A
রফিক আজাদ
B
হুমায়ুন আজাদ
C
দাউদ হায়দার
D
হুমায়ুন কবির
উত্তরের বিবরণ
রফিক আজাদ
-
রফিক আজাদ জন্মগ্রহণ করেন টাঙ্গাইল জেলার জাহিদগঞ্জের গুণীগ্রামে।
-
তাঁর ডাক নাম ছিল ‘জীবন’।
-
তিনি বাংলা একাডেমি থেকে প্রকাশিত মাসিক সাহিত্য পত্রিকা ‘উত্তরাধিকার’ এর সম্পাদক ছিলেন।
-
তাঁর সবচেয়ে পরিচিত কবিতা হলো ‘ভাত দে হারামজাদা’, যা ‘সীমাবদ্ধ জলে, সীমিত সবুজে’ নামের কাব্যগ্রন্থে সংকলিত।
-
তিনি ২০১৬ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে মৃত্যুবরণ করেন।
রফিক আজাদের বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থসমূহ:
-
চুনিয়া আমার আর্কেডিয়া
-
অসম্ভবের পায়ে
-
কোনো খেদ নেই
-
হৃদয়ের কী বা দোষ
-
সীমাবদ্ধ জলে, সীমিত সবুজে
-
করো অশ্রুপাত
-
পাগলা গারদ থেকে প্রেমিকার চিঠি ইত্যাদি।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর।

0
Updated: 2 months ago
বাংলা সাহিত্যের সর্বাধিক সমৃদ্ধ ধারা-
Created: 2 months ago
A
নাটক
B
ছোট গল্প
C
প্রবন্ধ
D
গীতি কবিতা
গীতিকবিতা
গীতিকবিতা এমন এক ধরনের কবিতা যেখানে কবির হৃদয়ের অন্তর্নিহিত অনুভূতি সুর ও সঙ্গীতের ছন্দে প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে। এখানে ব্যক্তিগত আবেগ, কামনা-বাসনা, আনন্দ ও বেদনার প্রকাশ ঘটে আবেগঘন ভাষায়।
যেসব কবিতায় কবির অন্তরের গভীর অনুভূতি সঙ্গীততাড়িত কণ্ঠে প্রকাশিত হয় এবং যে ভাবাবেগ পূর্ণতা নিয়ে প্রকাশ পায়—তাকেই গীতিকবিতা বলা হয়।
গীতিকবিতার প্রধান বৈশিষ্ট্য
-
আন্তরিক আবেগের প্রকাশ
-
সংক্ষিপ্ত রচনার গঠন
-
সঙ্গীতধর্মী ছন্দ ও সুরেলা ভাষা
-
গতিময়তা ও স্বচ্ছন্দ গতি
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের মতে, গীতিকাব্য হলো বক্তার অন্তর্দাহ ও আবেগের উচ্ছ্বাসপূর্ণ প্রকাশমাত্র, যার উদ্দেশ্য একান্তই হৃদয়ের ভাবের প্রকাশ। যেহেতু এই অনুভূতিগুলো দীর্ঘস্থায়ী হয় না, তাই গীতিকবিতাও সাধারণত ছোট হয়।
তবে গীতিকবিতার ভাববস্তুর ব্যাপ্তি কখনো কখনো বড় হতে পারে, আবার কখনো তা হয় অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত। এ কারণে গীতিকবিতার নির্দিষ্ট দৈর্ঘ্য নির্ধারণ সম্ভব নয়।
বাংলা সাহিত্যের মধ্যযুগে বৈষ্ণব পদাবলির মধ্য দিয়ে গীতিকবিতার রূপ প্রথম স্পষ্টভাবে প্রকাশ পায়। যদিও কাব্যধারা প্রাচীন ও মধ্যযুগে শুরু হয়েছিল, গীতিকবিতা আসলে আধুনিক যুগেই সম্পূর্ণতা লাভ করে।
আধুনিক বাংলা সাহিত্যে গীতিকবিতা হয়ে উঠেছে সবচেয়ে সমৃদ্ধ ও জনপ্রিয় ধারাগুলোর একটি।
উল্লেখযোগ্য তথ্য
-
মধ্যযুগে বাংলা সাহিত্যের সবচেয়ে সমৃদ্ধ ধারা ছিল বৈষ্ণব সাহিত্য।
উৎস
-
বাংলাপিডিয়া
-
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা (ড. সৌমিত্র শেখর)
-
লাল নীল দীপাবলী (হুমায়ুন আজাদ)

0
Updated: 2 months ago
‘বিদ্রোহী’ কবিতাটি কবি নজরুল ইসলামের কোন কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত?
Created: 1 month ago
A
অগ্নিবীণা
B
বিষের বাঁশি
C
দোলন চাঁপা
D
বাঁধনহারা
বাংলা সাহিত্যের বিদ্রোহী চেতনার এক উজ্জ্বল প্রকাশ হলো কাজী নজরুল ইসলামের ‘বিদ্রোহী’ কবিতা। এটি তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘অগ্নিবীণা’-র অন্তর্ভুক্ত দ্বিতীয় কবিতা, যা বাংলা সাহিত্যে এক নতুন যুগের সূচনা করে।
কবিতাটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯২২ সালের ৬ জানুয়ারি, ২২ পৌষ ১৩২৮ বঙ্গাব্দে, সাপ্তাহিক ‘বিজলী’ পত্রিকায়। এই একটি মাত্র কবিতার মাধ্যমেই নজরুল বাংলা সাহিত্যে চিরকালীন বিদ্রোহী কবি হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেন।
‘বিদ্রোহী’ কবিতার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে দ্রোহ, বিপ্লব, সাহস ও চেতনার উন্মেষ। এটি শুধু একটি কবিতা নয়, বরং একটি শক্তিশালী মানসিকতার প্রতীক, যা অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়াবার সাহস জোগায়। নজরুল এর আগে ও পরে বহু দ্রোহাত্মক কবিতা রচনা করলেও, 'বিদ্রোহী' যেন তার আত্মার কণ্ঠস্বর।
এই মহাকাব্যিক কবিতা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে নজরুলের প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ ‘অগ্নিবীণা’-তে। বইটি তিনি উৎসর্গ করেন মহান বিপ্লবী বারীন্দ্রকুমার ঘোষ-কে। কাব্যগ্রন্থটিতে মোট ১২টি কবিতা সংকলিত হয়েছে, যেগুলোর প্রতিটিতেই পাওয়া যায় স্বাধীনতা, সাম্য ও বীরত্বের জাগরণ।
‘অগ্নিবীণা’ কাব্যগ্রন্থের কবিতাসমূহ:
১. প্রলয়োল্লাস (প্রথম কবিতা)
২. বিদ্রোহী
৩. রক্তাম্বরধারিণী মা
৪. আগমনী
৫. ধূমকেতু
৬. কামালপাশা
৭. আনোয়ার
৮. রণভেরী
৯. শাত-ইল-আরব
১০. খেয়াপারের তরণী
১১. কোরবানী
১২. মোহররম
এই কবিতাগুলোতে কাজী নজরুল ইসলাম শুধু কবি নন, বরং একজন স্বপ্নদ্রষ্টা, যিনি সাম্রাজ্যবাদ, কুসংস্কার ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে কলমকে অস্ত্ররূপে ব্যবহার করেছেন।
তথ্যসূত্র:
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা - ড. সৌমিত্র শেখর
'বিদ্রোহী' কবিতা - বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 month ago
'পল্লিজননী' কবিতার রচয়িতা কে?
Created: 2 months ago
A
কাজী নজরুল ইসলাম
B
মাইকেল মধুসূদন দত্ত
C
জসীম উদ্দীন
D
জীবনানন্দ দাশ
• 'পল্লিজননী' কবিতাটি জসীম উদ্দীন রচিত 'রাখালী' কাব্যগ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত।
- এটি তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ।
- এটি ১৯২৭ সালে প্রকাশিত হয়।
- বিখ্যাত কবর কবিতাটিও এই কাব্যগ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত।
• জসীম উদ্দীন:
- তিনি ১৯০৩ সালের ১ জানুয়ারি ফরিদপুর জেলার তাম্বুলখানা গ্রামে মাতুলালয়ে জন্মগ্রহণ করেন।
- তিনি পল্লিকবি হিসেবে পরিচিত।
- তাঁর রচিত 'নক্সী কাঁথার মাঠ' একটি বিখ্যাত গাথাকাব্য। এটি ১৯২৯ সালে প্রকাশিত হয়।
- ১৯৭৬ সালের ১৩ মার্চ তিনি ঢাকায় মারা যান।
• তাঁর রচিত জনপ্রিয় খণ্ড কবিতার সংকলন:
- রাখালী,
- বালুচর,
- রূপবতী,
- ধানখেত,
- মাটির কান্না,
- সুচয়নী।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর।

0
Updated: 2 months ago