বিশ্বব্যাংক অনুযায়ী ভবিষ্যতের জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবেলায় বিশ্ব সাহায্যের কত শতাংশ বাংলাদেশকে প্রদান করবে?
A
৩০%
B
৪০%
C
৫০%
D
৬০%
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি এবং বিশ্ব সাহায্য
বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ভবিষ্যতে জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলার জন্য প্রদত্ত বৈশ্বিক সাহায্যের ৩০% বাংলাদেশ পাবে।
বাংলাদেশে ঝুঁকির কারণ:
-
বাংলাদেশের একটি বড় অংশ সমুদ্রপৃষ্ঠের কাছাকাছি হওয়ায় উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষদের জীবন ও জীবিকা ঝুঁকিতে আছে।
-
দেশের ৬০% ভূমি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে মাত্র ৫ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত।
-
বিশ্বব্যাংকের সমীক্ষা অনুযায়ী প্রতি ৩–৫ বছরে দেশের দুই-তৃতীয়াংশ অঞ্চল বন্যার কবলে পড়ে।
-
এর ফলে অবকাঠামো, বাসস্থান, কৃষি ও জীবিকায় বড় ক্ষতি হয়।
-
উপকূলীয় নিম্নাঞ্চল ঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের ঝুঁকিতেও থাকে।
-
IPCC-এর অনুমান অনুযায়ী, ২০৫০ সালের মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে দেশের ১৭% ভূমি এবং ৩০% খাদ্য উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
প্রয়োজনীয় বিনিয়োগ:
২০১০ সালে বিশ্বব্যাংক প্রণীত ‘Economics of Adaptation to Climate Change: Bangladesh’ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০৫০ সালের মধ্যে শুধু ঘূর্ণিঝড় ও বন্যা মোকাবিলার জন্য বাংলাদেশে ৫,৫১৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ এবং ১১২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আবর্তক ব্যয় প্রয়োজন।
উৎস: বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০২২

1
Updated: 1 month ago
নিম্নের কোন দুর্যোগটি বাংলাদেশের জনগণের জীবিকা পরিবর্তনের ক্ষেত্রে দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলতে পারে?
Created: 1 month ago
A
ভূমিকম্প
B
সমুদ্রের জলস্তরের বৃদ্ধি (Sea level rise)
C
ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস
D
খরা বা বন্যা
সমুদ্রের জলস্তরের বৃদ্ধি ও বাংলাদেশের জীবিকার ওপর প্রভাব
বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চল প্রায় ৭১৬ কিলোমিটার জুড়ে বিস্তৃত। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা ক্রমেই বাড়ছে।
এর ফলে লবণাক্ততা, জলাবদ্ধতা, ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস এবং নদীভাঙনের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ নিয়মিত আঘাত হানছে। এসব কারণে উপকূলের অসংখ্য নিম্নআয়ের মানুষ জীবিকা হারানোর ঝুঁকিতে রয়েছে।
লবণাক্ততা বৃদ্ধি
-
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে লবণাক্ততা দ্রুত বাড়ছে।
-
কৃষি জমি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে খুলনা ও বাগেরহাট জেলায়। গত ৩০ বছরে খুলনায় লবণাক্ততা বেড়েছে প্রায় ২১%, আর বাগেরহাটে ১৫.৮৮%।
-
একসময় নড়াইল, যশোর ও গোপালগঞ্জে লবণাক্ততা প্রায় ছিল না, এখন সেখানেও তা ছড়িয়ে পড়ছে।
-
বর্তমানে উপকূলীয় অঞ্চলের প্রায় ১৪ হাজার বর্গকিলোমিটার জমি লবণাক্ত মাটিতে পরিণত হয়েছে।
-
ধারণা করা হচ্ছে, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা যদি আরও ৪৫ সেন্টিমিটার বাড়ে তবে লবণাক্ততা আরও ভেতরের দিকে প্রবেশ করবে এবং কৃষি উৎপাদন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হবে।
-
ঋতুভেদে লবণাক্ততার তারতম্য লক্ষ্য করা যায়—বর্ষায় প্রায় ১০%, আর শুষ্ক মৌসুমে তা বেড়ে দাঁড়ায় প্রায় ৪০% (দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ, ২০২০)।
-
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বাংলাদেশে লবণাক্ত ভূমির পরিমাণ ১৯৭৩ সালে ছিল ৮৩.৩ মিলিয়ন হেক্টর, ২০০০ সালে ১০২ মিলিয়ন হেক্টর, ২০০৯ সালে ১০৫.৬ মিলিয়ন হেক্টর, এবং ২০১৯ সালে বেড়ে দাঁড়ায় ১০৯.৮ মিলিয়ন হেক্টর (ইউএসবি ও আইপিএস রিপোর্ট, ২০২০)।
সমুদ্রপৃষ্ঠ ও জোয়ারের উচ্চতা বৃদ্ধি
-
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা ক্রমেই বাড়ছে। এর ফলে উপকূলীয় এলাকায় ভাঙন বেড়ে গেছে।
-
কুতুবদিয়া ও সন্দ্বীপের বিস্তীর্ণ অঞ্চল ইতোমধ্যেই সমুদ্রগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
-
পূর্ব হিমালয় থেকে প্রবাহিত পানির প্রায় ৯০% এর বেশি বাংলাদেশের নদীপথ দিয়ে বঙ্গোপসাগরে গিয়ে মেশে।
-
ইউএনডিপি (২০১৯) এর তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮ সালে হাতিয়ার চরচঙ্গা স্টেশনে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়েছে ৫.৭৩ মিমি, আর সুন্দরবনের হিরণ পয়েন্টে বেড়েছে ৩.৩৮ মিমি।
উৎসঃ বিবিএ বাংলা, বাংলাদেশ স্টাডিজ, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশের কোন অঞ্চল বেশি খরাপ্রবণ?
Created: 1 month ago
A
উত্তর-পূর্ব অঞ্চল
B
উত্তর-পশ্চিম অঞ্চল
C
দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চল
D
দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চল
বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিম অঞ্চল: খরাপ্রবণতা
খরা হলো এমন একটি পরিস্থিতি যখন কোনো অঞ্চলে দীর্ঘ সময় ধরে পর্যাপ্ত বৃষ্টি হয় না। এই অবস্থায় মাটির আর্দ্রতা কমে যায়, মাটি শুষ্ক হয়ে ফেটে যায়, এবং ভূ-গর্ভস্থ পানির স্তরও নিচে নেমে যায়। সহজভাবে বলতে গেলে, বৃষ্টিহীন বা কম বৃষ্টিপাতের কারণে মাটি ও পরিবেশ শুষ্ক হয়ে যাওয়াই খরা।
বাংলাদেশে খরাপ্রবণ অঞ্চল:
বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিম অঞ্চল বিশেষভাবে খরার জন্য পরিচিত। বিগত অর্ধশতকের মধ্যে ১৯৭৩, ১৯৭৫, ১৯৭৮, ১৯৭৯, ১৯৮১, ১৯৮২, ১৯৮৯, ১৯৯২, ১৯৯৪, ১৯৯৫ এবং ২০১৬ সালে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তীব্র খরার ঘটনা ঘটেছে।
খরার মাত্রা অনুযায়ী অঞ্চল:
-
অতি তীব্র: রাজশাহী ও চাপাইনবাবগঞ্জ
-
তীব্র: দিনাজপুর, বগুড়া, কুষ্টিয়া, যশোর এবং টাঙ্গাইলের কিছু অংশ
-
মাঝারি: রংপুর, বরিশাল এবং দিনাজপুর, কুষ্টিয়া ও যশোরের কিছু অংশ
-
সামান্য: তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র ও মেঘনা পললভূমি এলাকা
খরার প্রধান কারণ:
১. নির্ধারিত সময়ে পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়া
২. পরিবেশের ভারসাম্যহীনতা
৩. বনভূমি উজাড় করা
৪. নদীর উজানে অব্যবস্থাপনার কারণে বাঁধ নির্মাণ
৫. এল নিনো এবং লা নিনোর প্রভাব
উৎস:ভূগোল ২য় পত্র, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 1 month ago
সমবৃষ্টিপাত সম্পন্ন স্থানসমূহকে যোগকারী রেখাকে বলা হয়-
Created: 1 month ago
A
আইসোথার্ম
B
আইসোবার
C
আইসোহাইট
D
আইসোহেলাইন
সমরেখ পদ্ধতি (Isopleth Method)
মানচিত্রে ভিন্ন ভিন্ন স্থানের একই পরিমাণগত মান বা ঘনত্ব নির্দেশ করতে যে রেখা টানা হয়, তাকে সমমান রেখা (Isopleth line) বলা হয়। এ ধরনের রেখা নির্দিষ্ট মানের ওপর দিয়ে টানা হয় এবং সাধারণত প্রকৃতিক বিষয় যেমন আবহাওয়া, জলবায়ু ইত্যাদি প্রদর্শনের জন্য ব্যবহার করা হয়।
উদাহরণ:
-
সমোষ্ণ রেখা (Isotherm): ভূপৃষ্ঠের এমন স্থানগুলোর সংযোগ যেখানে তাপমাত্রা সমান।
-
সমচাপ রেখা (Isobar): বায়ুর সমচাপযুক্ত স্থানগুলোকে যুক্ত করা রেখা।
-
সমবর্ষণ রেখা (Isohyet): সম বৃষ্টিপাতযুক্ত স্থানগুলোকে সংযুক্ত করা রেখা।
-
সমোচ্চ রেখা (Contour): সমান উচ্চতার স্থানগুলোকে সংযুক্ত করা রেখা।
বিশেষ তথ্য
-
এই সমস্ত রেখা কল্পনাপ্রসূত, মানচিত্রে প্রদর্শনের সুবিধার জন্য ব্যবহার করা হয়।
উৎস: ব্যবহারিক ভূগোল ও পরিবেশ, এসএসএইচএল, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 1 month ago