A
স্নায়ুতন্ত্রের
B
রেচনতন্ত্রের
C
পরিপাকতন্ত্রের
D
শ্বাসতন্ত্রের
উত্তরের বিবরণ
স্নায়ুটিস্যু বা নার্ভ টিস্যু
প্রাণীদেহে এমন এক বিশেষ কলা আছে, যা বাইরের বা ভেতরের পরিবেশ থেকে আসা উদ্দীপনা অনুভব করে এবং তার উপযুক্ত সাড়া প্রদান করে। একে বলা হয় স্নায়ুটিস্যু (Nervous tissue)।
উদাহরণ: মস্তিষ্ক, সুষুম্না কাণ্ড।
-
স্নায়ুটিস্যুর মৌলিক একক হলো নিউরন (স্নায়ুকোষ)।
-
মস্তিষ্ক অসংখ্য নিউরনের সমষ্টি।
-
প্রতিটি নিউরন আবার তিনটি প্রধান অংশে বিভক্ত—
-
কোষদেহ (Cell body)
-
ডেনড্রন (Dendron)
-
অ্যাক্সন (Axon)
-
স্নায়ুটিস্যুর কাজ
✔️ দেহের বিভিন্ন ইন্দ্রিয় ও সংবেদন অঙ্গ থেকে পাওয়া উদ্দীপনা মস্তিষ্কে প্রেরণ করে।
✔️ মস্তিষ্ক সেই সংকেত গ্রহণ করে এবং দেহের কার্যকর অঙ্গকে সাড়া দিতে বলে।
যেমন: মশা কামড়ালে ত্বক সেই সংকেত মস্তিষ্কে পাঠায় → মস্তিষ্ক হাতকে জানায় → হাত মশা মারতে নড়ে।
✔️ প্রাপ্ত অভিজ্ঞতা বা উদ্দীপনাকে স্মৃতিতে সংরক্ষণ করে।
✔️ দেহের বিভিন্ন শারীরবৃত্তীয় কার্যকলাপে সমন্বয় সাধন করে।
উৎস: বিজ্ঞান, সপ্তম শ্রেণি

0
Updated: 5 days ago
ডেঙ্গু জ্বরের বাহক কোন মশা?
Created: 4 weeks ago
A
কিউলেক্স
B
এডিস
C
অ্যানোফিলিস
D
সব ধরনের মশা
ডেঙ্গু জ্বর
-
ডেঙ্গু জ্বর ছড়ায় এডিস মশার মাধ্যমে।
-
মূলত দুই ধরনের এডিস মশা ডেঙ্গু ছড়ায়:
-
Aedes aegypti (এডিস এজিপটাই)
-
Aedes albopictus (এডিস এলবোপিকটাস)
-
-
এই মশার কামড়ের পর ৩ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে ডেঙ্গুর লক্ষণ দেখা যায়।
-
ডেঙ্গুর সাধারণ উপসর্গ হলো:
-
জ্বর
-
মাথাব্যথা
-
বমি
-
পেশি ও গাঁটে ব্যথা
-
ত্বকে ফুসকুড়ি
-
-
সাধারণত ২ থেকে ৭ দিনের মধ্যে রোগী সেরে ওঠে।
তবে কিছু ক্ষেত্রে রোগ মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে
-
ডেঙ্গু রক্তক্ষরী জ্বর:
-
এতে রক্তপাত হয়
-
রক্তের অনুচক্রিকা (platelet) কমে যায়
-
রক্ত থেকে প্লাজমা বের হতে থাকে
-
-
ডেঙ্গু শক সিনড্রোম:
-
এতে রক্তচাপ অনেক কমে যায়
-
রোগী খুব বিপজ্জনক অবস্থায় পড়ে
-
অন্যদিকে
-
ম্যালেরিয়া রোগ ছড়ায় অ্যানোফিলিস (Anopheles) মশার মাধ্যমে।
-
ফাইলেরিয়া বা গোদ রোগ ছড়ায় কিউলেক্স (Culex) মশার মাধ্যমে।
উৎস: জীববিজ্ঞান দ্বিতীয় পত্র (একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি) এবং WHO ওয়েবসাইট

0
Updated: 4 weeks ago
রাসায়নিক অগ্নি নির্বাপক কাজ করে অগ্নিতে -
Created: 4 weeks ago
A
হাইড্রোজেন সরবরাহ করে
B
নাইট্রোজেন সরবরাহ করে
C
অক্সিজেন সরবরাহ করে
D
অক্সিজেন সরবরাহে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে
ড্রাই কার্বন-ডাই-অক্সাইড একটি নিরাপদ অগ্নিনির্বাপণ উপাদান।
যখন এটি ব্যবহার করার যন্ত্রের ভালব খোলা হয়, তখন এটি গ্যাসে পরিণত হয়। এই গ্যাস বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে এবং আগুনের চারপাশ থেকে অক্সিজেনকে সরিয়ে দেয়।
কারণ, কার্বন-ডাই-অক্সাইড অক্সিজেনের চেয়ে ভারী, তাই এটি নিচে জমে গিয়ে আগুনের কাছে থাকা অক্সিজেনকে বাধা দেয়। আর অক্সিজেন না থাকলে আগুন জ্বলতে পারে না।
রাসায়নিক অগ্নিনির্বাপকও ঠিক একইভাবে কাজ করে—এটি আগুনের অক্সিজেন পেতে বাধা দেয়, ফলে আগুন নিভে যায়।
উৎস: National Emergency Service website এবং Britannica.

0
Updated: 4 weeks ago
বাসা বাড়িতে সরবরাহকৃত বিদ্যুতের ফ্রিকোয়েন্সি হলো-
Created: 2 weeks ago
A
৫০ হার্জ
B
২২০ হার্জ
C
২০০ হার্জ
D
১০০ হার্জ
বিদ্যুৎ
-
যে তড়িৎ প্রবাহ নির্দিষ্ট সময় পর পর দিক পরিবর্তন করে, তাকে পর্যাবৃত্ত প্রবাহ বা Alternating Current (AC) বলা হয়।
-
আমাদের দেশে বাড়িঘরে যে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়, সেটি প্রতি সেকেন্ডে ৫০ বার দিক পরিবর্তন করে।
অর্থাৎ এর ফ্রিকোয়েন্সি ৫০ হার্জ (Hz)।
বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি মূলত ৪ ধরনের ভোল্টেজ স্তরে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে।
১. নিম্নচাপ (LT) – ২৩০/৪০০ ভোল্ট
-
এক ফেজে ২৩০ ভোল্ট এবং তিন ফেজে ৪০০ ভোল্ট এসি বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়।
-
ফ্রিকোয়েন্সি: ৫০ হার্জ।
(এটি আমাদের বাসাবাড়ি ও ছোট ব্যবসায়িক কাজে ব্যবহৃত হয়।)
২. মধ্যমচাপ (MT) – ১১ কেভি
-
১১ কেভি এসি বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়।
-
ফ্রিকোয়েন্সি: ৫০ হার্জ।
(এটি সাধারণত শিল্প ও মাঝারি আকারের প্রতিষ্ঠানে ব্যবহার হয়।)
৩. উচ্চচাপ (HT) – ৩৩ কেভি
-
৩৩ কেভি এসি বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়।
-
ফ্রিকোয়েন্সি: ৫০ হার্জ।
(এটি বড় শিল্প প্রতিষ্ঠান বা কারখানায় ব্যবহৃত হয়।)
৪. অতি উচ্চচাপ (EHT) – ১৩২ কেভি ও ২৩০ কেভি
-
১৩২ কেভি ও ২৩০ কেভি এসি বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়।
-
ফ্রিকোয়েন্সি: ৫০ হার্জ।
(এ ধরনের বিদ্যুৎ বড় বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে দূরবর্তী অঞ্চলে বিদ্যুৎ পৌঁছাতে ব্যবহার করা হয়।)উৎস: desco.org.b; বিজ্ঞান, অষ্টম শ্রেণি এবং জাতীয় তথ্য বাতায়ন।

0
Updated: 2 weeks ago