সিপাহী বিদ্রোহ প্রথম ঘোষণা করেন কে?
A
জোয়ান বকশ খান
B
বাহাদুর শাহ জাফর
C
মঙ্গল পাণ্ডে
D
নানা সাহেব
উত্তরের বিবরণ
সিপাহী বিদ্রোহ:
-
১৮৫৭ সালের ২৯ মার্চ বিকেল, ব্রিটিশ ভারতের দেশীয় সেনাদের প্রশিক্ষণ চলছিল ব্যারাকপুর সেনানিবাসে।
-
প্রশিক্ষণে ব্যবহার করা হচ্ছিল ‘বিতর্কিত’ এনফিল্ড রাইফেল।
-
এক সিপাহী চর্বিযুক্ত কার্তুজ ব্যবহারে অস্বীকৃতি জানান।
-
তাকে গ্রেপ্তার করার চেষ্টা করলে তিনি বিক্ষুব্ধ হয়ে ইংরেজ অফিসারকে গুলি করেন।
-
সেই সিপাহির নাম ছিল মঙ্গল পাণ্ডে।
-
লেফটেন্যান্ট বফকে গুলি করার সময় কিছু সৈনিক তাকে আটকানোর চেষ্টা করলেও বাকিরা মঙ্গল পাণ্ডের পক্ষ নেন।
-
১৮৫৭ সালের ২৯ মার্চ, ব্যারাকপুরে মঙ্গল পাণ্ডে প্রকাশ্যে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন।
-
তাঁকে এবং তাঁর সঙ্গীদের প্রাণদণ্ডে দণ্ডিত করে বিদ্রোহ দমন করার চেষ্টা করা হয়।
উৎস: ইতিহাস, এসএসএল, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 1 month ago
সিপাহী বিদ্রোহ কোথায় প্রথম শুরু হয়েছিল?
Created: 3 weeks ago
A
কানপুর
B
ব্যারাকপুর
C
দিল্লি
D
মিরাট
সিপাহী বিদ্রোহ ভারতীয়দের প্রথম জাতীয় সংগ্রাম বা ‘স্বাধীনতা লড়াই’ হিসেবে পরিচিত, যা ব্রিটিশ শাসন অবসানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ আন্দোলন হিসেবে ইতিহাসে রেকর্ড আছে। এই বিদ্রোহের বিস্তারিত তথ্যগুলো নিম্নরূপ:
-
১৮৫৭ সালের ২৯ মার্চ ব্যারাকপুরের সেনানিবাসে মঙ্গল পান্ডে নামক একজন সিপাহী প্রকাশ্যে বিদ্রোহ শুরু করেন।
-
ক্রমে এই বিদ্রোহ মিরাট, দিল্লি, বেরলী, ফতেহপুর, কানপুর, বুন্দেল খণ্ড, রোহিলা খণ্ড, এলাহাবাদ, অযোধ্যা, কলকাতা, বিহার, চট্টগ্রাম, ঢাকা, যশোর, দিনাজপুর প্রভৃতি অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে।
-
বিদ্রোহীরা মোগল সম্রাট ২য় বাহাদুর শাহকে ভারতের বাদশাহ ও বিদ্রোহের নেতা ঘোষণা করে।
-
নানা সাহেব (মারাঠা নেতা), ঝাঁসির রাণি লক্ষ্মীবাঈ, মৌলভী লিয়াকত আলী, মৌলভী আহম্মদ উল্লাহ প্রমুখ বিদ্রোহে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন।
-
সিপাহীরা জেলখানা ভেঙ্গে কয়েদিদের মুক্তি, খাজাঞ্চিখানা লুঠ এবং সর্বত্র ব্রিটিশদের আক্রমণ করে।
-
এ লড়াই শুধু সিপাহীদের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না; ভারতের হিন্দু-মুসলমান নির্বিশেষে সাধারণ জনগণও সমর্থন ও সহানুভূতি প্রকাশ করে।
এ বিদ্রোহের কারণগুলোকে পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষ এই দুই শ্রেণীতে ভাগ করা যায়:
-
পরোক্ষ কারণ:
-
রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক, ধর্মীয় ও সামরিক অসন্তোষ।
-
-
প্রত্যক্ষ কারণ:
-
১৮৫৬ সালে সেনাবাহিনীতে ‘এনফিল্ড রাইফেল’ প্রচলন।
-
কার্তুজ ব্যবহারের জন্য দাঁতে কেটে ভরা বাধ্যতামূলক করা হতো।
-
গুজব রটে যে কার্তুজে শুকর ও গরুর চর্বি মেশানো আছে।
-
এটি ধর্মনাশের একটি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র হিসেবে ভারতের হিন্দু-মুসলমান সিপাহীদের মধ্যে দারুণ বিক্ষোভের সূত্রপাত করে।
-
উৎস:

0
Updated: 3 weeks ago
কোন ঘটনার পর ব্রিটিশ সরকার সরাসরি ভারতের শাসনভার গ্রহণ করে?
Created: 1 month ago
A
পলাশীর যুদ্ধ
B
বক্সারের যুদ্ধ
C
সিপাহী বিদ্রোহ
D
বঙ্গভঙ্গ
১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহের পর ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনের অবসান ঘটে এবং ১৮৫৮ সালে ব্রিটিশ রাজ সরাসরি ভারতের শাসনভার গ্রহণ করে।
সিপাহী বিদ্রোহ:
-
ব্রিটিশ সরকার ১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহের পর সরাসরি ভারতের শাসনভার গ্রহণ করে।
-
১৮৫৭ সালের ২৯ মার্চ ব্যারাকপুরের সেনানিবাসে ‘মঙ্গল পান্ডে’ নামক একজন সিপাহী প্রকাশ্যে বিদ্রোহ করেন।
-
ক্রমে এই বিদ্রোহ মিরাট, দিল্লি, বেরলী, ফতেহপুর, কানপুর, বুন্দেলখণ্ড, রোহিলা খণ্ড, এলাহাবাদ, অযোধ্যা, কলকাতা, বিহার, চট্টগ্রাম, ঢাকা, যশোর এবং দিনাজপুর প্রভৃতি অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে।
-
বিদ্রোহীরা মোগল সম্রাট ২য় বাহাদুর শাহকে ভারতের বাদশাহ ও বিদ্রোহের নেতা হিসেবে ঘোষণা করেন।
-
মারাঠা নেতা নানা সাহেব, ঝাঁসির রাণি লক্ষ্মীবাঈ, মৌলভী লিয়াকত আলী, মৌলভী আহম্মদ উল্লাহ প্রমুখ বিদ্রোহে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন।
-
সিপাহীরা জেলখানা ভেঙে কয়েদিদের মুক্তি, খাজাঞ্চিখানা লুঠ এবং সর্বত্র ব্রিটিশদের আক্রমণ করেন।
সূত্র:

0
Updated: 1 month ago
সিপাহী বিদ্রোহ কত সালে সংঘটিত হয়?
Created: 3 weeks ago
A
১৭৫৭ সালে
B
১৮৫৭ সালে
C
১৭৮৭ সালে
D
১৮৭৮ সালে
সিপাহী বিদ্রোহ (১৮৫৭)
ঘটনার কাল: ১৮৫৭ সালে
সংজ্ঞা: ব্রিটিশ শাসন অবসানকল্পে ভারতের প্রথম জাতীয় সংগ্রাম বা ‘স্বাধীনতা লড়াই’।
প্রাথমিক ঘটনা:
১৮৫৭ সালের ২৯ মার্চ, ব্যারাকপুরের সেনানিবাসে ‘মঙ্গল পান্ডে’ নামক সিপাহী বিদ্রোহ শুরু করেন।
ধীরে ধীরে বিদ্রোহ মিরাট, দিল্লি, বেরলী, ফতেহপুর, কানপুর, বুন্দেল খণ্ড, রোহিলা খণ্ড, এলাহাবাদ, অযোধ্যা, কলকাতা, বিহার, চট্টগ্রাম, ঢাকা, যশোর ও দিনাজপুরে ছড়িয়ে পড়ে।
প্রধান নেতৃত্ব ও অংশগ্রহণকারীরা:
বিদ্রোহীরা মোগল সম্রাট ২য় বাহাদুর শাহকে ভারতের বাদশাহ ও বিদ্রোহের নেতা ঘোষণা করেন।
প্রধান নেতা: নানা সাহেব (মারাঠা নেতা), ঝাঁসির রাণী লক্ষ্মীবাঈ, মৌলভী লিয়াকত আলী, মৌলভী আহম্মদ উল্লাহ।
সিপাহীরা জেলখানা ভেঙে কয়েদি মুক্তি, খাজাঞ্চি লুঠ এবং ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে আক্রমণ চালায়।
হিন্দু ও মুসলমান সাধারণ জনগণও বিদ্রোহীদের প্রতি সমর্থন ও সহানুভূতি প্রকাশ করে।
কারণ:
পরোক্ষ কারণ:
রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক, ধর্মীয় ও সামরিক অসন্তোষ।
প্রত্যক্ষ কারণ:
১৮৫৬ সালে সেনাবাহিনীতে ‘এনফিল্ড রাইফেল’ চালু করা হয়।
কার্তুজ ব্যবহারের জন্য দাঁতে কেটে ভরা লাগত।
গুজব ছড়ায় যে কার্তুজে শুকর ও গরুর চর্বি রয়েছে।
এটি ধর্মনাশের পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র হিসেবে সিপাহীদের মধ্যে বিশাল বিক্ষোভ সৃষ্টি করে।

0
Updated: 3 weeks ago