তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংবিধানের কততম সংশোধনীর মাধ্যমে রদ করা হয়েছে?
A
১২তম
B
১৩তম
C
১৪তম
D
১৫তম
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও সংশোধনী
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা:
-
বাংলাদেশের সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী (১৩তম সংশোধনী) ২৭ মার্চ ১৯৯৬-এ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তিত হয়।
-
দেশের প্রথম সংবিধানসম্মত তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে বিচারপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান নিয়োগ পান।
-
প্রধান উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান একটি নিরপেক্ষ উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করেন।
-
তিনি ১৯৯৬ সালের ১২ জুন জাতীয় সংসদের নির্বাচন তারিখ ঘোষণা করেন।
-
তত্ত্বাবধায়ক সরকার নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, সার্ক ফোরাম, কমনওয়েলথসহ বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ জানান।
-
এর ফলে ১৯৯৬ সালের ১২ জুন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে প্রথম সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পন্ন হয়।
মনে রাখার বিষয়:
-
বাংলাদেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে মোট ৪ বার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে: ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১, ২০০৮।
পঞ্চদশ সংশোধনী (১৫তম সংশোধনী) ৩০ জুন ২০১১:
-
সংবিধান থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করা হয়।
-
রাষ্ট্রের মূলনীতি হিসেবে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়: জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা।
-
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের নায়ক শেখ মুজিবুর রহমানকে জাতির জনক হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
-
সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতা এবং ধর্মীয় স্বাধীনতা পুনর্বহাল করা হয়, তবে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে ইসলাম বহাল রাখা হয়।
-
জাতীয় সংসদে মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত আসন ৪৫-এর পরিবর্তে ৫০ করা হয়।
উৎস: বাংলাদেশের সংবিধান

0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশের নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংবিধানের কোন সংশোধনীর মাধ্যমে অন্তর্ভুক্ত হয়?
Created: 3 weeks ago
A
দ্বাদশ
B
ত্রয়োদশ
C
চতুর্দশ
D
পঞ্চদশ
২৭ মার্চ, ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী আনা হয়। এ সংশোধনীর মাধ্যমে অবাধ ও সুষ্ঠু জাতীয় নির্বাচনের জন্য একটি নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের বিধান রাখা হয়।
-
১৯৯৬ সালের ২১ মার্চ জাতীয় সংসদে সংশোধনী বিলটি উপস্থাপিত হয়।
-
২৪ মার্চ আইন মন্ত্রীর প্রস্তাব অনুযায়ী বিলটি ১০ সদস্য বিশিষ্ট বাছাই কমিটিতে প্রেরণ করা হয়।
-
২৬ মার্চ বিলটি সংশোধনী আকারে সর্বসম্মতিক্রমে ২৬৯-০ ভোটে গৃহীত হয়।
-
সংশোধনীর মূল বিষয়সমূহ হলো:
১. জাতীয় সংসদ বিলোপের ১৫ দিনের মধ্যে ১১ সদস্য বিশিষ্ট একটি উপদেষ্টা পরিষদ গঠন।
২. প্রধান উপদেষ্টাকে প্রধানমন্ত্রীর এবং অন্যান্য উপদেষ্টাগণকে মন্ত্রীর পদমর্যাদা প্রদান।
৩. তত্ত্বাবধায়ক সরকার নীতি নির্ধারণী কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারবে না।
৪. যোগ্য প্রধান উপদেষ্টা না থাকলে প্রেসিডেন্ট প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করবেন।
৫. প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে দেশের নাগরিকদের মধ্য থেকে ১০ জন উপদেষ্টা নিয়োগ।
৬. সরকারের মেয়াদ হবে তিন মাস, এবং নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগের পর তার হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। -
উচ্চ আদালতের আদেশে ২০১১ সালে এই সংশোধনীটি বাতিল করা হয়।
উৎস:

0
Updated: 3 weeks ago
সংবিধান অনুযায়ী 'আমার সোনার বাংলা'র কত চরণ জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে গৃহীত?
Created: 2 months ago
A
প্রথম ৪ চরণ
B
প্রথম ৮ চরণ
C
প্রথম ১০ চরণ
D
সম্পূর্ণটি
সংবিধান:
-
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান ১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর গণপরিষদ কর্তৃক গৃহীত হয়।
-
সংবিধান কার্যকর হয় ১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭২ সালে।
-
সংবিধানের ভাগ বা অধ্যায় আছে ১১টি।
-
সংবিধানে মোট ১৫৩টি অনুচ্ছেদ রয়েছে।
-
১৯৭২ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস থেকে সংবিধান কার্যকর করা হয়।
অনুচ্ছেদ ০৪: জাতীয় সঙ্গীত, পতাকা ও প্রতীক
-
প্রজাতন্ত্রের জাতীয় সঙ্গীত: "আমার সোনার বাংলা" এর প্রথম দশ চরণ।
-
প্রজাতন্ত্রের জাতীয় পতাকা: সবুজ ক্ষেত্রের উপর স্থাপিত রক্তবর্ণের একটি ভরাট বৃত্ত।
-
প্রজাতন্ত্রের জাতীয় প্রতীক:
-
উভয় পার্শ্বে ধান্যশীর্ষবেষ্টিত,
-
পানিতে ভাসমান জাতীয় পুষ্প শাপলা,
-
শীর্ষদেশে পাটগাছের তিনটি পরস্পর-সংযুক্ত পত্র,
-
উভয় পার্শ্বে দুইটি করে তারকা।
-
-
উপরোক্ত দফাসমূহ-সাপেক্ষে জাতীয় সঙ্গীত, পতাকা ও প্রতীক সম্পর্কিত বিধানাবলী আইনের দ্বারা নির্ধারিত হবে।
সূত্র: বাংলাদেশের সংবিধান

0
Updated: 2 months ago
বাংলাদেশের সংবিধানের নাম কি?
Created: 2 months ago
A
বাংলাদেশের সংবিধান
B
বাংলাদেশের সাংবিধানিক বিধিমালা
C
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান
D
প্রজাতন্ত্র বাংলাদেশ সংবিধান
বাংলাদেশের সংবিধান
⇒ বাংলাদেশের সংবিধানের নাম হলো "গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান"।
-
সংবিধান হলো একটি দেশের মূল আইন, যেটি দেশের শাসনব্যবস্থা, নাগরিকদের অধিকার ও দায়িত্ব, এবং সরকারের কাঠামো নির্ধারণ করে।
-
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ চূড়ান্তভাবে স্বাধীনতা লাভ করে। এরপর ১৯৭২ সালের ২৩ মার্চ দেশের জন্য একটি সংবিধান তৈরির কাজ শুরু হয়।
-
এই লক্ষ্যে ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল ৪০৩ সদস্য নিয়ে একটি গণপরিষদ গঠিত হয় এবং এদের মধ্য থেকে ৩৪ জনের একটি কমিটি গঠন করে সংবিধানের খসড়া তৈরি করা হয়।
-
১৯৭২ সালের ১২ অক্টোবর এই খসড়া গণপরিষদে উপস্থাপন করা হয় এবং পঠন শেষে ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের সংবিধান আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকর হয়।
-
তখন দেশের রাষ্ট্রপতি ছিলেন বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী।
⇒ বাংলাদেশের প্রথম হস্তলিখিত সংবিধান ছিল মোট ১০৯ পাতার, যার মধ্যে মূল লেখা ছিল ৯৩ পৃষ্ঠায়।
-
এটি হাতে লিখেছিলেন শিল্পী আব্দুর রউফ এবং অঙ্গসজ্জা করেছিলেন বিখ্যাত শিল্পী জয়নুল আবেদীন।
-
সংবিধানের প্রচ্ছদে শীতলপাটির উপর লেখা ছিল "গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান"।
-
গণপরিষদের ৩৯৯ জন সদস্য এই মূল সংবিধানে স্বাক্ষর করেছিলেন।
⇒ সংবিধানের গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো:
-
মোট অনুচ্ছেদ: ১৫৩টি
-
ভাগ: ১১টি
-
তফসিল: ৭টি
-
প্রস্তাবনা: ১টি
-
রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি: ৪টি — জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা
-
এখন পর্যন্ত সংবিধান ১৭ বার সংশোধিত হয়েছে।
উৎস: বাংলাদেশের সংবিধান

0
Updated: 2 months ago