বাংলাদেশের অর্থনীতির খাতসংখ্যা
বর্তমানে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (BBS) অনুযায়ী দেশের অর্থনীতি মোট ১৯টি খাতে ভাগ করা হয়েছে।
তবে পুরনো ভিত্তি (২০০৫-০৬) অনুযায়ী, জিডিপি (GDP) হিসাব করতে ১৫টি প্রধান খাত ধরা হতো।
যেহেতু প্রশ্নটি পুরনো ভিত্তির উপর করা হয়েছে, তাই সঠিক উত্তর হবে: ১৫টি খাত।
জাতীয় আয় কিভাবে হিসাব করা হয়
-
বাংলাদেশে জাতীয় আয় নির্ধারণের কাজ করে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (BBS)।
-
তারা প্রতিবছর চলতি বাজার মূল্য ও স্থির মূল্যে জিনিসপত্র ও সেবার দাম হিসাব করে।
-
এই হিসাব করার জন্য তারা বিভিন্ন উৎস থেকে তথ্য সংগ্রহ করে থাকে।
-
GDP (মোট দেশজ উৎপাদন) ও GNI (মোট জাতীয় আয়) নির্ধারণে সাধারণত উৎপাদন পদ্ধতি ও ব্যয় পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়।
GDP নির্ধারণে বিবিএস যে ১৯টি খাত ব্যবহার করে:
১. কৃষি, বনজ ও মৎস্য (৪টি উপখাত)
২. খনিজ ও খনন (যেমন: গ্যাস, তেল) (২টি উপখাত)
৩. উৎপাদন/ম্যানুফ্যাকচারিং (৩টি উপখাত)
৪. বিদ্যুৎ, গ্যাস, বাষ্প ও শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ (২টি উপখাত)
৫. পানি সরবরাহ, পয়নিষ্কাশন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও পুনর্ব্যবহার
৬. নির্মাণ
৭. পাইকারি ও খুচরা বাণিজ্য, যানবাহন মেরামত
৮. পরিবহন ও সংরক্ষণ (৫টি উপখাত)
৯. আবাসন ও খাদ্য পরিবেশন
১০. তথ্য ও যোগাযোগ
১১. আর্থিক ও বীমা কার্যক্রম (৩টি উপখাত)
১২. রিয়েল এস্টেট কার্যক্রম
১৩. পেশাগত, বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত কার্যক্রম
১৪. প্রশাসনিক ও সহায়ক সেবা
১৫. জনপ্রশাসন ও প্রতিরক্ষা
১৬. শিক্ষা
১৭. স্বাস্থ্য ও সামাজিক সেবা
১৮. শিল্পকলা ও বিনোদন
১৯. অন্যান্য সেবা কার্যক্রম
তথ্যসূত্র: বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (BBS)