A
হৃদযন্ত্রে
B
বৃক্কে
C
ফুসফুসে
D
প্লীহাতে
উত্তরের বিবরণ
লোহিত রক্তকণিকা (Red Blood Cells - RBC)
-
মানুষের লোহিত রক্তকণিকা ডিম্বাকৃতি বা দু-অবতল চাকতির মতো দেখতে হয়।
-
এদের লাল রঙ হিমোগ্লোবিন নামক রঞ্জক পদার্থের কারণে, যা অক্সিজেন পরিবহনে বিশেষ ভূমিকা রাখে। তাই এদেরকে সাধারণত Red Blood Cell (RBC) বলা হয়।
-
আসলে, লোহিত রক্তকণিকা হলো হিমোগ্লোবিন ভর্তি চ্যাপ্টা ব্যাগের মতো। এই চ্যাপ্টা আকৃতির কারণে এটি সহজেই বেশি অক্সিজেন বহন করতে পারে।
-
লোহিত কণিকা বিভাজন করতে পারে না। এগুলো সবসময় অস্থিমজ্জা (Bone Marrow) থেকে তৈরি হয়ে রক্তে প্রবেশ করে।
-
মানুষের লোহিত রক্তকণিকার আয়ু প্রায় ১২০ দিন (৪ মাস)।
-
স্তন্যপায়ী প্রাণীদের ক্ষেত্রে, লোহিত কণিকা উৎপাদনের পরে নিউক্লিয়াস হারায়। কিন্তু অন্যান্য মেরুদণ্ডী প্রাণীর লোহিত কণিকায় নিউক্লিয়াস থাকে।
-
লোহিত কণিকাগুলো প্রয়োজনে প্লীহা (Spleen) থেকে রক্তে সরবরাহ করা হয়।
উৎস: বিজ্ঞান, নবম-দশম শ্রেণি।

0
Updated: 6 days ago
কীসের স্রোতে নদীখাত গভীর হয়?
Created: 1 week ago
A
সমুদ্রস্রোত
B
নদীস্রোত
C
বানের স্রোত
D
জোয়ার-ভাঁটার স্রোত
নদীখাত (Channel)
-
নদীখাত হচ্ছে এমন একটি প্রাকৃতিক পথ, যেটি প্রবাহিত পানির চাপ ও শক্তির কারণে তৈরি হয়। এই পথে পানি কখনো ধীরে, কখনো প্রবলবেগে সারা বছর বা নির্দিষ্ট সময়ে প্রবাহিত হয়। নদীখাত সরু বা চওড়া, গভীর বা অগভীর, সোজা বা বাঁকা হতে পারে।
-
জোয়ার-ভাঁটার কারণে পানির স্রোত শক্তিশালী হয় এবং এতে নদীখাত আরও গভীর হয়।
-
গঠনগত দিক থেকে নদীখাত বা প্রণালীকে প্রধানত তিন ভাগে ভাগ করা যায়—
১) নদী গর্ভ,
২) সমুদ্রের দুই অংশকে যুক্ত করা সরু পথ,
৩) উপসাগরের নৌচলাচলযোগ্য গভীর অংশ (যেখানে পোতাশ্রয় থাকে)। -
বাংলাদেশের নদীগুলোর মধ্যে প্রথম ধরনের প্রণালী (নদী গর্ভ) সবচেয়ে বেশি দেখা যায়।
-
বিভিন্ন উদ্দেশ্য ও প্রয়োজনের ভিত্তিতে বাংলাদেশের নদী প্রণালীকে নানা দিক থেকে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়। যেমন— নদীখাত ও তীরের বৈশিষ্ট্য, নদীর জালিকার ধরণ, পাললিক পদার্থ ও প্রবাহের প্রভাব, নদীর ধারা বা স্থিতিশীলতা ইত্যাদি।
-
নদীখাতের ধরন অনুযায়ী বাংলাদেশের নদীগুলোকে তিন শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে—
-
সর্পিল নদী: যেমন পদ্মা ও মেঘনা, যেগুলো আঁকাবাঁকা বা বাঁকানো পথে প্রবাহিত।
-
চরোৎপাদী নদী: যেমন যমুনা, যেগুলোর মাঝে চর সৃষ্টি হয়।
-
বিন্ধনি নদী: বদ্বীপ সৃষ্টিকারী নদীর মোহনা, যেখানে নদী বিভাজিত হয়।
-
-
বাংলাদেশের উপকূলবর্তী কিছু গুরুত্বপূর্ণ নদীখাত হলো— মহেশখালী, কুতুবদিয়া, হাতিয়া, তেঁতুলিয়া ও সন্দ্বীপ।
উৎস: বাংলাপিডিয়া, জাগোনিউজ

0
Updated: 1 week ago
পারমাণবিক চুল্লিতে কোন মৌল জ্বালানি হিসাবে ব্যবহৃত হয়?
Created: 1 month ago
A
পেট্রোলিয়াম
B
অক্সিজেন
C
ইউরেনিয়াম-২৩৫
D
হাইড্রোজেন
পারমাণবিক চুল্লিতে তাপ সরানোর (ঠান্ডা রাখার) জন্য তরল সোডিয়াম ধাতু ব্যবহার করা হয়, কারণ এটি খুব ভালোভাবে তাপ পরিবহন করতে পারে। তবে এটি অবশ্যই বিশুদ্ধ থাকতে হয়, যাতে চুল্লির ভেতরের ধাতব যন্ত্রাংশের সঙ্গে প্রতিক্রিয়া না করে।
অন্যদিকে, এই চুল্লিতে জ্বালানির কাজ করে ইউরেনিয়াম এবং নিউট্রনের গতি কমিয়ে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ব্যবহৃত হয় গ্রাফাইট, যেটিকে বলা হয় ‘মডারেটর’।

0
Updated: 1 month ago
অ্যালুমিনিয়াম সালফেটকে চলতি বাংলায় কী বলে?
Created: 1 month ago
A
চুন
B
সেভিং সোপ
C
ফিটকিরি
D
কস্টিক সোডা
ফিটকিরি (পটাশ অ্যালাম)
-
ফিটকিরি হচ্ছে এক ধরনের রাসায়নিক পদার্থ, যার বৈজ্ঞানিক নাম পটাশ অ্যালাম।
-
এর রাসায়নিক সংকেত হলো: K₂SO₄.Al₂(SO₄)₃.24H₂O।
-
এটি একটি দ্বি-লবণ, অর্থাৎ দুটি লবণের মিশ্রণ – পটাসিয়াম সালফেট এবং অ্যালুমিনিয়াম সালফেট।
-
ফিটকিরিকে সাধারণত আমরা পানি পরিশোধনের (পরিষ্কার করার) কাজে ব্যবহার করি।
-
এটি শক্ত অবস্থায় একধরনের নির্দিষ্ট আকৃতির স্ফটিক বা কেলাস আকারে থাকে।
-
প্রতিটি কেলাসে ২৪টি পানির অণু থাকে, যাকে বলে কেলাস পানি।
উৎস: নবম-দশম শ্রেণির রসায়ন বই এবং বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের এইচএসসি রসায়ন প্রোগ্রাম।

0
Updated: 1 month ago