বর্তমান সময়ে বাংলাদেশ সরকারের বড় অর্জন কোনটি?
A
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার
B
সমুদ্রসীমা বিজয়
C
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ
D
বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধি
উত্তরের বিবরণ
বর্তমান সময়ে বাংলাদেশ সরকারের সবচেয়ে বড় অর্জন হিসেবে সাধারণত সমুদ্রসীমা বিজয়কে ধরা হয়।
ব্যাখ্যা:
-
২০১২ সালে আন্তর্জাতিক আদালতের রায়ে (ICJ) বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা চূড়ান্তভাবে স্বীকৃত হয়েছে, যা দেশের জন্য কৌশলগত, অর্থনৈতিক ও জ্বালানি সম্পদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
-
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধি, এবং বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধিও গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু আন্তর্জাতিক গুরুত্ব এবং জাতীয় স্থায়িত্বের দিক থেকে সমুদ্রসীমা বিজয়কে বড় অর্জন ধরা হয়।
✅ সঠিক উত্তর: সমুদ্রসীমা বিজয়

0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশে ইউনিয়ন পরিষদের সংখ্যা কত?
Created: 1 month ago
A
৪৫০০
B
৪৫৫০
C
৫৬০০
D
৪৬০০
এটি পরিবর্তনশীল প্রশ্ন । বাংলাদেশে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) হলো গ্রামীণ প্রশাসনের সবচেয়ে ছোট ইউনিট। বাংলাদেশ সরকারের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ইউনিয়ন পরিষদের সংখ্যা ৪৫৫০।
-
বাংলাদেশে মোট ৮টি বিভাগ, যেগুলোর অধীনে ৬৪ জেলা আছে।
-
প্রতিটি জেলার অধীনে উপজেলা বা থানা থাকে।
-
প্রতিটি উপজেলার অধীনে মোটামুটি ৫-১০ টি ইউনিয়ন থাকে, এবং সবগুলো যোগ করলে মোট ৪৫৫০ ইউনিয়ন হয়।
সুতরাং সঠিক উত্তর: ৪৫৫০।

0
Updated: 1 month ago
বাগদা চিংড়ি কোন দশক থেকে রপ্তানি পণ্য হিসেবে স্থান করে নেয়?
Created: 1 month ago
A
পঞ্চাশ দশক
B
ষাট দশক
C
সত্তর দশক
D
আশির দশক
বাগদা চিংড়ি (Penaeus monodon) এবং এর রপ্তানি গুরুত্ব
-
বাগদা চিংড়ি বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মৎস্যজাত, যা মূলত লোনা পানিতে উৎপাদিত হয়। লোনা পানিতে চিংড়ি উৎপাদিত হলে তাকে সাধারণত শ্রিম্প (Shrimp) এবং স্বাদু পানিতে উৎপাদিত হলে প্রন (Prawn) বলা হয়।
-
বাগদা চিংড়ি আন্তর্জাতিক বাজারে Black Tiger Shrimp নামে পরিচিত।
-
বাংলাদেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় জেলা, বিশেষ করে বাগেরহাট, খুলনা ও সাতক্ষীরা, বাগদা চিংড়ি উৎপাদনের প্রধান কেন্দ্র।
ইতিহাস ও উৎপাদন:
-
১৯৭০-এর দশকের শুরু থেকে উপকূলীয় চাষীরা সনাতন পদ্ধতিতে চিংড়ি চাষ শুরু করেন।
-
১৯৮০-এর দশক থেকে বাণিজ্যিকভাবে বাগদা চিংড়ি উৎপাদন ও রপ্তানি শুরু হয়।
-
এই সময় খুলনা অঞ্চলে পোল্ডার এবং কক্সবাজারে লবণ যুক্ত পানি ব্যবহার করে চিংড়ি চাষের উদ্যোগ নেওয়া হয়।
-
১৯৮০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে মৎস্য অধিদপ্তরের হ্যাচারিতে পোনা উৎপাদনে সাফল্য আসে এবং বেসরকারি খাতের হ্যাচারি স্থাপনে সহায়তা প্রদান করা হয়।
অর্থনৈতিক গুরুত্ব:
-
চিংড়ি দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী রপ্তানি পণ্য।
-
দেশের মোট চিংড়ি উৎপাদনের একটি বড় অংশ উপকূলীয় অঞ্চলে হয়।
উৎস: পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর ওয়েবসাইট, মৎস্য অধিদপ্তর ওয়েবসাইট, প্রথম আলো, ০৮ ডিসেম্বর ২০২১।

0
Updated: 1 month ago
উচ্চ ফলনশীল ভুট্টার জাত কোনটি?
Created: 1 week ago
A
শুভ্রা
B
ময়না
C
প্রভাতী
D
প্রগতি
উচ্চ ফলনশীল ফসলের বিভিন্ন জাতের মধ্যে বাছাই কৃষির উন্নত প্রযুক্তি এবং খাদ্য নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিভিন্ন ফসলের জন্য কিছু উল্লেখযোগ্য উচ্চ ফলনশীল জাত নিচে দেওয়া হলো:
-
ভুট্টা: বর্ণালি, শুভ্রা, খই, মোহর।
-
কলা: সিঙ্গাপুরী, কাবুলী, মেহের সাগর, অমৃত সাগর, সবরি, অনুপম, মালভোগ, মর্তমান, চাঁপা, অগ্নিশ্বর, কবরী।
-
আলু: হীরা, আইলসা, ডায়মন্ড, কার্ডিনাল, চমক, মরিনী, সুন্দরী, কুফরী, মুলটা।
-
গম: কাঞ্চন, আকবর, অঘ্রাণী, প্রতিভা, সৌরভ, গৌরব।
-
পেঁয়াজ: সুখ সাগর, ঝিটকা, কৈলাসনগর, তাহেরপুরী, ভাতি।
-
বাঁধাকপি: গ্রীন এক্সপ্রেস, ড্রামহেড, গোল্ডেন ক্রস, প্রভাতী, অগ্রদূত।
-
ধান: বিপ্লব, হিরা, মালা, ইরাটম, ময়না, চান্দিনা, হরিধান, নারিফা, সুফলা, প্রগতি।
-
আম: মহানন্দা, ল্যাংড়া, ফজলি, হাড়িভাঙ্গা, আম্রপালি, গোপালভোগ, সূর্যপুরী, হিমসাগর, মোহনভোগ।
এই জাতগুলি উচ্চ ফলন, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা এবং মানসম্পন্ন ফসল উৎপাদনের জন্য পরিচিত, যা কৃষকদের জন্য লাভজনক।

0
Updated: 1 week ago