A
১৭ জানুয়ারি ১৯৭২
B
২৬ মার্চ ১৯৭১
C
১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১
D
২১ ফেব্রুয়ারি ১৯৭২
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা একটি সবুজ আয়তক্ষেত্রের মধ্যে লাল বৃত্ত দিয়ে তৈরি। এখানে সবুজ রঙ বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও তরুণ প্রজন্মের প্রতীক, আর লাল বৃত্ত উদীয়মান সূর্য ও মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের রক্তের প্রতীক।
গৃহীত হওয়ার সময়:
এই রূপের পতাকা সরকারিভাবে ১৭ জানুয়ারি ১৯৭২ সালে গৃহীত হয়।
প্রথম পতাকা উত্তোলন:
-
২ মার্চ ১৯৭১: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় ছাত্র জনতার সমাবেশে তখনকার ঢাকসুর ভিপি আ. স. ম. আব্দুর রব স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা প্রথম উত্তোলন করেন।
-
৬ মার্চ ১৯৭১: পতাকাটি আনুষ্ঠানিকভাবে গৃহীত হয়।
-
২৩ মার্চ ১৯৭১: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর বাসভবনে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা আনুষ্ঠানিকভাবে উত্তোলন করেন এবং একই দিনে দেশে-বিদেশে সারা বাংলাদেশে পতাকা উত্তোলনের আয়োজন করা হয়।
-
বাংলাদেশের বাইরে প্রথম উত্তোলন: কলকাতাস্থ পাকিস্তানের ডেপুটি হাইকমিশনারের অফিসে।
অতিরিক্ত তথ্য:
-
সংবিধান অনুযায়ী জাতীয় পতাকার কথা বলা হয়েছে ৪ নং অনুচ্ছেদে।
-
জাতীয় পতাকা দিবস: ২ মার্চ।
-
মানচিত্রসহ পতাকার নকশাকার: শিব নারায়ণ দাস (৬ জুন ১৯৭০)।
-
দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের অনুপাত: ১০:৬ (৫:৩)।
উৎস: স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস

0
Updated: 6 days ago
'অলিভ টারটল' বাংলাদেশের কোন দ্বীপে পাওয়া যায়?
Created: 1 week ago
A
সেন্টমার্টিন
B
রাঙ্গাবালি
C
চর আলেকজান্ডার
D
ছেড়াদ্বীপ
অলিভ টারটল (Olive Turtle) – বাংলাদেশে অবস্থান ও সংরক্ষণ
-
রঙ ও বৈশিষ্ট্য: অলিভ টারটল হলো জলপাই রঙের কচ্ছপ।
-
আবাসস্থল: এটি প্রধানত প্রশান্ত মহাসাগর, দক্ষিণ আটলান্টিক মহাসাগর এবং ভারত মহাসাগরের উষ্ণ পানিতে দেখা যায়।
-
বাংলাদেশে অবস্থান: দেশের প্রধান আবাসস্থল হলো সেন্ট মার্টিন দ্বীপ, সুন্দরবন এবং বঙ্গোপসাগরের অন্যান্য ছোট দ্বীপপুঞ্জ। বিশেষভাবে, সেন্ট মার্টিন দ্বীপে এটি প্রজনন করে।
-
সংরক্ষণ: ২০১২ সালের বাংলাদেশের বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন অনুযায়ী অলিভ টারটল সংরক্ষিত প্রজাতি। দেশের উপকূলীয় অঞ্চলে এদের সংখ্যা কমে যাওয়ায় বিপন্নপ্রায় অবস্থায় রয়েছে।
উৎস: Britannica, ইত্তেফাক, ৫ জানুয়ারি ২০১৯.

0
Updated: 1 week ago
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার ডিজাইনার কে?
Created: 3 months ago
A
জয়নুল আবেদীন
B
কামরুল হাসান
C
হাশেম খান
D
হামিদুর রহমান
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার চূড়ান্ত নকশাকার ছিলেন বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী কামরুল হাসান
কামরুল হাসান
-
তিনি একজন খ্যাতনামা চিত্রশিল্পী ছিলেন।
-
তাঁর পুরো নাম ছিল আবু শরাফ মোহাম্মদ কামরুল হাসান।
-
১৯২১ সালের ২ ডিসেম্বর তিনি কলকাতায়, তাঁর পিতার কর্মস্থলে জন্মগ্রহণ করেন।
-
তিনি ১৯৬৯-৭০ সালের স্বাধিকার ও অসহযোগ আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন এবং পরবর্তীতে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।
-
‘পটুয়া কামরুল হাসান’ নামেই তিনি জনসাধারণের মাঝে বেশি পরিচিত ছিলেন।
-
১৯৬০ সালে তিনি ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের নকশাকেন্দ্রে প্রধান নকশাবিদ হিসেবে নিযুক্ত হন।
-
তাঁর চিত্রকর্মে প্রধান উপাদান হিসেবে দেখা যায় – নারী-পুরুষ, বিভিন্ন প্রাণী (বিশেষত গরু ও শৃগাল), সাপ ও প্রকৃতি।
-
চিত্রকলায় বিশেষ অবদানের জন্য তিনি বিভিন্ন সময়ে একাধিক পুরস্কার ও সম্মান লাভ করেন।
-
উল্লেখযোগ্য পুরস্কারের মধ্যে রয়েছে: প্রেসিডেন্ট পুরস্কার (১৯৬৫), কুমিল্লা ফাউন্ডেশন স্বর্ণপদক (১৯৭৭), স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার (১৯৭৯), চারুশিল্পী সংসদের সম্মাননা (১৯৮৪), এবং বাংলা একাডেমির ফেলোশিপ (১৯৮৫)।
• শিল্পকর্ম ও অবদান
-
কামরুল হাসান ছিলেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় প্রতীক এবং জাতীয় পতাকার নকশাকার।
-
তাঁর বিখ্যাত চিত্রকর্ম ‘তিন কন্যা’ ও ‘নাইওর’ অবলম্বনে যুগোস্লাভ সরকার (১৯৮৫) এবং বাংলাদেশ সরকার (১৯৮৬) ডাকটিকিট প্রকাশ করে।
-
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিখ্যাত “বলাকা” লোগোও তাঁর নকশা করা।
-
তাঁর অন্যান্য উল্লেখযোগ্য শিল্পকর্মের মধ্যে রয়েছে – ‘রায়বেশে নৃত্য’, ‘এই জানোয়ারদের হত্যা করতে হবে’, এবং ‘দেশ আজ বিশ্ববেহায়ার খপ্পরে’।
• অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্য
-
দুর্ভিক্ষচিত্রে অসাধারণ অবদানের জন্য খ্যাতি অর্জন করেন আরেক বিখ্যাত চিত্রশিল্পী জয়নুল আবেদীন।
-
বাংলাদেশের সংবিধান গ্রন্থের অলংকরণ ও সজ্জার মূল তত্ত্বাবধানে ছিলেন জয়নুল আবেদীন, আর অঙ্গসজ্জার কাজ করেন হাশেম খান।
-
বীরশ্রেষ্ঠ মোহাম্মদ হামিদুর রহমান (১৯৪৫–১৯৭১) ছিলেন ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সিপাহি, যিনি মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হন।
তথ্যসূত্র
i) বাংলাপিডিয়া
ii) বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা : নবম-দশম শ্রেণি
iii) বণিক বার্তা, ২১ ডিসেম্বর ২০২২

0
Updated: 3 months ago
পরিকল্পনা কমিশনের গৃহীত পদক্ষেপ অনুযায়ী সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা কোন মেয়াদে হবে?
Created: 1 week ago
A
২০১৫-২০১৯
B
২০১৬-২০২০
C
২০১৭-২০২১
D
২০১৮-২০২২
সপ্তম ও অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা
বাংলাদেশে পরিকল্পনা কমিশন এ পর্যন্ত মোট ৮টি পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে ৭টি পরিকল্পনা শেষ হয়েছে এবং বর্তমানে অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা (২০২০-২৫) কার্যকর রয়েছে।
পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার মেয়াদকালসমূহ
-
১ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা: ১৯৭৩-১৯৭৮
-
২য় পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা: ১৯৮০-১৯৮৫
-
৩য় পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা: ১৯৮৫-১৯৯০
-
৪র্থ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা: ১৯৯০-১৯৯৫
-
৫ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা: ১৯৯৭-২০০২
-
৬ষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা: ২০১১-২০১৫
-
৭ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা: ২০১৬-২০২০
-
৮ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা: ২০২০-২০২৫ (চলমান)
অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার (জুলাই ২০২০ – জুন ২০২৫) মূল লক্ষ্যসমূহ
-
বাস্তবায়ন ব্যয়ের লক্ষ্যমাত্রা: ৬৪ লাখ ৯৫ হাজার ৯৮০ কোটি টাকা
-
মোট বিনিয়োগ জিডিপির অনুপাতে: ৩৭.৪%
-
বার্ষিক প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য: ৮.৫১%
-
কর্মসংস্থান সৃষ্টি: প্রায় ১ কোটি ১৩ লাখ
-
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ: ৪.৬%
-
গড় আয়ু বৃদ্ধি: ৭৪ বছর
-
বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা: ৩০ হাজার মেগাওয়াট
-
দারিদ্র্যের হার: ১৫.৬%
-
চরম দারিদ্র্যের হার: ৭.৪%
দীর্ঘমেয়াদি দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী, ২০৩১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করা এবং চরম দারিদ্র্য নির্মূল করা হবে।
উৎস: পরিকল্পনা বিভাগ, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার

0
Updated: 1 week ago