A
হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ
B
এ. এম. সয়েম
C
আ. এফ. মোসাদ্দেক
D
খন্দকার মোশতাক আহমদ
No subjects available.
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশের প্রথম সামরিক শাসন
-
ঘটনা: ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারকে নির্মমভাবে হত্যা করার পর খন্দকার মোশতাক আহমদ রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেন।
-
শাসনকাল: প্রায় তিন মাসের জন্য ক্ষমতায় ছিলেন।
-
প্রভাব:
-
মোশতাকের স্বল্পকালীন শাসন বাংলাদেশে রাজনৈতিক ও সামাজিক অস্থিরতা সৃষ্টি করে।
-
মুক্তিযুদ্ধের অর্জনগুলোকে ধ্বংস করার চেষ্টা করা হয় এবং পাকিস্তানের প্রভাব পুনঃপ্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা শুরু হয়।
-
-
সামরিক আইন: ক্ষমতা দখলের মাত্র পাঁচ দিনের মাথায় মোশতাক স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথম সামরিক আইন জারি করেন।
তথ্যসূত্র: বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা, নবম-দশম শ্রেণি

0
Updated: 5 days ago
বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দীন জাহাঙ্গীরের কবর কোন জেলায়?
Created: 1 month ago
A
নাটোর
B
চাঁপাইনবাবগঞ্জ
C
জয়পুরহাট
D
নওগাঁ
বাংলার মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী সাত বীরশ্রেষ্ঠের একজন ক্যাপ্টেন মহিউদ্দীন জাহাঙ্গীর। তাঁর কবর চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ঐতিহাসিক সোনামসজিদ প্রাঙ্গণে অবস্থিত, যেখানে তাঁর বীরত্বগাথা চিরকাল ইতিহাসের পাতায় জ্বলজ্বল করে থাকবে।
তিনি জন্মগ্রহণ করেন ১৯৪৯ সালের ৭ই মার্চ, বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলার রহিমগঞ্জ গ্রামে। তাঁর শিক্ষা জীবন শুরু হয় ১৯৫৩ সালে, পাতারচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।
পরে ১৯৬৪ সালে মুলাদি মাহমুদ জান পাইলট হাইস্কুল থেকে বিজ্ঞান বিভাগে এসএসসি এবং ১৯৬৬ সালে বরিশাল ব্রজমোহন কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেন।
এরপর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিসংখ্যান বিভাগে ভর্তি হন। কিন্তু দেশমাতৃকার টানে ১৯৬৭ সালের ৩ অক্টোবর তিনি ১৫তম শর্ট সার্ভিস কোর্সের মাধ্যমে পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। ১৯৬৮ সালের ২ জুন তিনি ইঞ্জিনিয়ারিং কোরে কমিশন লাভ করেন।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে তিনি ৭ নম্বর সেক্টরের মহদীপুর সাব-সেক্টরের অধীনে অংশগ্রহণ করেন। আরগরারহাট, কানসাট ও শাহপুর অঞ্চলে তাঁর নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা সাফল্যের সাথে অভিযান পরিচালনা করে মুক্তাঞ্চল গড়ে তোলেন।
১৯৭১ সালের ১২ ডিসেম্বর তিনি মুক্তিবাহিনীকে নেতৃত্ব দিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জে আক্রমণ শুরু করেন।
পরবর্তী ১৪ ডিসেম্বর সকালে, অসম সাহসিকতা প্রদর্শনকালে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর স্নাইপার গুলিতে তিনি শহীদ হন। তাঁর শেষ ইচ্ছানুযায়ী, তাঁকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ এলাকায় দাফন করা হয়।
তথ্যসূত্র: মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 month ago
বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমানের পদবি কী ছিল?
Created: 3 months ago
A
সিপাহী
B
ল্যান্সনায়েক
C
লেফটেন্যান্ট
D
ক্যাপ্টেন
বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সামরিক পদক ‘বীরশ্রেষ্ঠ’-এ ভূষিত ৭ জন বীর মুক্তিযোদ্ধার একজন হলেন বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহী হামিদুর রহমান। তাঁর পদবি ছিল ‘সিপাহী’।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদান রাখায় যাঁরা পেয়েছেন 'বীরশ্রেষ্ঠ' খেতাব:
মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য সাহসিকতা ও আত্মত্যাগের জন্য বাংলাদেশের ৭ জন বীর সন্তানকে সর্বোচ্চ সামরিক খেতাব ‘বীরশ্রেষ্ঠ’ প্রদান করা হয়েছে। তাঁরা সবাই শহীদ।
৭ জন বীরশ্রেষ্ঠের নাম ও পদবি:
বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান
-
বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল
-
বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর
-
বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী হামিদুর রহমান
-
বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখ
-
বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ মোহাম্মদ রুহুল আমিন
-
বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ল্যান্স নায়েক মুন্সি আব্দুর রউফ
তথ্যসূত্র: মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 3 months ago
স্বাধীনতা যুদ্ধকালে বাংলাদেশকে কয়টি সেক্টরে ভাগ করা হয়েছিল?
Created: 3 months ago
A
৯ টি
B
১০ টি
C
১১ টি
D
১২ টি
মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর ও সাব-সেক্টরসমূহ
বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে দেশকে সামরিকভাবে পরিচালনার সুবিধার্থে মোট ১১টি সেক্টরে ভাগ করা হয়। এই ১১টি সেক্টরের অধীনে আরও ৬৪টি সাব-সেক্টর গঠন করা হয়।
১ নম্বর সেক্টর গঠিত হয় চট্টগ্রাম অঞ্চল নিয়ে। শুরুতে এই সেক্টরের নেতৃত্বে ছিলেন মেজর জিয়াউর রহমান; পরে এই দায়িত্বে ছিলেন মেজর রফিকুল ইসলাম।
২ নম্বর সেক্টর গঠন করা হয় ঢাকা ও কুমিল্লা অঞ্চল নিয়ে। প্রাথমিকভাবে এর দায়িত্বে ছিলেন মেজর খালেদ মোশাররফ, যার পর নেতৃত্ব দেন মেজর এ.টি.এম. হায়দার।
এছাড়া, নৌবাহিনীর কার্যক্রম পরিচালনার জন্য একটি বিশেষ সেক্টর, ১০ নম্বর সেক্টর, গঠন করা হয়। এই সেক্টরে নিয়মিত কোনো সেক্টর কমান্ডার নিযুক্ত ছিলেন না।
তথ্যসূত্র:
-
বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 3 months ago