A
রাঙামাটি
B
বান্দরবান
C
মৌলভীবাজার
D
সিলেট
উত্তরের বিবরণ
শুভলং ঝর্ণা, রাঙামাটি
শুভলং ঝর্ণা বাংলাদেশের রাঙামাটি জেলার বরকল উপজেলায় অবস্থিত। রাঙামাটি শহর থেকে ঝর্ণাটি মাত্র ২৫ কিলোমিটার দূরে।
-
শুকনো মৌসুমে ঝর্ণায় খুব সামান্য পানি থাকে।
-
বর্ষা মৌসুমে ঝর্ণার জল প্রায় ৩০০ ফুট উচ্চতা থেকে নিচে পড়ে এবং কাপ্তাই হ্রদের জলে মিশে যায়।
রাঙামাটিতে আরও কিছু উল্লেখযোগ্য দর্শনীয় স্থান রয়েছে, যেমন:
-
কাপ্তাই হ্রদ
-
চাকমা রাজবাড়ি
-
রাজবন বৌদ্ধ বিহার
-
পর্যটকপ্রিয় ঝুলন্ত সেতু
-
ফুরামোন পর্বত
-
উপজাতীয় সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট ও জাদুঘর
-
মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য
উৎস: বাংলাপিডিয়া

1
Updated: 6 days ago
বাংলাদেশের কোন অঞ্চলের পরিবেশ বন্যা নিয়ন্ত্রণ, পানি নিষ্কাশন ও সেচের (FCDI) কারণে খুব বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে?
Created: 3 days ago
A
বরেন্দ্র অঞ্চল
B
মধুপুর গড় অঞ্চল
C
উপকূলীয় অঞ্চল
D
চলন বিল অঞ্চল
বাংলাদেশের বরেন্দ্র অঞ্চলের পরিবেশ বন্যা নিয়ন্ত্রণ, পানি নিষ্কাশন ও সেচের (FCDI) কারণে খুব বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বন্যা নিয়ন্ত্রণ, নিষ্কাশন ও সেচ প্রকল্প (Flood Control, Drainage and Irrigation Projects):
- অনুচ্চ ভূ-সংস্থানের কারণে একটি স্বাভাবিক বৎসরে বাংলাদেশের ভৌগোলিক এলাকার কমপক্ষে ২০% এলাকা বন্যা কবলিত হয়ে থাকে।
- ১৯৯৮ সালের মতো মারাত্মক পর্যায়ে গেলে বন্যা কবলিত এলাকার পরিমাণ প্রায় ৭০% এ গিয়ে পৌঁছতে পারে।
- বন্যা নিয়ন্ত্রণ, নিষ্কাশন ও সেচ প্রকল্পসমূহ বন্যার তীব্রতা হ্রাসকরণে অথবা বন্যা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে বন্যার পানি নিষ্কাশনের উপায় হিসেবে ব্যবহূত হয়, যেগুলো শস্য উৎপাদন বৃদ্ধির ক্ষেত্রে অনুকূল অবস্থার সৃষ্টি করে।
⇒ ১৯৬৪ সালে দেশজুড়ে ৫৮টি বন্যা প্রতিরোধ এবং নিষ্কাশন প্রকল্প সম্বলিত একটি মাস্টার প্ল্যান গৃহীত হয়েছিল যার আওতাভুক্ত এলাকা ছিল ৫.৮ মিলিয়ন হেক্টর।
- তিন ধরনের পোল্ডার বা উদ্ধারকৃত নিম্নভূমি এই বন্যা প্রতিরোধ ও নিষ্কাশন কর্মকান্ডের পরিকল্পনার অন্তর্ভুক্ত ছিল: পোল্ডারসহ মাধ্যাকর্ষণ শক্তিকে কাজে লাগিয়ে পানি নিষ্কাশন; টাইডাল স্লুইস গেটের মাধ্যমে জোয়ারের পানি নিষ্কাশন; এবং পাম্পের মাধ্যমে বন্যার পানি নিষ্কাশন।
- ১৯৯৩ সালে সর্বমোট আর্দ্রভূমির পরিমাণ ছিল ৩.১৪ মিলিয়ন হেক্টর যার মধ্যে ১.৫৫ মিলিয়ন হেক্টরে চাষাবাদ হয়েছিল এবং ১.৩৮ মিলিয়ন হেক্টর ভূমি থেকে পানি নিষ্কাশিত হয়েছিল ভূ-পৃষ্ঠের উপরের নালীসমূহের মাধ্যমে।
- অধিকন্তু নিষ্কাশন ব্যবস্থা সম্বলিত সেচের আওতাধীন এলাকার পরিমাণ ১.১৭ মিলিয়ন হেক্টরে এসে দাঁড়ায়।
- ১৯৯৯ সালে বন্যা প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়েছে এমন এলাকার পরিমাণ দাঁড়ায় ৪.৬২ মিলিয়ন হেক্টরে।
- বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড বন্যার ক্ষয়ক্ষতি ও নেতিবাচক প্রভাব হ্রাস করণ এবং উদ্বৃত্ত পানি সেচকার্যে ব্যবহারের উদ্দেশ্যে বহু সংখ্যক ভেড়িবাঁধ, বাঁধ এবং খাল নির্মাণ ও খনন করেছে।
তিস্তা বাঁধ প্রকল্প:
- (পর্ব ১) রংপুর, লালমনিরহাট এবং নীলফামারী জেলায় অবস্থিত।
- প্রকল্পটির আওতাভুক্ত সর্বমোট এলাকার পরিমাণ ১,৩২,০০০ হেক্টর, এর মধ্যে সেচযোগ্য এলাকার পরিমাণ ১,১১,৪০৬ হেক্টর।
- তিস্তা নদীর উপর বাঁধ নির্মাণ করে প্রবাহের দিক পরিবর্তন করে নদীর পানিকে সেচ কার্যে ব্যবহার করা হচ্ছে।
- খাল খনন করে শস্য ক্ষেত্র পর্যন্ত সেচের পানি নিয়ে যাওয়া হয়।
- প্রধানত বর্ষা মৌসুমে সম্পূরক সেচ হিসেবে এই প্রকল্পের আওতায় সেচকার্য পরিচালিত হয়।
- প্রকল্পটি সম্পাদিত হয় ১৯৯৩ সালে।
উত্তরাঞ্চলে নলকূপ প্রকল্প:
- দিনাজপুর ও ঠাকুরগাঁও জেলায় এই প্রকল্পের অবস্থান।
- প্রাথমিক পর্যায়ে প্রকল্পের আওতাভুক্ত এলাকায় ২৫৪ মিমি ব্যাসের এবং ৯১.৪ মিটারের উপরে গড় গভীরতায় ৩৮০টি নলকূপ বসানো হয়।
- পিছনের বৎসরগুলিতে আরও অধিক সংখ্যক নলকূপ বসানো হয়েছে যার সর্বমোট সংখ্যা ১,২১৯ এ পৌঁছেছে।
- এসকল নলকূপের মাধ্যমে ৫৬,০৫২ হেক্টর জমি সেচের আওতায় এসেছে।
বরেন্দ্র অঞ্চল:
- দেশের উত্তর পশ্চিমাঞ্চলের বরেন্দ্রভূমি এবং মধ্যভাগের মধুপুর ও ভাওয়ালের গড় অঞ্চল প্লাইস্টোসিন যুগের সোপান সমূহের অন্তর্গত।
- বরেন্দ্র অঞ্চল সোপান সমূহের গড় উচ্চতা ১৯ থেকে মিটারের মধ্যে অসংখ্য নদীনালা দ্বারা এ সোপান ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশে বিভক্ত।
- বরেন্দ্র অঞ্চলে ভূ-গর্ভস্থ পানি দ্বারা বছরব্যাপি সেচ সবিধা চালু হওয়ায় এলাকার এক ফসলি জমি তিন ফসলি জমিতে রুপান্তরিত হয়েছে।
- বর্তমানে বিএমডিএ কর্তৃক পরিচালিত ১৫৭৯০ টি সেচযন্ত্র হতে সেচের মাধ্যমে প্র্রায় ৪৫ লক্ষ মে.টন খাদ্য শস্য উৎপাদিত হচ্ছে।
- বন্যা নিয়ন্ত্রণ, পানি নিষ্কাশন ও সেচের ফলে বরেন্দ্র অঞ্চল খুব বেশি পরিমাণে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
- বরেন্দ্র অঞ্চল রাজশাহী বিভাগের প্রায় ৯,৩২০ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত।
- এ অঞ্চলে গভীর নলকূপের মাধ্যমে অধিক পরিমাণ পানি উত্তোলনের কারণে পানির স্তর নিচে নেমে যাচ্ছে।
অন্যদিকে,
- বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলসমূহে ঘূর্ণিঝড়, সুনামি ও অন্যদেশের ভূমিকম্পের প্রভাব প্রভৃতির দ্বারা মানুষের জানমালের ব্যাপক ক্ষতি হয়।
উৎস: জাতীয় তথ্য বাতায়ন।

1
Updated: 3 days ago
নিম্নের কোন নিয়ামকটি একটি অঞ্চলের বা দেশের জলবায়ু নির্ধারণ করে না?
Created: 2 days ago
A
অক্ষরেখা
B
দ্রাঘিমারেখা
C
উচ্চতা
D
সমুদ্রস্রোত
জলবায়ুর নিয়ামক হলো সেই সব উপাদান, যেগুলো আবহাওয়া ও জলবায়ুর পরিবর্তন ও নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলে।
প্রধান জলবায়ুর নিয়ামকগুলো
১. অক্ষাংশ
-
সূর্যই পৃথিবীর তাপ ও আলোর মূল উৎস।
-
অক্ষাংশের ভেদে সূর্যের কিরণ কোথাও লম্বভাবে, আবার কোথাও তীর্যকভাবে পড়ে।
-
নিরক্ষরেখার কাছাকাছি সূর্যকিরণ প্রায় লম্বভাবে পড়ে এবং দিন-রাত্রির দৈর্ঘ্য প্রায় সমান থাকে।
-
তাই নিরক্ষীয় অঞ্চলে সবসময় তুলনামূলকভাবে বেশি গরম থাকে।
২. সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে উচ্চতা
-
কোনো স্থানের উচ্চতা যত বেশি, তাপমাত্রা তত কম হয়।
-
একই অক্ষাংশে থাকা দুই স্থানের মধ্যে যে স্থানের উচ্চতা বেশি, সেটি তুলনায় ঠান্ডা হয়।
৩. জলভাগ ও স্থলভাগের অবস্থান
-
স্থলভাগ দ্রুত গরম ও ঠান্ডা হয়, কিন্তু জলভাগ তুলনায় ধীরে গরম-ঠান্ডা হয়।
-
জলভাগের ওপর সূর্যের তাপের বড় অংশ বাষ্পীভবনে ব্যয় হয়, কিন্তু স্থলভাগে তা হয় না।
-
এজন্য স্থলভাগ সাধারণত বেশি উষ্ণ থাকে।
৪. পাহাড়-পর্বতের অবস্থান
-
পাহাড়-পর্বত জলবায়ুকে প্রভাবিত করে।
-
এগুলো কোনো অঞ্চলের তাপমাত্রা ও বৃষ্টিপাত নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে।
৫. বনভূমি
-
ঘন বনাঞ্চলে সূর্যের আলো পুরোপুরি প্রবেশ করতে পারে না।
-
এজন্য বনাঞ্চল আর্দ্র ও শীতল থাকে।
৬. সমুদ্র থেকে দূরত্ব
-
সমুদ্রের কাছাকাছি অঞ্চলে সামুদ্রিক আবহাওয়া বিরাজ করে, যা তুলনামূলকভাবে মৃদু।
-
সমুদ্র থেকে দূরে গেলে জলবায়ু চরম হয়ে যায়—গ্রীষ্মে প্রচণ্ড গরম, শীতে প্রচণ্ড ঠান্ডা।
৭. সমুদ্রস্রোত
-
উষ্ণ সমুদ্রস্রোতের ওপর দিয়ে বইতে থাকা বাতাস উষ্ণ হয়।
-
বিপরীতে, শীতল সমুদ্রস্রোতের ওপর দিয়ে বইতে থাকা বাতাস শীতল হয়।
-
এতে জলবায়ুর পরিবর্তন ঘটে।
৮. বায়ুপ্রবাহ
-
সমুদ্র থেকে জলীয়বাষ্পপূর্ণ বায়ু এলে বৃষ্টি হয় এবং তাপমাত্রা কমে যায়।
-
আবার শুষ্ক বায়ু প্রবাহিত হলে তাপমাত্রা বেড়ে যায়।
৯. বৃষ্টিপাত
-
যেখানে বেশি বৃষ্টি হয়, সেখানকার আবহাওয়া ঠান্ডা ও আর্দ্র থাকে।
-
যেখানে বৃষ্টি কম হয়, সেখানে গরম বেশি হয়।
১০. ভূমির ঢাল
-
সূর্যের দিকে মুখ করা ঢালে সূর্যকিরণ সরাসরি পড়ে, ফলে বেশি গরম হয়।
-
বিপরীতে, সূর্যের বিপরীতে থাকা ঢালে সূর্যের আলো তির্যকভাবে পড়ে, ফলে তুলনামূলক কম গরম হয়।
১১. জলীয়বাষ্প
-
বায়ুমণ্ডলের জলীয়বাষ্প পৃথিবীর তাপ ধরে রাখতে সাহায্য করে।
-
বেশি জলীয়বাষ্প থাকলে দিন ও রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য কম হয়।
১২. দিনের দৈর্ঘ্য
-
দিনের দৈর্ঘ্য বেশি হলে সূর্যের তাপে ভূপৃষ্ঠ বেশি উত্তপ্ত হয়।
-
রাত ছোট হলে শীত কম অনুভূত হয়।
১৩. বায়ুর আর্দ্রতা
-
আর্দ্র বায়ু জলবায়ুর ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলে।
-
এ ধরনের বায়ুতে দিনে খুব গরম এবং রাতে খুব ঠান্ডা অনুভূত হয়।
উৎস: ভূগোল প্রথম পত্র, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

1
Updated: 2 days ago
বায়ুমণ্ডলের মোট শক্তির কত শতাংশ সূর্য হতে আসে?
Created: 6 days ago
A
৯০ শতাংশ
B
৯৪ শতাংশ
C
৯৮ শতাংশ
D
৯৯.৯৭ শতাংশ
বায়ুমণ্ডল ও এর উপাদানসমূহ
পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল হলো বায়ুর এক স্তরবিশিষ্ট আবরণ, যা আমাদের গ্রহকে ঘিরে আছে। এটি প্রায় ১০,০০০ কিমি পর্যন্ত বিস্তৃত। বায়ুমণ্ডলের নীচের স্তরগুলি উপরের স্তরের সাথে এবং উপরের বায়ুর সাথে ক্রমাগত চাপ বিনিময় করে, তাই পৃথিবীর ভূ-পৃষ্ঠের নিকটে বায়ু ঘন হয়ে থাকে।
পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল মূলত সূর্য থেকে প্রাপ্ত শক্তির ওপর নির্ভরশীল; মোট শক্তির প্রায় ৯৯.৯৭% সূর্য থেকেই আসে।
বায়ুমণ্ডলের প্রধান উপাদানসমূহ:
-
নাইট্রোজেন (N₂): ৭৮.০২%
-
অক্সিজেন (O₂): ২০.৭১%
-
আর্গন (Ar): ০.৮০%
-
জলীয়বাষ্প (H₂O): ০.৪১%
-
কার্বন ডাই-অক্সাইড (CO₂): ০.০৩%
-
অন্যান্য গ্যাস: ০.০২%
-
ধূলিকণা ও ছোট কণিকা: ০.০১%
উৎস: ভূগোল ও পরিবেশ, নবম-দশম শ্রেণী, বাংলাদেশ।

0
Updated: 6 days ago