A
৫১৩৮ কি.মি
B
৪৩৭১ কি.মি
C
৪১৫৬ কি.মি
D
৩৯৭৮ কি.মি
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশের সীমান্ত ও ভূ-গঠন
বাংলাদেশ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় অবস্থিত।
-
দেশের তিনদিকের মূল সীমান্ত ভারত ও মিয়ানমার দ্বারা বেষ্টিত, এবং দক্ষিণ দিকে বঙ্গোপসাগর রয়েছে।
-
বাংলাদেশের মোট সীমান্ত দৈর্ঘ্য প্রায় ৫,১৩৮ কিলোমিটার, যার মধ্যে ভারতের সঙ্গে সীমান্ত ৪,১৫৬ কিলোমিটার এবং মিয়ানমারের সঙ্গে ২২২ কিলোমিটার।
-
বাংলাদেশে ৩০টি জেলা ভারতের এবং ৩টি জেলা মিয়ানমারের সঙ্গে সীমানা ভাগাভাগি করে।
অতিরিক্ত তথ্য:
-
দেশের মোট আয়তন: ১,৪৭,৫৭০ বর্গ কিলোমিটার।
-
সমুদ্র উপকূলের দৈর্ঘ্য: ৭১১ কিলোমিটার, যার মধ্যে কক্সবাজারের অংশ ১৫৫ কিলোমিটার।
-
বাংলাদেশের রাজনৈতিক সমুদ্রসীমা: ১২ নটিক্যাল মাইল, এবং অর্থনৈতিক অঞ্চল: ২০০ নটিক্যাল মাইল।
উৎস: ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তর

0
Updated: 6 days ago
সমুদ্রপৃষ্ঠ ৪৫cm বৃদ্ধি পেলে ২০৫০ সাল নাগাদ বাংলাদেশে climate refugee হবে?
Created: 6 days ago
A
৩ কোটি
B
৩.৫ কোটি
C
৪ কোটি
D
৪.৫ কোটি
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ও বাংলাদেশে সম্ভাব্য ফলাফল
মানুষের অতিরিক্ত গ্রিনহাউস গ্যাস (যেমন: কার্বন ডাইঅক্সাইড, মিথেন, নাইট্রাস অক্সাইড) নির্গমনের কারণে পৃথিবীর তাপমাত্রা দ্রুত বাড়ছে। এই পরিবর্তনের ফলে বিশ্বে বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঘটছে, এবং স্বল্পোন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলো সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়ছে।
বাংলাদেশ এ ধরনের ঝুঁকির মধ্যে সবচেয়ে অগ্রগামী। অন্যান্য দেশ এখনও বিপদের মুখোমুখি হয়নি, আমাদের দেশ ইতিমধ্যেই প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রভাব অনুভব করছে।
জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক গবেষণা অনুযায়ী:
-
আগামী ৫০ বছরে যদি সমুদ্রপৃষ্ঠ ৩ ফুট (প্রায় ৯১ সেন্টিমিটার) বৃদ্ধি পায়, তবে বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চল প্লাবিত হবে এবং প্রায় ১৭% জমি পানির নিচে চলে যেতে পারে।
-
আনুমানিক ৩–৩.৫ কোটি মানুষ তাদের ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি হারিয়ে জলবায়ু উদ্বাস্তু হয়ে যেতে পারেন।
-
ইন্টারন্যাশনাল প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জ (IPCC) জানিয়েছে, ২০৩০ সালের পর নদীর জল প্রবাহ কমতে পারে, ফলে এশিয়ায় পানির ঘাটতি দেখা দেবে। ২০৫০ সালের মধ্যে প্রায় ১০০ কোটি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
-
উচ্চ তাপমাত্রার কারণে বন্যা, ঝড়, অনাবৃষ্টি ও সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি আরও বাড়বে। এই প্রভাব ইতিমধ্যেই বাংলাদেশে অনুভূত হচ্ছে এবং ভবিষ্যতে আরও তীব্র হবে।
উল্লেখযোগ্য তথ্য:
-
সমুদ্রপৃষ্ঠের মাত্রা ৪৫ সেন্টিমিটার বাড়লে বাংলাদেশের প্রায় ১০.৯% ভূমি প্লাবিত হবে।
-
এতে উপকূলীয় অঞ্চলের প্রায় ৩.৫ কোটি মানুষ বাস্তুচ্যুত হতে পারে।
উৎস: World Bank ওয়েবসাইট

1
Updated: 6 days ago
বায়ুমণ্ডলের মোট শক্তির কত শতাংশ সূর্য হতে আসে?
Created: 6 days ago
A
৯০ শতাংশ
B
৯৪ শতাংশ
C
৯৮ শতাংশ
D
৯৯.৯৭ শতাংশ
বায়ুমণ্ডল ও এর উপাদানসমূহ
পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল হলো বায়ুর এক স্তরবিশিষ্ট আবরণ, যা আমাদের গ্রহকে ঘিরে আছে। এটি প্রায় ১০,০০০ কিমি পর্যন্ত বিস্তৃত। বায়ুমণ্ডলের নীচের স্তরগুলি উপরের স্তরের সাথে এবং উপরের বায়ুর সাথে ক্রমাগত চাপ বিনিময় করে, তাই পৃথিবীর ভূ-পৃষ্ঠের নিকটে বায়ু ঘন হয়ে থাকে।
পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল মূলত সূর্য থেকে প্রাপ্ত শক্তির ওপর নির্ভরশীল; মোট শক্তির প্রায় ৯৯.৯৭% সূর্য থেকেই আসে।
বায়ুমণ্ডলের প্রধান উপাদানসমূহ:
-
নাইট্রোজেন (N₂): ৭৮.০২%
-
অক্সিজেন (O₂): ২০.৭১%
-
আর্গন (Ar): ০.৮০%
-
জলীয়বাষ্প (H₂O): ০.৪১%
-
কার্বন ডাই-অক্সাইড (CO₂): ০.০৩%
-
অন্যান্য গ্যাস: ০.০২%
-
ধূলিকণা ও ছোট কণিকা: ০.০১%
উৎস: ভূগোল ও পরিবেশ, নবম-দশম শ্রেণী, বাংলাদেশ।

0
Updated: 6 days ago
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার বিভিন্ন কাজকে পর্যায়ক্রম অনুযায়ী সাজাতে হলে কোন কাজটি সর্বপ্রথমে হবে?
Created: 1 week ago
A
পুনর্বাসন
B
ঝুঁকি (Risk) চিহ্নিতকরণ
C
দুর্যোগ প্রস্তুতি
D
দুর্যোগ প্রশমন কর্মকাণ্ড
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা
ঝুঁকি ও দুর্যোগ:
ঝুঁকি বলতে আমরা বুঝি কোনো আপদ বা বিপদের সম্ভাবনা, যা পরিবেশের সঙ্গে মানুষের বা সম্পদের পারস্পরিক সম্পর্কের কারণে ক্ষতি করতে পারে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় সবচেয়ে প্রথম কাজ হলো এই ঝুঁকি চিহ্নিত করা।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার মূল লক্ষ্য:
-
দুর্যোগের ঝুঁকি কমানো।
-
সম্পদ ও পরিবেশে ক্ষতি এড়ানো বা ক্ষতির পরিমাণ কমানো।
-
প্রয়োজন অনুযায়ী ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের দ্রুত ত্রাণ ও পুনর্বাসন নিশ্চিত করা।
-
দুর্যোগের পর পুনরুদ্ধার কাজ সুচারুভাবে সম্পন্ন করা।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সম্পর্কিত আইন ও নীতিমালা:
-
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১২
-
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা নীতিমালা, ২০১৫
-
জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা (NPDM) ২০২১–২০২৫
-
বাংলাদেশ দ্বীপ পরিকল্পনা, ২১০০
উৎস: ভূগোল ও পরিবেশ, নবম-দশম শ্রেণি, একাদশ শ্রেণির ভূগোল, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 1 week ago