A
ইস্কান্দার মির্জা
B
খাজা নাজিমউদ্দীন
C
গোলাম মোহাম্মদ
D
মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ
উত্তরের বিবরণ
পাকিস্তানে সর্বপ্রথম সামরিক শাসন
-
প্রথম সামরিক শাসনকারী: জেনারেল ইস্কান্দার মির্জা।
-
প্রেক্ষাপট: পাকিস্তানের শাসন ব্যবস্থায় স্বৈরতান্ত্রিক ও আমলাতান্ত্রিক প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়।
-
প্রেসিডেন্ট মনোনয়ন: ১৯৫৬ সালের ২৩ মার্চ, ইসলামি প্রজাতন্ত্র পাকিস্তানের প্রথম প্রেসিডেন্ট হিসেবে মনোনীত হন।
-
প্রথম সামরিক শাসন: ১৯৫৮ সালের ৭ অক্টোবর, সংসদীয় সরকার উৎখাত করে দেশজুড়ে সামরিক শাসন জারি।
-
সেনাপ্রধান আইয়ুব খানকে প্রধান সামরিক শাসক নিযুক্ত করা হয়।
-
সংবিধান বাতিল, আইন পরিষদ ও মন্ত্রীসভা ভেঙ্গে দেওয়া হয়।
-
মেজর জেনারেল ওমরাও খান পূর্ব বাংলার সামরিক প্রশাসক নিযুক্ত হন।
-
-
পদচ্যুতি ও ক্ষমতা দখল: ২৭ অক্টোবর, ২১ দিনের মধ্যে আইয়ুব খান ইস্কান্দার মির্জাকে পদচ্যুত করে নিজেকে প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করেন।
তথ্যসূত্র: ইতিহাস ১ম পত্র, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 5 days ago
পাকিস্তানের প্রথম শাসনতন্ত্র গৃহীত ও প্রবর্তিত হয় কত সালে?
Created: 5 days ago
A
১৯৫৩ সালে
B
১৯৫৪ সালে
C
১৯৫৫ সালে
D
১৯৫৬ সালে
বাংলাদেশ বিষয়াবলি
পাকিস্তান
ভাষা আন্দোলন
মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গ্রন্থ
মুক্তিযুদ্ধে সাত বীরশ্রেষ্ঠ
সেক্টর ও সেক্টর কমান্ডারগণ
No subjects available.
পাকিস্তানের ১৯৫৬ সালের শাসনতন্ত্র
-
পাকিস্তান সৃষ্টির দীর্ঘ ৯ বছর পর শাসনতন্ত্র বিশেষজ্ঞগণ প্রথম শাসনতন্ত্র প্রণয়ন করেন।
-
১৯৫৬ সালের ২৩ মার্চ পাকিস্তানের প্রথম শাসনতন্ত্র গৃহীত ও প্রবর্তিত হয়।
-
এটি ছিল পাকিস্তানের প্রথম শাসনতন্ত্র।
-
১৯৫৬ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি গণপরিষদ পাকিস্তানে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ধরনের শাসনতন্ত্র গ্রহণ করে।
-
১৯৫৬ সালের ২ মার্চ গভর্নর জেনারেল ইস্কান্দার মির্জা শাসনতন্ত্র বিলে সম্মতি দেন।
-
মোট ১০৫ পৃষ্ঠার এ শাসনতন্ত্রে একটি প্রস্তাবনা, ১৩টি অংশ, ২৩৪টি বিধি এবং ৬টি তালিকা অন্তর্ভুক্ত ছিল।
-
এতে যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা ছাড়াও প্রাদেশিক শাসনব্যবস্থার উল্লেখ ছিল।
তথ্যসূত্র: বাংলাদেশের রাজনৈতিক উন্নয়ন, এসএসএইচএল, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 5 days ago
’র্যাডক্লিফ লাইন’ কোন দুটি দেশের মধ্যে অবস্থিত?
Created: 6 days ago
A
ভারত ও পাকিস্তান
B
চীন ও ভারত
C
পাকিস্তান ও আফগানিস্তান
D
ভারত ও নেপাল
র্যাডক্লিফ লাইন
-
র্যাডক্লিফ লাইন দুটি নতুন আধিপত্যের মধ্যে সীমানা চিহ্নিত করেছে।
-
লাইনটির নামকরণ করা হয়েছে সীমানা কমিশনের চেয়ারম্যান স্যার সিরিল র্যাডক্লিফের নামে।
-
এটি ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বিভাজন নির্দেশ করে।
-
অন্যভাবে, র্যাডক্লিফ লাইন হলো ভারত ও পাকিস্তানের সীমারেখা।
আন্তর্জাতিক সীমারেখা
-
ম্যাকমোহন লাইন: ভারত ও চীন
-
র্যাডক্লিফ লাইন: ভারত ও পাকিস্তান
-
ডুরান্ড লাইন: পাকিস্তান ও আফগানিস্তান
-
লাইন অব অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল (LAC): ভারত ও চীন
-
লাইন অব কন্ট্রোল (LoC): ভারত ও পাকিস্তান
উৎস: ওয়ার্ল্ড এটলাস

0
Updated: 6 days ago
মুক্তিযুদ্ধের সময়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে পাকিস্তানকে আত্মসমর্পণ ও নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রস্তাব উত্থাপন করেছিল কোন দেশ?
Created: 5 days ago
A
জার্মানি
B
বেলজিয়াম
C
ভারত
D
পোল্যান্ড
বাংলাদেশ বিষয়াবলি
জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা
পাকিস্তান
বাংলাদেশ বিষয়াবলী
মুক্তিযুদ্ধের রণকৌশল
যুক্তফ্রন্ট
No subjects available.
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে পাকিস্তানকে আত্মসমর্পণের প্রস্তাব (ডিসেম্বর ১৯৭১)
-
৩ ডিসেম্বর পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ সক্রিয় হয়ে ওঠে।
-
যুদ্ধ থামাতে এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার অগ্রগতি রোধ করতে পাকিস্তানের সঙ্গে দ্রুত পদক্ষেপ নেয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীন।
-
১৫ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে পোল্যান্ড জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে একটি প্রস্তাব উত্থাপন করে, যাতে পাকিস্তানকে আত্মসমর্পণ করতে এবং নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে বলা হয়।
-
প্রস্তাবের খসড়া উপস্থাপন করেন পোলিশ কূটনীতিক আইভান কুলাগা।
-
প্রস্তাবে উভয় পক্ষকে ৭২ ঘণ্টার জন্য যুদ্ধবিরতি বজায় রাখতে বলা হয় এবং পূর্ব পাকিস্তানের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শুরু করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
পোল্যান্ডের প্রস্তাবের মূল পয়েন্টসমূহ
-
ক্ষমতা শান্তিপূর্ণভাবে ১৯৭০ সালের নির্বাচিত জনগণপ্রতিনিধিদের কাছে হস্তান্তর করতে হবে।
-
ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার সাথে সাথে সব এলাকায় সামরিক অভিযান বন্ধ হবে এবং ৭২ ঘণ্টার জন্য প্রাথমিক যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে।
-
যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার সাথে সাথেই পাকিস্তানি সশস্ত্র বাহিনী পূর্ব সংঘাতের স্থান থেকে সৈন্য প্রত্যাহার শুরু করবে।
-
পশ্চিম পাকিস্তান ও পূর্ব পাকিস্তানের সকল বেসামরিক কর্মী এবং অন্য যে কেউ দেশে ফিরে যেতে চায়, তারা জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে নিরাপদভাবে যাত্রা করতে পারবে; সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করবে যে কেউ নির্যাতনের শিকার হবে না।
-
৭২ ঘন্টার মধ্যে সৈন্য প্রত্যাহার শুরু হলে স্থায়ী যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে; ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী পূর্ব পাকিস্তান থেকে প্রত্যাহার করবে।
-
শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে প্রাপ্ত ভূখণ্ড কোনো পক্ষ ধরে রাখতে পারবে না; ভারত ও পাকিস্তান উভয় সরকার অবিলম্বে তাদের প্রতিনিধির মাধ্যমে আলোচনার সূচনা করবে।
তথ্যসূত্র: জাতিসংঘ ওয়েবসাইট ও সংবাদপত্রের রিপোর্ট।

0
Updated: 5 days ago