আন্তর্জাতিক রেড ক্রস-এর সদর দপ্তর:
A
ভিয়েনা
B
জেনেভা
C
প্যারিস
D
লন্ডন
উত্তরের বিবরণ
আন্তর্জাতিক রেড ক্রস (Red Cross) সংক্রান্ত তথ্য
-
সম্পূর্ণ নাম: The International Red Cross and Red Crescent Movement (সংক্ষেপে রেড ক্রস)।
-
প্রকৃতি: এটি একটি সেবামূলক মানবিক প্রতিষ্ঠান।
-
মূল লক্ষ্য: যুদ্ধ ও সংঘাতের সময় আহত ও অসহায় মানুষদের সহায়তা করা।
-
প্রতিষ্ঠার তারিখ: ৯ ফেব্রুয়ারি, ১৮৬৩।
-
প্রতিষ্ঠার স্থান: জেনেভা, সুইজারল্যান্ড।
-
প্রতিষ্ঠাতা: হেনরী ডুনান্ট (Jean Henri Dunant)।
-
সদর দপ্তর: জেনেভা, সুইজারল্যান্ড।
-
বিশ্বব্যাপী কার্যক্রম: প্রতিষ্ঠার পর থেকে সংস্থাটি ধীরে ধীরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মানবিক কার্যক্রম চালাচ্ছে এবং মানবতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে।
উল্লেখযোগ্য তথ্য:
-
হেনরী ডুনান্ট ৮ মে, ১৮২৮ সালে সুইজারল্যান্ডের জেনেভা শহরে জন্মগ্রহণ করেন।
-
তাঁর স্মৃতিতে প্রতিবছর বিশ্ব রেড ক্রস/রেড ক্রিসেন্ট দিবস উদযাপন করা হয়।
-
এই দিবসটি বিশ্বব্যাপী ১৯১টি দেশে পালন করা হয়।
উৎস: Red Cross ওয়েবসাইট।

0
Updated: 1 month ago
প্যারিস চুক্তি অনুযায়ী ২০৩০ সালের মধ্যে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন কত শতাংশ কমানোর লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে?
Created: 1 month ago
A
২৫%
B
৩৫%
C
৪৩%
D
৫০%
আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি
আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী
আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক সংস্থা
আন্তর্জাতিক রেড ক্রস
গ্রিন হাউস
প্যারিস শান্তি চুক্তি
সাম্রাজ্যের পতন
প্যারিস জলবায়ু চুক্তি (Paris Climate Agreement)
-
সংজ্ঞা: জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় একটি আন্তর্জাতিক চুক্তি।
-
স্বাক্ষরের সাল: ২০১৫ (COP-21 সম্মেলন)
-
স্বাক্ষরের স্থান: প্যারিস, ফ্রান্স
-
কার্যকর হওয়ার তারিখ: ৪ নভেম্বর, ২০১৬
-
স্বাক্ষরকারী দেশ: ১৯৫টি দেশ
মূল উদ্দেশ্য
-
বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে সীমাবদ্ধ রাখা এবং ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ রাখার প্রচেষ্টা।
-
২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন প্রায় ৪৩% হ্রাস করা।
-
২০৫০–২১০০ সালের মধ্যে নিঃসৃত গ্রিনহাউস গ্যাস প্রাকৃতিকভাবে গাছ, মাটি ও সমুদ্র যতটা শোষণ করতে পারে, সেই পর্যায়ে নামিয়ে আনা।
-
প্রতি ৫ বছর অন্তর প্রত্যেক দেশের অবদান (Nationally Determined Contributions – NDCs) পর্যালোচনা করা।
-
জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে খাপ খাওয়াতে এবং নবায়নযোগ্য শক্তির প্রসারে গরিব দেশগুলোকে সহায়তা করার জন্য ধনী দেশগুলোর জলবায়ু তহবিল গঠন।
জলবায়ু তহবিল
-
উন্নত দেশগুলো ২০২০ সাল থেকে প্রতি বছর ১০০ বিলিয়ন ডলার জলবায়ু তহবিলে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়।
-
এই অর্থ উন্নয়নশীল ও ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর অভিযোজন (adaptation) ও প্রশমন (mitigation) কার্যক্রমে ব্যয় হওয়ার কথা।
-
COP-29 (নভেম্বর, ২০২৪)-এ এই প্রতিশ্রুতি বাড়ানো হয়:
-
২০৩৫ সাল পর্যন্ত প্রতি বছর ৩০০ বিলিয়ন ডলার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
-
লক্ষ্য: জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে সহায়তা করা।
-
উৎস:
i) UNFCCC (United Nations Framework Convention on Climate Change) ওয়েবসাইট
ii) UNTC (United Nations Treaty Collection) ওয়েবসাইট

0
Updated: 1 month ago
বর্তমান বিশ্বে 'নিউ সিল্ক রোড' এর প্রবক্তা-
Created: 1 month ago
A
জাপান
B
ভারত
C
আফগানিস্তান
D
চীন
নিউ সিল্ক রোড এবং এর প্রবর্তক
-
প্রবর্তক দেশ: চীন
-
নিউ সিল্ক রোড কি?
চীন মূলত বাণিজ্য বৃদ্ধির জন্য 'নিউ সিল্ক রোড' বা 'বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ' শুরু করেছে। এটি একটি আধুনিক বাণিজ্য ও অবকাঠামোগত পথ, যা প্রাচীন সিল্ক রোডের ধারাবাহিকতা বহন করে। -
প্রাচীন সিল্ক রোড:
প্রাচীনকালে চীনের রেশম ও রেশমী কাপড় মধ্য এশিয়া, দক্ষিণ এশিয়া, পশ্চিম এশিয়া, ইউরোপ এবং উত্তর আফ্রিকায় পৌঁছাত। এই বাণিজ্য পথকে 'সিল্ক রোড' বলা হতো।-
খ্রিস্টপূর্ব ১ম শতকে চীনের হান রাজবংশ সময়ে এটি গড়ে উঠেছিল।
-
দশম শতাব্দীতে সং রাজবংশ সময়ে এই বাণিজ্য পথের ব্যবহার প্রায় বন্ধ হয়ে যায়।
-
-
আধুনিক উদ্যোগ:
১৯৩০ সালে যুক্তরাজ্য প্রাচীন সিল্ক রোড চালুর চেষ্টা করেছিল, কিন্তু তা সফল হয়নি। এরপর ২০১৪ সালে চীন আধুনিক নিউ সিল্ক রোড চালুর উদ্যোগ নেয়।
তথ্যসূত্র: Britannica.com

0
Updated: 1 month ago
রোম সংবিধি (Rome Statute) এর ফলে কোন সংস্থাটি প্রতিষ্ঠিত হয়?
Created: 3 weeks ago
A
International Court of Justice (ICJ)
B
International Criminal Court (ICC)
C
International Atomic Energy Agency (IAEA)
D
European Union (EU)
রোম সংবিধি (Rome Statute) হলো আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (International Criminal Court - ICC) প্রতিষ্ঠার জন্য গৃহীত একটি আন্তর্জাতিক চুক্তি, যা ১৯৯৮ সালে ইতালির রোমে অনুষ্ঠিত কূটনীতিক সম্মেলনের মাধ্যমে গৃহীত হয় এবং ২০০২ সালের ১ জুলাই কার্যক্রম শুরু করে।
সংবিধির মূল লক্ষ্য হলো আন্তর্জাতিক অপরাধের বিচারে দেশীয় বিচারব্যবস্থার পরিপূরক হিসেবে কাজ করা।
-
রোম সংবিধি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৯৮ সালের ১৫ জুন থেকে ১৭ জুলাই পর্যন্ত অনুষ্ঠিত কূটনৈতিক সম্মেলনের মাধ্যমে, যেখানে বিশ্বের ১২০টি দেশের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেছিলেন। সংবিধি গৃহীত হয় ১২০-৭ ভোটের ব্যবধানে।
-
২০০২ সালের ১ জুলাই আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত কার্যকারিতা লাভ করে, যখন প্রয়োজনীয় সংখ্যক রাষ্ট্র সংবিধি অনুমোদন করে।
-
সংবিধিতে মোট ১৩টি অধ্যায় এবং ১২৮টি অনুচ্ছেদ রয়েছে।
-
সংবিধির প্রস্তাবনা এবং অনুচ্ছেদ ১ ও ১৭ অনুযায়ী, ICC মূলত দেশীয় বিচারব্যবস্থার পরিপূরক হিসেবে কাজ করে।
ICC (International Criminal Court) সম্পর্কিত তথ্য:
-
প্রতিষ্ঠিত: ১৭ জুলাই, ১৯৯৮ (রোম সংবিধির মাধ্যমে)
-
কার্যক্রম শুরু: ১ জুলাই, ২০০২
-
সদরদপ্তর: দ্য হেগ, নেদারল্যান্ডস
-
সদস্য সংখ্যা: ১২৫টি (১২৫তম সদস্য: ইউক্রেন)
-
বর্তমান প্রেসিডেন্ট: তোমোকো আকানেকে (২০২৪-২০২৭)। প্রেসিডেন্সির সদস্যরা তিন বছরের মেয়াদে নির্বাচিত হন।
ICC-এর বিচার ক্ষমতা ও অপরাধ:
-
অনুচ্ছেদ ৫ অনুযায়ী চার ধরনের অপরাধের বিচার করা যায়:
-
জেনোসাইড
-
মানবতাবিরোধী অপরাধ
-
যুদ্ধাপরাধ
-
আগ্রাসনের অপরাধ
-
-
১৯৯৮ সালের মূল আইনে প্রথম তিনটি অপরাধ উল্লেখ ছিল। ২০১০ সালে রোম সংবিধিতে সংশোধনীর মাধ্যমে আগ্রাসনের অপরাধ অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
-
প্রতিটি অপরাধ প্রমাণের জন্য Elements of Crimes নামে সহায়িকা রয়েছে।
-
বিচার প্রক্রিয়ার পদ্ধতিগত দিকগুলো বিস্তারিত বলা আছে Rules of Procedure and Evidence-এ।
অন্য প্রাসঙ্গিক আন্তর্জাতিক আদালত ও সংস্থা:
-
International Court of Justice (ICJ): ১৯৪৫ সালে সানফ্রান্সিসকো সম্মেলনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত, যা মূলত বিভিন্ন দেশের মধ্যে অমীমাংসিত বিষয় নিষ্পত্তি করে।
-
International Atomic Energy Agency (IAEA): ১৯৫৭ সালে অস্ট্রিয়ার ভিয়েনায় প্রতিষ্ঠিত।
-
European Union (EU): ১৯৯২ সালে স্বাক্ষরিত 'ম্যাসট্রিক্ট চুক্তি'র ভিত্তিতে ১৯৯৩ সালে ইউরোপীয় কমিশন থেকে রূপান্তরিত হয়ে প্রতিষ্ঠিত।

0
Updated: 3 weeks ago