A
স্বীকৃতি
B
স্নেহ
C
সাফল্য
D
উল্লেখিত সবকটি
উত্তরের বিবরণ
শিশুর মনস্তাত্ত্বিক চাহিদা পূরণে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান
শিশুর মানসিক বিকাশ এবং সুস্থ মানসিকতার জন্য তিনটি উপাদান অপরিহার্য: স্বীকৃতি, স্নেহ এবং সাফল্য।
-
স্বীকৃতি (Recognition):
শিশুদের চেষ্টা, অগ্রগতি ও সাফল্যকে স্বীকৃতি দেওয়া খুব গুরুত্বপূর্ণ। এটি তাদের আত্মবিশ্বাস এবং আত্মসম্মান গড়ে তোলে। যেমন, কোনো কাজ সফলভাবে শেষ করার পর শিশুকে উৎসাহ দেওয়া তার মানসিক বিকাশে সহায়ক।
(উৎস: Berk, L. E. “Child Development,” 2021) -
স্নেহ (Affection):
শিশুদের অনুভব করতে হবে যে তারা পরিবার এবং সমাজের কাছে গ্রহণযোগ্য এবং স্নেহপূর্ণ। ভালোবাসা ও নিরাপত্তার অনুভূতি শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্য এবং সামাজিক দক্ষতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
(উৎস: Bowlby, J. “Attachment and Loss,” 1982) -
সাফল্য (Achievement):
শিশুদের ছোট ছোট সাফল্য অর্জনের সুযোগ থাকা উচিত। সাফল্যের অভিজ্ঞতা তাদের আত্মবিশ্বাস বাড়ায় এবং নিজেদের প্রতি সম্মান তৈরি করে।
(উৎস: Deci, E., & Ryan, R. “Self-Determination Theory,” 2000)
উপসংহার:
সুতরাং, শিশুদের মানসিক ও সামাজিক বিকাশের জন্য স্বীকৃতি, স্নেহ এবং সাফল্য—এই তিনটি উপাদানই সমান গুরুত্বপূর্ণ।

0
Updated: 6 days ago
কোনটি জারক পদার্থ নয়?
Created: 2 days ago
A
হাইড্রোজেন
B
অক্সিজেন
C
ক্লোরিন
D
ব্রোমিন
জারণ-বিজারণে জারক ও বিজারক পদার্থ
১. জারক পদার্থ (Oxidant):
-
জারণ-বিজারণ বিক্রিয়ায় যে পদার্থ ইলেকট্রন গ্রহণ করে, তাকে জারক বা অক্সিডেন্ট বলে।
-
ইলেকট্রন গ্রহণ করার পর জারক নিজেই বিজারিত (কম্পাউন্ড বা পদার্থ কম আয়ন বা কম শক্তিশালী অবস্থায় আসে) হয়।
-
কোনো পদার্থের ইলেকট্রন গ্রহণের ক্ষমতা যত বেশি, সেই পদার্থ তত বেশি জারকধর্মী।
উদাহরণ:
SO₂, O₂, Cl₂, Br₂, HNO₃, H₂SO₄, H₂O₂
২. বিজারক পদার্থ (Reductant):
-
জারণ-বিজারণ বিক্রিয়ায় যে পদার্থ ইলেকট্রন দানে সক্ষম, তাকে বিজারক বা রিডাক্ট্যান্ট বলে।
-
ইলেকট্রন দানের পর বিজারক নিজেই জারিত হয়।
-
কোনো পদার্থের ইলেকট্রন দানের ক্ষমতা যত বেশি, সেই পদার্থ তত বেশি বিজারকধর্মী।
উদাহরণ:
H, Li, Na, K, Rb — এগুলো তীব্র বিজারক।
Mg, Ca, SO₂, H₂S, H₂O₂ — এগুলোও বিজারক হিসেবে কাজ করে।
৩. বিশেষ কিছু মন্তব্য:
-
SO₂ একসাথে জারক ও বিজারক উভয় ভূমিকা পালন করতে পারে।
-
H₂O₂ সাধারণত জারকের মতো কাজ করে, কিন্তু অম্লীয় বা ক্ষারীয় পরিবেশে এটি বিজারক হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে।
উৎস: রসায়ন প্রথম পত্র, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 2 days ago
জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কি?
Created: 1 month ago
A
প্রাকৃতিক পরিবেশ
B
সামাজিক পরিবেশ
C
বায়বীয় পরিবেশ
D
সাংস্কৃতিক পরিবেশ
জনসংখ্যা বাড়ার কারণে বেশি মানুষকে থাকার জায়গা, রাস্তা, খাবারসহ অনেক জিনিস প্রয়োজন হয়।
এজন্য গাছপালা এবং বনাঞ্চল কমে যাচ্ছে, যার ফলে পরিবেশের সামঞ্জস্য হারিয়ে যাচ্ছে।
বেশি ফলন পাওয়ার জন্য জমিতে রাসায়নিক সার ও কীটনাশক বেশি ব্যবহার করা হচ্ছে।
প্রকৃতির মধ্যে যেমন মাটি, নদী, গাছপালা ও প্রাণী সব প্রাকৃতিক পরিবেশের অংশ।
জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে এই প্রাকৃতিক পরিবেশ খুব ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

0
Updated: 1 month ago
সুনামীর কারণ হল-
Created: 1 week ago
A
আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাত
B
ঘূর্ণিঝড়
C
চন্দ্র ও সূর্যের আকর্ষণ
D
সমুদ্রের তলদেশে ভূমিকম্প
সুনামি (Tsunami)
-
সুনামি মূলত সমুদ্র তলদেশে ভূমিকম্পের কারণে সৃষ্টি হয়।
-
“Tsunami” শব্দটি জাপানি, যার শাব্দিক অর্থ হলো ‘পোতাশ্রয়ের ঢেউ’। এখানে ‘tsu’ মানে বন্দর বা harbour, আর ‘nami’ মানে সামুদ্রিক ঢেউ।
-
বাংলাদেশের অবস্থান ভৌগোলিকভাবে এমন যে এখানে সুনামি খুব কম ঘটে।
-
তবে ইতিহাসে কিছু ঘটনায় সুনামির প্রভাব দেখা গেছে। যেমন:
-
১৭৬২ সালের ২ এপ্রিল: কক্সবাজার ও আশেপাশের এলাকায় সুনামির প্রভাব লক্ষ্য করা যায়।
-
১৯৪১ সালে: আন্দামান সাগরে ভূমিকম্পের ফলে বঙ্গোপসাগরে সুনামি সৃষ্টি হয়। এতে ভারতের পূর্ব উপকূলে প্রায় ৫,০০০ মানুষ নিহত হন।
-
২০০৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর: ইন্দোনেশিয়ার সিনুয়েলেউ দ্বীপে ভূমিকম্পের কারণে সৃষ্ট সুনামি সমগ্র ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ব্যাপক মৃত্যুর কারণ হয়।
-
উৎস: ভূগোল প্রথম পত্র, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 1 week ago