A
২
B
৩
C
৪
D
৫
উত্তরের বিবরণ
১৭৮৩ সালের প্যারিস ও ভার্সাই চুক্তি
১৭৮৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা যুদ্ধ শেষ করতে প্যারিসে চারটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, যেগুলো একত্রে প্যারিস চুক্তি (Treaty of Paris) বা পিস অব প্যারিস নামে পরিচিত। এই চারটি চুক্তির মধ্যে দুটি প্যারিসে এবং দুটি ভার্সাইয়ে স্বাক্ষরিত হয়। মূল চুক্তিটি যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে হয়েছিল, যেখানে ফ্রান্স, স্পেন ও নেদারল্যান্ডসেও কিছু চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
শান্তি আলোচনার প্রক্রিয়া:
-
১৭৭৮ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস যুক্তরাজ্যের সঙ্গে যুদ্ধ সমাপ্তির লক্ষ্যে আলোচনায় বসে।
-
আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি ছিলেন: জন এডামস, বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন, জন জে, থমাস জেফারসন ও হেনরি লরেন্স।
-
১৭৮২ সালে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী লর্ড শেলবর্ন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের সঙ্গে চুক্তির খসড়া তৈরি করেন।
চুক্তি স্বাক্ষরের তথ্য:
-
তারিখ: ৩ সেপ্টেম্বর, ১৭৮৩
-
স্থান: প্যারিস, ফ্রান্স
-
স্বাক্ষরকারী: যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন, জন এডামস ও জন জে, এবং যুক্তরাজ্যের পক্ষ থেকে লর্ড শেলবর্ন।
-
চুক্তি সংখ্যা: ৪টি
ফলাফল:
-
এই চুক্তির ফলে আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা যুদ্ধ শেষ হয়।
-
পক্ষে থাকা রাষ্ট্রগুলো: যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, স্পেন, নেদারল্যান্ডস।
উৎস: History.com

0
Updated: 6 days ago
'আরব বসন্ত' বলতে কী বুঝায়?
Created: 1 week ago
A
আরবের বিভিন্ন দেশে গণজাগরণ
B
আরব অঞ্চলে বসন্তকাল
C
আরব রাজতন্ত্র
D
আরবীয় মহিলাদের ক্ষমতায়ন
আরব বসন্ত
আরব বসন্ত হলো আরব বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জনগণের গণজাগরণের আন্দোলন। এটি ২০১০ সালের শেষের দিকে শুরু হয়, যখন সাধারণ মানুষ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করে। এই আন্দোলনের ফলে বহু দেশেই দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকা স্বৈরশাসকরা ক্ষমতাচ্যুত হন। আরব বসন্তে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং আঞ্চলিক মিডিয়ার ভূমিকা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সূচনা ও বিস্তার:
আরব বসন্তের সূচনা হয় তিউনিসিয়ায়, যা উত্তর আফ্রিকার একটি দেশ। ২০১০–২০১১ সালে এই আন্দোলনের ঢেউ মধ্যপ্রাচ্য এবং উত্তর আফ্রিকার অন্যান্য দেশে ছড়িয়ে পড়ে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য দেশ হলো:
-
মিশর: প্রেসিডেন্ট হোসনি মুবারক ক্ষমতাচ্যুত হন।
-
লিবিয়া: মুয়াম্মর আল-গাদ্দাফির শাসনকাল শেষ হয়।
-
এছাড়াও সিরিয়া, ইয়েমেন, বাহরাইন ও অন্যান্য দেশে আন্দোলন চলে।
অর্থনৈতিক দিক থেকে এই আন্দোলনের প্রভাবও ছিল বড়। প্রায় পৌনে দুই বছরের মধ্যে শুধু ছয়টি দেশেই (লিবিয়া, সিরিয়া, মিশর, তিউনিসিয়া, বাহরাইন ও ইয়েমেন) মোট ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ২,০৫৬ কোটি ডলার।
উৎস: Britannica

0
Updated: 1 week ago
'ডেটন শান্তিচুক্তি' স্বাক্ষরিত হয় -
Created: 1 month ago
A
১৯৯৫ সালে
B
১৯৯১ সালে
C
১৯৯২ সালে
D
১৯৯৩ সালে
'ডেটন শান্তিচুক্তি' স্বাক্ষরিত হয় ১৯৯৫ সালে।
ডেটন চুক্তি (Dayton Agreement):
- এই চুক্তির পূর্ণরূপ: The General Framework Agreement for Peace in Bosnia and Herzegovina.
- এটি একটি শান্তিচুক্তি।
- প্রক্রিয়াটির নেতৃত্বে ছিলেন প্রধান মার্কিন শান্তি আলোচনাকারী রিচার্ড হলব্রুক।
- চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়: ১৪ ডিসেম্বর, ১৯৯৫।
- চুক্তি স্বাক্ষরের স্থান: প্যারিস, ফ্রান্স।
- পক্ষসমূহ: বসনিয়া অ্যান্ড হার্জেগোভিনা, ক্রোয়েশিয়া, সার্বিয়া।
- স্বাক্ষরকারী: ক্রোয়েশিয়ার প্রেসিডেন্ট ফ্রানজো তুজমান, সার্বিয়ার প্রেসিডেন্ট স্লোবোদান মিলোসেভিচ (যাঁকে পরে হেগে ‘যুদ্ধাপরাধী’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল) এবং বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার প্রেসিডেন্ট এলিজা আইজেবগোভিচ।
- মধ্যস্থতাকারী: তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন।
- উদ্দেশ্য: সার্বিয়া ও বসনিয়া-হার্জেগোভিনা সমস্যার সমাধান।
উৎস: i) OSCE.org.
ii) Britannica.

0
Updated: 1 month ago
EURO is the currency of -
Created: 1 week ago
A
Asia
B
Europe
C
America
D
Africa
ইউরো মুদ্রা
-
ইউরো হলো ইউরোপীয় ইউনিয়নের (EU) অনেক দেশ মিলিয়ে ব্যবহৃত একক মুদ্রা।
-
ইউরো মুদ্রার জনক হলেন রবার্ট মুন্ডেল।
-
ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক (European Central Bank) ১ জানুয়ারি ১৯৯৯ সালে EU অঞ্চলে ইউরো মুদ্রা চালু করে।
-
ইউরো মুদ্রা € প্রতীক দিয়ে প্রকাশ করা হয়।
ইতিহাস ও দেশসমূহ
-
১৯৯৯ সালে ইউরোপের ১৪টি দেশ প্রথমবার ইউরো ব্যবহার শুরু করে:
অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম, জার্মানি, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, আয়ারল্যান্ড, ইতালি, লুক্সেমবুর্গ, মোনাকো, নেদারল্যান্ডস, পর্তুগাল, স্পেন, সান মারিনো, ভ্যাটিকান সিটি। -
পরবর্তী বছরগুলোতে আরও দেশ ইউরো গ্রহণ করে:
-
২০০৮ সালে সাইপ্রাস ও মাল্টা
-
২০১৫ সালে লিথুয়ানিয়া
-
২০২৩ সালে ক্রোয়েশিয়া, যা ২০তম দেশ হিসেবে ইউরো গ্রহণ করে।
-
বর্তমানে ইউরো ব্যবহারকারী ২০টি দেশ:
অস্ট্রিয়া, গ্রিস, জার্মানি, ফ্রান্স, স্পেন, পর্তুগাল, নেদারল্যান্ড, বেলজিয়াম, লুক্সেমবার্গ, আয়ারল্যান্ড, মাল্টা, সাইপ্রাস, লিথুয়ানিয়া, লাটভিয়া, এস্তোনিয়া, স্লোভেনিয়া, স্লোভাকিয়া, ইতালি, ফিনল্যান্ড, ক্রোয়েশিয়া।
উৎস: European Union ওয়েবসাইট

0
Updated: 1 week ago