A
৯০ শতাংশ
B
৯৪ শতাংশ
C
৯৮ শতাংশ
D
৯৯.৯৭ শতাংশ
উত্তরের বিবরণ
বায়ুমণ্ডল ও এর উপাদানসমূহ
পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল হলো বায়ুর এক স্তরবিশিষ্ট আবরণ, যা আমাদের গ্রহকে ঘিরে আছে। এটি প্রায় ১০,০০০ কিমি পর্যন্ত বিস্তৃত। বায়ুমণ্ডলের নীচের স্তরগুলি উপরের স্তরের সাথে এবং উপরের বায়ুর সাথে ক্রমাগত চাপ বিনিময় করে, তাই পৃথিবীর ভূ-পৃষ্ঠের নিকটে বায়ু ঘন হয়ে থাকে।
পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল মূলত সূর্য থেকে প্রাপ্ত শক্তির ওপর নির্ভরশীল; মোট শক্তির প্রায় ৯৯.৯৭% সূর্য থেকেই আসে।
বায়ুমণ্ডলের প্রধান উপাদানসমূহ:
-
নাইট্রোজেন (N₂): ৭৮.০২%
-
অক্সিজেন (O₂): ২০.৭১%
-
আর্গন (Ar): ০.৮০%
-
জলীয়বাষ্প (H₂O): ০.৪১%
-
কার্বন ডাই-অক্সাইড (CO₂): ০.০৩%
-
অন্যান্য গ্যাস: ০.০২%
-
ধূলিকণা ও ছোট কণিকা: ০.০১%
উৎস: ভূগোল ও পরিবেশ, নবম-দশম শ্রেণী, বাংলাদেশ।

0
Updated: 6 days ago
বাংলাদেশের উষ্ণতম স্থানের নাম কি?
Created: 6 days ago
A
পুটিয়া, রাজশাহী
B
নাচোল, চাঁপাইনবাবগঞ্জ
C
লালপুর, নাটোর
D
ঈশ্বরদি, পাবনা
বাংলাদেশের ভৌগলিক ও আবহাওয়াগত তথ্য
বাংলাদেশে গড় তাপমাত্রা প্রায় ২৬.০১° সেলসিয়াস, আর গড় বৃষ্টিপাত প্রায় ২০৩ সেন্টিমিটার।
-
উষ্ণতম মাস: এপ্রিল, গড় তাপমাত্রা ২৮° সেলসিয়াস।
-
শীতলতম মাস: জানুয়ারি, গড় তাপমাত্রা ১৭.৭° সেলসিয়াস।
দেশের গুরুত্বপূর্ণ ভৌগলিক স্থান ও আবহাওয়া সংক্রান্ত তথ্য:
-
সর্বাধিক উষ্ণ স্থান: লালপুর, নাটোর
-
সর্বাধিক শীতল স্থান: শ্রীমঙ্গল, মৌলভীবাজার
-
সর্বাধিক শীতল জেলা: সিলেট
-
সর্বাধিক বৃষ্টিপাত: লালাখাল, সিলেট
-
সর্বনিম্ন বৃষ্টিপাত: লালপুর, নাটোর
-
সর্বদক্ষিণের জেলা: কক্সবাজার
-
সর্বোত্তরের জেলা: পঞ্চগড়
-
আয়তনে সবচেয়ে বড় জেলা: রাঙামাটি
-
আয়তনে সবচেয়ে ছোট জেলা: নারায়নগঞ্জ
উৎস: বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়, নবম-দশম শ্রেণি

0
Updated: 6 days ago
সমুদ্রপৃষ্ঠ ৪৫cm বৃদ্ধি পেলে ২০৫০ সাল নাগাদ বাংলাদেশে climate refugee হবে?
Created: 6 days ago
A
৩ কোটি
B
৩.৫ কোটি
C
৪ কোটি
D
৪.৫ কোটি
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ও বাংলাদেশে সম্ভাব্য ফলাফল
মানুষের অতিরিক্ত গ্রিনহাউস গ্যাস (যেমন: কার্বন ডাইঅক্সাইড, মিথেন, নাইট্রাস অক্সাইড) নির্গমনের কারণে পৃথিবীর তাপমাত্রা দ্রুত বাড়ছে। এই পরিবর্তনের ফলে বিশ্বে বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঘটছে, এবং স্বল্পোন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলো সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়ছে।
বাংলাদেশ এ ধরনের ঝুঁকির মধ্যে সবচেয়ে অগ্রগামী। অন্যান্য দেশ এখনও বিপদের মুখোমুখি হয়নি, আমাদের দেশ ইতিমধ্যেই প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রভাব অনুভব করছে।
জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক গবেষণা অনুযায়ী:
-
আগামী ৫০ বছরে যদি সমুদ্রপৃষ্ঠ ৩ ফুট (প্রায় ৯১ সেন্টিমিটার) বৃদ্ধি পায়, তবে বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চল প্লাবিত হবে এবং প্রায় ১৭% জমি পানির নিচে চলে যেতে পারে।
-
আনুমানিক ৩–৩.৫ কোটি মানুষ তাদের ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি হারিয়ে জলবায়ু উদ্বাস্তু হয়ে যেতে পারেন।
-
ইন্টারন্যাশনাল প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জ (IPCC) জানিয়েছে, ২০৩০ সালের পর নদীর জল প্রবাহ কমতে পারে, ফলে এশিয়ায় পানির ঘাটতি দেখা দেবে। ২০৫০ সালের মধ্যে প্রায় ১০০ কোটি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
-
উচ্চ তাপমাত্রার কারণে বন্যা, ঝড়, অনাবৃষ্টি ও সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি আরও বাড়বে। এই প্রভাব ইতিমধ্যেই বাংলাদেশে অনুভূত হচ্ছে এবং ভবিষ্যতে আরও তীব্র হবে।
উল্লেখযোগ্য তথ্য:
-
সমুদ্রপৃষ্ঠের মাত্রা ৪৫ সেন্টিমিটার বাড়লে বাংলাদেশের প্রায় ১০.৯% ভূমি প্লাবিত হবে।
-
এতে উপকূলীয় অঞ্চলের প্রায় ৩.৫ কোটি মানুষ বাস্তুচ্যুত হতে পারে।
উৎস: World Bank ওয়েবসাইট

1
Updated: 6 days ago
বাংলাদেশের কৃষি কোন প্রকার?
Created: 1 week ago
A
ধান-প্রধান নিবিড় স্বয়ংভোগী
B
ধান-প্রধান বাণিজ্যিক
C
স্বয়ংভোগী মিশ্র
D
স্বয়ংভোগী শষ্য চাষ ও পশুপালন
বাংলাদেশের কৃষি ধান-প্রধান নিবিড় স্বয়ংভোগী ধরনের।
• ধান-প্রধান নিবিড় স্বয়ংভোগী:
- শুধুমাত্র মানুষ নিজ নিজ প্রয়োজন মেটানোর জন্য যে যে ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকে তাকে স্বয়ংভোগী চাষাবাদ বলে।
- আদ্র মৌসুমী ভাবাপন্ন ঘনবসিতপূর্ণ এশিয়ার ভারত, বাংলাদেশ, মায়ানমার, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, চীন, জাপানে ধান-প্রধান নিবিড় স্বয়ংভোগী কৃষি ব্যবস্থা চালু আছে।
• বৈশিষ্ট্যসমূহ:
- ক্ষুদ্রায়তন জমি।
- নিবিড় চাষাবাদ।
- ধানের প্রাধান্য।
- কায়িক শ্রম নির্ভর।
- একাদিক্রমে চাষাবাদ।
- চাষাবাদ প্রকৃতির উপর বেশী নির্ভরশীল।
• বাংলাদেশের কৃষি ধান-প্রধান নিবিড় স্বয়ংভোগী বলার কারণ:
- আমাদের দেশের কৃষির প্রধান উপখাত হলো- শস্য (ধান) উৎপাদন।
- বাংলাদেশের মানুষের প্রধান খাবার ভাত, আর তাই এই দেশের প্রায় ৮০ ভাগ কৃষি জমিতেই ধান উৎপাদন হয়।
- এছাড়াও গম, ভুট্টা, সহ শাকসবজি উৎপাদন প্রচুর পরিমানে হয়।
- এজন্যই বাংলাদেশকে কৃষি ধান-প্রধান নিবিড় স্বয়ংভোগী বলা হয়।
---------------------
• বাংলাদেশের জাতীয় কৃষি:
- বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় এক সোনালি অধ্যায়ের নাম কৃষি।
- উৎপাদনশীলতা, আয় বৃদ্ধি এবং গ্রামীণ এলাকায় কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে বিশাল জনগোষ্ঠীর সমৃদ্ধির জন্য কৃষির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
- বাংলাদেশে প্রতি বছর ১লা অগ্রহায়ণ 'জাতীয় কৃষি দিবস ও নবান্ন উৎসব' পালিত হয়।
- কৃষিই সমৃদ্ধি এ শ্লোগানকে ধারণ করে ২০০৮ সালের ১৫ নভেম্বর বা '১লা অগ্রহায়ণ, ১৪১৫' সালে প্রথম জাতীয় কৃষি দিবস পালন করা হয়।
- সেই থেকে প্রতিবছর কৃষি দিবস পালিত হয়ে আসছে।
উৎস: জাতীয় তথ্য বাতায়ন, বাংলাদেশ কৃষি মন্ত্রণালয়, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণীর অর্থনীতি (২য় পত্র) -মোস্তাফিজুর রহমান, একাদশ শ্রেণির ভূগোল- উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 1 week ago