A
বেতার/রেডিওর মাধ্যমে
B
ওয়্যারলেসের মাধ্যমে
C
টেলিগ্রামের মাধ্যমে
D
টেলিভিশনের মাধ্যমে
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা (১৯৭১)
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতের অন্ধকারে পাকিস্তানি সেনারা নিরস্ত্র বাঙালির ওপর ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞ চালায়। এই নৃশংসতার মধ্যেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
২৬ মার্চ ভোররাতের আগে পাকিস্তানি সেনাদের হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার পূর্বেই বঙ্গবন্ধু টি.এন্ড.টি. ও ই.পি.আর (বর্তমান বিজিবি)-এর ওয়্যারলেসের মাধ্যমে দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে স্বাধীনতার বার্তা পৌঁছে দেন। তাই ২৬ মার্চকেই বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস হিসেবে ধরা হয়।
স্বাধীনতা দিবস ঘোষণার ইতিহাস
-
২৬ মার্চ: বাংলাদেশের জাতীয় দিবস ও স্বাধীনতা দিবস।
-
৩ অক্টোবর ১৯৮০: সরকারিভাবে ২৬ মার্চকে জাতীয় দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
-
১৯৮১ সাল থেকে: প্রতিবছর রাষ্ট্রীয়ভাবে দিনটি জাতীয় দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে।
স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র
-
১০ এপ্রিল ১৯৭১: স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র আনুষ্ঠানিকভাবে জারি করা হয় এবং বাংলাদেশকে গণপ্রজাতন্ত্রী রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
-
১৭ এপ্রিল ১৯৭১: মুজিবনগর সরকার শপথ গ্রহণ করে এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার আত্মপ্রকাশ করে।
-
ঘোষণাপত্রটি লিখে দেন ব্যারিস্টার আমিরুল ইসলাম।
-
১৭ এপ্রিল মুজিবনগরে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণাপত্র পাঠ করেন অধ্যাপক ইউসুফ আলী।
-
৬ষ্ঠ তফসিলে ২৬ মার্চের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র সংযুক্ত করা হয়েছে।
তথ্যসূত্র: হাসান হাফিজুর রহমান (সম্পা.), বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র; বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 6 days ago
স্বাধীনতা যুদ্ধে অবদানের জন্য 'বীরপ্রতীক' উপাধি লাভ করে কতজন?
Created: 1 month ago
A
৭ জন
B
৬৮ জন
C
১৭৫ জন
D
৪২৬ জন
১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে অসাধারণ সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৭৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বাধীন সরকার মোট ৬৭৬ জন মুক্তিযোদ্ধাকে চারটি শ্রেণির বীরত্বসূচক খেতাবে ভূষিত করে। এই বীরত্বসূচক উপাধিগুলো হলো:
-
বীরশ্রেষ্ঠ (সর্বোচ্চ সম্মাননা) – ৭ জন
-
বীর উত্তম (দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সম্মাননা) – ৬৮ জন
-
বীর বিক্রম (তৃতীয় স্তরের সম্মাননা) – ১৭৫ জন
-
বীর প্রতীক (চতুর্থ স্তরের সম্মাননা) – ৪২৬ জন
খেতাব বাতিলের ঘটনা:
পরবর্তীতে, ২০২১ সালের ৬ জুন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত চার আসামির মুক্তিযুদ্ধে প্রদত্ত খেতাব বাতিল করে দেয়। খেতাব বাতিল হওয়া ব্যক্তিরা হলেন:
-
লেফটেন্যান্ট কর্নেল শরিফুল হক ডালিম (বীর উত্তম)
-
লেফটেন্যান্ট কর্নেল নূর চৌধুরী (বীর বিক্রম)
-
লে. এ এম রাশেদ চৌধুরী (বীর প্রতীক)
-
নায়েক সুবেদার মোসলেম উদ্দিন খান (বীর প্রতীক)
বর্তমান খেতাবপ্রাপ্তদের সংখ্যা:
এ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বর্তমানে বীরত্বসূচক উপাধিপ্রাপ্ত বীরদের সংখ্যা দাঁড়ায় ৬৭২ জনে। এদের মধ্যে রয়েছেন:
-
বীরশ্রেষ্ঠ: ৭ জন
-
বীর উত্তম: ৬৭ জন
-
বীর বিক্রম: ১৭৪ জন
-
বীর প্রতীক: ৪২৪ জন
(তথ্যসূত্র: বাংলা পিডিয়া ও প্রথম আলো)

0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দানকারী দ্বিতীয় দেশের নাম-
Created: 2 months ago
A
ভারত
B
রাশিয়া
C
ভুটান
D
নেপাল
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার ক্ষেত্রে ভুটান ছিল প্রথম দেশ, যা ৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ তারিখে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদান করে। একই দিনে, অর্থাৎ ৬ ডিসেম্বর ১৯৭১-এ, ভারত বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেওয়া দ্বিতীয় দেশ হিসেবে পরিচিত হয়।
সরকার ও পররাষ্ট্র সচিবের ভাষ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের স্বীকৃতি প্রদানকারী দেশের মধ্যে ভুটান প্রথম এবং ভারত দ্বিতীয়।
আরব দেশসমূহের মধ্যে বাংলাদেশের স্বীকৃতি প্রাপ্তি
আরব রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে বাংলাদেশকে প্রথম স্বীকৃতি দেয় ইরাক, যা ৮ জুলাই ১৯৭২ সালে প্রদান করা হয়। এর পর লেবানন ২৮ মার্চ ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়। ইরান তারপরে ২২ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে।
উৎসসমূহ
-
বাংলাপিডিয়া
-
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট

0
Updated: 2 months ago
স্বাধীনতা যুদ্ধে অবদান রাখার জন্য কতজন মহিলাকে বীরপ্রতীক উপাধিতে ভূষিত করা হয়?
Created: 1 month ago
A
৫ জন
B
৭ জন
C
২ জন
D
৬ জন
১৯৭৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর এক ঘোষণায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অসামান্য সাহসিকতা প্রদর্শনের জন্য মোট ৬৭৬ জন মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মানসূচক খেতাবে ভূষিত করা হয়।
এই খেতাবগুলো নিম্নরূপ:
-
বীরশ্রেষ্ঠ – ৭ জন
-
বীর উত্তম – ৬৮ জন
-
বীর বিক্রম – ১৭৫ জন
-
বীর প্রতীক – ৪২৬ জন
এই সম্মানপ্রাপ্তদের মধ্যে দুইজন নারী মুক্তিযোদ্ধা 'বীর প্রতীক' খেতাব অর্জন করেন, যারা ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে অসাধারণ সাহস ও আত্মত্যাগের নজির স্থাপন করেছিলেন।
তারা হলেন:
-
ক্যাপ্টেন ডা. সিতারা বেগম
-
তারামন বিবি
মুক্তিযুদ্ধে নারীর সাহসী অংশগ্রহণ
বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রতিটি ধাপে পুরুষদের পাশাপাশি নারীরাও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ’৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত—নারীদের অংশগ্রহণ ছিল স্পষ্ট ও বলিষ্ঠ।
মুক্তিযুদ্ধ ছিল এক সর্বজনীন গণযুদ্ধ, যেখানে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবাই অস্ত্র, শারীরিক শ্রম, সেবা ও গোয়েন্দাগিরির মাধ্যমে ভূমিকা রেখেছেন।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী:
-
গেজেটভুক্ত নারী মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা: ২০৩ জন
-
বর্তমানে সরকার স্বীকৃত বীরাঙ্গনা নারী মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা: ৪৪৮ জন
-
খেতাবপ্রাপ্ত নারী মুক্তিযোদ্ধা: ২ জন (উভয়ই ‘বীর প্রতীক’)
এই দুই নারী শুধু বাংলাদেশের ইতিহাসে নয়, মুক্তিযুদ্ধের বীরত্বগাথায় এক অনন্য দৃষ্টান্ত।
তথ্যসূত্র: মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং ডয়েচ ভেলে।

0
Updated: 1 month ago