A
১ দফা
B
৬ দফা
C
১১ দফা
D
২১ দফা
No subjects available.
উত্তরের বিবরণ
যুক্তফ্রন্ট
-
১৯৫৩ সালের ১৪ নভেম্বর ময়মনসিংহে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের ঐতিহাসিক কাউন্সিল সম্মেলনে যুক্তফ্রন্ট গঠনের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়।
-
পরবর্তীতে মাওলানা আতাহার আলীর নেজামে ইসলাম ও হাজী মোহাম্মদ দানেশের গণতন্ত্রী দল যুক্তফ্রন্টে যোগ দেয়।
-
যুক্তফ্রন্টের নির্বাচনী প্রতীক ছিল নৌকা।
-
তারা ২১ দফা নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করে, যার প্রণয়নে আবুল মনসুর আহমেদ মুখ্য ভূমিকা পালন করেন।
-
নির্বাচনে মোট আসন ছিল ৩০৯টি।
-
যুক্তফ্রন্ট ২২৩টি আসনে জয়লাভ করে।
-
নির্বাচনের ফলে গঠিত যুক্তফ্রন্ট মন্ত্রিসভার মুখ্যমন্ত্রী হন শেরে বাংলা এ. কে. ফজলুল হক।
তথ্যসূত্র: স্বাধীনতা যুদ্ধের দলিলপত্র (প্রথম খণ্ড) এবং বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা (নবম-দশম শ্রেণি)

0
Updated: 5 days ago
মুক্তিযুদ্ধের সময়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে পাকিস্তানকে আত্মসমর্পণ ও নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রস্তাব উত্থাপন করেছিল কোন দেশ?
Created: 5 days ago
A
জার্মানি
B
বেলজিয়াম
C
ভারত
D
পোল্যান্ড
বাংলাদেশ বিষয়াবলি
জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা
পাকিস্তান
বাংলাদেশ বিষয়াবলী
মুক্তিযুদ্ধের রণকৌশল
যুক্তফ্রন্ট
No subjects available.
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে পাকিস্তানকে আত্মসমর্পণের প্রস্তাব (ডিসেম্বর ১৯৭১)
-
৩ ডিসেম্বর পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ সক্রিয় হয়ে ওঠে।
-
যুদ্ধ থামাতে এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার অগ্রগতি রোধ করতে পাকিস্তানের সঙ্গে দ্রুত পদক্ষেপ নেয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীন।
-
১৫ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে পোল্যান্ড জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে একটি প্রস্তাব উত্থাপন করে, যাতে পাকিস্তানকে আত্মসমর্পণ করতে এবং নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে বলা হয়।
-
প্রস্তাবের খসড়া উপস্থাপন করেন পোলিশ কূটনীতিক আইভান কুলাগা।
-
প্রস্তাবে উভয় পক্ষকে ৭২ ঘণ্টার জন্য যুদ্ধবিরতি বজায় রাখতে বলা হয় এবং পূর্ব পাকিস্তানের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শুরু করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
পোল্যান্ডের প্রস্তাবের মূল পয়েন্টসমূহ
-
ক্ষমতা শান্তিপূর্ণভাবে ১৯৭০ সালের নির্বাচিত জনগণপ্রতিনিধিদের কাছে হস্তান্তর করতে হবে।
-
ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার সাথে সাথে সব এলাকায় সামরিক অভিযান বন্ধ হবে এবং ৭২ ঘণ্টার জন্য প্রাথমিক যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে।
-
যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার সাথে সাথেই পাকিস্তানি সশস্ত্র বাহিনী পূর্ব সংঘাতের স্থান থেকে সৈন্য প্রত্যাহার শুরু করবে।
-
পশ্চিম পাকিস্তান ও পূর্ব পাকিস্তানের সকল বেসামরিক কর্মী এবং অন্য যে কেউ দেশে ফিরে যেতে চায়, তারা জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে নিরাপদভাবে যাত্রা করতে পারবে; সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করবে যে কেউ নির্যাতনের শিকার হবে না।
-
৭২ ঘন্টার মধ্যে সৈন্য প্রত্যাহার শুরু হলে স্থায়ী যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে; ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী পূর্ব পাকিস্তান থেকে প্রত্যাহার করবে।
-
শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে প্রাপ্ত ভূখণ্ড কোনো পক্ষ ধরে রাখতে পারবে না; ভারত ও পাকিস্তান উভয় সরকার অবিলম্বে তাদের প্রতিনিধির মাধ্যমে আলোচনার সূচনা করবে।
তথ্যসূত্র: জাতিসংঘ ওয়েবসাইট ও সংবাদপত্রের রিপোর্ট।

0
Updated: 5 days ago
নব্বইয়ের স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে জড়িত ছিলেন কে?
Created: 5 days ago
A
রফিক
B
নূর হোসেন
C
শামসুজ্জোহা
D
আসাদ
বাংলাদেশ বিষয়াবলি
ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী
জনশুমারি ও গৃহ গণনা
ভাষা আন্দোলন
মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গ্রন্থ
মুক্তিযুদ্ধে সাত বীরশ্রেষ্ঠ
সেক্টর ও সেক্টর কমান্ডারগণ
No subjects available.
নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন
-
১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ সামরিক অভ্যুত্থারের মাধ্যমে সেনাপ্রধান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ক্ষমতা দখল করে স্বৈরশাসন প্রতিষ্ঠা করেন।
-
এরশাদের ক্ষমতা দখলের পর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন শুরু হয় প্রধানত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।
-
টানা ৯ বছর চলা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে গড়ে ওঠে সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য, যা স্বৈরশাসক এরশাদের পতনের মূল শক্তি হিসেবে কাজ করে।
-
১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর অবশেষে এরশাদ ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন।
-
আন্দোলনের সময়ে গণতান্ত্রিক অধিকারের দাবিতে রাস্তায় নামা তরুণ নুর হোসেন পুলিশের গুলিতে শহিদ হন।
-
নুর হোসেন শহিদের মৃত্যু হয় ১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর।
তথ্যসূত্র: বিবিসি বাংলা।

0
Updated: 5 days ago
ভাষা আন্দোলনের প্রথম সংগঠন কোনটি?
Created: 5 days ago
A
রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ
B
ছাত্রলীগ
C
তমদ্দুন মজলিশ
D
রাষ্ট্রভাষা বাংলা কমিটি
বাংলাদেশ বিষয়াবলি
জনশুমারি ও গৃহ গণনা
বাংলা উপন্যাস
বাংলাদেশ জাতীয় আর্কাইভ
বাংলাদেশের জনসংখ্যা ও উপজাতি
ভাষা আন্দোলন
No subjects available.
ভাষা আন্দোলন
-
প্রথম সংগঠন:
-
ভাষা আন্দোলনের প্রথম সংগঠন ছিল তমদ্দুন মজলিশ।
-
এটি ছিল ইসলামী আদর্শভিত্তিক একটি সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংগঠন।
-
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আবুল কাশেমের উদ্যোগে ১৯৪৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর প্রতিষ্ঠিত হয় এবং এর নামকরণ করা হয় পাকিস্তান তমদ্দুন মজলিশ।
-
-
প্রাসঙ্গিক ইতিহাস:
-
ভাষা আন্দোলন মূলত ছিল বাঙালি সংস্কৃতির স্বাধিকার আন্দোলন।
-
১৯০৬ সালে নিখিল ভারত মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠার সময় প্রথম উর্দু বনাম বাংলা বিতর্ক দেখা দেয়।
-
১৯৩৭ সালে মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ মুসলিম লীগের দাপ্তরিক ভাষা উর্দু করার প্রস্তাব দিলে, শেরে বাংলা এ. কে. ফজলুল হক এর প্রবল বিরোধিতা করেন।
-
ভাষা আন্দোলনের প্রথম পুস্তিকা প্রকাশ করেছিল তমদ্দুন মজলিশ।
-
-
গুরুত্ব:
-
বাঙালির মুক্তি সংগ্রামের প্রথম ধাপ ছিল ভাষা আন্দোলন।
-
এই আন্দোলনের মধ্য দিয়েই বাঙালি জাতীয়তাবোধের উন্মেষ ও বিকাশ ঘটে।
-
ভাষা আন্দোলনের সূচনা হয় ১৯৪৭ সালে এবং এটি চূড়ান্ত রূপ লাভ করে ১৯৫২ সালে।
-
📖 তথ্যসূত্র:
বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়, নবম-দশম শ্রেণি; বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 5 days ago