’শুভলং’ ঝরনা কোন জেলায় অবস্থিত?
A
রাঙামাটি
B
বান্দরবান
C
মৌলভীবাজার
D
সিলেট
উত্তরের বিবরণ
শুভলং ঝর্ণা, রাঙামাটি
শুভলং ঝর্ণা বাংলাদেশের রাঙামাটি জেলার বরকল উপজেলায় অবস্থিত। রাঙামাটি শহর থেকে ঝর্ণাটি মাত্র ২৫ কিলোমিটার দূরে।
-
শুকনো মৌসুমে ঝর্ণায় খুব সামান্য পানি থাকে।
-
বর্ষা মৌসুমে ঝর্ণার জল প্রায় ৩০০ ফুট উচ্চতা থেকে নিচে পড়ে এবং কাপ্তাই হ্রদের জলে মিশে যায়।
রাঙামাটিতে আরও কিছু উল্লেখযোগ্য দর্শনীয় স্থান রয়েছে, যেমন:
-
কাপ্তাই হ্রদ
-
চাকমা রাজবাড়ি
-
রাজবন বৌদ্ধ বিহার
-
পর্যটকপ্রিয় ঝুলন্ত সেতু
-
ফুরামোন পর্বত
-
উপজাতীয় সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট ও জাদুঘর
-
মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য
উৎস: বাংলাপিডিয়া

1
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশের কোন অঞ্চলে আকস্মিক বন্যা হয়?
Created: 1 month ago
A
দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল
B
পশ্চিমাঞ্চল
C
উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল
D
উত্তর-পূর্বাঞ্চল
বাংলাদেশে বন্যা একটি সুপরিচিত প্রাকৃতিক দুর্যোগ। প্রতি বছর দেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চল এ দুর্যোগে আক্রান্ত হয় এবং মানুষের জীবনযাত্রা ও অর্থনীতিতে এর প্রভাব পড়ে।
সাধারণভাবে নদীর পানি যখন দুই তীর ছাপিয়ে গ্রাম, নগর, বন্দর, বাড়িঘর প্লাবিত করে এবং কৃষিজ ফসল বিনষ্ট করে, তখন সেটিকে বন্যা বলা হয়। ধরণ ও প্রকৃতির ভিত্তিতে বন্যা চার ভাগে বিভক্ত।
-
বাংলাদেশে বন্যা একটি অতি পরিচিত প্রাকৃতিক দুর্যোগ
-
নদীর পানি দু’কূল ছাপিয়ে পার্শ্ববর্তী অঞ্চল প্লাবিত করে ও ফসল নষ্ট করলে তাকে বন্যা বলে
-
প্রায় প্রতি বছর দেশের বিশাল অংশ বন্যার কবলে পড়ে
-
ধরণ ও প্রকৃতির ভিত্তিতে বন্যার চারটি প্রধান ভাগ রয়েছে
-
মৌসুমী বন্যা, আকস্মিক বন্যা, উপকূলীয় বন্যা এবং নগর বন্যা
আকস্মিক বন্যা
-
বর্ষাকাল ছাড়া অন্য সময় আকস্মিক অতিবৃষ্টি বা পাহাড়ি ঢলের কারণে যে বন্যা হয় তাকে আকস্মিক বন্যা বলা হয়
-
বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল যেমন সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও কিশোরগঞ্জ জেলায় এই ধরনের বন্যা বেশি দেখা যায়
-
বিশেষ করে বোরো মৌসুমে আকস্মিক বন্যা হলে কৃষকের ব্যাপক ক্ষতি হয়

0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশের কৃষি কোন প্রকার?
Created: 1 month ago
A
ধান-প্রধান নিবিড় স্বয়ংভোগী
B
ধান-প্রধান বাণিজ্যিক
C
স্বয়ংভোগী মিশ্র
D
স্বয়ংভোগী শষ্য চাষ ও পশুপালন
বাংলাদেশের কৃষি ধান-প্রধান নিবিড় স্বয়ংভোগী ধরনের।
• ধান-প্রধান নিবিড় স্বয়ংভোগী:
- শুধুমাত্র মানুষ নিজ নিজ প্রয়োজন মেটানোর জন্য যে যে ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকে তাকে স্বয়ংভোগী চাষাবাদ বলে।
- আদ্র মৌসুমী ভাবাপন্ন ঘনবসিতপূর্ণ এশিয়ার ভারত, বাংলাদেশ, মায়ানমার, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, চীন, জাপানে ধান-প্রধান নিবিড় স্বয়ংভোগী কৃষি ব্যবস্থা চালু আছে।
• বৈশিষ্ট্যসমূহ:
- ক্ষুদ্রায়তন জমি।
- নিবিড় চাষাবাদ।
- ধানের প্রাধান্য।
- কায়িক শ্রম নির্ভর।
- একাদিক্রমে চাষাবাদ।
- চাষাবাদ প্রকৃতির উপর বেশী নির্ভরশীল।
• বাংলাদেশের কৃষি ধান-প্রধান নিবিড় স্বয়ংভোগী বলার কারণ:
- আমাদের দেশের কৃষির প্রধান উপখাত হলো- শস্য (ধান) উৎপাদন।
- বাংলাদেশের মানুষের প্রধান খাবার ভাত, আর তাই এই দেশের প্রায় ৮০ ভাগ কৃষি জমিতেই ধান উৎপাদন হয়।
- এছাড়াও গম, ভুট্টা, সহ শাকসবজি উৎপাদন প্রচুর পরিমানে হয়।
- এজন্যই বাংলাদেশকে কৃষি ধান-প্রধান নিবিড় স্বয়ংভোগী বলা হয়।
---------------------
• বাংলাদেশের জাতীয় কৃষি:
- বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় এক সোনালি অধ্যায়ের নাম কৃষি।
- উৎপাদনশীলতা, আয় বৃদ্ধি এবং গ্রামীণ এলাকায় কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে বিশাল জনগোষ্ঠীর সমৃদ্ধির জন্য কৃষির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
- বাংলাদেশে প্রতি বছর ১লা অগ্রহায়ণ 'জাতীয় কৃষি দিবস ও নবান্ন উৎসব' পালিত হয়।
- কৃষিই সমৃদ্ধি এ শ্লোগানকে ধারণ করে ২০০৮ সালের ১৫ নভেম্বর বা '১লা অগ্রহায়ণ, ১৪১৫' সালে প্রথম জাতীয় কৃষি দিবস পালন করা হয়।
- সেই থেকে প্রতিবছর কৃষি দিবস পালিত হয়ে আসছে।
উৎস: জাতীয় তথ্য বাতায়ন, বাংলাদেশ কৃষি মন্ত্রণালয়, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণীর অর্থনীতি (২য় পত্র) -মোস্তাফিজুর রহমান, একাদশ শ্রেণির ভূগোল- উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশে কালবৈশাখির ঝড় কখন হয়?
Created: 1 month ago
A
মৌসুমী বায়ু ঋতুতে
B
শীতকালে
C
মৌসুমী বায়ু ঋতুর পরবর্তী সময়ে
D
প্রাক-মৌসুমী বায়ু ঋতুতে
কালবৈশাখী ঝড় ও প্রাক-মৌসুমী উষ্ণ গ্রীষ্মকাল
বাংলাদেশের ঋতু ভিত্তিক চারটি ভাগ:
বাংলাদেশের আবহাওয়া মূলত বায়ু প্রবাহ, তাপমাত্রা এবং বৃষ্টিপাতের বৈশিষ্ট্যের উপর ভিত্তি করে চারটি ঋতুতে বিভক্ত:
-
শুষ্ক শীতকাল
-
প্রাক-মৌসুমী উষ্ণ গ্রীষ্মকাল
-
গ্রীষ্মকালীন বর্ষাকাল
-
শরৎকাল
কালবৈশাখী ঝড় কখন হয়?
-
কালবৈশাখী ঝড় মূলত প্রাক-মৌসুমী উষ্ণ গ্রীষ্মকাল (এপ্রিল-মে, বৈশাখ থেকে জ্যৈষ্ঠ) মাসে হয়।
-
বৈশাখ মাসে এর প্রকোপ সবচেয়ে বেশি দেখা যায়।
কালবৈশাখী ঝড়ের বৈশিষ্ট্য:
-
এটি বাংলাদেশের একটি পরিচিত প্রাকৃতিক দুর্যোগ।
-
ঝড়ের গতিবেগ সাধারণত ৫৫–৮০ কিমি/ঘণ্টা হয়।
-
সংঘটনের কারণ: উত্তর-পশ্চিম থেকে আসা শীতল ও শুষ্ক বায়ু এবং দক্ষিণ-পূর্ব থেকে আসা উষ্ণ ও আর্দ্র বায়ু একত্রিত হলে ঝড় তৈরি হয়।
উৎস: বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় (সপ্তম শ্রেণী)

0
Updated: 1 month ago