মুক্তিযুদ্ধের সময় ২ নং সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার ছিলেন -
A
মেজর রফিকুল ইসলাম
B
মেজর মীর শওকত আলী
C
মেজর খালেদ মোশাররফ
D
মেজর নাজমুল হক
উত্তরের বিবরণ
মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর ও কমান্ডারগণ
-
১ নং সেক্টর: প্রথমে মেজর জিয়াউর রহমান, পরে মেজর রফিকুল ইসলাম।
-
২ নং সেক্টর: প্রথমে মেজর খালেদ মোশাররফ, পরে মেজর এ.টি.এম হায়দার।
-
৩ নং সেক্টর: প্রথমে মেজর কে.এম শফিউল্লাহ, পরে মেজর এ.এন.এম নূরুজ্জামান।
-
৪ নং সেক্টর: প্রথমে মেজর চিত্তরঞ্জন দত্ত, পরে ক্যাপ্টেন এ রব।
-
৫ নং সেক্টর: মেজর মীর শওকত আলী।
-
৬ নং সেক্টর: উইং কমান্ডার এম. খাদেমুল বাশার।
-
৭ নং সেক্টর: মেজর নাজমুল হক; পরে সুবেদার মেজর এ. রব ও মেজর কাজী নূরুজ্জামান।
-
৮ নং সেক্টর: মেজর আবু ওসমান চৌধুরী; পরে মেজর এম.এ মঞ্জুর।
-
৯ নং সেক্টর: মেজর এম.এ জলিল; পরে মেজর এম.এ মঞ্জুর ও মেজর জয়নাল আবেদীন।
-
১০ নং সেক্টর: নৌ-কমান্ডো বাহিনী নিয়ে গঠিত; নিয়মিত সেক্টর কমান্ডার ছিলেন না।
-
১১ নং সেক্টর: মেজর এম. আবু তাহের; গুরুতর আহত হলে স্কোয়াড্রন লীডার হামিদুল্লাহ দায়িত্ব পান।
তথ্যসূত্র: বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 month ago
কে বীরশ্রেষ্ঠ নন?
Created: 1 month ago
A
হামিদুর রহমান
B
মোস্তফা কামাল
C
মুন্সী আব্দুর রহিম
D
নুর মােহাম্মদ শেখ
বঙ্গবন্ধু সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১৯৭৩ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় অসাধারণ বীরত্ব দেখানো সাতজন মুক্তিযোদ্ধাকে দেশের সর্বোচ্চ বীরত্ব সম্মান ‘বীরশ্রেষ্ঠ’ খেতাব দিয়ে সম্মানিত করা হয়।
এদের মধ্যে:
-
সেনাবাহিনী: ৩ জন
-
নৌবাহিনী: ১ জন
-
বিমান বাহিনী: ১ জন
-
সাবেক ইলেকট্রিক্যাল পুলিশ রেজিমেন্ট (ই. পি. আর.): ২ জন
বীরশ্রেষ্ঠদের নাম ও পদবী:
-
ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর – সেনাবাহিনী
-
সিপাহী মোস্তফা কামাল – সেনাবাহিনী
-
সিপাহী হামিদুর রহমান – সেনাবাহিনী
-
ইঞ্জিনরুম আর্টিফিসার মোহাম্মদ রুহুল আমিন – নৌবাহিনী
-
ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান – বিমান বাহিনী
-
ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখ – সাবেক ই. পি. আর.
-
ল্যান্স নায়েক মুন্সি আব্দুর রউফ – সাবেক ই. পি. আর.
গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
-
উল্লেখ্য, মুন্সী আব্দুর রহিম নামে কোনো বীরশ্রেষ্ঠ ছিলেন না।
সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন

0
Updated: 1 month ago
মুক্তিযুদ্ধের সময় ফরিদপুর এবং নোয়াখালি কোন সেক্টরের অধীনে ছিল?
Created: 1 week ago
A
২ নং সেক্টর
B
৩ নং সেক্টর
C
৪ নং সেক্টর
D
৬ নং সেক্টর
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় দেশের পুরো ভূখণ্ডকে কয়েকটি সেক্টরে ভাগ করা হয়েছিল, যাতে যুদ্ধ পরিচালনা, সংগঠন ও কৌশলগত পরিকল্পনা সহজ হয়। প্রতিটি সেক্টরের দায়িত্বে ছিলেন একজন সেক্টর কমান্ডার, যিনি নির্দিষ্ট অঞ্চলে মুক্তিযোদ্ধাদের নেতৃত্ব দিতেন। নিচে ২ নং সেক্টর সম্পর্কে বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া হলো—
২ নং সেক্টরের সাধারণ বিবরণ:
১. অঞ্চলভিত্তিক গঠন: ঢাকা, কুমিল্লা, ফরিদপুর এবং নোয়াখালির অংশ নিয়ে গঠিত হয়েছিল ২ নং সেক্টর।
২. বাহিনীর গঠন: এ সেক্টরের বাহিনী গঠিত হয় ৪র্থ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট এবং কুমিল্লা ও নোয়াখালির ইপিআর (East Pakistan Rifles) সদস্যদের নিয়ে।
৩. সদরদপ্তর: এ সেক্টরের সদরদপ্তর ছিল ভারতের আগরতলার দক্ষিণে মেলাঘরে, যা মুক্তিযোদ্ধাদের অন্যতম প্রশিক্ষণ ও সমন্বয় কেন্দ্র ছিল।
৪. সেক্টর কমান্ডার: প্রথমে দায়িত্বে ছিলেন মেজর খালেদ মোশাররফ, পরবর্তীতে দায়িত্ব গ্রহণ করেন মেজর এ.টি.এম. হায়দার।
৫. বাহিনীর শক্তি:
-
নিয়মিত বাহিনীর সদস্য সংখ্যা ছিল প্রায় ৬ হাজার।
-
এ সেক্টরের অধীনে প্রায় ৩৫ হাজার গেরিলা যোদ্ধা যুদ্ধ পরিচালনা করেন।
৬. সাব-সেক্টর সংখ্যা: মোট ৬টি সাব-সেক্টর ছিল, যেগুলো স্থানীয় পর্যায়ে সামরিক অভিযান পরিচালনা করত।
৭. যুদ্ধের ফলাফল: এ সেক্টরের মুক্তিযোদ্ধাদের অভিযানেই কুমিল্লা ও ফেনীর মধ্যবর্তী ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়ক থেকে পাক-বাহিনী সম্পূর্ণভাবে বিতাড়িত হয়, ফলে মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে এই এলাকা মুক্তাঞ্চল হিসেবে পরিচিত ছিল।
অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সেক্টরসমূহ:
-
চট্টগ্রাম: ১ নং সেক্টর
-
ঢাকা: ২ নং সেক্টর
-
রাজশাহী: ৭ নং সেক্টর
-
মুজিবনগর: ৮ নং সেক্টর
-
সুন্দরবন: ৯ নং সেক্টর
সারসংক্ষেপ: ২ নং সেক্টর মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধাঞ্চল, যেখানে খালেদ মোশাররফের নেতৃত্বে একের পর এক সফল অভিযান চালানো হয়। এই সেক্টরের বীর মুক্তিযোদ্ধারা দক্ষিণ-পূর্ব বাংলাদেশের মুক্ত এলাকা গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।

0
Updated: 1 week ago
ষষ্ঠ জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ অনুয়ায়ী, দেশে মোট সাক্ষরতার হার কত?
Created: 1 month ago
A
৭৬.৪৪%
B
৭৬.৮৪%
C
৭৪.৬৪%
D
৭৪.৮০%
জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২
-
মোট জনসংখ্যা: ১৬,৯৮,২৮,৯১১ জন
-
জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার: ১.১২%
-
জনসংখ্যার ঘনত্ব: প্রতি বর্গকিলোমিটারে ১,১১৯ জন
-
পুরুষ-নারী অনুপাত: পুরুষ ৯৯.০৮ : নারী ১০০.৯০
-
সাক্ষরতার হার (সর্বমোট): ৭৪.৮০%
-
পুরুষ: ৭৬.৭১%
-
নারী: ৭২.৯৪%
-
সাক্ষরতার হারের ভৌগোলিক বৈচিত্র্য
-
সবচেয়ে বেশি সাক্ষরতার হার (বিভাগ): ঢাকা বিভাগ
-
সবচেয়ে কম সাক্ষরতার হার (বিভাগ): ময়মনসিংহ বিভাগ
-
সবচেয়ে বেশি সাক্ষরতার হার (জেলা): পিরোজপুর জেলা
-
সবচেয়ে কম সাক্ষরতার হার (জেলা): জামালপুর জেলা
উৎস: জনশুমারি ও গৃহগণনা চূড়ান্ত রিপোর্ট ২০২২

0
Updated: 1 month ago