A
২৫ মার্চ ১৯৭১
B
২৬ মার্চ ১৯৭১
C
১৪ ডিসেম্বর ১৯৭১
D
১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১
উত্তরের বিবরণ
মুক্তিযুদ্ধকালের বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় সবচেয়ে মর্মস্পর্শী ঘটনা হলো বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড। ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর রাতে ঢাকায় দুই শতাধিক বুদ্ধিজীবীকে তাদের বাড়ি থেকে তুলে নেয়া হয় এবং নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।
এই হত্যাকাণ্ড মূলত পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ও তাদের স্থানীয় সহযোগীদের পরিকল্পিতভাবে পরিচালিত হয়েছিল। হত্যার লক্ষ্য ছিল বাঙালি জাতিকে নেতৃত্বহীন ও বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে দুর্বল করে ফেলা। এই সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, গবেষক, চিকিৎসক, লেখক, সাহিত্যিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বদেরকেও হত্যার শিকার হতে হয়।
প্রধান তথ্যসমূহ:
-
সার্বিক নির্দেশনা: জেনারেল আমীর আবদুল্লাহ খান নিয়াজী (পাক সেনা, ইস্টার্ন কমান্ড)
-
সার্বিক তত্ত্বাবধায়ন: মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলী
-
বাস্তবায়নে: ব্রিগেডিয়ার বশির, লেঃ কর্নেল হেজাজী, মেজর আসলাম, মেজর জহুর, ক্যাপ্টেন নাসের, ক্যাপ্টেন কাইউম
-
স্থানীয় সহযোগী: আলবদর ও আলশামস বাহিনী
-
আলবদর: জামাত ইসলামের ছাত্রসংগঠন ইসলামী ছাত্র সংঘের সদস্যরা
-
আলশামস: মুসলিম লীগ, জামায়েত ইসলামি ও উর্দুভাষী বিহারীদের সমন্বয়ে গঠিত
-
-
হত্যা সংঘটিত স্থান: ঢাকার মিরপুর, নাখালপাড়া, রাজারবাগ, মোহাম্মদপুরসহ বিভিন্ন এলাকা
১৯৭১ সালের এই হত্যাকাণ্ডের স্মরণে প্রতি বছর ১৪ ডিসেম্বর ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস’ পালন করা হয়, যেখানে দেশ এই মহান বীর সন্তানদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে।
উৎস: উচ্চমাধ্যমিক পৌরনীতি ও সুশাসন (২য় পত্র), বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 6 days ago
বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগলের চামড়া কি নামে পরিচিত?
Created: 1 week ago
A
কুষ্টিয়া গ্রেড
B
চুয়াডাঙ্গা গ্রেড
C
ঝিনাইদহ গ্রেড
D
মেহেরপুর গ্রেড
ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল ও কুষ্টিয়া গ্রেড চামড়া
ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল বাংলাদেশের একটি স্থানীয় কালো ছাগল জাত, যা বিশ্বের সেরা ছাগল জাতগুলোর মধ্যে অন্যতম। এই ছাগল মাংস এবং চামড়ার জন্য বিশেষভাবে পরিচিত।
বৈশিষ্ট্য:
-
ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল পরিষ্কার, শুষ্ক ও উঁচু স্থানে থাকতে পছন্দ করে।
-
কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা ও ঝিনাইদহ জেলায় এই জাতের ছাগলের উৎপাদন সবচেয়ে বেশি।
-
বিশ্ববাজারে এই ছাগলের চামড়াকে কুষ্টিয়া গ্রেড নামে পরিচিতি রয়েছে।
-
ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগলের মাংস অন্যান্য জাতের তুলনায় স্বাদে বেশি ভালো।
-
বড় কোম্পানিগুলো তাদের চামড়াজাত পণ্য তৈরিতে এই ছাগলের চামড়া ব্যবহার করে।
গুরুত্বপূর্ণ অর্জন:
-
২০০৭ সালে এফএও বিশ্বের ১০০ জাতের ছাগলের মধ্যে ব্ল্যাক বেঙ্গলকে সেরা জাত হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।
-
২০১৮ সালে বাংলাদেশের বিজ্ঞানীরা এই ছাগলের সম্পূর্ণ জেনোম সিকোয়েন্সিং সম্পন্ন করেন।
-
২০২৪ সালে ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল জিআই (GI) স্বীকৃতি লাভ করে।
উৎস: বিবিসি বাংলা, ১৮ নভেম্বর ২০২০

0
Updated: 1 week ago
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা কবে গৃহীত হয়?
Created: 6 days ago
A
১৭ জানুয়ারি ১৯৭২
B
২৬ মার্চ ১৯৭১
C
১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১
D
২১ ফেব্রুয়ারি ১৯৭২
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা একটি সবুজ আয়তক্ষেত্রের মধ্যে লাল বৃত্ত দিয়ে তৈরি। এখানে সবুজ রঙ বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও তরুণ প্রজন্মের প্রতীক, আর লাল বৃত্ত উদীয়মান সূর্য ও মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের রক্তের প্রতীক।
গৃহীত হওয়ার সময়:
এই রূপের পতাকা সরকারিভাবে ১৭ জানুয়ারি ১৯৭২ সালে গৃহীত হয়।
প্রথম পতাকা উত্তোলন:
-
২ মার্চ ১৯৭১: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় ছাত্র জনতার সমাবেশে তখনকার ঢাকসুর ভিপি আ. স. ম. আব্দুর রব স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা প্রথম উত্তোলন করেন।
-
৬ মার্চ ১৯৭১: পতাকাটি আনুষ্ঠানিকভাবে গৃহীত হয়।
-
২৩ মার্চ ১৯৭১: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর বাসভবনে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা আনুষ্ঠানিকভাবে উত্তোলন করেন এবং একই দিনে দেশে-বিদেশে সারা বাংলাদেশে পতাকা উত্তোলনের আয়োজন করা হয়।
-
বাংলাদেশের বাইরে প্রথম উত্তোলন: কলকাতাস্থ পাকিস্তানের ডেপুটি হাইকমিশনারের অফিসে।
অতিরিক্ত তথ্য:
-
সংবিধান অনুযায়ী জাতীয় পতাকার কথা বলা হয়েছে ৪ নং অনুচ্ছেদে।
-
জাতীয় পতাকা দিবস: ২ মার্চ।
-
মানচিত্রসহ পতাকার নকশাকার: শিব নারায়ণ দাস (৬ জুন ১৯৭০)।
-
দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের অনুপাত: ১০:৬ (৫:৩)।
উৎস: স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস

0
Updated: 6 days ago
'অগ্নিশ্বর' কি ফসলের উন্নত জাত?
Created: 6 days ago
A
ধান
B
কলা
C
পাট
D
গম
উচ্চ ফলনশীল ফসলের বিভিন্ন জাত
কৃষিকাজে উচ্চ ফলনশীল জাত ব্যবহার করলে ফসলের উৎপাদন বাড়ে। কিছু প্রধান ফসল ও তাদের উচ্চ ফলনশীল জাতগুলো হলো:
১. কলার উচ্চ ফলনশীল জাত:
সিঙ্গাপুরী, কাবুলী, মেহের সাগর, অমৃত সাগর, সবরি, অনুপম, মালভোগ, মর্তমান, চাঁপা, অগ্নিশ্বর, কবরী।
২. আলুর উচ্চ ফলনশীল জাত:
হীরা, আইলসা, ডায়মন্ড, কার্ডিনাল, চমক, মরিনী, সুন্দরী, কুফরী, মুলটা।
৩. গমের উচ্চ ফলনশীল জাত:
কাঞ্চন, আকবর, অঘ্রাণী, প্রতিভা, সৌরভ, গৌরব।
৪. ধানের উচ্চ ফলনশীল জাত:
বিপ্লব, হিরা, মালা, ইরাটম, ময়না, চান্দিনা, হরিধান, নারিফা, সুফলা, প্রগতি।
৫. আমের উচ্চ ফলনশীল জাত:
মহানন্দা, ল্যাংড়া, ফজলি, হাড়িভাঙ্গা, আম্রপালি, গোপালভোগ, সূর্যপুরী, হিমসাগর, মোহনভোগ।
তথ্যসূত্র: জাতীয় কৃষি বাতায়নঃ, জাতীয় কৃষি তথ্য সার্ভিস।

0
Updated: 6 days ago