A
ভারত
B
চীন
C
মিয়ানমার
D
আফগানিস্তান
উত্তরের বিবরণ
চীন: সর্বাধিক সীমান্তবর্তী দেশ
চীন, যা পূর্ব এশিয়ায় অবস্থিত, বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ। এর রাজধানী বেইজিং এবং সরকারি মুদ্রা ইউয়ান। দেশের প্রধান ভাষা মান্দারিন এবং আইনসভা হলো ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেস। বর্তমানে রাষ্ট্রপতি শি জিন পিং এবং প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াং।
চীনের অন্যতম বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো এর বৃহৎ সংখ্যক প্রতিবেশী দেশ। চীনের সঙ্গে মোট ১৪টি দেশের স্থল সীমান্ত আছে। এই দেশগুলো হলো:
-
আফগানিস্তান
-
ভুটান
-
ভারত
-
কাজাখস্তান
-
কিরগিজস্তান
-
লাওস
-
মঙ্গোলিয়া
-
মায়ানমার
-
নেপাল
-
উত্তর কোরিয়া
-
পাকিস্তান
-
রাশিয়া
-
তাজিকিস্তান
-
ভিয়েতনাম
তুলনামূলকভাবে, ভারতের সঙ্গে ৮টি দেশ, মিয়ানমারের সঙ্গে ৫টি দেশ এবং আফগানিস্তানের সঙ্গে ৬টি দেশের সীমান্ত রয়েছে।
সর্বাধিক সংখ্যক প্রতিবেশী দেশ দ্বারা পরিবেষ্টিত রাষ্ট্রের তালিকা:
-
চীন – ১৪টি দেশ
-
রাশিয়া – ১৪টি দেশ
-
ব্রাজিল – ১০টি দেশ
-
কঙ্গো গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র – ৯টি দেশ
-
জার্মানি – ৯টি দেশ
উৎস: WorldAtlas

0
Updated: 6 days ago
কোপেনহেগেন কোন দেশের রাজধানী?
Created: 1 week ago
A
ডেনমার্ক
B
বেলজিয়াম
C
ভিয়েতনাম
D
আর্মেনিয়া
ডেনমার্ক
ডেনমার্ক ইউরোপের উত্তর-পশ্চিম অংশে অবস্থিত একটি দেশ। এটি স্ক্যান্ডিনেভিয়ার গুরুত্বপূর্ণ অংশ এবং নর্ডিক দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম। সরকারিভাবে দেশটির নাম “কিংডম অফ ডেনমার্ক”। রাজধানী হল কোপেনহেগেন, আর বৃহত্তম শহরগুলোর মধ্যে আরহুস এবং আলব্রোগা রয়েছে। ডেনমার্কের সরকারি ভাষা হলো ডেনিশ, এবং দেশের জাতীয় পতাকা ১২১৯ সাল থেকে ব্যবহৃত হচ্ছে।
অন্য দেশের উদাহরণ:
-
বেলজিয়ামের রাজধানী: ব্রাসেলস
-
ভিয়েতনামের রাজধানী: হানয়
-
আর্মেনিয়ার রাজধানী: ইয়েরেভান
উৎস: Britannica

0
Updated: 1 week ago
নিম্নের কোনটি গ্রিন হাউজ গ্যাস নয়?
Created: 3 days ago
A
নাইট্রাস অক্সাইড
B
কার্বন ডাই-অক্সাইড
C
অক্সিজেন
D
মিথেন
গ্রিন হাউস এবং গ্রিন হাউস গ্যাস
গ্রিন হাউস:
গ্রিন হাউস হলো কাচ বা স্বচ্ছ উপকরণ দিয়ে তৈরি একটি ঘর, যেখানে উদ্ভিদ বা শাকসবজি চাষ করা হয়। এটি তাপ ধরে রাখে এবং উদ্ভিদ বৃদ্ধির জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করে। সাধারণত শীতপ্রধান দেশগুলো বা মরুভূমি অঞ্চলে এর ব্যবহার বেশি।
গ্রিন হাউস গ্যাস:
গ্রিন হাউস গ্যাসগুলো এমন গ্যাস যা পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে তাপ ধরে রাখে, সূর্য থেকে আসা তাপ বিকিরণকে আটকে দেয় এবং পৃথিবীকে গরম করে। প্রধান গ্রিন হাউস গ্যাসগুলো হলো:
-
কার্বন ডাই-অক্সাইড (CO₂)
-
মিথেন (CH₄)
-
নাইট্রাস অক্সাইড (N₂O)
-
ক্লোরোফ্লোরোকার্বন (CFCs)
এখানে জেনে রাখা জরুরি: অক্সিজেন গ্রিন হাউস গ্যাস নয়।
গ্রিন হাউস ইফেক্ট:
যখন গ্রিন হাউস গ্যাসগুলো সূর্য থেকে আসা তাপকে আটকে দিয়ে বায়ুমণ্ডলকে গরম করে, তখন সেই প্রক্রিয়াটিকে গ্রিন হাউস ইফেক্ট বলা হয়। এই শব্দটি প্রথম ব্যবহার করেন সুইডিশ রসায়নবিদ সোভান্টে আরহেনিয়াস।
গ্রিন হাউস প্রভাব এবং বৈশ্বিক উষ্ণায়ন:
বায়ুমণ্ডলে গ্রিন হাউস গ্যাসের পরিমাণ বৃদ্ধির কারণে:
-
পৃথিবীর তাপমাত্রা ধীরে ধীরে বাড়ছে (বৈশ্বিক উষ্ণায়ন)।
-
সমুদ্রপৃষ্ঠের পানি বাড়ছে।
-
আবহাওয়া ও জলবায়ু পরিবর্তিত হচ্ছে।
-
প্রাকৃতিক দুর্যোগের সংখ্যা ও তীব্রতা বাড়ছে।
-
অনেক প্রাণী এবং উদ্ভিদ প্রজাতি বিলুপ্তির পথে যাচ্ছে।
উৎস: সাধারণ বিজ্ঞান, SSC প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 3 days ago
কোন সংকটকে কেন্দ্র করে ১৯৫০ সালে 'শান্তির জন্য ঐক্য প্রস্তাব' জাতিসংঘের মাধ্যমে পেশ করা হয়?
Created: 6 days ago
A
ভিয়েতনাম সংকট
B
সাইপ্রাস সংকটন
C
কোরিয়া সংকট
D
প্যালেস্টাইন সংকট
কোরিয়ার যুদ্ধ ও জাতিসংঘের উদ্যোগ (১৯৫০–১৯৫৩)
কোরিয়া উপদ্বীপ ইতিহাসে দীর্ঘকাল জাপানের অধীনে ছিল (১৯১০–দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পর্যন্ত)। তবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জাপান পরাজিত হওয়ার ফলে ১৯৪৫ সালে কোরিয়াকে দুই অংশে ভাগ করা হয়:
-
উত্তর কোরিয়া: সোভিয়েত ইউনিয়নের নিয়ন্ত্রণে
-
দক্ষিণ কোরিয়া: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণে
এর ফলে ৩৮° উত্তর অক্ষাংশ বরাবর দুটি দেশের সীমান্ত স্থাপিত হয়। ১৯৪৮ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে উভয় দেশ স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে জন্ম নেয়। শুরু থেকেই উত্তরের ও দক্ষিণের মধ্যে রাজনৈতিক ও সামরিক উত্তেজনা বিরাজ করেছিল। এই যুদ্ধকে ইতিহাসে প্রায়ই “The Forgotten War” বলা হয়।
যুদ্ধের সংক্ষিপ্ত বিবরণ:
-
সময়কাল: ১৯৫০–১৯৫৩
-
বিবাদমান পক্ষ:
-
উত্তর কোরিয়া (সোভিয়েত ইউনিয়ন ও চীনের সমর্থন)
-
দক্ষিণ কোরিয়া (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্রদের সমর্থন)
-
-
জাতিসংঘের পদক্ষেপ: কোরিয়ার সংঘাত উত্তেজনা প্রশমনের জন্য ১৯৫০ সালের ৩ নভেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ ‘Uniting for Peace’ (শান্তির জন্য ঐক্য) প্রস্তাবটি অনুমোদন করে।
-
যুদ্ধের সমাপ্তি: ২৭ জুলাই, ১৯৫৩
উৎস: UN ওয়েবসাইট।

0
Updated: 6 days ago