মানুষের রক্তে লোহিত কণিকা কোথায় সঞ্চিত থাকে?
A
হৃদযন্ত্রে
B
বৃক্কে
C
ফুসফুসে
D
প্লীহাতে
উত্তরের বিবরণ
লোহিত রক্তকণিকা (Red Blood Cells - RBC)
-
মানুষের লোহিত রক্তকণিকা ডিম্বাকৃতি বা দু-অবতল চাকতির মতো দেখতে হয়।
-
এদের লাল রঙ হিমোগ্লোবিন নামক রঞ্জক পদার্থের কারণে, যা অক্সিজেন পরিবহনে বিশেষ ভূমিকা রাখে। তাই এদেরকে সাধারণত Red Blood Cell (RBC) বলা হয়।
-
আসলে, লোহিত রক্তকণিকা হলো হিমোগ্লোবিন ভর্তি চ্যাপ্টা ব্যাগের মতো। এই চ্যাপ্টা আকৃতির কারণে এটি সহজেই বেশি অক্সিজেন বহন করতে পারে।
-
লোহিত কণিকা বিভাজন করতে পারে না। এগুলো সবসময় অস্থিমজ্জা (Bone Marrow) থেকে তৈরি হয়ে রক্তে প্রবেশ করে।
-
মানুষের লোহিত রক্তকণিকার আয়ু প্রায় ১২০ দিন (৪ মাস)।
-
স্তন্যপায়ী প্রাণীদের ক্ষেত্রে, লোহিত কণিকা উৎপাদনের পরে নিউক্লিয়াস হারায়। কিন্তু অন্যান্য মেরুদণ্ডী প্রাণীর লোহিত কণিকায় নিউক্লিয়াস থাকে।
-
লোহিত কণিকাগুলো প্রয়োজনে প্লীহা (Spleen) থেকে রক্তে সরবরাহ করা হয়।
উৎস: বিজ্ঞান, নবম-দশম শ্রেণি।

0
Updated: 1 month ago
কাঁদুনে গ্যাসের অপর নাম কী?
Created: 1 month ago
A
ক্লোরোপিক্রিন
B
মিথেন
C
নাইট্রোজেন
D
ইথেন
কাঁদুনে গ্যাসকে ক্লোরোপিকরিন নামেও ডাকা হয়। এটি চোখে অশ্রু সৃষ্টি করে বলে একে কাঁদুনে গ্যাস বলা হয়। এর রাসায়নিক নাম হলো নাইট্রোক্লোরোফরম, আর এর রাসায়নিক সংকেত হচ্ছে CCl₃NO₂।
তথ্যসূত্র: ব্রিটানিকা

0
Updated: 1 month ago
কোনটি সিমেন্ট তৈরির অন্যতম কাঁচামাল?
Created: 1 month ago
A
জিপসাম
B
সালফার
C
সোডিয়াম
D
খনিজ লবণ
জিপসাম (CaSO4.2H2O) হলো সিমেন্ট তৈরির অন্যতম কাঁচামাল।
- সিমেন্ট ও প্লাস্টার অব প্যারিস তৈরির কাঁচামালসিমেন্ট শিল্পের সহায়ক উপাদানসমূহ:
- চুনাপাথর, কাদামাটি, জিপসাম প্রভৃতি সিমেন্ট শিল্পের প্রধান কাঁচামাল।
- যেসব দেশে এসব উপাদান বেশি পাওয়া যায় সেসব দেশ সিমেন্ট শিল্পে উন্নতি লাভ করেছে।
- বাংলাদেশে এসব কাঁচামালের অভাব রয়েছে।
- ফলে এদেশ সিমেন্ট শিল্পে তেমন উন্নতি লাভ করতে পারেনি।

উৎস: বাণিজ্যিক ভূগোল, এইচ এস সি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়; এবং বিজ্ঞান, নবম-দশম শ্রেণি।

0
Updated: 1 month ago
নবায়নযোগ্য জ্বালানী কোনটি?
Created: 1 month ago
A
পরমাণু শক্তি
B
কয়লা
C
পেট্রোল
D
প্রাকৃতিক গ্যাস
শক্তির উৎস
শক্তির উৎস প্রধানত দুটি প্রকারে বিভক্ত:
নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস (Renewable Energy Sources)
-
নবায়নযোগ্য শক্তি হলো এমন ধরনের শক্তি যা স্বল্প সময়ের মধ্যে পুনরায় ব্যবহার করা যায় এবং কখনও শেষ হয় না।
-
এটি পরিবেশের জন্য বন্ধুত্বপূর্ণ, তাই এটিকে “গ্রীন শক্তি” ও বলা হয়।
-
বর্তমান সময়ে মানুষ যে পরিমাণ শক্তি ব্যবহার করে তার প্রায় পাঁচভাগের এক ভাগই নবায়নযোগ্য শক্তি থেকে আসে।
-
উদাহরণ:
-
সৌর শক্তি (Solar Energy)
-
বায়ু শক্তি (Wind Energy)
-
সমুদ্রস্রোত শক্তি (Tidal Energy)
-
ভূ-তাপীয় শক্তি (Geothermal Energy)
-
পরমাণু শক্তি (Nuclear Energy)
-
অনবায়নযোগ্য শক্তির উৎস (Non-Renewable Energy Sources)
-
অনবায়নযোগ্য শক্তি হলো এমন শক্তি যা একবার ব্যবহার হয়ে গেলে পুনরায় পাওয়া যায় না।
-
প্রকৃতিতে এর পরিমাণ সীমিত এবং চাহিদার তুলনায় আমাদের দেশে মজুদও খুব বেশি নয়।
-
এর উৎপাদন খরচ বেশি এবং অনেক সময় পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
-
উদাহরণ:
-
কয়লা (Coal)
-
প্রাকৃতিক গ্যাস (Natural Gas)
-
খনিজ তেল (Petroleum)
-
নিউক্লিয় শক্তি (Nuclear Energy)
-
উৎস: পদার্থবিজ্ঞান, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, পদার্থবিজ্ঞান, নবম-দশম শ্রেণি।

0
Updated: 1 month ago