প্রোগ্রামিং এ ‘JMP’ অপ-কোডের নির্দেশ কী?
A
নির্দিষ্ট মেমোরি লোকেশনে যাওয়া
B
কোড কম্পাইল করা
C
আউটপুট ডিভাইস বন্ধ করা
D
রেজিস্টার রিসেট করা
উত্তরের বিবরণ
অপ-কোড (Operation Code / Opcode)
সঠিক উত্তর: ক) নির্দিষ্ট মেমোরি লোকেশনে যাওয়া
সংজ্ঞা:
অপ-কোডে ইনস্ট্রাকশন বা কমান্ডের নেমোনিক থাকে যা কম্পিউটারের বিভিন্ন কাজ নির্দেশ করে। নেমোনিকগুলো বিভিন্ন কম্পিউটারে ভিন্ন হতে পারে, তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে সাধারণ নেমোনিকগুলো নিম্নরূপ—
প্রধান অপ-কোড ও তাদের কার্য:
-
STO / STA: Store Accumulator; অ্যাকুমুলেটরের ডাটাকে নির্দিষ্ট মেমোরি লোকেশনে সংরক্ষণ।
-
CLR: Clear Accumulator; অ্যাকুমুলেটর পরিষ্কার করা।
-
ADD: প্রধান মেমোরির নির্দিষ্ট অবস্থানের সংখ্যার সঙ্গে অ্যাকুমুলেটরের সংখ্যা যোগ করা।
-
SUB: প্রধান মেমোরির নির্দিষ্ট অবস্থানের সংখ্যা থেকে অ্যাকুমুলেটরের সংখ্যা বিয়োগ করা।
-
MUL: গুণ করার নির্দেশ।
-
DIV: ভাগ করার নির্দেশ।
-
JMP: পরবর্তী নির্দেশের জন্য নির্দিষ্ট মেমোরি অবস্থানে যাওয়া।
-
INP: ইনপুট নেওয়া; ডাটা প্রধান মেমোরিতে রাখা।
-
OUT: আউটপুট প্রদর্শন; প্রধান মেমোরির তথ্য আউটপুটের মাধ্যমে প্রকাশ করা।
-
STP: প্রোগ্রাম থামানোর নির্দেশ।

0
Updated: 1 month ago
ডিজিটাল কম্পিউটারের মূল ভিত্তি -
Created: 3 weeks ago
A
প্লটারের মাধ্যম
B
গ্রাফিক্যাল সংকেত
C
বাইনারি ডিজিট
D
বৈদ্যুতিক সংকেত
ডিজিটাল কম্পিউটারের মূল ভিত্তি হলো বাইনারি ডিজিট। এটি তথ্যকে প্রক্রিয়াজাত ও সংরক্ষণ করার জন্য ০ এবং ১-এর সিস্টেম ব্যবহার করে। কম্পিউটারের বিভিন্ন অংশে বৈদ্যুতিক সংকেতের মাধ্যমে এই বাইনারি তথ্য স্থানান্তরিত হয়। প্লটার বা গ্রাফিক্যাল সংকেত শুধুমাত্র আউটপুট প্রদর্শনের কাজে ব্যবহৃত হয়, কিন্তু কম্পিউটারের অভ্যন্তরীণ গণনা ও তথ্য প্রক্রিয়াকরণের মূল ভিত্তি নয়। বাইনারি ডিজিটের মাধ্যমে কম্পিউটার দ্রুত ও নির্ভুলভাবে কাজ করতে সক্ষম।
-
কম্পিউটারকে গাণিতিক ভিত্তিতে তিন ভাগে ভাগ করা যায়:
১। এনালগ কম্পিউটার (Analog Computer)
২। ডিজিটাল কম্পিউটার (Digital Computer)
৩। হাইব্রিড কম্পিউটার (Hybrid Computer) -
এনালগ কম্পিউটার (Analog Computer):
-
ক্রম পরিবর্তনশীল বৈদ্যুতিক সংকেত গ্রহণ করে তথ্য প্রক্রিয়াকরণ করে।
-
ফলাফল সাধারণত প্রদর্শন কাঁটা (Indicator) বা প্লটারের মাধ্যমে কাগজে অঙ্কন আকারে দেখানো হয়।
-
বিভিন্ন শিল্প কারখানা, উৎপাদন, প্রক্রিয়াকরণ ও মান নিয়ন্ত্রণে ব্যবহার হয়।
-
-
ডিজিটাল কম্পিউটার (Digital Computer):
-
মূল ভিত্তি হলো বাইনারি ডিজিট (০ এবং ১)।
-
যাবতীয় গাণিতিক ও যুক্তিমূলক কাজ বাইনারি ডিজিটের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়।
-
প্রক্রিয়াকরণের ফলাফল লিখিত আকারে পাওয়া যায়।
-
ইনপুট ও আউটপুট সাধারণত বর্ণ, অক্ষর বা সংখ্যা আকারে প্রদর্শিত হয়।
-
গতি দ্রুত এবং নির্ভরযোগ্যতা বেশি, উপাত্ত সংরক্ষণের জন্য বৃহৎ মেমোরি ব্যবহার করা হয়।
-
বর্তমান ব্যবহৃত সকল কম্পিউটার ডিজিটাল কম্পিউটার।
-
-
হাইব্রিড কম্পিউটার (Hybrid Computer):
-
এনালগ ও ডিজিটাল কম্পিউটারের সমন্বয়ে তৈরি।
-
জটিল বৈজ্ঞানিক সমস্যা সমাধানে ব্যবহৃত হয়।
-

0
Updated: 3 weeks ago
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে সাধারণত কোন কম্পিউটার ব্যবহৃত হয়?
Created: 1 month ago
A
সুপারকম্পিউটার
B
মেইনফ্রেম
C
মিনি কম্পিউটার
D
মাইক্রোকম্পিউটার
আবহাওয়ার পূর্বাভাস তৈরির জন্য প্রচুর পরিমাণ ডেটা যেমন বায়ুমণ্ডলীয় তথ্য, মহাসাগরের স্রোত, স্যাটেলাইট ইমেজ এবং জটিল গাণিতিক মডেল প্রক্রিয়াজাত করতে হয়। এই কাজের জন্য অত্যন্ত দ্রুত প্রসেসিং ক্ষমতা এবং বৃহৎ স্টোরেজ ক্যাপাসিটি প্রয়োজন। সুপারকম্পিউটার একসাথে কোটি কোটি গণনা সম্পন্ন করতে পারে এবং জটিল মডেল চালিয়ে স্বল্প সময়ে সঠিক পূর্বাভাস তৈরি করতে সক্ষম।
-
সুপারকম্পিউটার হলো সবচেয়ে শক্তিশালী, ব্যয়বহুল এবং দ্রুতগতিসম্পন্ন কম্পিউটার।
-
এটি একসাথে একাধিক ব্যবহারকারীর জন্য কাজ করতে পারে।
-
বিপুল পরিমাণ ডেটা সংরক্ষণের জন্য পর্যাপ্ত মেমোরি এবং উচ্চ ক্ষমতার প্রক্রিয়াকরণ ইউনিট থাকে।
-
একাধিক প্রসেসর সমান্তরালভাবে কাজ করে এবং প্রতি সেকেন্ডে কোটি কোটি বৈজ্ঞানিক ও গাণিতিক কাজ সম্পন্ন করে।
-
এর ব্যবহার ক্ষেত্রগুলো হলো: সূক্ষ্ম বৈজ্ঞানিক গবেষণা, ডেটা বিশ্লেষণ, নভোযান ও ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ন্ত্রণ, মহাকাশ গবেষণা, আগ্নেয়াস্ত্র ডিজাইন, সিমুলেশন এবং পারমাণবিক চুল্লি নিয়ন্ত্রণ।
সুপারকম্পিউটারের বৈশিষ্ট্যসমূহ:
-
বিশাল সংখ্যার প্রক্রিয়াকরণ ইউনিট।
-
RAM টাইপ মেমরি ইউনিটের বৃহৎ সংগ্রহ।
-
নোডের মধ্যে উচ্চ গতির আন্তঃসংযোগ।
-
দ্রুত ইনপুট/আউটপুট সিস্টেম।
-
কাস্টম সফ্টওয়্যার ব্যবহার।
-
কার্যকর তাপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা।
-
বিপুল পরিমাণ গণনা পরিচালনার ক্ষমতা যা মানুষের সাধ্যের বাইরে।

0
Updated: 1 month ago
নিচের কোনটি প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ নয়?
Created: 1 month ago
A
IDE
B
Scratch
C
C
D
R
ব্যাখ্যা:
-
IDE (Integrated Development Environment) হলো একটি সফটওয়্যার প্ল্যাটফর্ম, যেখানে প্রোগ্রামাররা কোড লিখতে, ডিবাগ করতে এবং এক্সিকিউট করতে পারে।
-
এটি নিজে প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ নয়, বরং বিভিন্ন প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজের জন্য একটি উন্নয়ন পরিবেশ।
অন্য অপশনগুলো প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ:
-
Scratch – ভিজ্যুয়াল প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ, শিক্ষার্থীদের জন্য সহজ।
-
C – শক্তিশালী সাধারণ উদ্দেশ্যের হাই-লেভেল প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ।
-
R – ডেটা বিশ্লেষণ ও পরিসংখ্যানিক কাজের জন্য ব্যবহৃত প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ।
IDE-এর সুবিধা:
-
কোড লেখার জন্য Text Editor
-
প্রোগ্রাম কম্পাইল ও এক্সিকিউট করার জন্য Compiler/Interpreter
-
কোড ত্রুটি শনাক্ত ও ঠিক করার জন্য Debugger
-
বিভিন্ন টুল একত্রে ব্যবহারের সুবিধা, যা প্রোগ্রামিং কার্যক্রমকে সহজ ও দ্রুততর করে।
উৎস:
১) তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণি, মাহবুবুর রহমান, প্রকৌশলী মুজিবুর রহমান
২) সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইট

0
Updated: 1 month ago