মোবাইল টেলিফোনের লাইনের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়-
A
শব্দশক্তি
B
তড়িৎশক্তি
C
আলোকশক্তি
D
চৌম্বকশক্তি
উত্তরের বিবরণ
মোবাইল টেলিফোনে তড়িৎশক্তি প্রবাহ
আমরা যখন মোবাইল ফোনে কথা বলি, তখন আসলে শব্দ সরাসরি প্রেরণ হয় না। বরং শব্দকে বারবার বিদ্যুৎ সিগন্যাল ও রেডিও তরঙ্গে রূপান্তর করে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় পাঠানো হয়। পুরো প্রক্রিয়াটি ধাপে ধাপে এভাবে ঘটে—
শব্দ থেকে বিদ্যুৎ সিগন্যাল
-
আপনার কণ্ঠস্বর মোবাইলের মাইক্রোফোনে পড়ে।
-
মাইক্রোফোন শব্দ তরঙ্গকে প্রথমে অ্যানালগ বিদ্যুৎ সিগন্যালে রূপান্তর করে।
অ্যানালগ থেকে ডিজিটাল
-
ফোনের ভেতরে থাকা ADC (Analog-to-Digital Converter) অ্যানালগ সিগন্যালকে ডিজিটাল সিগন্যালে (০ আর ১ এর কোড) পরিবর্তন করে।
সিগন্যাল প্রসেসিং
-
এই ডিজিটাল সিগন্যালকে হালকা ও নিরাপদ করার জন্য নানা কাজ করা হয়—
-
কম্প্রেশন (ডেটার সাইজ ছোট করা),
-
এনক্রিপশন (তথ্য সুরক্ষা),
-
মান উন্নত করা (নয়েজ কমানো)।
-
৪. রেডিও তরঙ্গে রূপান্তর
-
প্রক্রিয়াকৃত ডিজিটাল সিগন্যাল মোবাইলের ট্রান্সমিটার রেডিও তরঙ্গে (Electromagnetic Wave) পরিণত করে।
-
এই তরঙ্গ নিকটবর্তী মোবাইল টাওয়ারে পৌঁছায়।
নেটওয়ার্কে প্রবাহ
-
টাওয়ার রেডিও তরঙ্গ গ্রহণ করে আবার বিদ্যুৎ সিগন্যালে রূপান্তরিত করে।
-
এরপর এই সিগন্যাল ফাইবার অপটিক কেবল, কপার কেবল বা মাইক্রোওয়েভ লিংক এর মাধ্যমে টেলিকম নেটওয়ার্কে প্রবাহিত হয়।
-
নেটওয়ার্কের মধ্যে MSC (Mobile Switching Center) সিগন্যালের রাউটিং ও প্রসেসিং করে।
প্রাপকের কাছে পৌঁছানো
-
প্রাপকের কাছাকাছি টাওয়ার আবার রেডিও তরঙ্গ আকারে সিগন্যাল পাঠায়।
-
প্রাপকের মোবাইল রেডিও তরঙ্গ গ্রহণ করে সেটিকে বিদ্যুৎ সিগন্যালে রূপান্তরিত করে।
-
এরপর DAC (Digital-to-Analog Converter) সিগন্যালকে অ্যানালগে ফেরত দেয়।
-
মোবাইলের স্পিকার এই অ্যানালগ সিগন্যালকে আবার শব্দে রূপান্তরিত করে।
রূপান্তর চক্র
শব্দ → তড়িৎ → ডিজিটাল → রেডিও তরঙ্গ → তড়িৎ → রেডিও তরঙ্গ → তড়িৎ → শব্দ
অতএব, যদিও ওয়্যারলেসে রেডিও তরঙ্গ ব্যবহৃত হয়, কিন্তু নেটওয়ার্কের ভেতরে বিদ্যুৎ সিগন্যালই মূল বাহক হিসেবে কাজ করে।
উৎসঃ Khan Academy – How cell phones work.

0
Updated: 1 month ago
বায়ুমণ্ডলের কোন স্তরে বজ্রপাত ঘটে?
Created: 1 month ago
A
ট্রপোমণ্ডল (Troposphere)
B
স্ট্রাটোমণ্ডল (Stratosphere)
C
মেসোমণ্ডল (Mesosphere)
D
তাপমণ্ডল (Troposphere)
ট্রপোস্ফিয়ার এবং এর বৈশিষ্ট্য
বায়ুমণ্ডলের সবচেয়ে নিচের স্তরকে ট্রপোস্ফিয়ার বলা হয়। এখানে তাপীয় মিশ্রণ মুক্তভাবে ঘটে এবং দৈনন্দিন আবহাওয়ার সব ধরনের পরিবর্তন যেমন ঝড়, বৃষ্টি, শিলাবৃষ্টি এবং বজ্রপাতও ঘটে।
-
শব্দের উৎস: ট্রপোস্ফিয়ার নামটি গ্রিক শব্দ “ট্রপো (Tropo)” থেকে এসেছে, যার অর্থ হলো “পরিবর্তন”।
-
গঠন: এই স্তরে প্রায় ৭৮% নাইট্রোজেন, ২১% অক্সিজেন এবং ১% আর্গন, জলীয় বাষ্প ও কার্বন ডাই অক্সাইড থাকে।
-
উর্ধ্বসীমা: ট্রপোস্ফিয়ারের উপরের সীমাকে ট্রপোপজ বলা হয়। এই স্তরে বায়ুর উষ্ণতা প্রায় একরকম থাকে, তাই এটিকে সমতাপ অঞ্চলও বলা হয়।
উৎস: ভূগোল ও পরিবেশ, নবম-দশম শ্রেণি

0
Updated: 1 month ago
HCl (aq) + NaOH (aq) → NaCl (aq) + H2O (l) কোন ধরণের বিক্রিয়া?
Created: 1 month ago
A
বিয়োজন বিক্রিয়া
B
দহন বিক্রিয়া
C
পানি যোজন বিক্রিয়া
D
প্রশমন বিক্রিয়া
রাসায়নিক বিক্রিয়ার প্রকারভেদ
1️⃣ প্রশমন বিক্রিয়া (Neutralization Reaction)
-
সংজ্ঞা: এসিড এবং ক্ষার দ্রবণ মিশলে রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটে, যার ফলে লবণ ও পানি উৎপন্ন হয়।
-
প্রক্রিয়া:
-
এসিড জলীয় দ্রবণে হাইড্রোজেন আয়ন (H⁺) প্রদান করে।
-
ক্ষার জলীয় দ্রবণে হাইড্রোক্সিল আয়ন (OH⁻) প্রদান করে।
-
H⁺ এবং OH⁻ যুক্ত হয়ে পানি (H₂O) তৈরি করে।
-
-
উদাহরণ:
2️⃣ পানি যোজন বিক্রিয়া (Hydration Reaction)
-
সংজ্ঞা: আয়নিক যৌগের কেলাস গঠনের সময় এক বা একাধিক পানির অণু সংযুক্ত হওয়া।
-
পানি কেলাস: কেলাসে যুক্ত থাকা পানি।
3️⃣ বিয়োজন বিক্রিয়া (Decomposition Reaction)
-
সংজ্ঞা: সংযোজন বিক্রিয়ার বিপরীত।
-
প্রক্রিয়া: যৌগের অণু ভেঙ্গে এক বা একাধিক মৌল বা যৌগে পরিণত হয়।
-
উদাহরণ:
4️⃣ দহন বিক্রিয়া (Combustion Reaction)
-
সংজ্ঞা: কোনো মৌল বা যৌগকে বায়ুর অক্সিজেনের সঙ্গে জ্বালিয়ে, তা অক্সাইডে রূপান্তরিত করা।
-
উদাহরণ:
উৎস: রসায়ন প্রথম পত্র, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 1 month ago
বজ্রবৃষ্টির ফলে মাটিতে উদ্ভিদের কোন খাদ্য উপাদান বৃদ্ধি পায়?
Created: 4 weeks ago
A
নাইট্রোজেন
B
পটাশিয়াম
C
অক্সিজেন
D
ফসফরাস
উদ্ভিদের জন্য নাইট্রোজেন একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান, যা তাদের বৃদ্ধি ও সবুজায়নের জন্য অপরিহার্য। যদিও বায়ুমণ্ডলে নাইট্রোজেনের পরিমাণ শতকরা প্রায় ৮০ ভাগ, উদ্ভিদ সরাসরি এটিকে গ্রহণ করতে পারে না।
তারা মাটিতে থাকা নাইট্রোজেনের আয়নিত আকার থেকে প্রয়োজনীয় উপাদান সংগ্রহ করে। বিশ্বব্যাপী ব্যবহৃত নাইট্রোজেন সারের মধ্যে ইউরিয়া অন্যতম প্রধান এবং বহুল ব্যবহৃত সার।
-
মাটিতে নাইট্রোজেনের প্রধান উৎস হলো নাইট্রোজেন লবণ।
-
উদ্ভিদ মাটি থেকে আয়নিত অবস্থায় নাইট্রোজেন শোষণ করে।
-
বজ্রপাত একটি প্রাকৃতিক এবং শক্তিশালী সার প্রদানকারী এজেন্ট। প্রতিবার বজ্রপাত ঘটলে, বায়ুমণ্ডলের নাইট্রোজেন হাইড্রোজেন বা অক্সিজেনের সঙ্গে মিলিত হয়ে অ্যামোনিয়াম ও নাইট্রেট তৈরি করে।
-
এই নাইট্রোজেন বৃষ্টির মাধ্যমে মাটিতে ধুয়ে যায়, যেখানে গাছপালা এটি শোষণ করে এবং বৃদ্ধির জন্য ব্যবহার করে।
-
যেহেতু নাইট্রোজেন ক্লোরোফিলের মূল উপাদান, এটি গাছের সবুজায়নে সরাসরি ভূমিকা রাখে।
-
বায়ুমণ্ডলীয় নাইট্রোজেনের এই প্রক্রিয়া উদ্ভিদের জন্য প্রাকৃতিক সার হিসেবে কাজ করে, যা তাদের স্বাস্থ্যকর বৃদ্ধি ও সবুজ পাতা তৈরি করতে সহায়তা করে।

0
Updated: 4 weeks ago