বাংলা (দেশ ও ভাষা) নামের উৎপত্তির বিষয়টি কোন গ্রন্থে সর্বাধিক উল্লেখিত হয়েছে?
A
আলমগীরনামা
B
আইন-ই-আকবরী
C
আকবরনামা
D
তুজুক-ই-আকবরী
উত্তরের বিবরণ
বাংলা (দেশ ও ভাষা) নামের উৎপত্তি
আইন-ই-আকবরী গ্রন্থে বাংলা নামের উৎপত্তি প্রসঙ্গে সবচেয়ে বেশি উল্লেখ পাওয়া যায়।
আইন-ই-আকবরী
-
মুঘল সম্রাট আকবরের (১৫৫৬-১৬০৫) রাজদরবারের ঐতিহাসিক আবুল ফজল এই গ্রন্থটি রচনা করেন।
-
এটি মূলত আকবরনামা নামের বৃহৎ ইতিহাসগ্রন্থের তৃতীয় খণ্ড।
-
আকবর যে সব প্রশাসনিক আইন ও নীতি কার্যকর করেছিলেন, সেগুলোর বিস্তারিত বিবরণ এখানে পাওয়া যায়।
-
যদিও এটি আকবরনামার অংশ, তবুও আইন-ই-আকবরী নিজেই একটি পূর্ণাঙ্গ গ্রন্থ হিসেবে স্বীকৃত।
-
বাংলার ইতিহাস পুনর্গঠনে এ গ্রন্থের তথ্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
বাংলা নামের উৎপত্তি
গ্রন্থে উল্লেখ আছে—
-
বাংলার প্রাচীন নাম ছিল বঙ্গাল।
-
কারণ, এই দেশের রাজারা সারাদেশে চওড়া ‘আল’ (উঁচু বাঁধ/মাটি তোলা রাস্তা) নির্মাণ করতেন।
-
তাই ‘বঙ্গ’ + ‘আল’ = ‘বঙ্গাল’, যেখান থেকে বাংলা নামের উৎপত্তি হয়েছে।
উৎস: বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশের জাতীয় আয়ে কোন খাতে প্রবৃদ্ধির হার সবচেয়ে বেশি?
Created: 1 month ago
A
কৃষি ও বনজ
B
মৎস্য
C
শিল্প
D
স্বাস্থ্য ও সামাজিক সেবা
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০২৪ অনুযায়ী, দেশের অর্থনীতির বিভিন্ন খাতের অবদান ও প্রবৃদ্ধির হার নিম্নরূপ:
-
শিল্প খাতের অবদান: ৩৭.৯৫% এবং প্রবৃদ্ধির হার: ৬.৬৬% (সবচেয়ে বেশি)।
-
কৃষি খাতের অবদান: ১১.০২% এবং প্রবৃদ্ধির হার: ৩.২১%।
-
সেবা খাতের অবদান: ৫১.০৪% এবং প্রবৃদ্ধির হার: ৫.৮০%।
অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০২৪-এর অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:
-
চলতি মূল্যে মাথাপিছু জিডিপি: ২,৬৭৫ মার্কিন ডলার।
-
স্থির মূল্যে জিডিপি: ৩৩,৯৭,২৩১ কোটি টাকা।
-
স্থির মূল্যে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার: ৫.৮২%।
-
চলতি মূল্যে মোট জাতীয় আয় (GNI): ৩,০৬,১৪৪ কোটি টাকা।
-
চলতি মূল্যে মাথাপিছু জাতীয় আয় (GNI): ২,৭৮৪ মার্কিন ডলার।
-
মুদ্রাস্ফীতি/মূল্যস্ফীতি: ৯.৭৪%।
-
অর্থনীতির মোট খাত: ১৯টি।

0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদানকারী প্রথম ইউরোপীয় দেশ কোনটি?
Created: 1 month ago
A
যুক্তরাজ্য
B
পূর্ব জার্মানি
C
স্পেন
D
গ্রিস
মুক্তিযুদ্ধের পর বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদান
-
৬ ডিসেম্বর ১৯৭১: মুক্তিযুদ্ধের পর প্রথম দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয় ভুটান, এবং দ্বিতীয় দেশ হিসেবে ভারত।
-
১১ জানুয়ারি ১৯৭২: বিশ্বের তৃতীয় দেশ ও প্রথম ইউরোপীয় দেশ হিসেবে পূর্ব জার্মানি বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়। একই দিন বুলগেরিয়া চতুর্থ দেশ হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে।
-
১২ জানুয়ারি ১৯৭২: পোল্যান্ড বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়।
-
৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৭২: যুক্তরাজ্য বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদান করে।
-
১৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৭২: ফ্রান্স স্বীকৃতি দেয়।
-
১২ মে ১৯৭২: স্পেন বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদান করে।
তথ্যসূত্র: বাংলাপিডিয়া, প্রথম আলো, নিউইয়র্ক টাইমস

0
Updated: 1 month ago
কিসের ভিত্তিতে পূর্ব বাংলায় ভাষা আন্দোলন হয়েছিল?
Created: 1 month ago
A
দ্বি-জাতি তত্ত্ব
B
সামাজিক চেতনা
C
অসাম্প্রদায়িকতা
D
বাঙালি জাতীয়তাবাদ
ভাষা আন্দোলনের ভিত্তি
পূর্ব বাংলায় ভাষা আন্দোলনের মূল ভিত্তি ছিল বাঙালি জাতীয়তাবাদ। এই আন্দোলনই ছিল বাঙালির মুক্তি সংগ্রামের সূচনা।
ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে পূর্ব বাংলার মানুষ নিজেদের জাতীয় পরিচয় ও আত্মপরিচয়ের প্রতি সচেতন হয়ে ওঠে।
বাংলা ভাষা ও বাঙালি সংস্কৃতি ছিল এ জাতীয়তাবোধের মূল ভরকেন্দ্র। এর ফলে মানুষের মধ্যে এক ধরনের জাতীয় ঐক্য গড়ে ওঠে, যা পরে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রধান অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করে।
তথ্যসূত্র: বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়, নবম-দশম শ্রেণি

0
Updated: 1 month ago