A
১৮৬০ সালে
B
১৮৬৩ সালে
C
১৮৬৪ সালে
D
১৮৬৬ সালে
উত্তরের বিবরণ
‘নীল-দর্পণ’ (১৮৬০) দীনবন্ধু মিত্রের অন্যতম শ্রেষ্ঠ নাটক ও রচনা। এটি ১৮৬০ সালে প্রকাশ পায়। নাটকের মূল বিষয় ছিল তৎকালীন নীলচাষি কৃষক ও নীলকর শাসকদের অবিচার এবং শাসক শ্রেণীর পক্ষপাতমূলক আচরণ।
এই নাটক তৎকালীন সমাজে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল এবং কৃষকদের নীল বিদ্রোহে প্রেরণা যুগিয়েছিল।
মাইকেল মধুসূদন দত্ত ‘A Native’ ছদ্মনামে এর ইংরেজি অনুবাদ করেন, যার শিরোনাম ছিল ‘Nil Darpan or The Indigo Planting Mirror’ (১৮৬১)। এই অনুবাদ প্রকাশের কারণে পাদ্রি জেমস লং আদালত থেকে অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হন। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ‘নীল-দর্পণ’কে মার্কিন ‘Uncle Tom’s Cabin’ নাটকের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন।
১৮৬০ সালে ‘কস্যচিৎ পথিকস্য’ ছদ্মনামে নাটকটি প্রথম ঢাকা থেকে প্রকাশিত হয় এবং ১৮৭২ সালের ৭ ডিসেম্বর ‘নীল-দর্পণ’ দিয়েই শুরু হয় সাধারণ রঙ্গালয়ের অভিনয়।
দীনবন্ধু মিত্রের অন্যান্য নাটকগুলো হলো:
-
নবীন তপস্বিনী,
-
লীলাবতী,
-
কমলে কামিনী।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর ও বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 2 months ago
কোনটা ঠিক?
Created: 2 weeks ago
A
সোজন বাদিয়ার ঘাট (উপন্যাস)
B
কাঁদো নদী কাঁদো (কাব্য)
C
বহিপীর (নাটক)
D
মহাশ্মশান (নাটক)
বহিপীর নাটক
- সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্ রচিত নাটক 'বহিপীর' ১৯৬০ সালে ঢাকা থেকে প্রথম প্রকাশিত হয়।
- নাটকটি গড়ে উঠেছে বহিপীরের সর্বগ্রাসী স্বার্থ ও নতুন দিনের প্রতীক এক বালিকার বিদ্রোহের কাহিনীকে কেন্দ্র করে।
- নাটকের এই কেন্দ্রীয় চরিত্রটির নাম অনুসারেই নাটকের নামকরণ করা হয়েছে বহিপীর।
- এখানে ধর্মকে ভণ্ডবহিপীর ব্যক্তিস্বার্থে ব্যবহার করে।
উল্লেখযোগ্য চরিত্র:
- বহিপীর,
- তাহেরা,
- হাতেম,
- আমেনা,
- হাশেম।
-----------------------
অন্যদিকে,
- কবি জসীম উদ্দীনের কাহিনিকাব্য- সোজন বাদিয়ার ঘাট।
- সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্ রচিত উপন্যাস- কাঁদো নদী কাঁদো,
- 'মহাশ্মশান' কায়কোবাদের শ্রেষ্ঠ রচনা। এটি একটি মহাকাব্য।

0
Updated: 2 weeks ago
বাংলা সাহিত্যে প্রথম মুসলিম নাট্যকার রচিত নাট্যগ্রন্থ কোনটি?
Created: 2 months ago
A
জগৎ মোহিনী
B
বসন্তকুমারী
C
আয়না
D
মোহনী প্রেমপাস
‘বসন্তকুমারী’ নাটক:
মীর মশাররফ হোসেন রচিত ‘বসন্তকুমারী’ (১৮৭৩) বাংলা সাহিত্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ নাটক। এটি মুসলমান নাট্যকার কর্তৃক রচিত প্রথম নাটক হিসেবে বিবেচিত।
নাটকটির কাহিনিতে রয়েছে—ইন্দ্রপুরের এক বৃদ্ধ রাজার যুবতী রাণী গ্রহণ, সেই রাণীর রাজার যুবক পুত্রের প্রতি আকর্ষণ, প্রেম নিবেদন, পুত্রের প্রত্যাখ্যান এবং বিমাতার প্রতিহিংসাপরায়ণ ষড়যন্ত্র—যার পরিণতিতে রাজপরিবারের সবার মৃত্যু ঘটে।
নাটকটির অপর নাম ‘বৃদ্ধস্য তরুণী ভার্যা’।
এছাড়া একই বছর মীর মশাররফ হোসেন রচিত তাঁর দ্বিতীয় নাটক ‘জমীদার দর্পণ’ প্রকাশিত হয়।
মীর মশাররফ হোসেন:
মীর মশাররফ হোসেন ছিলেন উনিশ শতকের একজন বিশিষ্ট বাঙালি মুসলমান সাহিত্যিক, যিনি উপন্যাস, নাটক ও প্রবন্ধ রচনায় বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেন।
তিনি ১৮৪৭ সালের ১৩ নভেম্বর কুষ্টিয়া জেলার লাহিনীপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। ছাত্রাবস্থায় সংবাদ প্রভাকর ও কুমারখালির গ্রামবার্তা প্রকাশিকা-র মফঃস্বল সংবাদদাতা হিসেবে কাজ করেন। পরবর্তীতে আজিজননেহার ও হিতকরী নামক দুটি পত্রিকার সম্পাদনা করেন।
তিনি ছিলেন বঙ্কিমচন্দ্রের সমসাময়িক গদ্যশিল্পী এবং বাঙালি মুসলমান সাহিত্যজগতের অগ্রদূত।
তাঁর উল্লেখযোগ্য সাহিত্যকর্ম:
নাটক:
-
বসন্তকুমারী
-
জমীদার দর্পণ
-
বেহুলা গীতাভিনয়
-
টালা অভিনয়
উপন্যাস:
-
বিষাদ-সিন্ধু
আত্মজীবনীমূলক রচনা:
-
উদাসীন পথিকের মনের কথা
-
গাজী মিয়াঁর বস্তানী
-
আমার জীবনী
-
কুলসুম জীবনী
উৎস:
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা – ড. সৌমিত্র শেখর
বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 2 months ago
'কমলে কামিনী' নাটকটি কে রচনা করেছেন?
Created: 2 months ago
A
জসীম উদ্দীন
B
দ্বিজেন্দ্রলাল রায়
C
দীনবন্ধু মিত্র
D
মাইকেল মধুসূদন দত্ত
• 'কমলে কামিনী' নাটক:
- 'কমলে কামিনী' (১৮৭৩) দীনবন্ধু মিত্রের সর্বশেষ নাটক।
- এই নাটকের পটভূমি কাছাড় অঞ্চল। চরিত্রগুলি সবই অভিজাত বংশীয় তবে দুর্বল।
- উল্লেখযোগ্য চরিত্র: রাজা, সমরকেতু শশাঙ্কশেখর, গান্ধারী, সুশীলা, সুরবালা।
• দীনবন্ধু মিত্র:
- দীনবন্ধু মিত্র ১৮৩০ খ্রিষ্টাব্দে নদীয়া জেলায় জন্মগ্রহণ করেন।
- তাঁর সাহিত্য জীবনের শুরু কবিতা দিয়ে। তিনি ঈশ্বর গুপ্তের অনুপ্রেরণায় কবিতা লিখেন।
- দীনবন্ধু মিত্র কবিতা দিয়ে সাহিত্যজীবনের শুরু করলেও নাট্যকার রুপে সমাধিক খ্যাত।
• দীনবন্ধু মিত্রের উল্লেখযোগ্য নাটক:
- নীল দর্পণ
- নবীন তপস্বিনী,
- লীলাব্তী,
- জামাই বারিক,
- কমলে কামিনী ইত্যাদি।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর।

0
Updated: 2 months ago