২১ দফা কর্মসূচির মুখ্য রচয়িতা ছিলেন কে?
A
আবুল মনসুর আহমদ
B
আবুল কালাম শামসুদ্দিন
C
মাওলানা আতাহার আলী
D
আবুল কাশেম
উত্তরের বিবরণ
যুক্তফ্রন্ট ও ২১ দফা কর্মসূচি
-
গঠন: ১৯৫৩ সালে।
-
নির্বাচনী প্রতীক: নৌকা।
-
ইশতেহার: ২১ দফা কর্মসূচি, মুখ্য রচয়িতা: আবুল মনসুর আহমদ।
-
উদ্দেশ্য: গণমানুষের অধিকার নিশ্চিত করা ও পূর্ব পাকিস্তানের রাজনৈতিক ও সামাজিক উন্নতি।
২১ দফার সংক্ষিপ্ত বিবরণ:
১. বাংলাকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি।
২. বিনা ক্ষতিপূরণে জমিদারি উচ্ছেদ ও ভূমিহীন কৃষকদের মধ্যে জমি বিতরণ।
৩. পাটের ব্যবসায় জাতীয়করণ।
৪. সমবায় কৃষি ব্যবস্থা প্রবর্তন।
৫. পূর্ব পাকিস্তানে লবণ শিল্প প্রতিষ্ঠা।
৬. কারিগর মুহাজিরদের কাজের ব্যবস্থা।
৭. বন্যা ও দুর্ভিক্ষ রোধে খাল খনন ও সেচের ব্যবস্থা।
৮. শিল্প ও খাদ্যে স্বাবলম্বিতা।
৯. অবৈতনিক বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা।
১০. শিক্ষা ব্যবস্থার সংস্কার।
১১. ঢাকা ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়কে স্বায়ত্তশাসিত করা।
১২. শাসন ব্যয় হ্রাস ও মন্ত্রীদের বেতন সীমিত করা।
১৩. দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতি বন্ধের কার্যকর ব্যবস্থা।
১৪. জন নিরাপত্তা আইন ও অর্ডিন্যান্স বাতিল।
১৫. বিচার ও প্রশাসন বিভাগ পৃথকীকরণ।
১৬. মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবন ‘বর্ধমান হাউস’কে বাংলা ভাষা গবেষণাগারে পরিণত।
১৭. শহীদদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে শহীদ মিনার নির্মাণ।
১৮. একুশে ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস ঘোষণা ও সরকারি ছুটি।
১৯. লাহোর প্রস্তাব অনুযায়ী পূর্ব পাকিস্তানের পূর্ণ স্বায়ত্তশাসন।
২০. আইন পরিষদের মেয়াদ বৃদ্ধি না করা।
২১. শূন্য আসন পূরণের জন্য তিন মাসের মধ্যে উপনির্বাচন।
তথ্যসূত্র: ইতিহাস ১ম পত্র, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 1 month ago
নিম্নের কোন আন্দোলনের সাথে 'তমদ্দুন মজলিস' জড়িত?
Created: 3 weeks ago
A
শাসনতন্ত্র আন্দোলন
B
ভাষা আন্দোলন
C
দেশ বিভাগ
D
কোনটি নয়
তমদ্দুন মজলিস পাকিস্তান রাষ্ট্র গঠনের পরপরই ভাষা আন্দোলনের প্রথম সংগঠন হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আবুল কাশেমের নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি ভাষা আন্দোলনের ভিত্তি স্থাপন করে এবং বাংলা ভাষার মর্যাদা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
-
১৯৪৭ সালের ১৫ই সেপ্টেম্বর প্রকাশিত হয় ভাষা আন্দোলনের প্রথম পুস্তিকা 'পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা বাংলা না উর্দু', যেখানে রাষ্ট্রভাষা বাংলা দাবির পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করা হয়।
-
তমদ্দুন মজলিসের উদ্যোগে ১৯৪৭ সালের ডিসেম্বর মাসে গঠিত হয় প্রথম 'রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ', যার আহ্বায়ক হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নূরুল হক ভূইয়া।
-
রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের পাশাপাশি পাকিস্তান গণতান্ত্রিক যুবলীগ, পূর্ববঙ্গ বুদ্ধিজীবী সমাজ, সাংবাদিক সংঘ প্রভৃতি সংগঠনও বিভিন্ন সভা-সমিতিতে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবি উত্থাপন করে।
-
এসব দাবিকেও উপেক্ষা করে ডিসেম্বর মাসে করাচিতে অনুষ্ঠিত শিক্ষা সম্মেলনের ঘোষণাপত্রে উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য সংবিধান সভার কাছে সুপারিশ করা হয়।

0
Updated: 3 weeks ago
মুক্তিযুদ্ধের সময় ফরিদপুর এবং নোয়াখালি কোন সেক্টরের অধীনে ছিল?
Created: 1 week ago
A
২ নং সেক্টর
B
৩ নং সেক্টর
C
৪ নং সেক্টর
D
৬ নং সেক্টর
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় দেশের পুরো ভূখণ্ডকে কয়েকটি সেক্টরে ভাগ করা হয়েছিল, যাতে যুদ্ধ পরিচালনা, সংগঠন ও কৌশলগত পরিকল্পনা সহজ হয়। প্রতিটি সেক্টরের দায়িত্বে ছিলেন একজন সেক্টর কমান্ডার, যিনি নির্দিষ্ট অঞ্চলে মুক্তিযোদ্ধাদের নেতৃত্ব দিতেন। নিচে ২ নং সেক্টর সম্পর্কে বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া হলো—
২ নং সেক্টরের সাধারণ বিবরণ:
১. অঞ্চলভিত্তিক গঠন: ঢাকা, কুমিল্লা, ফরিদপুর এবং নোয়াখালির অংশ নিয়ে গঠিত হয়েছিল ২ নং সেক্টর।
২. বাহিনীর গঠন: এ সেক্টরের বাহিনী গঠিত হয় ৪র্থ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট এবং কুমিল্লা ও নোয়াখালির ইপিআর (East Pakistan Rifles) সদস্যদের নিয়ে।
৩. সদরদপ্তর: এ সেক্টরের সদরদপ্তর ছিল ভারতের আগরতলার দক্ষিণে মেলাঘরে, যা মুক্তিযোদ্ধাদের অন্যতম প্রশিক্ষণ ও সমন্বয় কেন্দ্র ছিল।
৪. সেক্টর কমান্ডার: প্রথমে দায়িত্বে ছিলেন মেজর খালেদ মোশাররফ, পরবর্তীতে দায়িত্ব গ্রহণ করেন মেজর এ.টি.এম. হায়দার।
৫. বাহিনীর শক্তি:
-
নিয়মিত বাহিনীর সদস্য সংখ্যা ছিল প্রায় ৬ হাজার।
-
এ সেক্টরের অধীনে প্রায় ৩৫ হাজার গেরিলা যোদ্ধা যুদ্ধ পরিচালনা করেন।
৬. সাব-সেক্টর সংখ্যা: মোট ৬টি সাব-সেক্টর ছিল, যেগুলো স্থানীয় পর্যায়ে সামরিক অভিযান পরিচালনা করত।
৭. যুদ্ধের ফলাফল: এ সেক্টরের মুক্তিযোদ্ধাদের অভিযানেই কুমিল্লা ও ফেনীর মধ্যবর্তী ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়ক থেকে পাক-বাহিনী সম্পূর্ণভাবে বিতাড়িত হয়, ফলে মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে এই এলাকা মুক্তাঞ্চল হিসেবে পরিচিত ছিল।
অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সেক্টরসমূহ:
-
চট্টগ্রাম: ১ নং সেক্টর
-
ঢাকা: ২ নং সেক্টর
-
রাজশাহী: ৭ নং সেক্টর
-
মুজিবনগর: ৮ নং সেক্টর
-
সুন্দরবন: ৯ নং সেক্টর
সারসংক্ষেপ: ২ নং সেক্টর মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধাঞ্চল, যেখানে খালেদ মোশাররফের নেতৃত্বে একের পর এক সফল অভিযান চালানো হয়। এই সেক্টরের বীর মুক্তিযোদ্ধারা দক্ষিণ-পূর্ব বাংলাদেশের মুক্ত এলাকা গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।

0
Updated: 1 week ago
মুক্তিযুদ্ধের সময় সিপাহী হামিদুর রহমান কোন সেক্টরের অধীনে যুদ্ধ করেন?
Created: 1 month ago
A
১নং সেক্টর
B
২নং সেক্টর
C
৩নং সেক্টর
D
৪নং সেক্টর
বাংলাদেশ বিষয়াবলি
ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী
জনশুমারি ও গৃহ গণনা
ভাষা আন্দোলন
মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গ্রন্থ
মুক্তিযুদ্ধে সাত বীরশ্রেষ্ঠ
সেক্টর ও সেক্টর কমান্ডারগণ
মুক্তিযুদ্ধের বীরশ্রেষ্ঠ ও সংশ্লিষ্ট সেক্টর
বীরশ্রেষ্ঠ | সেক্টর |
---|---|
ল্যান্স নায়েক মুন্সি আব্দুর রউফ | ১নং সেক্টর |
সিপাহী মোস্তফা কামাল | ২নং সেক্টর |
সিপাহী হামিদুর রহমান | ৪নং সেক্টর |
ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর | ৭নং সেক্টর |
ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখ | ৮নং সেক্টর |
ইঞ্জিনরুম আর্টিফিসার রুহুল আমীন | ১০নং সেক্টর |
ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান | কোনো সেক্টরের অধীনে ছিলেন না |
তথ্যসূত্র: বাংলাপিডিয়া এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় অফিসিয়াল ওয়েবসাইট।

0
Updated: 1 month ago