A
আলমগীরনামা
B
আইন-ই-আকবরী
C
আকবরনামা
D
তুজুক-ই-আকবরী
উত্তরের বিবরণ
বাংলা (দেশ ও ভাষা) নামের উৎপত্তি
আইন-ই-আকবরী গ্রন্থে বাংলা নামের উৎপত্তি প্রসঙ্গে সবচেয়ে বেশি উল্লেখ পাওয়া যায়।
আইন-ই-আকবরী
-
মুঘল সম্রাট আকবরের (১৫৫৬-১৬০৫) রাজদরবারের ঐতিহাসিক আবুল ফজল এই গ্রন্থটি রচনা করেন।
-
এটি মূলত আকবরনামা নামের বৃহৎ ইতিহাসগ্রন্থের তৃতীয় খণ্ড।
-
আকবর যে সব প্রশাসনিক আইন ও নীতি কার্যকর করেছিলেন, সেগুলোর বিস্তারিত বিবরণ এখানে পাওয়া যায়।
-
যদিও এটি আকবরনামার অংশ, তবুও আইন-ই-আকবরী নিজেই একটি পূর্ণাঙ্গ গ্রন্থ হিসেবে স্বীকৃত।
-
বাংলার ইতিহাস পুনর্গঠনে এ গ্রন্থের তথ্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
বাংলা নামের উৎপত্তি
গ্রন্থে উল্লেখ আছে—
-
বাংলার প্রাচীন নাম ছিল বঙ্গাল।
-
কারণ, এই দেশের রাজারা সারাদেশে চওড়া ‘আল’ (উঁচু বাঁধ/মাটি তোলা রাস্তা) নির্মাণ করতেন।
-
তাই ‘বঙ্গ’ + ‘আল’ = ‘বঙ্গাল’, যেখান থেকে বাংলা নামের উৎপত্তি হয়েছে।
উৎস: বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 6 days ago
বঙ্গবন্ধুর ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ ভাষণের সময়কালে পূর্ব পাকিস্তানে যে আন্দোলন চলছিল সেটি হলো:
Created: 6 days ago
A
ইসলামাবাদের সামরিক সরকার পদত্যাগের আন্দোলন
B
পূর্ব পাকিস্তানের অসহযোগ আন্দোলন
C
প্রেসিডেন্ট ইয়াহহিয়ার পদত্যাগ আন্দোলন
D
মার্শাল 'ল' পদত্যাগের আন্দোলন
অসহযোগ আন্দোলন (১৯৭১)
১৯৭১ সালের ১ মার্চ পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান জাতীয় পরিষদের অধিবেশন অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করে দেন। এতে পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ ক্ষুব্ধ হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই সিদ্ধান্তকে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ বলে অভিহিত করেন এবং প্রতিবাদস্বরূপ ২ মার্চ ঢাকায় ও ৩ মার্চ সারা পূর্ব পাকিস্তানে হরতালের ডাক দেন। এরপর থেকেই শুরু হয় অসহযোগ আন্দোলন।
👉 এ আন্দোলন চলেছিল ১৯৭১ সালের ২ মার্চ থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত।
👉 আন্দোলনের মূল লক্ষ্য ছিল কেন্দ্রীয় শাসনের পরিবর্তে বাঙালির স্বশাসন প্রতিষ্ঠা।
👉 আওয়ামী লীগের নির্দেশনা অনুসারে আন্দোলন পরিচালিত হয় এবং সর্বস্তরের মানুষ এতে যোগ দেয়।
বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ
৭ মার্চ ১৯৭১ সালে ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এক ঐতিহাসিক ভাষণ দেন। এই ভাষণকে ইতিহাসে “বঙ্গবন্ধুর সাতই মার্চের ভাষণ” নামে আখ্যায়িত করা হয়েছে।
ভাষণে তিনি অসহযোগ আন্দোলনের দিকনির্দেশনা দেন এবং ৪ দফা দাবি উত্থাপন করেন—
-
মার্শাল ল প্রত্যাহার,
-
সেনাদের ব্যারাকে প্রত্যাবর্তন,
-
রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডগুলোর বিচার বিভাগীয় তদন্ত,
-
নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর।
এই ভাষণ বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতার জন্য প্রস্তুত করে তোলে এবং মুক্তিযুদ্ধের পথে এগিয়ে দেয়।
তথ্যসূত্র: বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 6 days ago
জাতীয় সংসদে 'কাউন্টিং' ভোট কি?
Created: 3 days ago
A
সংসদ নেতার ভোট
B
হুইপের ভোট
C
স্পিকারের ভোট
D
রাষ্ট্রপতির ভোট
কাস্টিং ভোট (Casting Vote)
কাস্টিং ভোট হলো স্পিকারের একটি বিশেষ ভোট যা সংসদে সিদ্ধান্ত গ্রহণে সাহায্য করে যখন ভোটের ফল সমান হয়।
মূল বিষয়সমূহ
-
জাতীয় সংসদে কখনো কোনো প্রস্তাব বা বিলের পক্ষে ও বিপক্ষে সমান ভোট পড়ে।
-
এমন সময় সংসদের অচলাবস্থা দূর করতে স্পিকার তার কাস্টিং ভোট প্রয়োগ করেন।
-
স্পিকার সাধারণ পরিস্থিতিতে ভোট দিতে পারেন না; কেবল সমান ভোটের ক্ষেত্রে তার এই নির্ণায়ক ভোট কার্যকর হয়।
-
এটি সংসদের সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় সমতা ভাঙার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
সংবিধানের দিক থেকে
বাংলাদেশের সংবিধান, ধারা ৭৫(১) অনুযায়ী:
"উপস্থিত ও ভোটদানকারী সদস্যদের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে সংসদে সিদ্ধান্ত গৃহীত হইবে, তবে সমসংখ্যক ভোটের ক্ষেত্র ব্যতীত সভাপতি (স্পিকার) ভোটদান করিবেন না এবং অনুরূপ ক্ষেত্রে তিনি নির্ণায়ক (casting) ভোট প্রদান করিবেন।"
উৎস: গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সংবিধান

0
Updated: 3 days ago
যশোর জেলায় অবস্থিত বিল-
Created: 1 week ago
A
হাইল
B
পাথরচাওলি
C
ভবদহ
D
আড়িয়াল
ভবদহ বিল – যশোর জেলায়
ভবদহ বিল বাংলাদেশের যশোর জেলায় অবস্থিত।
যশোর জেলা সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত তথ্য:
-
যশোর জেলা বাংলাদেশের অন্যতম প্রাচীন জেলা। এটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল প্রায় ১৭৮৬ সালে, অর্থাৎ প্রায় দুইশত বছর আগে।
-
ইতিহাসে যশোরের শাসকদের মধ্যে মহারাজ বিক্রমমাদিত্য, রাজা প্রতাপাদিত্য ও রাজা সীতারাম রায় বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
-
১৮৭৬ থেকে ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত জেলা প্রশাসনের গঠন ও পুনর্বিন্যাস ক্রমাগত চলতে থাকে।
-
১৯৮৪ সালে বাংলাদেশ সরকার প্রশাসনিক উন্নয়নের জন্য যশোরকে ভেঙ্গে পুনর্গঠন করে।
-
বাংলাদেশের স্বাধীনতার সময় প্রথম পতাকা উত্তোলন করা হয়েছিল যশোর থেকেই।
ভূগোল ও নদী:
-
যশোর এক ধরণের মৃতপ্রায় ব-দ্বীপ হিসেবে পরিচিত।
-
জেলার প্রধান নদীসমূহ: ভৈরব, চিত্রা, কপোতাক্ষ, হরিহর, দাদরা, বেত্রাবতী, কোদলা ও ইছামতি।
বিল সমূহ:
-
যশোরের গুরুত্বপূর্ণ বিলের মধ্যে রয়েছে ভবদহ, জলেশ্বর, বকর ও হরিণা।
উৎস: বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন

0
Updated: 1 week ago