৬ দফা দাবি পেশ করা হয়:
A
১৯৭০ সালে
B
১৯৬৬ সালে
C
১৯৬৫ সালে
D
১৯৬৯ সালে
উত্তরের বিবরণ
ছয় দফা দাবি (১৯৬৬)
বাংলাদেশের স্বাধীনতার ভিত্তি রূপে পরিচিত ঐতিহাসিক ছয় দফা দাবি প্রথম উত্থাপন করা হয় ১৯৬৬ সালে।
-
৫–৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৬: পাকিস্তানের লাহোরে বিরোধীদলীয় সম্মেলনে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শেখ মুজিবুর রহমান পূর্ব পাকিস্তানের স্বায়ত্তশাসনের জন্য ৬ দফা দাবি উপস্থাপন করেন।
-
২১ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৬: আওয়ামী লীগের ওয়ার্কিং কমিটির সভায় ছয় দফার ভিত্তিতে আন্দোলনের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।
-
২৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৬: বিরোধীদলীয় সম্মেলনে শেখ মুজিবুর রহমান আনুষ্ঠানিকভাবে ছয় দফা ঘোষণা করেন।
-
১৮ মার্চ ১৯৬৬: আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অধিবেশনে ‘আমাদের বাঁচার দাবি: ৬ দফা কর্মসূচি’ শীর্ষক পুস্তিকা প্রকাশ করা হয়।
ছয় দফার মূল বিষয়বস্তু
১. শাসনতান্ত্রিক কাঠামো – রাষ্ট্রের প্রকৃতি নির্ধারণ
২. ক্ষমতার বণ্টন – কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক সরকারের মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য
৩. মুদ্রা ও অর্থনীতি – আর্থিক নীতি নির্ধারণ
৪. রাজস্ব ও শুল্কনীতি – কর ও শুল্কসংক্রান্ত বিষয়
৫. বৈদেশিক বাণিজ্য ও মুদ্রা – রপ্তানি, আমদানি ও বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ
৬. প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা – প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক দাবি
সংক্ষেপে বলা যায়, ছয় দফা ছিল বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ, যা পরবর্তী সময়ে স্বাধীনতা আন্দোলনের ভিত্তি তৈরি করে।
তথ্যসূত্র: পৌরনীতি ও সুশাসন, দ্বিতীয় পত্র, এইচএসসি, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 1 month ago
৬-দফা দাবি কোথায় উত্থাপিত হয়?
Created: 2 months ago
A
ঢাকা
B
লাহোর
C
দিল্লি
D
চট্টগ্রাম
ছয় দফা
ছয় দফা দাবি ছিল বাঙালিদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার প্রতিষ্ঠার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
-
১৯৬৬ সালে এই ছয় দফা দাবি তোলা হয়।
-
৫ ও ৬ ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৬, পাকিস্তানের লাহোরে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর এক সম্মেলনে শেখ মুজিবুর রহমান আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এই দাবি উত্থাপন করেন।
-
এরপর ২১ ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগের ওয়ার্কিং কমিটির সভায় ছয় দফা দাবিকে বাস্তবায়নের জন্য আন্দোলনের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।
-
২৩ ফেব্রুয়ারি বিরোধী দলগুলোর সম্মেলনে শেখ মুজিব ছয় দফা আবারও পেশ করেন।
-
১৮ মার্চ, আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অধিবেশনে ‘আমাদের বাঁচার দাবি: ছয় দফা কর্মসূচি’ নামে একটি পুস্তিকা প্রকাশ করা হয়।
ছয় দফা দাবির মূল বিষয়গুলো
১. প্রথম দফা: পাকিস্তানের নতুন সংবিধানে ফেডারেল (যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক) সরকার থাকবে, এবং প্রতিটি প্রদেশ স্বায়ত্তশাসিত হবে।
২. দ্বিতীয় দফা: প্রতিটি প্রদেশ নিজস্ব শাসন ব্যবস্থা ও আইন প্রণয়নের ক্ষমতা পাবে।
৩. তৃতীয় দফা: পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের জন্য পৃথক মুদ্রা অথবা একই মুদ্রা ব্যবহারের ক্ষেত্রে পূর্ব পাকিস্তানের জন্য আলাদা রিজার্ভ ব্যাংক থাকবে।
৪. চতুর্থ দফা: পূর্ব পাকিস্তান নিজস্ব রাজস্ব ও শুল্ক ব্যবস্থা পরিচালনা করবে।
৫. পঞ্চম দফা: বিদেশি বাণিজ্য ও বৈদেশিক মুদ্রা আয় প্রাদেশিক সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
৬. ষষ্ঠ দফা: প্রতিরক্ষা ও মিলিটারি বাহিনী গঠনে পূর্ব পাকিস্তানের নিজস্ব ক্ষমতা থাকবে।
উৎস: পৌরনীতি ও সুশাসন, দ্বিতীয় পত্র, এইচএসসি, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 2 months ago
১৯৬৬ সালের ৬ দফার কয়টি দফা অর্থনীতি বিষয়ক ছিল?
Created: 1 month ago
A
৩টি
B
৪টি
C
৫টি
D
৬টি
‘ছয় দফা’ বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মসূচি, যা ১৯৬৬ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে পূর্ব পাকিস্তানের জন্য রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও প্রতিরক্ষামূলক দাবির ভিত্তিতে ঘোষণা করা হয়।
এই কর্মসূচি বাঙালি জাতির স্বাধীনতার আন্দোলনের মূল ভিত্তি হিসেবে বিবেচিত হয় এবং ইতিহাসে একে ‘মুক্তির সনদ’ বা ‘ম্যাগনেকার্টা’ হিসেবে অভিহিত করা হয়।
তথ্যগুলো হলো:
-
১৯৬৬ সালের ৫-৬ ফেব্রুয়ারি লাহোরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পূর্ব পাকিস্তানের দাবিসমূহ নিয়ে একটি সম্মেলনে কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
-
২৩ মার্চ, ১৯৬৬ সালে লাহোরে এক সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে ৬ দফা দাবি ঘোষণা করা হয়।
-
৬ দফা দাবির ভিত্তি ছিল ঐতিহাসিক ‘লাহোর প্রস্তাব’।
ছয় দফার বিবরণ:
-
প্রথম দফা: প্রাদেশিক স্বায়ত্তশাসন।
-
দ্বিতীয় দফা: কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতা।
-
তৃতীয় দফা: মুদ্রা বা অর্থ-সম্বন্ধীয় ক্ষমতা।
-
চতুর্থ দফা: রাজস্ব, কর বা শুল্ক সম্বন্ধীয় ক্ষমতা।
-
পঞ্চম দফা: বৈদেশিক বাণিজ্য বিষয়ক ক্ষমতা।
-
ষষ্ঠ দফা: আঞ্চলিক সেনাবাহিনী গঠনের ক্ষমতা।
অর্থনৈতিক বিষয়ক দফা:
-
তৃতীয় দফা: মুদ্রা বা অর্থ-সম্বন্ধীয় ক্ষমতা।
-
চতুর্থ দফা: রাজস্ব, কর বা শুল্ক সম্বন্ধীয় ক্ষমতা।
-
পঞ্চম দফা: বৈদেশিক বাণিজ্য বিষয়ক ক্ষমতা।

0
Updated: 1 month ago
ঐতিহাসিক 'ছয়-দফা' বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেন—
Created: 1 week ago
A
৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৬
B
২৩ মার্চ ১৯৬৬
C
২৬ মার্চ ১৯৬৬
D
৩১ মার্চ ১৯৬৬
ছয় দফা কর্মসূচি ছিল বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রামের মূল ভিত্তি। ১৯৬৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রথম এটি ঘোষণা করেন, যা পরবর্তীতে বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ হিসেবে পরিচিতি পায়।
ইতিহাসে এই কর্মসূচি শুধু রাজনৈতিক নয়, অর্থনৈতিক ও প্রতিরক্ষার দাবি নিয়েও ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
-
১৯৬৬ সালের ৫-৬ ফেব্রুয়ারি, লাহোরে এক সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পূর্ব পাকিস্তানের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও প্রতিরক্ষার দাবি সংবলিত কর্মসূচি উপস্থাপন করেন। এ কর্মসূচিই পরবর্তীতে ৬ দফা কর্মসূচি নামে পরিচিত হয়।
-
২৩ মার্চ, ১৯৬৬ সালে লাহোরের সংবাদ সম্মেলনে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে এই ছয় দফা দাবি ঘোষণা করেন।
-
৬ দফা কর্মসূচিকে বাঙালি জাতির "মুক্তির সনদ" বা "Magna Carta of Bangladesh" বলা হয়।
-
এই কর্মসূচি ঐতিহাসিক লাহোর প্রস্তাব এর ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে গড়ে ওঠে।
ছয় দফা দাবিগুলো হলো—
-
প্রথম দফা: প্রাদেশিক স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠা।
-
দ্বিতীয় দফা: কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতা সীমিতকরণ।
-
তৃতীয় দফা: মুদ্রা বা অর্থ বিষয়ক ক্ষমতা প্রাদেশিক সরকারের হাতে প্রদান।
-
চতুর্থ দফা: রাজস্ব, কর ও শুল্ক সংগ্রহের ক্ষমতা প্রদেশের হাতে দেওয়া।
-
পঞ্চম দফা: বৈদেশিক বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণে প্রাদেশিক অধিকার।
-
ষষ্ঠ দফা: প্রাদেশিক বা আঞ্চলিক সেনাবাহিনী গঠনের ক্ষমতা।

0
Updated: 1 week ago