মুক্তিযুদ্ধের সময়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে পাকিস্তানকে আত্মসমর্পণ ও নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রস্তাব উত্থাপন করেছিল কোন দেশ?
A
জার্মানি
B
বেলজিয়াম
C
ভারত
D
পোল্যান্ড
উত্তরের বিবরণ
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে পাকিস্তানকে আত্মসমর্পণের প্রস্তাব (ডিসেম্বর ১৯৭১)
-
৩ ডিসেম্বর পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ সক্রিয় হয়ে ওঠে।
-
যুদ্ধ থামাতে এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার অগ্রগতি রোধ করতে পাকিস্তানের সঙ্গে দ্রুত পদক্ষেপ নেয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীন।
-
১৫ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে পোল্যান্ড জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে একটি প্রস্তাব উত্থাপন করে, যাতে পাকিস্তানকে আত্মসমর্পণ করতে এবং নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে বলা হয়।
-
প্রস্তাবের খসড়া উপস্থাপন করেন পোলিশ কূটনীতিক আইভান কুলাগা।
-
প্রস্তাবে উভয় পক্ষকে ৭২ ঘণ্টার জন্য যুদ্ধবিরতি বজায় রাখতে বলা হয় এবং পূর্ব পাকিস্তানের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শুরু করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
পোল্যান্ডের প্রস্তাবের মূল পয়েন্টসমূহ
-
ক্ষমতা শান্তিপূর্ণভাবে ১৯৭০ সালের নির্বাচিত জনগণপ্রতিনিধিদের কাছে হস্তান্তর করতে হবে।
-
ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার সাথে সাথে সব এলাকায় সামরিক অভিযান বন্ধ হবে এবং ৭২ ঘণ্টার জন্য প্রাথমিক যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে।
-
যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার সাথে সাথেই পাকিস্তানি সশস্ত্র বাহিনী পূর্ব সংঘাতের স্থান থেকে সৈন্য প্রত্যাহার শুরু করবে।
-
পশ্চিম পাকিস্তান ও পূর্ব পাকিস্তানের সকল বেসামরিক কর্মী এবং অন্য যে কেউ দেশে ফিরে যেতে চায়, তারা জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে নিরাপদভাবে যাত্রা করতে পারবে; সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করবে যে কেউ নির্যাতনের শিকার হবে না।
-
৭২ ঘন্টার মধ্যে সৈন্য প্রত্যাহার শুরু হলে স্থায়ী যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে; ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী পূর্ব পাকিস্তান থেকে প্রত্যাহার করবে।
-
শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে প্রাপ্ত ভূখণ্ড কোনো পক্ষ ধরে রাখতে পারবে না; ভারত ও পাকিস্তান উভয় সরকার অবিলম্বে তাদের প্রতিনিধির মাধ্যমে আলোচনার সূচনা করবে।
তথ্যসূত্র: জাতিসংঘ ওয়েবসাইট ও সংবাদপত্রের রিপোর্ট।

0
Updated: 1 month ago
WTO-এর সর্বোচ্চ সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী শাখা কোনটি?
Created: 1 month ago
A
Dispute Settlement Body
B
Ministerial Conference
C
Trade Policy Review Body
D
General Council
WTO Ministerial Conference (মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলন)
-
সংজ্ঞা: WTO-এর সর্বোচ্চ সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী সংস্থা
-
গঠন: সকল সদস্য দেশ দ্বারা গঠিত
-
কার্যাবলী:
-
WTO-এর কার্যকরী বিভাগ হিসেবে কাজ করা
-
General Council-এর অধিবেশনের অন্তর্বর্তী সময়ে কার্য পরিচালনা
-
-
আয়োজনের ফ্রিকোয়েন্সি: প্রতি দুই বছর
-
সর্বশেষ মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলন: ২০২৪, আবুধাবি, সংযুক্ত আরব আমিরাত (MC13)
-
পরবর্তী সম্মেলন: ১৪তম মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলন (MC14), ২৬–২৯ মার্চ, ২০২৬, ইয়াউন্দে, ক্যামেরুন
WTO-এর প্রধান কাজ:
-
উরুগুয়ে রাউন্ড চুক্তির প্রয়োগ ও বাস্তবায়ন
-
বহুপাক্ষিক বাণিজ্য আলোচনার ফোরাম হিসেবে কাজ করা
-
বাণিজ্য সংক্রান্ত বিরোধ নিষ্পত্তি
-
সদস্য দেশগুলোর জাতীয় বাণিজ্য নীতিমালা পর্যবেক্ষণ
-
উন্নয়নশীল দেশসমূহকে কারিগরি সহযোগিতা ও প্রশিক্ষণ প্রদান

0
Updated: 1 month ago
মুক্তিযুদ্ধকালীন কোন সেক্টরে কোনো নিয়মিত সেক্টর কমান্ডার ছিল না?
Created: 3 weeks ago
A
৯ নং সেক্টর
B
১০ নং সেক্টর
C
১১ নং সেক্টর
D
১ নং সেক্টর
মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশকে ১১টি সেক্টরে ভাগ করা হয়েছিল, যার প্রতিটি সেক্টরের একটি করে সেক্টর কমান্ডার ছিলেন। তবে ১০ নং সেক্টর কিছুটা ব্যতিক্রম ছিল।
মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর ও সাব-সেক্টর সম্পর্কিত তথ্য:
-
দেশকে ১১টি সেক্টরে ভাগ করা হয় এবং এই সেক্টরের অধীনে মোট ৬৪টি সাব-সেক্টর গঠন করা হয়।
-
১নং সেক্টর: চট্টগ্রাম অঞ্চলকে নিয়ে গঠন করা হয়।
-
প্রথম সেক্টর প্রধান ছিলেন মেজর জিয়াউর রহমান, পরে দায়িত্ব নেন মেজর রফিকুল ইসলাম।
-
-
২নং সেক্টর: ঢাকা ও কুমিল্লা অঞ্চল নিয়ে গঠন করা হয়।
-
প্রথমে নেতৃত্ব দেন মেজর খালেদ মোশাররফ, পরে দায়িত্ব নেন মেজর এ.টি.এম হায়দার।
-
-
১০নং সেক্টর: নৌসেক্টর হিসেবে গঠিত, এখানে নিয়মিত কোনো সেক্টর কমান্ডার থাকেননি।
উল্লেখযোগ্য:
-
অন্যান্য সেক্টরের প্রতিটি সেক্টরের একটি নির্দিষ্ট কমান্ডার থাকলেও, ১০ নং নৌসেক্টরের জন্য এটি প্রযোজ্য নয়।
-
সেক্টর ও সাব-সেক্টরের এই বিন্যাস মুক্তিযুদ্ধের সাংগঠনিক কাঠামো নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল।

0
Updated: 2 weeks ago
সংবিধান অনুযায়ী মন্ত্রিসভার সর্বোচ্চ কত শতাংশ টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী হতে পারেন?
Created: 3 weeks ago
A
৫ শতাংশ
B
১০ শতাংশ
C
৮ শতাংশ
D
২০ শতাংশ
টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী
সংজ্ঞা
-
যারা সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার যোগ্য কিন্তু সরাসরি নির্বাচিত নন, তাদের মধ্য থেকে নিয়োগপ্রাপ্ত মন্ত্রীরা টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী নামে পরিচিত।
সাংবিধানিক বিধান
-
সংবিধানের ৫৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী:
-
মন্ত্রিপরিষদের অন্তত ৯০% সদস্যকে জাতীয় সংসদ সদস্যদের মধ্য থেকে নিয়োগ দিতে হবে।
-
সর্বোচ্চ ১০% সদস্য সংসদ-সদস্য নন এমন ব্যক্তিদের মধ্য থেকে নিয়োগ দেওয়া যাবে। এদেরকেই টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী বলা হয়।
-
অতিরিক্ত তথ্য
-
প্রধানমন্ত্রী Rules of Business অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা পদেও যোগ্য ব্যক্তিদের নিয়োগ দিতে পারেন।

0
Updated: 2 weeks ago