তমদ্দুন মজলিশ প্রতিষ্ঠা করেন কে?
A
অধ্যাপক আবদুল মতিন
B
অধ্যাপক আবুল কাসেম
C
অধ্যাপক আবদুস সালাম
D
অধ্যাপক কামরুদ্দিন মতিন
উত্তরের বিবরণ
ভাষা আন্দোলন
-
১৯৪৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আবুল কাসেম তমদ্দুন মজলিশ প্রতিষ্ঠা করেন।
-
একই বছর, ১৫ সেপ্টেম্বর, সংগঠনটি বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে একটি পুস্তিকা প্রকাশ করে।
-
প্রকাশিত পুস্তিকার নাম ছিল: ‘পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা বাংলা না উর্দু’।
-
তমদ্দুন মজলিশ ছাত্র ও শিক্ষক মহলে বাংলাভাষার গুরুত্ব ও সচেতনতা বৃদ্ধি করতে ভূমিকা রাখে।
-
১৯৪৭ সালের মধ্যেই বহু লেখক বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে সমর্থন জানান।
-
পাকিস্তানের পাবলিক সার্ভিস কমিশনের বিষয়তালিকা থেকে এবং নৌ ও অন্যান্য বিভাগের নিয়োগ পরীক্ষায় বাংলাকে বাদ দেওয়া হয়।
-
গণপরিষদের সরকারি ভাষা হিসেবে ইংরেজি ও উর্দু নির্বাচিত হওয়ায় বাঙালিরা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে।
তথ্যসূত্র: বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 1 month ago
নিচের কোন দেশটি মুক্তিযুদ্ধের সময়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে পাকিস্তানকে আত্মসমর্পণ ও নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রস্তাব উত্থাপন করেছিল?
Created: 1 week ago
A
ভারত
B
সোভিয়েত ইউনিয়ন
C
বেলজিয়াম
D
পোল্যান্ড
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে পাকিস্তানকে আত্মসমর্পণের প্রস্তাব
৩ ডিসেম্বর পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ সক্রিয় হয়ে ওঠে। যুদ্ধ থামানো এবং বাংলাদেশের অভ্যুদয় রোধ করতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীন পাকিস্তানের সঙ্গে কূটনৈতিক তৎপরতা চালায়। ১৯৭১ সালের ১৫ ডিসেম্বর পোল্যান্ড জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে পাকিস্তানকে আত্মসমর্পণ এবং নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রস্তাব উত্থাপন করে। খসড়া প্রস্তাবটি পোলিশ কূটনীতিক আইভান কুলাগা তুলে ধরেন। প্রস্তাবে দুপক্ষকে ৭২ ঘণ্টার জন্য যুদ্ধবিরতি বজায় রাখার আহ্বান জানানো হয় এবং পূর্ব পাকিস্তানের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের নির্দেশ দেওয়া হয়।
-
পোল্যান্ডের উত্থাপিত প্রস্তাবের মূল বিষয়সমূহ:
-
ক্ষমতা শান্তিপূর্ণভাবে ১৯৭০ সালের ডিসেম্বরে আইনত নির্বাচিত জনগণের প্রতিনিধিদের কাছে হস্তান্তর করতে হবে
-
ক্ষমতা হস্তান্তর শুরু হওয়ার পর সামরিক অভিযান বন্ধ করে ৭২ ঘণ্টার জন্য প্রাথমিক যুদ্ধবিরতি শুরু হবে
-
যুদ্ধবিরতি শুরু হলে পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী পূর্ব সংঘাতের স্থান থেকে সৈন্য সরানো শুরু করবে
-
পশ্চিম পাকিস্তানের সকল বেসামরিক কর্মী ও অন্যান্য ব্যক্তি, যারা পূর্ব পাকিস্তান বা পশ্চিম পাকিস্তানে ফিরে যেতে ইচ্ছুক, তাদের জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে নিরাপদে স্থানান্তর নিশ্চিত করা হবে
-
৭২ ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তানি সৈন্য প্রত্যাহার শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যুদ্ধবিরতি স্থায়ী হবে; পূর্ব পাকিস্তান থেকে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী প্রত্যাহার করবে
-
শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে প্রাপ্ত ভূখণ্ড কোনো পক্ষের অধিগ্রহণে স্থায়ী হবে না; ভারত ও পাকিস্তান সরকার অবিলম্বে তাদের সশস্ত্র বাহিনীর মাধ্যমে আলোচনা শুরু করবে
-

0
Updated: 1 week ago
পাল রাজারা প্রায় কত বছর রাজত্ব করেন?
Created: 3 weeks ago
A
পঞ্চাশ বছর
B
একশ বছর
C
দুইশ বছর
D
চারশ বছর
পাল রাজবংশ প্রাচীন বাংলার অন্যতম বিখ্যাত এবং দীর্ঘস্থায়ী রাজবংশ হিসেবে পরিচিত। বাংলায় প্রায় চারশ বছর রাজত্ব করা এই বংশের প্রতিষ্ঠা এবং পতনের বিবরণ নিম্নরূপ:
-
প্রাচীন বাংলার রাজবংশসমূহের মধ্যে পালবংশ বিশেষভাবে বিখ্যাত।
-
পাল রাজারা প্রায় চারশ বছর রাজত্ব করেন।
-
৭৫৬ খ্রিস্টাব্দে রাজা গোপাল বাংলায় পাল রাজবংশের প্রতিষ্ঠা করেন।
-
অরাজকতাপূর্ণ অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় সামন্তরা গোপালকে ক্ষমতায় বসান।
-
রাজা গোপালের প্রতিষ্ঠিত রাজবংশ ইতিহাসে পাল বংশ নামে প্রসিদ্ধ হয়।
-
-
পাল বংশের পতন:
-
রাজা রামপালের মৃত্যুর পর পাল সাম্রাজ্যের পতন শুরু হয়।
-
অল্পদিনের মধ্যেই পাল রাজবংশ বিলুপ্ত হয় এবং চারশ বছরের পাল শাসন সমাপ্ত হয়।
-
পাল বংশের পতনের পর বাংলায় সেন বংশের উত্থান ঘটে।
-
উৎস:

0
Updated: 3 weeks ago
বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনের সংখ্যা কত? [আগস্ট - ২০২৫]
Created: 1 month ago
A
৫০টি
B
৬০টি
C
৪৫টি
D
৩০টি
সংরক্ষিত সংসদীয় আসন – বাংলাদেশ
-
মোট আসন: ৩৫০টি
-
প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত আসন: ৩০০টি
-
নারীর জন্য সংরক্ষিত আসন: ৫০টি
-
নির্বাচন পদ্ধতি:
-
সংরক্ষিত নারী আসনের সাংসদ পরোক্ষভাবে নির্বাচিত হন।
-
নির্বাচিত হন সেই ৩০০ আসনের সাংসদদের ভোটের মাধ্যমে, যারা জাতীয় নির্বাচনে সরাসরি নির্বাচিত হয়েছেন।

0
Updated: 1 month ago