশ্র, আর ডাক নাম ছিল নিমাই।
-
তিনি জন্মগ্রহণ করেন ১৪৮৬ খ্রিষ্টাব্দে এবং মৃত্যুবরণ করেন ১৫৩৩ খ্রিষ্টাব্দে।
বৈষ্ণব সাহিত্য প্রধানত তিন প্রকার—
-
জীবনীকাব্য
-
বৈষ্ণব শাস্ত্র
-
পদাবলী
0
Updated: 1 month ago