A
ভিয়েতনাম সংকট
B
সাইপ্রাস সংকটন
C
কোরিয়া সংকট
D
প্যালেস্টাইন সংকট
উত্তরের বিবরণ
কোরিয়ার যুদ্ধ ও জাতিসংঘের উদ্যোগ (১৯৫০–১৯৫৩)
কোরিয়া উপদ্বীপ ইতিহাসে দীর্ঘকাল জাপানের অধীনে ছিল (১৯১০–দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পর্যন্ত)। তবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জাপান পরাজিত হওয়ার ফলে ১৯৪৫ সালে কোরিয়াকে দুই অংশে ভাগ করা হয়:
-
উত্তর কোরিয়া: সোভিয়েত ইউনিয়নের নিয়ন্ত্রণে
-
দক্ষিণ কোরিয়া: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণে
এর ফলে ৩৮° উত্তর অক্ষাংশ বরাবর দুটি দেশের সীমান্ত স্থাপিত হয়। ১৯৪৮ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে উভয় দেশ স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে জন্ম নেয়। শুরু থেকেই উত্তরের ও দক্ষিণের মধ্যে রাজনৈতিক ও সামরিক উত্তেজনা বিরাজ করেছিল। এই যুদ্ধকে ইতিহাসে প্রায়ই “The Forgotten War” বলা হয়।
যুদ্ধের সংক্ষিপ্ত বিবরণ:
-
সময়কাল: ১৯৫০–১৯৫৩
-
বিবাদমান পক্ষ:
-
উত্তর কোরিয়া (সোভিয়েত ইউনিয়ন ও চীনের সমর্থন)
-
দক্ষিণ কোরিয়া (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্রদের সমর্থন)
-
-
জাতিসংঘের পদক্ষেপ: কোরিয়ার সংঘাত উত্তেজনা প্রশমনের জন্য ১৯৫০ সালের ৩ নভেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ ‘Uniting for Peace’ (শান্তির জন্য ঐক্য) প্রস্তাবটি অনুমোদন করে।
-
যুদ্ধের সমাপ্তি: ২৭ জুলাই, ১৯৫৩
উৎস: UN ওয়েবসাইট।

0
Updated: 6 days ago
প্রেসিডেন্ট উইড্র উইলসনের 14 points এ কত নম্বর point এ জাতিপুঞ্জের সৃষ্টির কথা উল্লেখ করা হয়েছে?
Created: 6 days ago
A
৯
B
১২
C
১৩
D
১৪
উড্রো উইলসনের ১৪ দফা ও জাতিসংঘের ভিত্তি
উড্রো উইলসন
-
উড্রো উইলসন ছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ২৮তম প্রেসিডেন্ট।
-
১৯১৮ সালের ৮ জানুয়ারি, তিনি মার্কিন কংগ্রেসে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী শান্তি প্রতিষ্ঠা এবং ইউরোপে স্থায়ী স্থিতিশীলতার জন্য একটি বক্তৃতা দেন।
-
এই বক্তৃতায় তিনি ১৪ দফার প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেন।
-
এর ১৪ নং দফায় তিনি একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা, অর্থাৎ জাতিসংঘ বা লীগ অব নেশনস (League of Nations) গঠনের আহ্বান জানান, যা বিশ্বে শান্তি ও সহযোগিতা নিশ্চিত করবে।
লীগ অব নেশনস (League of Nations):
-
এটি প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর প্রতিষ্ঠিত একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা।
-
১৯২০ সালের ১০ জানুয়ারি, প্যারিস শান্তি সম্মেলনে গঠন করা হয়।
-
প্রধান উদ্দেশ্য ছিল যুদ্ধের পর বিশ্বে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা করা।
-
উদ্যোক্তা: মার্কিন প্রেসিডেন্ট উড্রো উইলসন।
-
সদর দপ্তর: জেনেভা, সুইজারল্যান্ড।
-
মূল লক্ষ্য:
-
সদস্য রাষ্ট্রগুলোর রাজনৈতিক সীমানা অক্ষুণ্ণ রাখা।
-
একে অপরকে আক্রমণ থেকে বিরত রাখা।
-
কোনো সদস্য রাষ্ট্রকে আক্রমণ করা হলে সম্মিলিতভাবে সহায়তা করা।
-
সংখ্যালঘু সমস্যার সমাধান ও ম্যান্ডেট বিষয়ক আলোচনা।
-
সংগঠন ও কার্যক্রম:
-
দুটি মূল অঙ্গ: কাউন্সিল এবং সাধারণ পরিষদ।
-
শক্তিশালী ৫ রাষ্ট্রের সদস্য: ব্রিটেন, যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, ইতালি, জাপান।
-
পাশাপাশি ৪টি অস্থায়ী সদস্য রাষ্ট্র রাখা হয়।
-
১৯৩০-এর দশকে বিভিন্ন আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কার্যকর ভূমিকা নিতে ব্যর্থ হওয়ার পর, সাংগঠনিক দুর্বলতার কারণে এটি ২০ এপ্রিল ১৯৪৬ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে বিলুপ্ত হয়।
উৎস: UN ওয়েবসাইট

0
Updated: 6 days ago
লাওসের (Laos) সরকারি নাম কি?
Created: 6 days ago
A
Loas People's Democratic Republic
B
Republic of Laos
C
Kingdom of Laos
D
Democratic Republic of Laos
লাওস
লাওস (Laos) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একটি স্থলবদ্ধ দেশ। এর সরকারী নাম “Laos People’s Democratic Republic”। দেশটির ভৌগোলিক অবস্থান অনুযায়ী উত্তর-পশ্চিমে চীন, পূর্বে ভিয়েতনাম, দক্ষিণে কম্বোডিয়া এবং পশ্চিমে থাইল্যান্ড অবস্থিত।
লাওস দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দারিদ্র্যপীড়িত দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম। ১৯৭৫ সালে এখানে কমিউনিস্ট শাসকরা রাজতন্ত্রের অবসান ঘটিয়ে দেশকে মার্কসবাদী-লেনিনবাদী মতাদর্শের ভিত্তিতে পরিচালনা শুরু করে।
-
রাজধানী: ভিয়েনতিয়েন
-
বর্তমান প্রধানমন্ত্রী: সোনেক্সে সিফানডোন
-
আইনসভা: জাতীয় পরিষদ
-
মুদ্রা: কিপ
-
সরকারি ভাষা: লাও
সূত্র: Britannica

0
Updated: 6 days ago
সলোমন-দ্বীপপুঞ্জ কোন মহাসাগরে অবস্থিত?
Created: 3 days ago
A
ভারত মহাসাগর
B
প্রশান্ত মহাসাগর
C
আটলান্টিক মহাসাগর
D
আর্কটিক মহাসাগর
সলোমন দ্বীপপুঞ্জ প্রশান্ত মহাসাগরে অবস্থিত।
গুরুত্বপূর্ণ দ্বীপপুঞ্জসমূহ মহাসাগর অনুযায়ী:
১. প্রশান্ত মহাসাগর:
পাপুয়া নিউগিনি, হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জ, নিউজিল্যান্ড, ফিলিপাইন, পালাউ, নাউরু, তাহিতি, ফিজি, সলোমন দ্বীপপুঞ্জ ইত্যাদি।
২. আটলান্টিক মহাসাগর:
যুক্তরাজ্য, বাহামা, বারমুডা, গ্রিনল্যান্ড, আইসল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, জ্যামাইকা, ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্র, কিউবা ইত্যাদি।
৩. ভারত মহাসাগর:
মাদাগাস্কার, সেইসিলিশ, মরিশাস, দিয়াগো গার্সিয়া, মালদ্বীপ, আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ ইত্যাদি।
প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জের বিভাজন:
প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জকে ভৌগোলিকভাবে তিনটি প্রধান অঞ্চলে ভাগ করা হয়: মাইক্রোনেশিয়া, মেলানেশিয়া, পলিনেশিয়া।
১. মাইক্রোনেশিয়া:
নাউরু, পালাউ, কিরিবাতি, মার্শাল দ্বীপপুঞ্জ, মাইক্রোনেশিয়া।
২. মেলানেশিয়া:
সলোমন দ্বীপপুঞ্জ, ফিজি, ভানুয়াতু, পাপুয়া নিউগিনি।
৩. পলিনেশিয়া:
টোঙ্গা, টুভ্যালু, সামোয়া।
উৎস: World Atlas.

0
Updated: 3 days ago