যেসব অণুজীব রোগ সৃষ্টি করে তাদের বলা হয়-
A
প্যাথজেনিক
B
ইনফেকশন
C
টক্সিন
D
জীবাণু
উত্তরের বিবরণ
রোগ সংক্রমণ ও প্যাথোজেন
-
প্যাথোজেন (Pathogen):
জীববিজ্ঞান এবং চিকিৎসা বিজ্ঞানে, প্যাথোজেন হলো সেই কোনো অণুজীব বা এজেন্ট যা রোগ সৃষ্টি করতে পারে। সহজ কথায়, “যে অণুজীব রোগের কারণ হয়, তাকে প্যাথোজেন বলা হয়।”উদাহরণ: ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, ছত্রাক, প্রিয়ন, এবং অন্যান্য কিছু ক্ষুদ্র জীবাণু।
-
Oxford Dictionary অনুযায়ী: Pathogenic = (of a bacterium, virus, or other microorganism) causing disease.
-
ইতিহাস: ১৮৮০ সাল থেকে এই শব্দটি সাধারণত রোগ সৃষ্টিকারী এজেন্ট বোঝাতে ব্যবহৃত হয়েছে।
-
-
সংক্রমণ (Infection):
সংক্রমণ হলো সেই প্রক্রিয়া যখন কোনো প্যাথোজেন আমাদের দেহে প্রবেশ করে এবং রোগের লক্ষণ তৈরি করে। -
টক্সিন (Toxin):
টক্সিন হলো ক্ষতিকারক বা বিষাক্ত পদার্থ, যা কোনো অণুজীব (বা অন্য উৎস) দ্বারা তৈরি হতে পারে। -
জীবাণু (Microorganism):
ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অণুজীব, যা সবসময় রোগ সৃষ্টি করে না। কিছু জীবাণু বিপজ্জনক (প্যাথোজেনিক) হতে পারে, আবার অনেকগুলো নিরীহ বা উপকারীও হতে পারে।
সংক্ষেপে:
“যে অণুজীব রোগ সৃষ্টি করতে সক্ষম, সেটিই প্যাথোজেন; সংক্রমণ হলো সেই প্যাথোজেনের প্রভাবে শরীরে রোগ দেখা; টক্সিন হলো বিষ; আর সব জীবাণুই রোগ সৃষ্টি করে না।”
উৎস: Oxford English Dictionary, Pathogenic

0
Updated: 1 month ago
নিচের কোনটি রক্তরসের জৈব পদার্থ?
Created: 1 month ago
A
ক্যালসিয়াম
B
লেসিথিন
C
আয়োডিন
D
সোডিয়াম
রক্তরস বা প্লাজমা
-
রক্তের তরল অংশকে রক্তরস বা প্লাজমা বলে।
-
রক্তরসের প্রায় ৯০% পানি, আর বাকি ১০% জৈব ও অজৈব পদার্থ দ্রবীভূত অবস্থায় থাকে।
অজৈব পদার্থ
-
বিভিন্ন খনিজ পদার্থের আয়ন যেমন: সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ক্লোরিন, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, লৌহ, আয়োডিন।
-
গ্যাসীয় পদার্থ যেমন: O₂, CO₂, N₂।
জৈব পদার্থ
১. খাদ্যসার → গ্লুকোজ, অ্যামিনো এসিড, স্নেহপদার্থ, ভিটামিন।
২. রেচন পদার্থ → ইউরিয়া, ইউরিক এসিড, অ্যামোনিয়া, ক্রিয়েটিনিন।
৩. প্রোটিন → ফাইব্রিনোজেন, গ্লোবিউলিন, অ্যালবুমিন, প্রোথ্রম্বিন।
৪. প্রতিরক্ষামূলক পদার্থ → অ্যান্টিটক্সিন, অ্যাগ্লুটিনিন।
৫. হরমোন → অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত বিভিন্ন হরমোন।
৬. অন্যান্য যৌগ → কোলেস্টেরল, লেসিথিন, বিলিরুবিন ইত্যাদি।
রক্তরসের কাজ
-
খাদ্যসারকে রক্তকোষসহ দেহের বিভিন্ন অংশে পরিবহণ করা।
-
টিস্যু থেকে বর্জ্য পদার্থ সংগ্রহ করে বৃক্কে পৌঁছে দেওয়া।
-
শ্বসনকালে কোষ থেকে উৎপন্ন CO₂ কে বাইকার্বনেট আকারে ফুসফুসে বহন করা।
-
রক্ত জমাট বাঁধার জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান পরিবহণ করা।
-
হরমোন, এনজাইম, লিপিড ইত্যাদি দেহের বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে দেওয়া।
-
রক্তের অম্ল-ক্ষার ভারসাম্য বজায় রাখা।
উৎস: বিজ্ঞান (নবম–দশম শ্রেণি)

0
Updated: 1 month ago
বায়ুমণ্ডলে শতকরা কতভাগ আর্গন বিদ্যমান?
Created: 1 month ago
A
৭৮.০
B
০.৮
C
০.৪১
D
০.৩
পৃথিবীর চারপাশে যে অদৃশ্য বায়বীয় আবরণ রয়েছে, তাকে বায়ুমণ্ডল বলা হয়। ইংরেজিতে এটিকে Atmosphere বলা হয়।
বায়ুমণ্ডল পৃথিবীর অপরিহার্য অংশ, যা মাধ্যাকর্ষণ শক্তির কারণে পৃথিবীর সঙ্গে সংযুক্ত থাকে এবং পৃথিবীর সঙ্গে আবর্তন করে। তবে বায়ু কঠিন ভূমির সঙ্গে পুরোপুরি একইভাবে চলতে না পারায় কিছুটা পশ্চাতে থাকে।
বয়স ও উৎপত্তি:
বিজ্ঞানীরা ধারণা করেন, বায়ুমণ্ডলের বয়স প্রায় ৩৫০ কোটি বছর। এটি মূলত ভূ-অভ্যন্তর থেকে নির্গত গ্যাসের মাধ্যমে সৃষ্টি হয়েছে।
প্রসারণ:
-
ভূ-পৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটারের মধ্যে বায়ুমণ্ডলের প্রায় ৯০% অংশ অবস্থান করে।
-
সর্বোচ্চ প্রায় ১০,০০০ কিলোমিটার পর্যন্ত বায়ুমণ্ডল বিস্তৃত।
বায়ুমণ্ডলের উপাদান
বায়ুমণ্ডল মূলত বিভিন্ন গ্যাস এবং জলীয় বাষ্পের সংমিশ্রণে গঠিত। প্রধান দুটি গ্যাস হলো:
-
নাইট্রোজেন: ৭৮.০২%
-
অক্সিজেন: ২০.৭১%
এই দুটি গ্যাস মিলে মোট বায়ুমণ্ডলের প্রায় ৯৯% গঠন করে। অবশিষ্ট ১% গ্যাস ও অন্যান্য উপাদান।
গ্যাসের বিতরণ অনুযায়ী বায়ুমণ্ডলের স্তর:
-
সমমণ্ডল (Homosphere): ভূ-পৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৯০ কিলোমিটার পর্যন্ত, যেখানে গ্যাসের অনুপাত প্রায় একই রকম থাকে।
-
বিষমমণ্ডল (Heterosphere): ৯০ কিলোমিটারের উপরে, যেখানে বিভিন্ন গ্যাসের অনুপাত সমান নয়।
বায়ুমণ্ডলের উপাদান এবং তাদের শতাংশ
উপাদান | শতকরা (%) |
---|---|
নাইট্রোজেন | ৭৮.০২ |
অক্সিজেন | ২০.৭১ |
আর্গন | ০.৮০ |
কার্বন ডাই-অক্সাইড | ০.০৩ |
ওজোন | ০.০০০১ |
অন্যান্য গ্যাস | ০.০১৯৯ |
জলীয় বাষ্প | ০.৪১ |
ধূলিকণা ও কনিক্স | ০.০১ |
উৎস: ভূগোল প্রথম পত্র, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 1 month ago
প্রাণিজগতের উৎপত্তি ও বংশসম্মন্ধীয় বিদ্যাকে বলে-
Created: 1 month ago
A
বায়োলজী
B
জুওলজী
C
জেনেটিক
D
ইভোলিউশন
জেনেটিক্স (Genetics):
-
জেনেটিক্স বা বংশগতি হলো বাবা-মার বৈশিষ্ট্য জিনের মাধ্যমে সন্তানের মধ্যে চলে আসা। এর ফলে সন্তান ও বাবা-মার মধ্যে শারীরিক ও চারিত্রিক মিল পাওয়া যায়।
-
আবার, জীব ও প্রাণীর উৎপত্তি ও বংশগত বৈশিষ্ট্য কিভাবে এক প্রজন্ম থেকে আরেক প্রজন্মে ছড়িয়ে পড়ে তা নিয়ে যে শাখা আলোচনা করে, সেটিই হলো জেনেটিক্স বা বংশগতিবিদ্যা।
ইভোলিউশন (Evolution)
-
বিবর্তন হলো এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে দীর্ঘ সময় ধরে জীবের গঠন ও স্বভাব ধীরে ধীরে পরিবর্তিত হয় এবং নতুন বৈশিষ্ট্য দেখা দেয়।
-
জুওলজি (Zoology)-এর বাংলা নাম হলো প্রাণিবিজ্ঞান, যেখানে প্রাণী ও তাদের গঠন, জীবনধারা ও বিবর্তন নিয়ে আলোচনা করা হয়।
উৎস: জীববিজ্ঞান, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 1 month ago