A
আষাঢ়-শ্রাবণ মাসে
B
ভাদ্র-আশ্বিন মাসে
C
অগ্রহায়ণ-পৌষ মাসে
D
মাঘ-ফাল্গুন
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশে ধানের মৌসুমভিত্তিক চাষ ও কাটার সময় ভিন্ন ভিন্ন হয়।
আমন ধান
-
আমন ধান দুই প্রকার – রোপা আমন ও বোনা আমন।
-
রোপা আমন হলো সেই ধান, যেখানে আগে আলাদা জমিতে চারা তৈরি করা হয়, পরে তা মূল জমিতে রোপণ করে ধান উৎপন্ন করা হয়।
-
রোপা আমনের বীজ বপন করা হয় আষাঢ় মাসে, আর মূল জমিতে চারা রোপণ হয় শ্রাবণ থেকে ভাদ্র মাসে।
-
সাধারণত রোপা আমন ধান কাটা হয় অগ্রহায়ণ-পৌষ মাসে (ডিসেম্বর – জানুয়ারির শুরুতে)।
আউশ ধান
-
আউশ ধান রোপণ করা হয় মধ্য মার্চ থেকে মধ্য এপ্রিলের মধ্যে।
-
এটি কাটা হয় মধ্য জুলাই থেকে আগস্টের শুরু পর্যন্ত।
বোরো ধান
-
বোরো ধানের চারা রোপণ করা হয় মধ্য নভেম্বর থেকে মধ্য জানুয়ারির মধ্যে।
-
এটি উত্তোলন করা হয় এপ্রিল থেকে মে মাসে।
অর্থাৎ, বাংলাদেশে বছরে মূলত তিন মৌসুমে ধান চাষ হয় – আউশ, আমন ও বোরো।
উৎস: কৃষি তথ্য সার্ভিস ওয়েবসাইট; কৃষি পরিসংখ্যান বর্ষগ্রন্থ ২০২১ (বিবিএস)।

0
Updated: 6 days ago
বাংলাদেশে ইউনিয়ন পরিষদের সংখ্যা কত?
Created: 1 week ago
A
৪৫০০
B
৪৫৫০
C
৫৬০০
D
৪৬০০
এটি পরিবর্তনশীল প্রশ্ন । বাংলাদেশে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) হলো গ্রামীণ প্রশাসনের সবচেয়ে ছোট ইউনিট। বাংলাদেশ সরকারের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ইউনিয়ন পরিষদের সংখ্যা ৪৫৫০।
-
বাংলাদেশে মোট ৮টি বিভাগ, যেগুলোর অধীনে ৬৪ জেলা আছে।
-
প্রতিটি জেলার অধীনে উপজেলা বা থানা থাকে।
-
প্রতিটি উপজেলার অধীনে মোটামুটি ৫-১০ টি ইউনিয়ন থাকে, এবং সবগুলো যোগ করলে মোট ৪৫৫০ ইউনিয়ন হয়।
সুতরাং সঠিক উত্তর: ৪৫৫০।

0
Updated: 1 week ago
ফিশারিজ ট্রেনিং ইনস্টিটিউট কোথায় অবস্থিত?
Created: 6 days ago
A
ঢাকায়
B
খুলনায়
C
নারায়ণগঞ্জে
D
চাঁদপুরে
ফিশারিজ ট্রেনিং ইনস্টিটিউট ও অন্যান্য মৎস্য গবেষণা কেন্দ্র
-
ফিশারিজ ট্রেনিং ইনস্টিটিউট (মৎস্য প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট) চাঁদপুর জেলার বাবুরহাটে অবস্থিত। এখানে মৎস্য খাতের কর্মকর্তাদের, কর্মচারীদের এবং মৎস্য চাষীদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
-
নদী গবেষণা ইনস্টিটিউট ফরিদপুর শহরের কাছাকাছি এলাকায় অবস্থিত।
-
সামুদ্রিক মৎস্য ও প্রযুক্তি কেন্দ্র কক্সবাজারে অবস্থান করছে।
-
বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট ময়মনসিংহে, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের সংলগ্ন এলাকায় আছে।
উৎস: বাংলাপিডিয়া, ফিশারিজ ট্রেনিং ইনস্টিটিউট ওয়েবসাইট

0
Updated: 6 days ago
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা কবে গৃহীত হয়?
Created: 6 days ago
A
১৭ জানুয়ারি ১৯৭২
B
২৬ মার্চ ১৯৭১
C
১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১
D
২১ ফেব্রুয়ারি ১৯৭২
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা একটি সবুজ আয়তক্ষেত্রের মধ্যে লাল বৃত্ত দিয়ে তৈরি। এখানে সবুজ রঙ বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও তরুণ প্রজন্মের প্রতীক, আর লাল বৃত্ত উদীয়মান সূর্য ও মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের রক্তের প্রতীক।
গৃহীত হওয়ার সময়:
এই রূপের পতাকা সরকারিভাবে ১৭ জানুয়ারি ১৯৭২ সালে গৃহীত হয়।
প্রথম পতাকা উত্তোলন:
-
২ মার্চ ১৯৭১: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় ছাত্র জনতার সমাবেশে তখনকার ঢাকসুর ভিপি আ. স. ম. আব্দুর রব স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা প্রথম উত্তোলন করেন।
-
৬ মার্চ ১৯৭১: পতাকাটি আনুষ্ঠানিকভাবে গৃহীত হয়।
-
২৩ মার্চ ১৯৭১: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর বাসভবনে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা আনুষ্ঠানিকভাবে উত্তোলন করেন এবং একই দিনে দেশে-বিদেশে সারা বাংলাদেশে পতাকা উত্তোলনের আয়োজন করা হয়।
-
বাংলাদেশের বাইরে প্রথম উত্তোলন: কলকাতাস্থ পাকিস্তানের ডেপুটি হাইকমিশনারের অফিসে।
অতিরিক্ত তথ্য:
-
সংবিধান অনুযায়ী জাতীয় পতাকার কথা বলা হয়েছে ৪ নং অনুচ্ছেদে।
-
জাতীয় পতাকা দিবস: ২ মার্চ।
-
মানচিত্রসহ পতাকার নকশাকার: শিব নারায়ণ দাস (৬ জুন ১৯৭০)।
-
দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের অনুপাত: ১০:৬ (৫:৩)।
উৎস: স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাস

0
Updated: 6 days ago