A
যুক্তরাজ্য
B
পূর্ব জার্মানি
C
স্পেন
D
গ্রিস
উত্তরের বিবরণ
মুক্তিযুদ্ধের পর বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদান
-
৬ ডিসেম্বর ১৯৭১: মুক্তিযুদ্ধের পর প্রথম দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয় ভুটান, এবং দ্বিতীয় দেশ হিসেবে ভারত।
-
১১ জানুয়ারি ১৯৭২: বিশ্বের তৃতীয় দেশ ও প্রথম ইউরোপীয় দেশ হিসেবে পূর্ব জার্মানি বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়। একই দিন বুলগেরিয়া চতুর্থ দেশ হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে।
-
১২ জানুয়ারি ১৯৭২: পোল্যান্ড বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়।
-
৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৭২: যুক্তরাজ্য বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদান করে।
-
১৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৭২: ফ্রান্স স্বীকৃতি দেয়।
-
১২ মে ১৯৭২: স্পেন বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদান করে।
তথ্যসূত্র: বাংলাপিডিয়া, প্রথম আলো, নিউইয়র্ক টাইমস

0
Updated: 6 days ago
'সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ড' কোথায় অবস্থিত?
Created: 1 week ago
A
যমুনা নদীতে
B
মেঘনার মোহনায়
C
বঙ্গোপসাগরে
D
সন্দ্বীপ চেনেল
সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ড – বঙ্গোপসাগরের গভীর খাদ
মূল বৈশিষ্ট্যসমূহ:
-
প্রকৃতি: সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ড হলো খাদাকৃতির সামুদ্রিক অববাহিকা বা গভীর গিরিখাত।
-
অবস্থান: এটি গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র নদী বিভাগের পশ্চিমে অবস্থিত। অনেকে এটিকে “গঙ্গা খাদ” নামেও চেনে।
-
প্রস্থ ও ঢাল: খাদটির প্রস্থ প্রায় ৫–৭ কিলোমিটার। তলদেশ তুলনামূলকভাবে সমতল, এবং পার্শ্ব দেয়ালের ঢাল প্রায় ১২°।
-
গভীরতা: মহীসোপানের কাছাকাছি অংশে খাদটির গভীরতা প্রায় ১,২০০ মিটার।
-
পলল ও স্রোত: বঙ্গীয় ডিপ সি ফ্যানের গবেষণায় দেখা গেছে, সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ড ঘোলাটে স্রোত বহন করে এবং পললসমূহ গভীর সমুদ্রে স্থানান্তর করে। বেশিরভাগ পলল গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্রের সঙ্গমস্থল থেকে উৎপন্ন হয়, যা হিমালয়ের দক্ষিণ ও উত্তর অংশ থেকে আসা নদী ও প্রবাহের মাধ্যমে সাগরে পৌঁছায়।
-
বর্তমান প্রভাব: বর্তমানে স্বল্প পরিমাণ ঘোলাটে স্রোত এবং বালি সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ডের মাধ্যমে মহীসোপান থেকে গভীর সমুদ্রে পলল পরিবহণ নিয়ন্ত্রণ করছে।
উৎস: বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 week ago
বিখ্যাত চিত্রকর্ম 'তিন কন্যা' এর চিত্রকর কে?
Created: 1 week ago
A
জয়নুল আবেদিন
B
কামরুল হাসান
C
এস এম সুলতান
D
রফিকুন নবী
কামরুল হাসান – প্রখ্যাত বাংলাদেশি চিত্রশিল্পী
-
কামরুল হাসান ছিলেন একজন খ্যাতিমান বাংলাদেশি চিত্রশিল্পী, যিনি ‘পটুয়া’ নামেও পরিচিত।
-
১৯৪৮ সালে তিনি শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের সঙ্গে মিলিত হয়ে ঢাকায় একটি আর্ট স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন।
-
১৯৬০ সালে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের নকশাকেন্দ্রের প্রধান নকশাবিদ হিসেবে নিযুক্ত হন।
-
তাঁর চিত্রকর্মের মূল উপাদান হলো: নর-নারী, পশুপাখি (প্রধানত গরু ও শৃগাল), সাপ এবং প্রকৃতি।
-
শিল্পকর্মে অসামান্য অবদানের জন্য তিনি বিভিন্ন পুরস্কার ও সম্মানে ভূষিত হন, যেমন: প্রেসিডেন্ট পুরস্কার (১৯৬৫), কুমিল্লা ফাউন্ডেশন স্বর্ণপদক (১৯৭৭), স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার (১৯৭৯), চারুশিল্পী সংসদ সম্মান (১৯৮৪) ও বাংলা একাডেমির ফেলো (১৯৮৫)।
কামরুল হাসানের গুরুত্বপূর্ণ শিল্পকর্ম ও অবদান:
-
বিখ্যাত চিত্রকর্ম: ‘তিনকন্যা’ ও ‘নাইওর’। এগুলোর উপর ভিত্তি করে যথাক্রমে যুগোস্লাভিয়া সরকার (১৯৮৫) ও বাংলাদেশ সরকার (১৯৮৬) ডাকটিকিট প্রকাশ করেছে।
-
বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় প্রতীকের ডিজাইনার এবং জাতীয় পতাকার চূড়ান্ত নকশাকারী।
-
স্বাধীনতা যুদ্ধে তাঁর ‘এই জানোয়ারদের হত্যা করতে হবে’ পোস্টারটি খুবই জনপ্রিয়।
-
বাংলাদেশের বিমান সংস্থার বিখ্যাত ‘বলাকা’ লোগো ডিজাইন করেছিলেন তিনি।
উৎস: বাংলাপিডিয়া, জাতীয় তথ্য বাতায়ন

0
Updated: 1 week ago
শালবন বিহার কোথায়?
Created: 2 weeks ago
A
গাজীপুর
B
মধুপুর
C
রাজবাড়ী
D
কুমিল্লার ময়ানমতি পাহাড়ের পাশে
শালবন বিহার
শালবন বিহার কুমিল্লার ময়নামতিতে খননকৃত গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলোর একটি। এটি কোটবাড়ির বার্ডেরকাছের লালমাই পাহাড়ের মাঝামাঝি এলাকায় অবস্থিত। বিহারটির নামকরণ হয়েছে আশেপাশের একসময়কার ঘন শাল-গজারি বন থেকে।
ধারণা করা হয়, খ্রিষ্টীয় সপ্তম শতাব্দীর শেষ দিক থেকে অষ্টম শতাব্দীর শুরুতে দেববংশের চতুর্থ রাজা শ্রীভবদেব এই বৌদ্ধ বিহারটি নির্মাণ করেছিলেন। শালবন বিহারের প্রতিটি বাহুর দৈর্ঘ্য প্রায় ১৬৭.৭ মিটার। এখানে ঢোকা বা বের হওয়ার একটাই পথ ছিল। বিহারের ভিতরে মোট ১৫৫টি কক্ষ রয়েছে, যেখানে বৌদ্ধ ভিক্ষুরা শিক্ষা গ্রহণ ও ধর্মচর্চা করতেন।
প্রত্নতাত্ত্বিক খননের সময় বিহারের ধ্বংসাবশেষ থেকে পাওয়া গেছে আটটি তাম্রলিপি, প্রায় ৪০০টি স্বর্ণ ও রৌপ্য মুদ্রা, প্রচুর পোড়া মাটির ফলক বা টেরাকোটা, সিলমোহর, ব্রোঞ্জ ও মাটির মূর্তি। এগুলো বাংলাদেশের প্রাচীন প্রত্নতাত্ত্বিক ঐতিহ্যের গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শন হিসেবে বিবেচিত হয়।
উৎস: জাতীয় তথ্য বাতায়ন।

0
Updated: 2 weeks ago